মানুষের অন্যতম শিক্ষক―সময়। সময় আমাদের নানাভাবে শিখিয়ে যায়। সময়ের চলমান প্রক্রিয়ায় বেড়ে চলে আমাদের জানার পরিধি, পড়ার পরিধি আর বোঝার পরিধি। সময়কে সাথে নিয়েই আমরা শিখতে শিখতে বড় হই। সময়ের সাহায্যে আমরা নিজেকে চিনি এবং চিনে নিই নিজেদের চারপাশও।
ক্ষুদ্র কিছু সময়ের সমষ্টি-ই জীবন। জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকে আমাদের গল্প। প্রতিটি গল্পই একটি অন্যটি থেকে আলাদা। প্রত্যেকের রয়েছে ভিন্ন জীবনবোধ, ভিন্ন জীবনদর্শন। এখানে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে ভাবতে চায়।
দৈনন্দিন জীবনদর্শনের এই ধারা থেকে বেরিয়ে একেবারে আলাদা হয়ে গেছে আরেকটি ধারা। যেই ধারার নাম হলো ‘দ্বিন আল ইসলাম।’ এটি এমন এক জীবনধারা, যাতে কোনো ভিন্নতা নেই, বৈপরীত্য নেই। এই জীবনদর্শনে সকলের গন্তব্য আর উপসংহার অভিন্ন। অভিন্ন সবার চলার পথ। সেই পথের নাম সিরাতুল মুস্তাকিম।
দ্বিনের পথে হাঁটতে গিয়ে আমাদের মুখোমুখি হতে হয় হরেক রকম ঘটনার। ঘটনাবহুল জীবন থেকে কেউ কেউ নির্যাসটুকু তুলে এনে বাতলে দেয় পথ এবং পরিবর্তনের রাস্তা। সরল ও বিশুদ্ধ পথে চলার জন্য কারও কারও জীবনাদর্শ হয়ে ওঠে অন্যের জন্য অনুকরণীয়।
বহমান এই নষ্ট সময়ে শুদ্ধতা ও শুভ্রতার কথা বলা গুটিকয়েক তরুণদের মধ্যে আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীব অন্যতম। মনের গহীনে সবুজ-স্বপ্ন চাষ করে চলা এই তরুণ ইতোমধ্যে বাংলা ইসলামি সাহিত্যাঙ্গনে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন। কবিতার মধ্যে বিশ্বাসের সবুজ-স্বপ্নের কথা লিখতেই তার আনন্দ। সবুজাভ স্বপ্নকে শব্দে রূপ দেওয়ার মতো প্রতিভা সত্যিকার অর্থেই বিরল। কবিতা লেখার পাশাপাশি গদ্য রচনাতেও আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীবের রয়েছে ঢের মুন্সিয়ানা।
আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীব একজন স্বাপ্নিক সবুজ তরুণ। নিজের জীবনবোধ এবং জীবনদর্শন থেকে তিনি আমাদের জন্য কিছু পাঠ তুলে এনেছেন। জীবনের নিত্য পরিসরে, স্রষ্টার সান্নিধ্যে আসতে তিনি যে-উপায়, যে-দর্শন লালন করেন, সেই দর্শন পড়ে আগ্রহী পাঠকমাত্রই ভাববে, চিন্তা করবে―এমনটাই তিনি আশা করেন। তার সেই জীবনদর্শনের সমন্বিত রূপের নাম―তারাফুল। তারাফুলের মতো করে প্রস্ফুটিত হবে বিশ্বাসী হৃদয়গুলো―এমন প্রত্যাশা।
Reviews
There are no reviews yet.