শিশুদের শেখাতে হবে যে, দাম দিয়েই সব কিছু বিচার করা যায় না। পড়াশোনার খরচ নগন্য হতে পারে; কিন্তু জ্ঞানের মূল্য অপরিমেয়। তাই দরিদ্র হলেও বিদ্বানদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা করতে হবে। কাজ শেষে ঘরে ফেরার সাথে সাথে আপনার ছোট্ট মেয়েটি আপনাকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে আপনার আরমানি স্যুটে হয়তো তার ময়লা হাতের ছাপ বসিয়ে দেবে। কিন্তু আপনার স্যুটের চেয়ে সেই আলিঙ্গনের মূল্য অনেক বেশি। তাই নীরব থেকে তাকে আরও নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরুন এবং বোনাস হিসেবে একটি চুমু দিন। আপনার স্যুটটি পরিষ্কার কিংবা পরিবর্তন করা যাবে। কিন্তু একটি ছোট্ট মেয়ের আহত হৃদয় মেরামত করা যায় না। …
Copyright © 2024 Seanpublication.com
Din Muhammad Sheikh –
বলা হয়ে থাকে ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’। আচ্ছা, এ ভবিষ্যতকে সুগঠিত করবার জন্য আমাদের পদক্ষেপ কী? কেবল জন্মদানই কি বাবা-মায়ের দায়িত্ব? দামি জামা, দামি খাবার-দাবার বা উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা করার মধ্যেই কি বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ? আমাদের বর্তমান তরুণ-প্রজন্ম চরমভাবে ইমানি-আমলি ও আখলাকি সংকটে ভুগছে। এর পেছনে কারণ কী? কেবলই সমাজব্যবস্থার দোষ? বাবা-মায়ের উদাসীনতাও কি দায়ী নয়?
বস্তুবাদী এ সমাজে পুঁজিবাদী মনোভাব ধারণ করায় আমাদের বাবা-মায়েরা সন্তানকে পুঁজিবাদের দীক্ষা দেয় দারুণভাবে। তবে দীক্ষা দেয় না ইমান ও আমলের। দীক্ষা দেয় না সুশোভিত আখলাকের। সন্তান যে আল্লাহর দেওয়া আমানত, তা তো কারো বোধেই আসে না কখনো। এভাবে আর কতদিন?
নাহ, আর নয়। এবার ভিন্নভাবে ভাবি, চলুন। পুঁজিবাদ নয়, ইলাহি নির্দেশনাকে সামনে রেখে আমরা আমাদের কর্তব্য সাজাবো – সন্তান প্রতিপালনের কর্তব্য। আমাদের সন্তানরা যেন হয় যুগের সালাহউদ্দিন। তাদের ভেতর যেন থাকে মুহাম্মদ আল ফাতিহ। চলুন, শুরু করি। আমাদের এ যাত্রাপথে সাহায্য করতে জনপ্রিয় প্রকাশনী সিয়ান পাবলিকেশন আমাদেরকে উপহার দিয়েছে মির্জা ইয়াওয়ার বেইগের রচিত বইয়ের বঙ্গানুবাদ ‘সন্তান : স্বপ্নের পরিচর্যা’।
▪ বইয়ের বিষয়বস্তু :
প্যারেন্টিং নিয়ে আজকাল নানান কর্মশালা বা কোর্সের আয়োজন হয়। আমাদের আলোচ্য বইটিকে আপনি তেমনই একটি কোর্সের হ্যান্ডগাইড বলতে পারেন। সন্তানের প্রতি বাবা-মা দায়িত্ব কী, কীভাবে তারা আল্লাহর দেওয়া এ আমানতের হক আদায় করবে, তা নিয়েই মূলত বইটি।
▪ যা আছে বইটিতে :
বইয়ের শুরুতেই মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ চমৎকার একটি ভূমিকা লিখেছেন। ভূমিকা পড়েই যে-কেউ বইটির বিশেষত্ব নিয়ে আন্দাজ করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ। এখানে লেখক সন্তান লালন-পালনে মুসলিম বাবা-মায়ের উদাসীনতা ও তাদের বর্তমান কর্তব্য নিয়ে সংক্ষেপে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সন্তানকে নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে শিক্ষাদান করানোর প্রতিই লেখক মূলত এ বইয়ে আলোচনা করেছেন।
১. ইসলামের ধারক-বাহক হিসেবে তার পরিচয় প্রদান।
২. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন।
৩. রাসূল সা.-এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন।
৪. আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায় শিক্ষাদান।
৫. দান ও দাওয়াহর মাধ্যমে মানুষের উপকার সাধন।
মির্জা ইয়াওয়ার বেইগের বই সচারাচর যেমনটা হয়, এটাও তেমনি – বাহুল্যবর্জিত ডিরেক্ট আলোচনা। আমরা সন্তানকে কীভাবে, কোন উদ্দ্যেশ্যকে সামনে রেখে পালন করবো, বইয়ের শুরুতেই লেখক সেদিকটা পরিস্কার করেছেন। তাঁর ভাষায়, “গোটা মানবজাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে জান্নাতের পানে নিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত লক্ষ্য মাথায় রেখেই মুসলিম শিশুকে গড়ে তুলতে হবে।” তিনি এখানে সন্তানকে ইসলামের ধারক-বাহক হিসেবে গড়ে তুলতে বলেছেন। কীভাবে সন্তানের সংশোধন শুরু করবো, ইসলামের ধারক ও বাহক হিসেবে সন্তানকে গড়ে তোলবার জন্য কী কী করণীয় – এ বিষয়ে দারুণ আলোচনা এসেছে বইটির শুরুর দিকেই।
এরপর লেখক আল্লাহর সাথে সন্তানের সম্পর্ক গড়ে তোলার গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ কে, তাকে ভয় করতে হবে নাকি ভালোবাসতে হবে, কীভাবে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে দেওয়া যাবে – এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে এ অধ্যায়ে।
এরপর লেখক রাসূল সা.-এর সাথে সন্তানের সম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। সন্তানকে রাসূলের পরিচয় প্রদান করতে হবে। তাঁর সুমহান আদর্শের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাঁর জীবনী জানাতে হবে। রাসূল সা.-এর দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা, ধৈর্য, দয়া ও মমতা, সাহসিকতা, দূরদৃষ্টি, সহজ-সরলতা ইত্যাদি গুণাবলি সম্পর্কে সন্তানকে অবগত করতে হবে। লেখক এ অধ্যায়ে মূলত এ বিষয়গুলোই ফুটিয়ে তুলেছেন।
বইটিতে লেখক সন্তানকে আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায় শিক্ষাদান করতে বলেছেন। এ ক্ষেত্রে সালাত ও দু’আকে লেখক গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে লেখক বলেছেন, “বাচ্চাদের শেখাতে হবে যে, গভীর রাতে কীভাবে সালাতে দণ্ডায়মান হয়ে আল্লাহর রহমতের অশেষ ভাণ্ডার থেকে চেয়ে নিতে হয়।”
লেখক সন্তানকে মানবতার কল্যাণের জন্য গড়ে তোলার উপায়ও শিখিয়েছেন বইটিতে। সাধারণত আমরা দান-সাদাকাহকে মানবতার কল্যাণ হিসেবে বিবেচনা করে থাকি। তবে বইটিতে লেখক দানের পাশাপাশি দাওয়াহকেও ‘মানবতার প্রতি অবদান রাখা’-এর আওয়াতাভুক্ত করেছেন। দান দুনিয়াবি ক্ষেত্রে মানবতার উপকার সাধন করে। দাওয়াহ মানবতার আখিরাত গোছাতে সাহায্য করে। বইয়ের এ শেষ অধ্যায়ে লেখক এ সম্পর্কেই আলোচনা করেছেন। কীভাবে দান ও দাওয়াহ প্রদান করতে হবে, তাও উল্লেখ করে দিয়েছেন।
▪ বইটির বিশেষত্ব :
অসাধারণ একটি বই। প্যারেন্টিং নিয়ে লেখা অনেকগুলো বইয়ের সারসংক্ষেপ বলা যেতে পারে বইটিকে। বইটি এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার জন্য বইটি আপনার কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাবে, ইনশাআল্লাহ।
• টু দ্যা পয়েন্ট আলোচনা। নেই বর্ণনার বাহুল্য। সোজাসাপটা মূল কথা। তবে এতে আলোচ্য বিষয় মোটেও অস্পষ্ট রয়নি, বরং স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে। এবং এটাকেই আমার কাছে বইটির অন্যতম চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য মনে হয়েছে।
• সরল ও সংক্ষিপ্ত। সংক্ষিপ্ত হওয়াতে পড়তেও সময় লাগবে না তেমন। ব্যস্তদের জন্য বেশ উপকারী। অল্পতেই অধিক কিছু জেনে যাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
• প্র্যাক্টিক্যাল আলোচনা। বাস্তবভিত্তিক করণীয় কাজগুলোকে সাবলীলভাবে বর্ণনা করা হয়েছে বইটিতে।
• কুরআন-হাদিসের দলিল-সম্বলিত। প্রয়োজনীয় স্থানে কুরআন-হাদিস থেকেও দলিল উপস্থাপন করা হয়েছে টুকটাক।
• অনুবাদ প্রাঞ্জল। অত্যন্ত প্রাঞ্জল। বেশ সরল ও সহজবোধ্য। আপনার মনেই হবে না, আপনি কোনো অনূদিত বই পড়ছেন। অনুবাদকত্রয়ের মুনশিয়ানার তারিফ করতেই হয়।
• পৃষ্ঠামান অসাধারণ। সিয়ান পাবলিকেশনের ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যই এটি – পৃষ্ঠামানে অনন্যতা। বাইন্ডিংও বেশ। বানান-বিভ্রাট বা মুদ্রণপ্রমাদ নজরে পড়েনি বললেই চলে। ( উল্লেখ্য, আমি বানানে খুব বেশি প্রাজ্ঞ নই। তবে যতটুকু জ্ঞানে কুলিয়েছে, বানানে তেমন একটা ত্রুটি পাইনি।)
▪ কাদের জন্য বইটি :
যারা ‘সন্তান’ নামক নি’আমত লাভ করেছেন, বইটি তাদের জন্য। যারা চান, সন্তান হোক জামানার সেরা মুসলিম, যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামি ব্যক্তিত্ব, তাদের জন্য এ বইটি। যারা চান, সন্তান হোক জান্নাতের উসিলা, এ বইটি তাদের জন্য। যারা এখনো সন্তান লাভ করেননি, তাদের জন্যও বইটি দরকারি – পূর্বপ্রস্তুতির জন্য। সর্বোপরি, বইটি সবার জন্যই।
▪ বইটির প্রয়োজনীয়তা :
বইটির প্রয়োজনীয়তা অবর্ণনীয়। বর্তমান এ সংকটময় বাস্তবতায় ইমানি, আমলি ও আখলাকি দিক দিয়ে সুসন্তান লাভ করা বড় ভাগ্যের ব্যাপার। তবে নিজ প্রচেষ্টা ব্যতীত ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় না। এটাই আল্লাহর সুন্নাহ। তাই ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ‘সুসন্তান’ লাভ করার জন্য নিজ প্রচেষ্টা ব্যয় করার পথে এ বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ। মাস্টারপিস এ বইটি প্যারেন্টিং-এর ওপর শর্টগাইড হিসেবে কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।
▪ একনজরে বইটি :
• বই : সন্তান : স্বপ্নের পরিচর্যা
• লেখক : মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ
• অনুবাদক : জিম তানভীর, মোদাসসের বিল্লাহ তিশাদ, সানজিদা শারমিন
• প্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন
• প্রকাশকাল : তৃতীয় মুদ্রণ, মে, ২০১৮
• পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৯৬
• বিক্রয়মূল্য : ১২৫ /-
• কাভার : ফ্ল্যাপবিহীন পেপারব্যাক
• ধরণ : প্যারেন্টিং
নাফিসা ইয়াসমিন –
প্রারম্ভিকা
—————
সন্তান পিতা মাতার জন্য এক চক্ষু শীতলকারি নিয়ামত যা রহমান আর -রাহিম মহামহিম রবের পক্ষ থেকে আদম সন্তানের জন্য উপহার।
এ যে কত বড় নিয়ামত তা বোঝা যায় যখন একজন মা কঠিন প্রসব বেদনা সহ্য করেও সন্তানের জন্ম দেয় এবং সন্তানের মুখ চেয়ে নিমিষেই ভুলে যায় তার কষ্ট।
মানুষের অন্তরের সবচেয়ে দূর্বল জায়গা তার সন্তান।
একজন মুমিন বিশ্বাসীর কাছে তার সন্তান হতে পারে তার জন্য সাদকায়ে জারিয়া যার পুণ্য প্রতিফল সে কবরে শায়িত অবস্থায় ভোগ করতে পারবে। তাই ইসলামীক দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখলে প্যারেন্টিং অর্থাৎ সন্তান প্রতিপালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
শুধু তাই নয়, সন্তান আগামী প্রজন্মের ধারক,তার হাতে বিকশিত হবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো।
সেই আগামী প্রজন্মের লালন পালন কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সঠিকভাবে করা প্রতিটি পিতা-মাতার জন্য আবশ্যক।
বর্তমান প্রজন্মে অনেকসময় দেখা যায় পিতা-মাতার গাফিলতি, নিজ নিজ কর্মব্যস্ততা সন্তানের প্রতি করে তোলে উদাসীন।
আবার অনেক সময় অত্যাধিক স্নেহ প্রদর্শন ও অহেতুক প্রশ্রয় বিনষ্ট করে একটা শিশুর ভবিষ্যত। যথাযথ প্রতিপালনের অভাবে সন্তান হয়ে ওঠে পিতা-মাতার অবাধ্য , অসহিষ্ণু, উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির যা পিতা-মাতার মনোকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ প্রতিটি মানুষ চাই তার নেক সন্তান যার সুখ্যাতি সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণকামী।
তাই, প্রত্যেক পিতামাতার জানা একান্ত আবশ্যকতার প্রিয় সন্তানকে আদর্শরূপে গড়ে তোলার কৌশল। সিয়ান পাবলিকেশন পিতা মাতাকে উপহার দিয়েছে মির্জা ইয়াওয়ার বেইগের রচিত বইয়ের বঙ্গানুবাদ ‘সন্তান : স্বপ্নের পরিচর্যা’।
বইটির বিশেষত্ব
———————–
বইয়ের নামকরণ থেকে বইটির মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
⭕আলোচিত হয়েছে সন্তানের আচরণ নিয়ন্ত্রন।
🔵 ‘সন্তানদের ইতিবাচক আচরণে উদ্বুদ্ধ করা প্রসঙ্গ উল্লেখ হয়েছে।
বইয়ের সূচনা শুরু হয়েছে লেখকের চমৎকার একটি ভূমিকা দিয়ে যা পড়ে বইটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারবে সহজেই।
লেখক মূলত আলোচনা করেছেন–
📚ইসলামের ধারক-বাহক হিসেবে তার নিজস্ব স্বত্তার বিকাশ ও প্রসার।
📚. আল্লাহর সাথে নৈকট্য লাভের উপায়।
📚 প্রিয় নবী রাসূল সা.-এর সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক স্থাপন।
📚. আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায় কিভাবে সম্ভব
📚. দান ও দাওয়াহর মাধ্যমে উম্মাহর অগ্রগতি।
এছাড়াও সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে পিতা মাতার উদাসীনতার বিষয়টিও উঠে এসেছে
পাঠ্য অনুভূতি
———————
অসাধারণ একটি গাইডলাইন প্রত্যেক মা বাবার জন্য।
বইটি পড়ে উপলব্ধি হয়,সকল জিনিসের পরিচর্যা যেমন প্রয়োজন তেমনই একজন সন্তান প্রতিপালনের প্রয়োজনিয়তা কতখানি। বাগানের ছোট ছোট চারাগাছ যেমন সঠিক যত্নে পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে, সন্তানও তেমনি একটি ফুলের মত যা সঠিক প্রতিপালনে প্রস্ফুটিত হয় , সুরভিত করে তার সমাজ ও দেশ।
কেন পড়বেন
——————-
একটা সন্তান তাঁর পিতামাতার মধ্যে মাতাকেই অধিকাংশ সময় কাছে পায় এবং তাকেই বেশি অনুসরণ করতে শেখে। তাই একজন সন্তানের প্রতিপালনের ক্ষেত্রে পিতার পাশাপাশি একজন মায়ের দায়িত্ব অনেকাংশে বেশি।
এই বইয়ের লেখিকা ও অনুবাদক দুজন যেহেতু একজন নারী তাই সমস্ত মায়ের জন্য বইটা পড়া খুব জরুরি কারণ তাদের হাতেই রয়েছে আগামী প্রজন্মের মানদন্ড।
শুধু মা নয়, একজন পিতা হিসাবেও তার সন্তান লালন-পালনের সঠিক কৌশল সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত।কিভাবে রাসূল সাঃ তাঁর সন্তানদের সাথে আচরণ করতেন সেইভাবে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সঠিকভাবে প্রতিপালন করা আবশ্যক।
শেষ কথন
—————-
আশা রাখা যায়, প্যারেন্টিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে বইটি প্রত্যেক পিতা মাতার জন্য একটি সুষ্পষ্ট গাইডলাইন নিঃসন্দেহে।
সমর্পণ প্রকাশনার অন্যান্য বইয়ের মতোই সন্তান গড়ার কৌশল বইটিও সুপাঠ্য বলে বিবেচিত হয়েছে ইতিমধ্যেই।
সহজ সাবলীল অনুবাদ ও ভাষার প্রাঞ্জলতা বইটির বিশেষত্ব।
📚এক নজরে বই পরিচিতি
• বই : সন্তান : স্বপ্নের পরিচর্যা
• লেখক : মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ
• অনুবাদক : জিম তানভীর, মোদাসসের বিল্লাহ তিশাদ, সানজিদা শারমিন
• প্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন
• প্রকাশকাল : তৃতীয় মুদ্রণ, মে, ২০১৮
• পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৯৬
• বিক্রয়মূল্য : ১২৫ /-
• কাভার : ফ্ল্যাপবিহীন পেপারব্যাক
• ধরণ : প্যারেন্টিং