fbpx
টাইম ম্যানেজমেন্ট (বাংলা)
টাইম ম্যানেজমেন্ট (বাংলা)

টাইম ম্যানেজমেন্ট (বাংলা)

Author : ইসমাইল কামদার
Translator : মুহাম্মাদ ইফাত মান্নান
Category : আত্ম-উন্নয়ন


তথ্যপ্রযুক্তির অক্টোপাসে জড়ানো আধুনিক এই সময়ে জীবনটাকে আরেকটু যারা অর্থবহ করতে চান; পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার মতো কিছু করতে চান তাদের জন্য সিয়ানের বই “Time Management” বাংলা অনূদিত হয়ে এসেছে “টাইম ম্যানেজমেন্ট” নামে।

একেবারে সহজ সরল সমীকরণে বইটি লিখেছেন ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটির হেড টিউটরিয়াল এসিসট্যান্ট উস্তাদ ইসমাইল কামদার।

148

You Save TK. 80 (35%)

টাইম ম্যানেজমেন্ট (বাংলা)

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

একেকজন সাহাবি বিশ-পঁচিশ-ত্রিশ কিংবা অনেকে তার চেয়েও বেশি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এক জীবনে। জি না, তারা চিরকুমার ছিলেন না; বরং প্রায় সকলেরই একাধিক স্ত্রী ছিল এবং সে স্ত্রীরা তাদের স্বামীর ওপর সন্তুষ্টও ছিলেন। তাদের ঘরভর্তি সন্তান-সন্তুতিও ছিল। সবই তারা সামলেছেন। আবার ফজরের সময় আল্লাহর রসুল যখন জিজ্ঞেস করেছেন, কে আজ সাদাকা করেছো? কে আজ রুগী দেখতে গিয়েছো? আবু বকর হাত তুলেছেন।

যখন একটি হাদিস সংগ্রহ করতে অনেক ক্ষেত্রে মাইলের পর মাইল সফর করতে হতো—এরোপ্লেনে নয়, গাধা-খচ্চরে চড়ে—তখন ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে কম-বেশ ত্রিশ হাজার হাদিস সংগ্রহ করেছেন। ইমাম বুখারি সাত হাজার পাঁচশত হাদিস সংকলন করেছেন শুধু সহিহ বুখারিতে। প্রতিটি হাদিস লিপিবদ্ধ করার পূর্বে তিনি দুই রাকাআত সালাতও আদায় করেছেন।

ইমাম আবু হানিফা, শাফিঈ, মালিক (র.) প্রমূখ বিশেষজ্ঞগণ যে অবদান রেখেছেন ইতিহাস তার সাক্ষী। পাখির পালক কালিতে চুবিয়ে লেখার যুগে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার করা রচনাগুলো আমাদের অনেকে এক জীবনে হয়তো পড়েও শেষ করতে পারব না।

তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সব কাজ সহজ করে দিয়েছে। ক্লিকেই দুনিয়ার তথ্য আমাদের নখের ডগায়। আমরা পৃথিবীর এক প্রান্তে প্রাতরাশ সেরে অন্য প্রান্তে দুপুরের কাইলুলা করতে পারি। এত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও পূর্বসূরীদের মতো যোগ্য সন্তান জন্ম দিতে এই জাতি আজ ব্যর্থ। সকাল হয়, দিন গড়িয়ে রাত হয়, আবার সূর্য ওঠে। আলু-পেঁয়াজ আর বিদ্যুৎ বিলের হিসাব মেটাতেই বেলা শেষ। পৃথিবীকে দিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই করা হয় না। সময় নেই, ব্যস্ত।

আমরা কি আসলেই ব্যস্ত—নাকি ব্যস্ততার অভিনয় করি, নিজেকে কিছু একটা প্রমাণিতে?

তথ্যপ্রযুক্তির অক্টোপাসে জড়ানো আধুনিক এই সময়ে জীবনটাকে আরেকটু যারা অর্থবহ করতে চান; পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার মতো কিছু করতে চান তাদের জন্য সিয়ানের বই “Time Management” বাংলা অনূদিত হয়ে এসেছে “টাইম ম্যানেজমেন্ট” নামে।

একেবারে সহজ সরল সমীকরণে বইটি লিখেছেন ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটির হেড টিউটরিয়াল এসিসট্যান্ট উস্তাদ ইসমাইল কামদার।

Author

Author

ইসমাইল কামদার

Reviews (5)

5 reviews for টাইম ম্যানেজমেন্ট (বাংলা)

  1. nayeem_sharder

    একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, পৃথিবীতে যত সফল মানুষ জন্মেছেন, তাঁরা সবাই সময়ের মূল্য দেয়ার ব্যাপারে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।  কোন কাজটি কোন সময়ে করবেন – তা তাঁরা আগেই ঠিক করে রাখেন, এবং সময়মতই কাজ করেন।

    যার হাতে কিছুই নেই, তার হাতেও সময় আছে। এটাই আসলে সবচেয়ে বড় সম্পদ। অমূল্য সম্পদ। এই অমূল্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা নিয়েই ইসমাইল কামদার লিখেছেন “টাইম ম্যানেজমেন্ট” নামে এই চমৎকার বইটি।

    লেখক বইয়ের প্রতিটি ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ টা দিয়ে চেষ্টা করেছেন। পাঠকের অনুভূতির জায়গায় থেকে বলতে পারি তিনি সফল। তিনি প্রথম ধাপেই শিখিয়েছেন জীবন লক্ষ্যের ছকগুলো কেমন হওয়া চাই।

    খেয়াল খুশির মত একটি গতানুগতিক জীবন কখনই সাফল্য এনে দিতে পারে না। কারন, এখানে না আছে কোন সময়ের সৎ ব্যবহার না আছে কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। রোবটিক্স জীবন থেকে বেরিয়ে সুসংগঠিত জীবন গড়া উচিত। বইয়ের ঠিক ২য় ধাপে এই পয়েন্টেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

    যে সময় হারিয়ে গেছে তাকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। কিন্তু আমরা চাইলে যে সময় সামনে আসছে, তাকে সুন্দর করতে পারি। তার জন্য দরকার পরিকল্পিত কর্মকৌশল ও সতর্কতা। তাই লেখক প্রতি অনুচ্ছেদে সময় ব্যবহারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। আপনি যেই পেশার মানুষ হন না কেন- ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ইত্যাদি সবার জন্যই বইটি উপকারী। বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ অনুবাদক ইফাত মান্নান ভাইকে। চমৎকার ছিলো অনুবাদের মান।

  2. Meher Afroz

    📗বুক রিভিউ📔

    বই: টাইম ম্যানেজমেন্ট
    লেখক: আবু মুআবিয়া ইসমাইল কামদার
    অনুবাদ: মুহাম্মদ ইফাত মান্নান

    মানব জীবন হলো নির্দিষ্ট কিছু সময়ের সমুষ্ঠি। কিন্তু আমরা দৈনিক কত ঘন্টা ইবাদত করে কাটাই? হিসাব করলে দেখা যাবে ইবাদত করার চাইতে আমরা প্রচুর সময় নষ্ট করি।সাধারণ একটি উদাহারণ হলো– সোশাল মিডিয়া’। একবার সোশালমিডিয়াতে উঁকি দিলে ঘন্টাখানেক যেন মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায়। অথচ ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেছিলেন,
    ‘সময় অপচয় মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ। মৃত্যু মানুষকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে; সময়ের অপচয় বিচ্ছিন্ন করে আল্লাহ থেকে।’
    আল্লাহর অশেষ রহমত, সময়খেকো যোগাযোগ মাধ্যম/ গেইমিং এর যুগে লেখক. ইসমাইল কামদার ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’ বইটি পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। বইটিতে তিনি সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং কিভাবে আমরা সময় নষ্ট করি তা চিহ্নিত করেছেন ও সময় যেন হেলায় অপচয় না হয় সেই সমাধানও একে একে দিয়েছেন।পাশাপাশি তুলে ধরেছেন নিজের কিছু অভিজ্ঞতা এবং দেখিয়েছেন কিভাবে আমরা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সময়ের বারাকাহ লাভ করতে পারি।উম্মাহর এই দুর্সময়ে বইটি’র উপদেশগুলো অক্সিজেনের মত কাজ করবে।যদিও হুট করে কিছুই সম্ভব নয়।তবে অধ্যবসায়ের সাথে এগিয়ে গেলে মুসলিম উম্মাহের জীবনে সময়ের বারাকাহ মিলবে।ইন শা আল্লাহ।

    বই থেকে কিছু অংশঃ—

    ‘একটি দিনে আমরা সবাই একই পরিমাণ সময় পাই। কেউ কম বা বেশি না। কাজেই জীবনের অপ্রাপ্তিগুলোর জন্য সময়কে গাল-মন্দ করা নিরর্থক।’
    পৃষ্ঠা নং— ২৫

    ‘আমাদের সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা, সব মুসলিমই তাত্ত্বিকভাবে এটা মানে। কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা সৃষ্টির এ উদ্দেশ্যেকে বাস্তবিকভাবে মেনে চলতে পারছি না।’
    পৃষ্ঠা নং—২৭

    ‘যে লক্ষ্যই ঠিক করুন না কেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। কিন্তু এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে।’
    পৃষ্ঠা নং—২৯

    ‘মুসলিমরা একটি দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে। আল্লাহর সাথে দৃঢ় সম্পর্কের মাধ্যমে একজন মুসলিমের সময়ে বারাকাহ আসে, যা আল্লাহর সাথে সম্পর্কহীনদের জন্য প্রযোজ্য নয়।’
    পৃষ্ঠা নং— ৩৪

    ‘অতীতের স্থান অতীতেই, অতীতকে বর্তমানে এগিয়ে চলার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করুন আর মন দিন বর্তমানে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রসর হতে থাকুন। দেখবেন আপনার ঝুলিতে কল্পনাতীত অর্জন জমা হচ্ছে।’
    পৃষ্ঠা নং—১০৫

    ‘কখনও ব্যর্থ না হওয়া মানে কখনও নতুন কিছু করার চেষ্টা না করা।’
    পৃষ্ঠা নং—১১৬ পৃষ্ঠা

    পাঠ্যানুভূতিঃ—

    বাজারে এ বিষয়ক অনেক মোটিভেশনাল বই পাওয়া যায়।তবে, এ বিষয়ে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে আমার পড়া প্রথম বই ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’।লেখকের প্রতিটি কথা যেন মণিমুক্তার মতো দামি। এতো সুন্দর করে সময়কে আ’মল দ্বারা ব্যয় করা যায়! কৌশল গুলো আসলেই চমকপ্রদ।তিনি আলোচনা করেছেন কিভাবে মানুষ এই পৃথিবীর মায়ায় অত্যাধিক ডুবে গিয়ে এর মাঝে অতিরিক্ত ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই সাথে কাজ এবং সময়ের সদ্ব্যবহার করার পাশপাশি তিনি নিজের এবং পরিবারের জন্য খুব ভালো ধরণের সময় রাখার কথা বলেছেন। কেননা মানুষ হিসেবে আমাদের তা প্রয়োজন। আর ইসলামও আল্লাহ্‌কে ছেড়ে, নিজেকে ছেড়ে এবং আপনজনদের ছেড়ে এই পৃথিবীর মায়ায় খুব বেশি ব্যস্ত হতে নিষেধ করে।

    অনুবাদকের ভাষা খুব প্রাঞ্জল। পড়তে গিয়ে কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয়নি। বানানেরও তেমন কোনো ভুল ধরা পরেনি। এছাড়াও বই-এর প্রচ্ছদ, বই-এর পাতার কন্ডিশন, বাইন্ডিং সবই খুব ভালো। এক কথায় বইটা বেশ সুখপাঠ্য। বইটি প্রত্যেক মুসলিমের পড়া উচিৎ এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবনকে গুছিয়ে নেয়া উচিৎ। এতে করে দুনিয়ার জীবনটা উপভোগ্য হবে পাশাপাশি আখেরাতের জন্যও বেশি বেশি আমল করা যাবে। ইন শা আল্লাহ।

    রিভিউ দাতাঃ Meher Afroz

  3. Umme Suraiya

    টাইম ম্যানেজমেন্ট
    ইসমাইল কামদার
    ——————————–
    Time অর্থাৎ সময় আমাদের জীবনে এমন একটা বিষয়  যাকে কেন্দ্র করেই আমাদের অতীত, বর্তমান,ভবিষ্যৎ। যার আবর্তনেই আমাদের জন্ম এবং মৃত্যু। আর Management অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা;যে ব্যক্তি তার জীবনে সময়কে যত সঠিক এবং সুন্দর ভাবে ব্যবহার করতে পারবে তার জীবনে সফলতা ততো বেশি আলোকোজ্জ্বল পদার্থের মতো ধরা দেবে।

    টাইম ম্যানেজমেন্ট এমন একটি বিষয়ে, যার মাধ্যমে আপনি ক্রমাগত উন্নতির সোপান বেয়ে চূড়ায় উঠতে পারবেন, আবিষ্কার করতে পারবেন নতুন নতুন কৌশল।

    গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সমূহ :
    ———————————
    (১)জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ
    (২)সময় -ব্যবহার আলোচনা
    (৩)জীবন চলার পথে অগ্রাধিকারের বিষয় সমূহ
    (৪)পদক্ষেপ নেওয়া
    (৫)গতিবেগ ধরে রাখা

    ভাবনার নতুনদ্বার উন্মোচন করা অংশটুকু:
    ———————————————————
    স্টিফেন কভে তার “The Seven Habits of Highly Effective People ” বইতে পরামর্শ দিয়েছেন  অর্থ,পরিবার এসবের পরিবর্তে আমাদের উচিত আদর্শ কেন্দ্রিক হওয়া।আদর্শ কেন্দ্রিক জীবন-যাপন যতটা গোছানো এবং সুশৃঙ্খল হয়,অন্য সব ক্ষেত্রে ততটা হওয়া সম্ভব নয়।
    নৈতিকতার সুস্পষ্ট ভিত্তি ও মানদণ্ড থাকা উচিত। নাহলে স্রেফ “লোকে বলে”দেখেই একটি অনৈতিক কাজ নৈতিক হিসেবে পরিগনিত হতে পারে। যেমন,” মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন “এ আদর্শের ভিত্তিতে সমকামিতা নৈতিক হলেও বহুবিবাহ অনৈতিক। এক্ষেত্রে ধর্মকে নৈতিকতার ভিত্তি ধরা হলে উল্টোটা ঠিক।

    সবশেষে বলতে চাই, সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।তাই সময়কেই জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন।

    বই সম্পর্কিত তথ্য :
    ——————————-
    বই:টাইম ম্যানেজমেন্ট
    লেখক :ইসমাঈল কামদার
    প্রকাশনী:সিয়ান
    মূল্য:২১৮ টাকা

    Umme Suraiya

  4. Amit Hasan

    ■ বই- টাইম ম্যানেজমেন্ট

    সময় আল্লাহর দেওয়া অফুরন্ত এক নেয়ামত। আর মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত এই নেয়ামতের প্রতি সদাচার করা। আলোচ্য বইটি আমাদের সেই কাজটি সহজ করবে ইনশাআল্লাহ।

    ■ বইটিতে যা আছে-

    বইটির শুরতেই বইটি কিভাবে পড়া যেতে পারে তার কৌশল ব্যক্ত করা হয়েছে। এরপর আমরা সময়ে বারাকাহ পাই না কেন? বারাকাহ পেতে আমাদের করণীয়তা আলোকপাত করা হয়েছে।ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে সময়ের ব্যাপারে আমাদের দায়বদ্ধতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

    এরপর টাইম ম্যানেজমেন্টের ছয়টি ধাপ আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে আমাদের জীবনের লক্ষ্যগুলো কেমন হওয়া উচিত? একটি S.M.R.A.T লক্ষ্য কি? সালাত ও টাইম ম্যানেজমেন্টের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত বিষয়ক আলোচনা।

    দ্বিতীয় ধাপে দুনিয়ার পেছনে না ছুটে কিভাবে সময় কে কাজে লাগিয়ে সুসংহত জীবন তৈরি করা যায় তার সবক। বিখ্যাত ৮০/২০ নীতির প্রয়োগ, আছে সাপ্তাহিক কাজের পরিকল্পনা পদ্ধতিতে টু-ডু লিস্ট ও হাইব্রিড বা মিশ্র পদ্ধতির প্রয়োগ।

    তৃতীয় ধাপে কার পেছনে সময় ব্যয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে তার পাঁচটি ক্যাটাগরির সবিস্তার আলোচনা। এছাড়াও এই অগ্রাধিকার অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রে যেসব ফাঁদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন তা উঠে এসেছে।

    আমরা অনেক কাজে পদক্ষেপ নিতে দেরি করি কাজ না করে আগামীতে করার লক্ষ্যে ফেলি রাখি। টাইম ম্যানেজমেন্ট এর চতুর্থ ধাপে আমাদের কোন কাজ তাড়াতাড়ি করতে কী কী পদক্ষেপ হাতে নিতে পারি সেগুলোর টিপস উঠে এসেছে।

    টাইম ম্যানেজমেন্টের পঞ্চম ধাপে যেকোনো কাজে সমান গতিবেগ ধরে রাখতে করণীয়সমূহ আলোকপাত করা হয়েছে।

    সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে আমাদের কিছু কিছু মাধ্যম এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলোর সবিস্তার আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া এই ধাপে টাইম ম্যানেজমেন্টের আরও কিছু প্রয়োজনীয় টিপস, হেলথ টিপস, বারাকাহ টিপস প্রদান করা হয়েছে।

    এছাড়াও খারাপ দিনগুলোতে ও রামাদানে টাইম ম্যানেজমেন্ট কেমন হওয়া উচিত তার টিপস বইটির পরিশিষ্ট অংশে আলোচনা করা হয়েছে। বইটির সর্বশেষ পরিশিষ্টে ব্যর্থতা এড়ানোর পাঁচটি উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে।

    ■ পাঠ পরবর্তী পর্যালোচনা-

    টাইম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক অসংখ্য বই দেখা যায়। মুসলিম হিসেবে সেগুলোর অধ্যয়নে আমাদের পুরোপুরি ফায়দা অর্জন সম্ভব হয় না। কারণ সেই সমস্ত বইয়ের আলোচনা ইসলামকেন্দ্রিক হয় না। তবে এই বইটি তার ব্যতিক্রম। বইটির প্রতিটি আলোচনাই ইসলামকেন্দ্রিক। সাবলীল ঝরঝরে অনুবাদে বইটি পাঠের মাধ্যমে একজন পাঠক দৈনন্দিন জীবনে সময়ের যথাযথ ব্যবহার করে ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে সফলতা অর্জনে সক্ষম হবেন এই প্রত্যাশা..

  5. Meherunnesha Khatun

    টাইম ম্যানেজমেন্ট
    ◾ প্রারম্ভিক কথন :-
    ‘Time and tide wait for none.’ – এই সুভাষিতটি স্মরণে রাখলে আমরা বুঝতে পারি, সময়ের চেয়ে অমূল্য সম্পদ পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। হৃতস্বাস্থ্য ও নষ্টসম্পদের পুনরুদ্ধার সম্ভব, কিন্তু শত যত্নেও নষ্ট সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না। শৈশবকাল থেকেই সময়ানুবর্তিতা সম্পর্কে নানা পুঁথিপত্রে আমরা কবিতা ও সদুপদেশ পাঠ করি, অথচ আমাদের মধ্যে সময়-জ্ঞান সম্পর্কে মূল্যবোধ নিতান্তই কম হওয়ায় জীবনের সহজ সমীকরণে সময়ের পক্ষে তীক্ষ্ণ ও সদা সচেতন হয়ে ওঠার আবশ্যকতা দেখা দেয় না। এমন কণ্টকাকীর্ণ অবস্থায় যখন কপালে চিন্তার রেখা ফুটে উঠলো যে দিনের ২৪ ঘন্টাকে কীভাবে সর্বোত্তম রূপে সদ্ব্যবহার করা যায়, সময়ের মূল্যায়ন করা যায়, টাইম টেবিলের নিয়মানুবর্তিতা অবলম্বন করা যায়; ঠিক তখনই ইসমাইল কামদারের ‘Time Management’ বইটি সেই পথের দিশা দেখালো…. যেন ‘মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো।’ সিয়ান পাবলিকেশনের সৌজন্যে বইটি বাংলায় অনুবাদ করে মলাটবদ্ধ করেছেন মুহাম্মাদ ইফাত মান্নান।

    ◾ বইটির বিষয়বস্তু :-
    আলোচ্য বইটির বিষয়বস্তু ১৩টি মূল অধ্যায়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায় আবার একাধিক বুদ্ধিদীপ্ত, মনকাড়া শিরোনামে বিন্যস্ত। প্রথমেই রয়েছে বইটিকে কীভাবে অত্যন্ত সুকৌশলে সময় বাঁচিয়ে দ্রুত পড়ে ফেলা যেতে পারে – তার সুস্পষ্ট একটি রূপরেখা।
    ইসলাম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করে ইসলামের বার্তা কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। তার সাথে রয়েছে ‘S.M.A.R.T’ এর দারুণ এক ফর্মুলা। তারপর রয়েছে ইঁদুর দৌড়, সাপ্তাহিক পরিকল্পনা পদ্ধতি, টু-ডু লিষ্ট, হাইব্রিড বা মিশ্র পদ্ধতি। সাপ্তাহিক পরিকল্পনা পদ্ধতির যে স্কেচ লেখক অঙ্কন করেছেন তা সত্যিই ভীষণ ফলপ্রসূ। আমাদের সামনে যখন অনেক কাজ পড়ে থাকে তখন তালগোল পাকিয়ে ফেলি কোনটা আগে করবো! আলোচ্য বইটিতে লেখক সেই সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাট্রিক্স এর মাধ্যমে। পাশাপাশি দেখিয়েছেন হাতে অনেক কাজ থাকলে প্রথমে সমস্ত কাজের পরিকল্পনা করে নিতে হবে। প্রতিটি কাজ ভেঙে ভেঙে করতে হবে এবং প্রতিটি কাজের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিতে হবে। তাহলে আশা করা যায় প্রতিটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুস্পষ্ট ভাবেই সম্পন্ন হবে। একই ভাবে যারা ফোন বা সোসাল মিডিয়াতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন তাদের উচিত ইমেইল ব্যবহার করা। ঘনঘন ফেসবুক বা অন্যান্য সোসাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন চেক না করে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ইমেইল চেক করে সব রিপ্লাই দেওয়া। কারণ ইমেইলে মানুষ অহেতুক কথা লেখে না, প্রয়োজনীয় কথা ব্যতীত। কিংবা কেউ ফোন করলেও রিসিভ করে প্রথমেই বলে দেওয়া যে আমার হাতে কথা বলার মতো এখন ৩-৪ মিনিট সময় আছে। এতে ফোনের ওপারের ব্যক্তি গাল-গল্প না জুড়ে কেবল প্রয়োজনীয় কথাটাই বলবে। ফলে দু’জনেরই সময় বাঁচবে। বইটিতে আলোকপাত করা হয়েছে একটা ডেইলি রিমাইন্ডার সেট করার প্রতি। এছাড়াও কম্পিউটারের শর্টকাট কি (Key) সম্বন্ধে সম্যক ধারণা, ট্রাফিক এড়িয়ে শর্টকাট পথ দিয়ে যাওয়া আসা, গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফোকাস কীভাবে করা উচিত, খারাপ দিনগুলোতে ও রামাদানে টাইম ম্যানেজমেন্টের স্পষ্ট রূপরেখা এবং পরিশেষে ব্যর্থতা এড়ানোর পাঁচটি উপায় দিয়ে অসাধারণ এই বইটি ইতি টেনেছে। আর এইগুলো সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে হলে তো অবশ্যই বইটি পড়তে হবে।

    ◾ বইটির বিশেষত্ব :-
    ◑ অনুবাদ অত্যন্ত সাবলীল, প্রাঞ্জল। সব ধরনের পাঠকের জন্যই ভীষণ সুখপাঠ্য।
    ◑ বইটিতে ছোটো-বড়ো অসংখ্য পরীক্ষিত কৌশল আর নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ হয়েছে।
    ◑ সাথে রয়েছে দিনের ২৪ ঘন্টাকে কীভাবে আরও উত্তম রূপে ব্যয় করা যায় – তার অসাধারণ ছোটো-বড়ো উপকারী টিপস এবং ব্যবহারিক কৌশল।
    ◑ প্রায় প্রতিটি অধ্যায়ের উপসংহারে পাঠকের সুবিধার্থে উদাহরণ এবং অতিরিক্ত ব্যাখ্যার সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে।
    ◑ শৃঙ্খলা মেনে চলার টিপসের পাশাপাশি হেলথ টিপস এবং বারাকাহ টিপস ভীষণ সুন্দর ভাবে পরিস্ফুট হয়েছে।
    ◑ বইটি পাঠককে চিন্তার খোরাক যোগাবে। সময়ের মূল্যায়ন অনুধাবন করার পাশাপাশি পাঠককে টাইম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে নিত্যনতুন কৌশল আবিষ্কারেও ভীষণ সহযোগিতা করবে ইন শা আল্লাহ।

    ◾ বইটির প্রয়োজনীয়তা :-
    বর্তমান সময়ে যেখানে বেশিরভাগ মানুষের একটাই কথা “সময়ে বারাকাহ পাচ্ছি না… দিনগুলো কীভাবে যে কেটে যাচ্ছে! কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না…”, সেখানে এমন একটি মাস্টারপিস, মূল্যবান বইয়ের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বইটি পড়লে পাঠক তখন নিজেই একাধিক রাস্তা পেয়ে যাবেন যে কীভাবে দিনের ২৪ ঘন্টাকে ৪৮ ঘন্টার ন্যায় কাজে লাগানো যায়। অনেস্টলি বলছি, ব্যক্তিগত জীবনই হোক কিংবা প্রফেশনাল লাইফই হোক উভয় ক্ষেত্রেই টাইম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে বইটি ভীষণ ভীষণ উপকার বয়ে আনবে ইন শা আল্লাহ।

    ◾ বইটি কাদের জন্য :-
    বইয়ের নামকরণই বলে দিচ্ছে বইটি কাদের জন্য। তারপরও বলবো যারা সময় নিয়ে খুব বেশিই সচেতন কিংবা সময়কে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছেন না তারা অবশ্যই অবশ্যই বইটি পড়ুন। কোনো মানুষ দুনিয়াদার হোক কিংবা আখিরাতমুখী বা দুনিয়া-আখিরাত ব্যালেন্স করে চলতে চায় এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই বইটি ভীষণ ফলপ্রসূ হবে ইন শা আল্লাহ।

    ◾ ভালোলাগার বিশেষ কিছু লাইন :-
    ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’ এমন এক মানব রচিত বই যে এই বইয়ের প্রায় প্রতিটি লাইনই নিগুঢ় অর্থ বহন করে। সময়ের গভীর মর্মার্থ উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে পাঠকমণ্ডলীকে। তাই কিছু বিশেষ লাইন তুলে ধরা কষ্টসাধ্য। তারপরেও কিছু লাইন বলছি, যেমনঃ
    ভদ্রভাবে ‘না’ বলতে শিখুন। তখন মানুষও বুঝতে পারবে যে আপনি ব্যস্ত এবং তারা বিষয়টি ধীরে ধীরে মেনে নেবে।
    কাউকে টাকার বিনিময়ে কাজ করিয়ে নিলে যদি সময় বাঁচে, তাহলে টাকা খরচ করাটা যথার্থ।
    সময় নষ্ট করা টাকা নষ্ট করার চেয়েও খারাপ।
    ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য নিজেকে এক ঘন্টা সময় দেওয়া যথেষ্ট অথচ এর প্রভাব জীবন বদলে দেওয়ার মতো।

    ◾ পাঠ্যানুভূতি :-
    আলহামদুলিল্লাহ, সিয়ানের ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’, ‘ভালোবাসার চাদর’ আর ‘বিয়ে: স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর’ -এই বই তিনটে আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং ভীষণ ভীষণ পছন্দের। অন্যান্য বইয়ের মাধ্যমে আমি যতটা উপকৃত হয়েছি তার চেয়েও বহুগুণ উপকার পেয়েছি আমি এই বইটির মাধ্যমে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও সময় নিয়ে ভীষণ সচেতন। এই কারণে টাইম ম্যানেজমেন্ট টাইপের বইও অনেক পড়েছি। তাই এই বইটি পড়ার আগে ভেবেছিলাম সব জানা জিনিসই হয়তো থাকবে! কিন্তু বইটা পড়ার পর বুঝলাম লেখক অত্যন্ত সাজানো গোছানো পরিপাটি অবয়বে বইটি উপস্থাপন করেছেন। যদিও বইয়ের কিছু কিছু টিপস আমি আগে থেকেই সেইভাবে মেইনটেইন করতাম, তাই পড়ার সময় একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম, “যাক, আমার রুলসটা তাহলে ঠিকই আছে।” আবার অজানা চমৎকার কিছু কৌশলের সন্ধানও পেয়েছিলাম যা আমাকে ভীষণ ভীষণ ভাবে অভিভূত করেছে। তাই বইটি আমার কাছে খুবই উপকারি, মাস্টরিড এবং সুখপাঠ্য বলেই মনে হয়েছে। তবে বইটি একবার পড়ে বুকসেল্ফে রেখে দেওয়ার মতো নয়, বরং পড়ার টেবিলে হাতের নাগালের মধ্যে বা ডায়েরির মতো সর্বদা কাছে রেখে দেওয়ার মতো একটি বন্ধুসুলভ বই। এতে সময় অপচয় খুব কম হবে বলে মনে করি ইন শা আল্লাহ। বইয়ের পাতায় পাতায় ঠিকরে পড়েছে সময়ের মতো মহার্ঘ্য সম্পদের তাৎপর্য এবং এর ব্যবহারের দারুণ দারুণ টিপস ও দিকনির্দেশিকা। বইটি কিনে কোনো পাঠক অন্তত আফসোস করবে না যে টাকাটা পানিতে গেল। একবাক্যে অবশ্যই স্বীকার করবে যে সে বইটি কিনে লাভবানই হয়েছে। অন্যান্য টাইম ম্যানেজমেন্ট টাইপের বইয়ের তুলনায় এই বইটি যেহেতু ইসলামিক ওয়েতে এবং অন্য ধাঁচে লেখা হয়েছে, তাই হয়তো বইটি আমার কাছে আরও বেশিই আকর্ষণীয়, গ্রহণযোগ্য এবং স্বতন্ত্র বলে মনে হয়েছে। একজন মুসলিমের জন্য বইটি নিঃসন্দেহে উপকার বয়ে আনবে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জগতেই ইন শা আল্লাহ। রমাদানের টাইম টেবিলটাও বেশ উপকারী।

    বইয়ের নামকরণ এবং প্রচ্ছদটা বেশ ভালো লেগেছে এবং অর্থবোধক মনে হয়েছে। পেজ কোয়ালিটিও মা শা আল্লাহ, বেশ ভালো, সুন্দর। সবমিলিয়ে বইটি আমার অসম্ভব পছন্দের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে সেদিনই। এককথায় বললে বইটি হলো ‘প্রাণের দোসর’ কিংবা ‘প্রতিটা মুহূর্তের রিমাইন্ডার’। এমন দারুণ একটি সময়োপযোগী বই বাঙালি পাঠকদের উপহার দেওয়ার জন্য এই বইয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে যেন আল্লাহ উত্তম বিনিময় দান করেন।

    ◾ একনজরে বই পরিচিতি :-
    বই :- টাইম ম্যানেজমেন্ট
    লেখক :- ইসমাইল কামদার
    অনুবাদক :- মুহাম্মাদ ইফাত মান্নান
    প্রকাশক :- সিয়ান পাবলিকেশন
    বাইন্ডিং :- পেপারব্যাক
    পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১৪৪ (ক্রিম অফসেট)
    প্রচ্ছদ মূল্য :- ৩৭০/-

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।