মহিমান্বিত কুরআন। কুরআন মাজিদ। মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীর বুকে অবতীর্ণ শ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম। এতে আছে সমগ্র মানবজাতির জন্য হিদায়াত। সর্বোত্তম পবিত্রতম জীবনের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান। এই কুরআন প্রাণে প্রাণে জ্বালে রহমানি আলোর জ্যোতি। যুগ যুগান্তর ও বহু ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে এই কুরআন এখনো স্বমহিমায় উজ্জ্বল—অবিকৃত
পবিত্র কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের সময় আমাদের প্রবলভাবে জানতে ইচ্ছে করে, আমার আল্লাহ এই আয়াতে আমাকে কী বলছেন! আমরা আল্লাহর সমস্ত কথা বুঝতে চাই—বাক্যে বাক্যে বুঝতে চাই, শব্দে শব্দে বুঝতে চাই। আমাদের এই চাওয়া পূরণ করেছে মহিমান্বিত কুরআন।
ফেরদাউস মিক্বদাদ –
শব্দে শব্দে কুরআন।
সাইফুল ইসলাম –
শব্দে শব্দে সাজানো অনুবাদ খুবই সহজ ও সাবলীল ভাষায়। আল্লাহ এর সংশ্লিষ্ট সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
Mokarrom Hossain –
প্রথমে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয় বাংলা ভাষায় প্রতিটি শব্দের অর্থ সংযোজন করে প্রথম কোনো অনুবাদ প্রকাশের জন্য। এটা অবশ্যই একটা জটিল ও বড় কাজ। মহান আল্লাহ নিশ্চয় তাঁর রহমতের ঝর্ণাধারায় সিক্ত করবেন আপনাদের। আমি একটা বিষয়ে নজর দিতে অনুরোধ করবো যা অনুবাদকে আরো সচ্ছতা দিতে। আল্লাহ যা সরাসরি বলেন নাই তা ব্রাকেট বন্ধি করে অনুবাদে সংযোজন করে দেয়া জরুরি নয়। যেমন সূরা ফাতিহাতে শেষ আয়াতে খ্রিস্টান ও ইহুদি শব্দ দুইটা ব্রাকেটে সংযুক্ত করে দিয়ে কোরআনের মর্মকে সংকুচিত করা হয়েছে। যা সাধারনত তাফসির বা টিকা ভাষ্য আকারে বলা হয়, তা যদি অনুবাদে সংযোজন করে দেয়া হয়, আরবি না জানা মানুশ ব্রাকেটবন্ধি কথাগুলো অরিজিনাল কোরআনের অংশ বলেই মনে করবে। বাংলা ভাষায় যত অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে প্রায় সবই এই একই সমস্যায় আক্রান্ত। অথচ আপনাদের ইংরেজি অনুবাদে এই কাজ করা হয়নি। ইংরেজি অনুবাদ মূলত ইউসুপ আলির অনুবাদ অনুসরণ করা হয়েছে। সে কারনেই কাজটা ভালো হয়েছে। অনুবাদে ব্রাকেটে কেবল আরবিতে উহ্য থাকা সেই সব শব্দ বা শব্দগুচ্ছের উল্লেখ থাকে যা বাংলা বাক্যরীতিতে উল্লেখ না করলে বাংলা বাক্য ব্যাকরনিক কারনে অর্থপূর্ণ হয় না। কিন্তু যা তাফসিরের কাজ বা টিকা ভাষ্যের কাজ তা অনুবাদে ব্রাকেটে উল্লেখ করা অনুবাদের কাজ না। তাতে অরিজিনাল আয়াতের অর্থ অনুবাদকের নিজস্ব উপলব্ধি অনুযায়ী সীমিত হয়ে যায়। আশা করি পরবর্তী সংস্করনে আপনারা এই দিকে নজর দিবেন। আবারো ধন্যবাদ জানাই এই বৃহৎ কাজটির উদ্যোগ নেয়ার জন্য।
Meher Afroz –
📗বুক রিভিউ📘
বইঃ মহিমান্বিত কুরআন
যখন মোবাইলে বিভিন্ন বাংলা কুরআন অ্যাপস বের হয়েছিলো, তখন বড় আপা আর আমি তা থেকে পড়তাম। ফোনে একাধারে পড়লে চোখ ব্যথা /মাথা ব্যথা করত। তবুও, আপা খাতায় লিখে লিখে পড়তেন।এটা খুবই কষ্টকর ছিলো। তখন আমরা দুজনেই মনে মনে এমন একটা কুরআন চাইতাম; যার প্রতিটা শব্দে থাকবে বাংলা অর্থ।
আল্লাহর অশেষ রহমত! সিয়ান পাবলিকেশন কিভাবে যেন আমাদের মনের অব্যক্ত কথামালা বুঝে ফেলেছেন।আলহামদুলিল্লাহ। তাঁরা প্রকাশ করে ফেললেন, ‘ মহিমান্বিত কুরআন’। এই কুরআন’টির সাজানোর ভঙ্গি একদম আমাদের মনের মতন! যেমন—
➤কুরআনের প্রতিটি আরবি শব্দের নিচে বাংলা অর্থ দিয়ে সাজিয়েছেন।
➤ডান পাশে ও বাম পাশে আয়াতের সহজ বাংলা অনুবাদ উল্লেখ্য করেছেন।
➤২ খন্ডে ভাগ করায় বহন করাও সহজ হয়েছে।(২য় সংস্করণে ১খন্ডে আনা হয়েছে।)
➤কুরআনের শেষভাগে কুরআন বিষয়ক সহায়ক গ্রন্থসমূহের লিস্ট দিয়েছেন। মা শা আল্লাহ।
➤ টপ সিক্রেট হলো—
এই কুরআনটা কিনলে পাঠক একসাথে ২টা বই পেয়ে যাবে।কারণ, বইয়ের শেষভাগে ‘আরবি ব্যাকরণ’ ( কর্তা- কর্ম, লিঙ্গ, বচন, বিশেষণ ইত্যাদি) সম্পর্কে মোটামোটি ধারণা দিয়েছেন।
➤আরেকটা বিষয় হলো- বুদ্ধিমতি পাঠক- পাঠিকাগণ ভূমিকা পড়ার পর কুআনের শেষে ‘পরিশিষ্ট-ঘ—‘কুরআন বুঝতে শেখার সহজ এবং বাস্তব পদ্ধতি’ জেনে তারপর পড়া শুরু করবেন এতে পড়ার আগ্রহ এবং মনযোগ দুটোই ধরে রাখতে পারবেন। ইন শা আল্লাহ।
সমালোচনাঃ
⊕ তাজবিদগুলো লাল- নীল কালার দিয়ে চিহ্নিত করে দিলে, যারা নতুন কুরআন শিখছে তাদের জন্য পাঠ করা সহজ হত।
⊕প্রথম সংস্করণের সময় পৃষ্ঠার মান তেমন ভালো ছিলো না।যা, ২য় সংস্করণে ২খন্ড কুরআন একত্র করার পর পেইজের মান অনেকটা উন্নত হয়েছে।
⊕অনেক দাম! তবে এটা মানতে বাধ্য যে, বইয়ের মানের তুলনায় দাম ঠিক আছে।তবুও, একটু কমালে আমাদের মতো স্টুডেন্টদের জন্য সুবিধা হত।
রিভিউ দাতাঃ Meher Afroz