বইয়ের ব্যাক-রাইটআপ: দীর্ঘ প্রস্তুতির পরও বিসিএস প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমপক্ষে ৯৯%। এত অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও আমাদের সমাজে বিসিএস জব নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ক্যারিয়ার গঠন করা বিসিএস জবের তুলনায় অনেক সহজ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ বিষয়ে সচেতন নন।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার্থে মূলত বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গ্রাজুয়েটরাই এগিয়ে থাকেন, যদিও তারা মোট গ্রাজুয়েটদের মাত্র ১১%। অন্যদিকে, অন্যান্য বিভাগের ৮৯% গ্রাজুয়েট দেশেও আশানুরূপ চাকরি পাচ্ছেন না, আবার বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগও নিতে পারছেন না। এর মূল কারণ হলো ‘তথ্যঘাটতি’। কীভাবে নিজেকে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে হবে এবং কোন দেশে কী ধরনের সুযোগ রয়েছে—এসব বিষয়ে আলোচনা প্রায় অনুপস্থিত। এই বইয়ে তথ্য-উপাত্ত এবং কিছু কেইস স্টাডির মাধ্যমে বিষয়টি আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সব অনুষদের গ্রাজুয়েটদের জন্য, এমনকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ডিপ্লোমা (কারিগরি), আলিয়া এবং কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্যও উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বর্ধিত সংস্করণে বেশ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্কলারশিপের জন্য কীভাবে সিভি ও মোটিভেশন লেটার তৈরি করতে হয়, তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গবেষণা আসলে কী এবং কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়, সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে কিছু সফলতার গল্পও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
লেখক পরিচিতি: ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ১৯৭৬ সালে জামালপুর জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে (ঘোষেরপাড়া, মেলান্দহ) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গত ২৪ বছরের অধিক সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা এবং বায়োমেডিক্যাল ও জনস্বাস্থ্য সেক্টরে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ড. হোসেন National University of Singapore-এ পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি DUKE-NUS Graduate Medical School এবং Singapore Cancer Centre-এ পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেন। প্রবাসে এক যুগের বেশী সময়ের রিসার্চ ট্রেইনিং শেষে তিনি বাংলাদেশে ফিরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে বায়োটেক ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স-ডিসিপ্লিনে সহযোগী অধ্যাপক। ইউনিভার্সিটি অব ওলংগং (অস্ট্রেলিয়া)-এ অনারারী সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে জড়িত আছেন। ড. হোসেন গত ১২ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়া, শিশুদের স্থূলতা, ডেঙ্গু, এবং ক্যান্সারের মতো অবহেলিত জনস্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা করছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, এবং সামাজিক মূল্যবোধ বিষয়ে তিনি গত ২৮ বছর ধরে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। করোনা মহামারির সময় তিনি জনপ্রিয় গণমাধ্যম এবং টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিনির্ধারণ আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ড. হোসেন চারটি বইয়ের লেখক: ‘সন্তান প্রতিপালনে এ যুগের চ্যালেঞ্জ’, ‘বিসিএস নাকি বিদেশে উচ্চশিক্ষা?’ ‘সমতার আড়ালে সমকামিতা মিশন’ এবং ২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো।
Reviews
There are no reviews yet.