fbpx
তিউনিসিয়ার ইতিহাস
তিউনিসিয়ার ইতিহাস

তিউনিসিয়ার ইতিহাস

লেখক : ড. রাগেব সারজানী
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য

132

You Save TK. 108 (45%)

তিউনিসিয়ার ইতিহাস

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

রাগিব সারজানি এ-বইটি মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে রচনা করেছেন। তিউনিসিয়ার বিপ্লবের ফলাফল কী হতে পারে এবং অনান্য দেশে স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে কীভাবে বিপ্লব ছড়িয়ে পড়তে পারে তার বর্ণনা তিনি দিয়েছেন। বইটি লেখার ৮ বছর পর এখন দেখা যাচ্ছে যে, আরব বিশ্বের বিপ্লবের ফলাফল সম্পর্কে তিনি যে-ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা প্রায় শতভাগ মিলে গেছে। তিনি নিজের দেশ মিসরে বিপ্লব আসন্ন বলে আশা করেছেন। কিন্তু তিনি আশঙ্কা করেছেন যে, এসব বিপ্লবের ফসল ইসলামি আন্দোলনের কর্মীরা ঘরে তুলতে পারবে না, পারলেও তা ধরে রাখতে পারবে না। মিসরে তো তা-ই ঘটেছে। রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের ফলে স্বৈরাচারী একনায়ক হুসনি মুবারকের পতন ঘটেছে। জাতীয় নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ইখওয়ানুল মুসলিমের নেতা মুরসি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেও এক বছরের বেশি তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেন নি। সামরিক জান্তা তাঁকে হটিয়ে ক্ষমতার মসনদ দখলে নিয়েছে এবং ইসলামি আন্দোলনের শত শত কর্মীকে হত্যা করেছে। লিবিয়াতে স্বৈরাচারী মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ঘটলেও ইসলামপন্থীদের ভাগ্যে সুফল আসে নি। সিরিয়ায় এখনো রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে; লাখ লাখ মানুষ নিহত ও উদ্বাস্তু হয়েছে।
রাগিব সারজানি বলেছেন, বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে হলে এবং তা ধরে রাখতে হলে যথাযথ প্রস্তুতি প্রয়োজন। সে-প্রস্তুতি ইসলামপন্থীদের নেই। তিনি ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

বইটির একটি অধ্যায়ে লেখক দেখিয়েছেন, স্বৈরাচারী শাসকেরা মুসলমানদের জাতিসত্তা ও পরিচয়কে ধ্বংস করতে চাইলে প্রথমে তাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়। এতে সফল হলে তাদের সামনে পরবর্তী পথ সুগম হয়ে ওঠে। তারা ইসলামি নিদর্শনসমূহের ওপর আঘাত হানে।
লেখকের বক্তব্য ও সতর্কবাণী থেকে আমাদের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

Author

Author

ড. রাগেব সারজানী

Reviews (1)

1 review for তিউনিসিয়ার ইতিহাস

  1. Ruponti Shahrin

    একনজরে,
    বই- তিউনিসিয়ার ইতিহাস
    লেখক- ড. রাগিব সারজানি
    অনুবাদক- আবদুস সাত্তার আইনী
    প্রচ্ছদ- আবুল ফাতাহ মুন্না
    পৃষ্ঠা- ১২৮
    মুদ্রিত মূল্য- ১৮০ টাকা
    প্রকাশনী- মাকতাবাতুল হাসান
    বইটির বিষয়বস্তু:
    আল্লাহর পথে দাওয়াতী কাফেলার উদ্দেশ্যে লেখা বইটি ‘তিউনিসিয়া’ নামক দেশটির প্রাথমিক ইতিহাস থেকে শুরু করে ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের বর্ণনা দিয়েছেন লেখক।
    তিউনিসিয়া নিয়ে বলতে গেলে অনেক অনেক ঘটনা রয়েছে যা ইসলামিক ইতিহাসের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। ইসলামিক বিপ্লব কিংবা ইসলামিক অনুশাসন আর রাজনীতির কড়াল গ্রাস এবং দখলদারিত্ব নিয়ে রয়েছে নানান মত। আলোচনা আর সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয় কোনোকিছুই। কিন্তু দিন দিন আমরা যে চোখে কালো কাপড় বেঁধে বসে আছি সেই পয়েন্টই লেখক উপস্থাপন করেছেন। আসলে ইসলামিক শরীয়া মতে কোনটি আসলে আমাদের জন্য উত্তম পন্থা হতো বা ভবিষ্যতে হবে সেইসকলই এই বইটির মূল বিষয়বস্তু।
    ১২৮ পৃষ্ঠার বইটিতে কয়েকটি মূল পয়েন্টের অধীনে অনেক উপ দফার আলোচনা করা হয়েছে। সেদিক থেকে খেয়াল করলে পুরো বইটিতে ইতিহাসের একঝলক,
    তিউনিসিয়ায় ফ্রান্সের দখলদারিত্ব,
    তিউনিসিয়ায় প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা,
    যাইনুল আবেদীন বিন আলী তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি,
    অরাজকতার মুখে জাগরণ,
    বিপ্লব,
    ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ উঠে এসেছে।
    পাঠ প্রতিক্রিয়া:
    ড. রাগিব সারজানির ‘শোনো হে যুবক’ পড়তে গিয়েই চোখে পড়েছিল একটি রিফারেন্সের দিকে। সেই বইটির ১৩ নং পৃষ্ঠার ৫ নং পয়েন্ট-এ বলা হয়েছে শুধু একটি দেশ প্রশাসনিক নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার মানদন্ডে শতকরা ৫৩ ভাগ উর্ত্তীর্ণ হতে পেরেছে। সেই দেশটি হলো মালয়েশিয়া। আর তিউনিসিয়া হলো শতকরা ৫০ ভাগ।
    সেখান থেকেই তিউনিসিয়ার ইতিহাস জানার ইচ্ছা ছিল প্রবল। তবে অন্য কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, শুধু ইসলামের আলোকে। সেই আশা পূরণ হয়েছে। একদম শুরু থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপট চুলচেরা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন লেখক। আমি যেহেতু মূল ভাষার বই পড়িনি তার অনুবাদক কতটুকু সঠিকভাবে উপস্থাপন করেছেন সেই ব্যাপারটি নিখুঁতভাবে বলতে পারবো না। যদি তিনি হুবুহু তাই অনুবাদ করে থাকেন তো খুব অল্প পরিসরে বইটি হতে পারে আগ্রহ জাগানিয়া বই।
    এখন আসি আরেকটু বিশ্লেষণে। তিউনিসিয়া ইসলামী শাসনের ছায়াতলে আসার পর উত্তর আফ্রিকার ইসলামের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। তারপর এক সময় উসমানী সাম্রাজ্যের অধীনতা স্বীকারও দেশটিকে করতে হয়। একাধারে ফ্রান্স এর দখলদারিত্বের ছোবল পড়ে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা ও ইসলামি নিদর্শনগুলোর উপর। এ সবই চাল ছিল দেশটি থেকে ইসলামি আদর্শ তথা ইসলামকে বিলুপ্ত করার জন্য। কিন্তু ইসলামের সাথে কিসের শত্রুতা? এই প্রশ্নের উত্তর জানা আবশ্যক। প্রজাতন্ত্রের ঘোষণাও তিউনিসিয়ার জন্য কি সুফল বয়ে আনলো মুসলিম জাতিকে তা জানতে হবে।
    দেখুন তিউনিসিয়ার ইতিহাসে ২০১১ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ এই ৫০ বছরে মাত্র দুইজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অবাক লাগলেও সত্যি। এইরকম একটি পরিস্থিতির মুখেই নবজাগরণ প্রয়োজন। আর সেই সময়টিতেই অবশেষে ২০১১ সালে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়।
    যেকোনো জাতি বা দেশের ইতিহাস একটি সুদীর্ঘ সময়ের কাহিনী। এখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক মারপ্যাচ তো থাকবেই। দুঃখ-দৈন্য দশার বিপরীতে জয়ের আনন্দ রচিত হলেও ইসলামিক ইতিহাস শুধু শিক্ষা গ্রহণের জন্য। কারণ
    ‘এটাও ইতিহাসের শিক্ষা যে কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।’
    — কার্ল মার্কস
    মুসলিম দেশগুলোতে স্বৈরাচারীদের পতন চান। কিন্তু বসে আছি আমরা কেউনা কেউ বিপ্লব আনবে। আসলে বিপ্লব একা একা হাটাহাটি পায় চলে আসে না। তাকে আনার জন্য সেই অনুযায়ী কাজ করতে হয়। প্রয়োজন হয় প্রজ্ঞার, ধৈয্যের, ঐক্যমতের। কিন্তু কোনটি আমাদের আছে, আর কোনটি নেই আলোচনা হচ্ছে সেই ব্যাপারে। তিউনিসিয়ার ইতিহাস আমাদের মুসলমানদের অনুভূতিকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেই। আর সেই কারণে প্রয়োজন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ।
    “হে মুসলমানরা, তোমাদের আগেও মানবজাতিকে বহু বিধান দেয়া হয়েছিল। অতএব, পৃথিবীতে বিচরণ কর, লক্ষ্য কর মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের পরিণাম কী হয়েছে?” (৩:১৩৭)
    আমি মানুষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জয় ও পরাজয়ের এই দিনগুলোর আবর্তন ঘটাই যাতে বুঝতে পারি কারা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং তোমাদের মধ্য থেকে যেন সাক্ষ্য গ্রহণ করা যায়। আর আল্লাহ অত্যাচারীদের ভালবাসেন না।” (৩:১৪০)
    মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে আর চলবে। আমরা চোখে রঙিন চশমা লাগিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষের দেওয়া ভেলকি দেখেই আনন্দ উদযাপন করতে করতে তারা আমাদের ঘরকে আতশবাজি বানিয়ে ছাড়বে। কথাটা কতটা করুণ, এই উপলব্ধি যতদিন না আমাদের মনে ঠাঁই পাবে ততদিন নিস্তার নেই।
    লেখক ১০টি পয়েন্ট আলোচনা করেছেন বইটির শেষদিকে। ইতিহাস আলোচনা করেই পাঠক উপলব্ধি করবেন, এই আশায় তিনি পাঠককে একা ছেড়ে দেননি। বরং ১০টি প্রশ্ন আর আর শরীয়াহ সম্মত উত্তর দান করেছেন। কিন্তু আমরা সাধারণ পাঠকেরা যারা খুব অল্পই ইসলামের গভীরের আলোচনার জ্ঞান রাখি তাদের জন্য অনেক কঠিন এই ব্যাপারে মত পোষণ করার। তবে আলেম শ্রেণীর যারা আছেন তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ বলতে হবে। তবে ইতিহাসের বই হিসেবে খুব সামান্য আলোচনা মনে হয়েছে।

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।