fbpx
দুই তিন চার এক (ইসলামে বহুবিবাহ)
দুই তিন চার এক (ইসলামে বহুবিবাহ)

দুই তিন চার এক (ইসলামে বহুবিবাহ)

Author : ড. আবু আমিনা বিলাল ফিলিপস
Category : পারিবারিক ও সামাজিক জীবন


একজন নারীর জন্য তার স্বামী হলেন তার সকল আশা-ভরসা-ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। সে তার স্বামীকে যত ভালোবাসবে, স্বামীর পাশে অন্য কোনো নারী এলে তার প্রতি সে ততই জেলাস হবে। এমনকি জেলাসির মাত্রা এমনও হতে পারে যে, স্বামী ‘রুপা’ ব্র্যান্ডের গেঞ্জি গায়ে দিলেও তার খারাপ লাগতে পারে, যেহেতু এই গেঞ্জিতে ‘রুপা’ নামটা ঠিক বুকের উপর লেখা থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় তেমন কোনো তফাৎ সৃষ্টি করে না। আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) স্ত্রীও অন্যদের প্রতি জেলাস ছিলেন।

130

দুই তিন চার এক (ইসলামে বহুবিবাহ)

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

১.
অনেক ভাই মনে করেন আমাদের বোনেরা বহুবিবাহ নিয়ে যে কষ্ট পান, এটা তাদের দ্বিনদারির দুর্বলতার কারণে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একজন নারী যত দ্বিনদারই হোন না কেন, বহুবিবাহ তাদের জন্য কষ্টকর। এটা তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা পরীক্ষা। তারা যত ভালো গ্রেডে এ পরীক্ষায় পাশ করবেন, দুনিয়া ও আখিরাতে এটা তাদেরই কল্যাণে আসবে।

একজন নারীর জন্য তার স্বামী হলেন তার সকল আশা-ভরসা-ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। সে তার স্বামীকে যত ভালোবাসবে, স্বামীর পাশে অন্য কোনো নারী এলে তার প্রতি সে ততই জেলাস হবে। এমনকি জেলাসির মাত্রা এমনও হতে পারে যে, স্বামী ‘রুপা’ ব্র্যান্ডের গেঞ্জি গায়ে দিলেও তার খারাপ লাগতে পারে, যেহেতু এই গেঞ্জিতে ‘রুপা’ নামটা ঠিক বুকের উপর লেখা থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় তেমন কোনো তফাৎ সৃষ্টি করে না। আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) স্ত্রীও অন্যদের প্রতি জেলাস ছিলেন।

আমাদের অনেক ভাইয়েরা মনে করেন, স্ত্রী যদি দ্বিনদার হন তাহলে তিনি নিজে তার স্বামীকে বিয়ে করিয়ে দেবেন, বাসর সাজিয়ে দেবেন, নব বধুকে ঘরে দিয়ে আসবেন। অন্ততপক্ষে স্বামীর বিয়ের খবর শুনে কোনো কষ্ট পাবেন না। এটা মোটেই বাস্তবতা নয়। হ্যাঁ, যদি কেউ এই লেভেলে উঠতে পারেন, সেটা প্রশংসনীয়, তবে খুবই ব্যতিক্রম।

তবে হ্যাঁ, একজন দ্বিনদার নারী কখনো কেবল তাঁর নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগার জন্য আল্লাহর সীমালঙ্ঘন করবেন না, অন্যের অধীকার খর্ব করবেন না; আল্লাহর দ্বিনের কোনো বিষয়ের প্রতি অন্তরে ঘৃণা পোষণ করবেন না।

২.
স্বামী যদি কোনো বৈধ কারণ ছাড়া স্ত্রীর ভরণপোষণ বা তাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে অসম্মতি জানায়, তবে স্ত্রীর উচিত প্রথমে স্বামীর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিজের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করা। কিন্তু স্বামী যদি তার সিদ্ধান্ত পরিত্যাগ না করে, তবে সালিশের দ্বারা বিষয়টা মীমাংসার ব্যবস্থা করা উচিত। যদি তাতেও কোনো কাজ না হয়, তবে স্ত্রী তা নিষ্পত্তির জন্য কোর্টে উত্থাপন করতে পারে অথবা তালাকের দাবি করতে পারে। তবে কোনো কারণে স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণে অক্ষম হয়, যেমন স্বামী যদি কারারুদ্ধ থাকে, শারীরিকভাবে অক্ষম বা দরিদ্র হয়, তবে সেক্ষেত্রে স্ত্রী চাইলে হাসিমুখে এই কষ্ট সহ্য করতে পারে অথবা স্বামীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যেতে পারে। আর যে মহিলা নিজেই ধনী, সে চাইলে সেচ্ছায় স্বামীকে ভরণপোষণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। সে তখন তার পছন্দমতো খাবার, বেশভূষা ও বাড়িতে থাকতে পারে। স্ত্রী চাইলে বিবাহের শুরু থেকেই, অথবা যেকোনো পর্যায়ে এসে নিজের অধিকার ছেড়ে দিতে পারে। তবে এটা চিরস্থায়ী নয়। কখনো স্ত্রী যদি নিজের ভরণপোষণ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে বা এমনটি করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তবে স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীর দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতে হবে, যা আল্লাহ তাআলা তার ওপর অর্পণ করেছেন।

Author

Author

ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস

সানজিদা শারমিন

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “দুই তিন চার এক (ইসলামে বহুবিবাহ)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।