উমর ইবনে আবদুল আজিজ (পেপারব্যাক)

বই- উমর ইবনে আবদুল আজিজ 

ইতিহাসে একজন চমৎকার ব্যাক্তি উমর ইবনে আবদুল আজিজ। খুলাফায়ে রাশেদার অনেক বছর পর তার উত্থান। ছিলো ইলমে হাদিস ও ফিকরে ওপর তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য। তিনি ৩৭ বছর বয়সে ঘটনাক্রমে যখন রাজতখতের অধিকারী হন। নিজেকে গড়ে তুলেন শ্রেষ্ঠ চার খলিফার জীবন ধারায়।

বইটি আকারে অনেক ছোট। তাই শুরুতেই বলতে হচ্ছে এই মহান মানবের সম্পর্কে চুম্বক অংশটুকুই বইতে পাবেন। উমর ইবনে আবদুল আজিজের দ্বায়িত্বানুভূতি ছিলো খুবই চমৎকার। ক্ষমতার মসনদে আরোহ করেই তিনি রাষ্ট্রীয় সংস্কার কাজে হাত দেন। প্রথমেই তিনি জাকজমকপূর্ণ রাজকীয় ফেরাউন, কিসরা ও কাইসার সরকারদের রাষ্ট্রীয় নিয়ম-রীতি বন্ধ করে দেন। প্রথম দিনেই তিনি রাজযোগ্য সবকিছুই পরিত্যাগ করে মুসলমানদের মধ্যে তাদের খলিফা পরিচালিত শাসন পদ্ধতি চালু করেন।

বায়তুল মালের অর্থ তিনি তাঁর নিজের ও নিজ খান্দানের জন্য হারাম করে দেন। এমনকি খলিফা হিসেবে তিনি রাজ ভাণ্ডার থেকে বেতনও গ্রহণ করেননি।রাজত্ব লাভ করার পর তিনি তার নিজের জীবনাচারই পরিবর্তন করে ফেলেন। যেখানে রাষ্ট্র প্রধান হওয়ার আগে তিনি শান-শওকতপূর্ণ জীবন-যান করতেন; সেখানে খলিফা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি গরিবি হালতে চলে যান।খলিফা হওয়ার আগে যেখানে তিনি হাজার দিরহাম মূল্যের পোশাকও তাঁর পছন্দ হতো না সেখানে খলিফা হওয়ার পর তিনি ৪/৫ দিরহাম মূল্যের পোশাককেও তিনি নিজের জন্য অনেক দামি মনে করতেন।

ইসরামের ইতিহাসে প্রথম চার খলিফার পরে উমর ইবনে আবদুল আজিজ ছাড়া আর কাউকে এতোটা ন্যায় পরায়নতা শাসক ইতিহাসে দেখেনি। তাই তো ইতিহাসে তাকে ৫ম খলিফা হিসাবে সম্মান করে।

এই মহান মানুষের ন্যায় পরায়নতা অনেকের চক্ষুশূলের পরিনত হয়। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিপ্লবী বিজয়ী বীর হজরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজকে বিষ পান করিয়ে হত্যা করা হয়। ৩৯ বছর বয়সে মুসলিম মিল্লাতের এ নিঃস্বার্থ খাদেম হজরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। তার ইতিহাস মুসলিম বিশ্বে কেয়ামত পর্যন্ত চর্চা করা উচিত।