নবীজির শৈশব আর আমাদের সন্তানেরা… প্রকৃতির কোলে শিশুরা যেন প্রাণবন্ত থাকে। এর নির্মল বাতাস ও মিষ্টি রোদ খুবই উপকারী। সন্তানদেরকে মরুভূমিতে (প্রকৃতির সান্নিধ্যে) লালন-পালন করানোটা স্বভাবের পরিশুদ্ধতা, শারীরিক গঠন মজবুত এবং অনুভূতি, চিন্তার স্বাধীনতা ও আবেগের যুক্তিগ্রাহ্যতা সুতীক্ষ্ণ করার জন্য খুবই উপযোগী। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সন্তানরা আজকাল বসবাস করছে পরস্পর লাগোয়া বাসার সংকীর্ণ কিছু ফ্ল্যাটে, যা মুরগির খোয়াড়ের চেয়ে বেশি কিছু না; ভেতরের বাসিন্দারা সারাক্ষণ বন্দি সেখানে। মুক্ত বিহঙ্গের মতো আপন খেয়ালে ছুটে বেড়ানোর আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত। তারা জানে না নির্মল পরিবেশে বেঁচে থাকা এবং বুকভরে শ্বাস নেওয়ার কী স্বাদ! সন্দেহ নেই, আধুনিক সভ্যতায় স্নায়ু কিংবা পুরো শরীরে যে অসুস্থতা বাসা বেঁধেছে তা মূলত প্রকৃতি থেকে দূরে থাকা এবং কৃত্রিমতায় মেতে থাকার কারণেই। মরুভূমির প্রতি মাক্কাবাসীদের যে ঝোঁক সেটাকে আমরা অবশ্যই সম্মান জানাতে পারি। তারা তাদের সন্তানদেরকে শক্ত-সামর্থ্য করে গড়ে তোলার জন্য প্রথম খেলার মাঠ হিসেবে বেছে নিত মরুভূমির মতো খোলামেলা জায়গাকে। অনেক শিক্ষাবিদই আশা করেন যে, প্রকৃতির অবারিত মাঠ, খোলা আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ সবুজের গালিচা, আকাশের গায়ে হেলান দেওয়া পাহাড়সারি—এমন নির্মল পরিবেশই হবে শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভোরের সোনালি আলো, সন্ধ্যার আবছায়া, আকাশের নীলিমা, দিগন্তের লালিমা, চাঁদের জোৎস্নায় আপ্লুত হবে তারা। মোহাবিষ্ট হয়ে থাকবে প্রকৃতির রহস্য চিন্তায়, খুঁজে ফিরবে এর স্রষ্টাকে। কিন্তু আফসোস, বর্তমান শহুরে সভ্যতায় শিশুদের নিয়ে এমন চিন্তা স্বপ্নেই সম্ভব। বাস্তবায়ন বড়ই কঠিন।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সুযোগ পেয়েছেন। আল্লাহই তাঁকে সুযোগটি করে দেন। তিনি সা‘দ গোত্রে থেকে থেকে বিশুদ্ধ আরবি ভাষা রপ্ত করেন। যার কারণে পরবর্তীকালে তিনি হয়ে ওঠেন সৃষ্টির সেরা বিশুদ্ধভাষী। একবার সাহাবি আবু বাক্র রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহর কাছে জানতে চান, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনার চেয়ে বেশি বিশুদ্ধভাষী আমি আর কাউকেই দেখিনি।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আমাকে কীসে বাধা দেবে বল (এমন বিশুদ্ধভাষী হতে)! আমি তো কুরাইশদেরই একজন এবং আমাকে স্তন্যপান করানো হয়েছে সা‘দ গোত্রে।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
Ashraf Zaman –
ameen
Mahbuba Islam Disha –
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম! যাকে রাহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। যার জিবনকে তুলনা করা হয়েছে কুরআনের বাস্তব চিত্রের সাথে। তার জিবন নিয়ে যে শত শত গ্রন্থ লেখা হবে এটাই স্বাভাবিক। সেই শত শত বইয়ের মাঝে “রউফুর রহীম” গ্রন্থ ড. আলি সাল্লাবির এক অনবদ্য রচনা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের সিরাত সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। কারণ তার সিরাতের পরতে পরতে রয়েছে সবার জন্য এক অনুপম শিক্ষা।
একমাত্র সিরাত সম্পর্কে পড়লেই আমরা জানতে পারবো তাঁর শৈশব, কৈশোর, যৌবন, আল্লাহ্র পথে মানুষদের আহবান, দ্বীনের প্রতি দৃঢ়তা, ইসলামের শত্রুদের পরাজয় সম্পর্কে। আর “রউফুর রহীম” বইটাতে এইসব কিছু নিয়েই বিস্তারিত লেখা। তিনি যে একাধারে একজন স্বামি,বাবা,যোদ্ধা, প্রশাসক, রাজনীতিবিদ, অভিভাবক ও বিচারক এই দিকগুলো নিয়েও লেখা বাদ পরেনি। রাসূলের (সা) ব্যক্তিত্ব, বানী, কোন বিষয়ে সমর্থন এর মত খুঁটিনাটি সকল বিষয় নিয়েই পরিপূর্ন উপস্থাপন এই বইটিতে।
অল্প কথায় অধিক অর্থবহ বাক্য দিয়ে সাজানো এই বইটি প্রথম খন্ড বর্তমানে প্রকাশিত হয়েছে। টীকাগুলো প্রতি পৃষ্ঠার নিচে না দিয়ে শেষ পৃষ্ঠায় দেওয়া এতে পড়তে আরো বেশি সুবিধা হয়। অনুবাদকের লেখাও যথেষ্ট সাবলিল, সকলের বোধগম্য।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা উত্তম প্রতিদান দিন লেখক কে এবং প্রকাশক সহ সকলকে।
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি সম্পর্কে_
ইতিহাস সংকলনের জন্য বর্তমান সময়ের এক প্রসিদ্ধ নাম ড. আলি সাল্লাবি। জন্ম লিবিয়ার বেনগাজিতে। প্রথম স্থান অধিকার করে ব্যাচেলরস করেছেন মাদিনা ইউনিভার্সিটি থেকে। মাস্টার্স ও ডক্টরেট করেছেন সুদানের উমদুরমান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে।