মানবজীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো ঈমান। মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন স্কলারের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল এই বইটি। ‘আল্লাহ তাআলার ওপর ঈমান’, ‘ঈমানের অবশিষ্ট রুকনসমূহ’ ও ‘আকীদার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসআলা’–এ তিনটি অধ্যায়ের আলোচনা পেশ করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে বিভিন্ন পরিচ্ছেদে ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো তথ্য-প্রমাণসহ বর্ণিত হয়েছে।
বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য উসূলুল ঈমান বিষয়ে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
Mahbubul Islam Borshon –
প্রত্যেক মুসলিমের কাছেই ঈমানের গুরুত্ব ও মর্যাদা কি তা গোপন নয়। বরং দুনিয়া ও আখিরাতের সকল কল্যাণ ঈমান বিশুদ্ধ হওয়ার উপর নির্ভরশীল। “নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের আতিথেয়তার জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফিরদাউস, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, সেখান থেকে তারা স্থানান্তরিত হতে চাইবে না”।[১৮:১০৭-১০৮]
আমাদের আলোচ্য বইটি সেই ঈমানকে নিয়েই। ঈমানের ছয়টি মূলনীতি এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসআলা নিয়ে এই বইয়ে কুরআন-হাদিসের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বইটি মূলত লিখেছেন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আলেম। তারা হলেনঃ ড. সালেহ ইবনে সা’দ আসসুহাইমী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ইবনে আব্দুল মুহসিন আলআব্বাদ ও ড. ইবরাহীম ইবনে আমের আররুহাইলী। অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের দুজন বিখ্যাত সালাফী আলেম ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী এবং ড. আবুবকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া । বইটির মূল বৈশিষ্ট্য এই বইয়ে কুরআন-হাদিসের বাইরে তেমন কোন কথাই বলা হয় নি। বলতে গেলে প্রায় পুরো বইটিই কুরআনের আয়াত ও হাদিসের মাধ্যমে লেখা হয়েছে।
আমার কাছে বইটি খুবই ভাল লেগেছে। কুরআন হাদিসকে ভিত্তি করে ঝরঝরে সাবলীল ভাষায় লেখা বইটি পড়তে যে কারো ভাল লাগবে। ঈমানের ছয়টি মূলনীতি নিয়ে এরকম সুন্দর বই বাংলায় খুব কমই দেখেছি। সময় করে পড়ে ফেলতে পারেন। ঈমানের মত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের জন্য কিছুটা সময় তো দিতেই পারি।