সাহসী সিংহ সুলতান আলপ আরসালান। আব্বাসি খেলাফত যখন ধুঁকে ধুঁকে মরছিল, ঠিক সেসময় ধূমকেতুর মতো উত্থান ঘটা সেলজুক সালতানাতের সুলতান হিসেবে আনুগত্য প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় খেলাফতের প্রতি। যেখানে চাইলেই নিজেকে ঘোষণা করতে পারতেন স্বতন্ত্র আমির হিসেবে, সেখানে কেন্দ্রীয় খেলাফতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ইসলামের ঝাণ্ডা হাতে এগিয়ে যান যুদ্ধের ময়দানে।
সুলতান আলপ আরসালানকে বলা যায় পঞ্চম শতাব্দীর ইসলামি খেলাফতের ত্রাণকর্তা। খেলাফতকে তখন ঘিরে ধরেছে শিয়া, ক্রুসেডারসহ ক্ষমতালিপ্সু আমিরের দল। ঠিক সেসময় সুলতান প্রবল বিক্রমে ক্রুসেডার ও বিরুদ্ধশক্তিগুলোকে পরাজিত করেছেন যুদ্ধের ময়দানে। শক্তিশালী করেছেন খলিফার হাতকে। সুলতান আলপ আরসালানের সবচেয়ে বড় কীর্তি ধরা হয় মানজিকার্টের যুদ্ধকে; ইতিহাস যার নাম দিয়েছে দ্বিতীয় ইয়ারমুক। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে অপ্রস্তুত অবস্থায় মাত্র গুটিকয়েক সৈন্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন জিহাদের ময়দানে। সুলতানের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর শ্রেষ্ঠত্ব বোঝার জন্য এটুকু জানাই যথেষ্ট যে—তাঁর প্রধান উজির ছিলেন নিযামুল মুলক; যিনি এক বিপ্লব ঘটিয়েছেন শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাসে।
এই মহান সুলতানের জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত গ্রন্থটি রচনা করেছেন ইতিহাসপ্রেমী লেখক ইমরান রাইহান। বইটি কলেবরে ছোট হলেও অল্পকথায় লেখক তুলে এনেছেন তৎকালীন খেলাফত ও বিশ্ব রাজনীতির অবস্থা। তুলে ধরেছেন সুলতানের কীর্তিগাথা ও জিহাদের কথা, সাবলীল শৈলীতে, নিপুণভাবে।
Reviews
There are no reviews yet.