শিশু-সন্তান হচ্ছে কাদামাটির মতো, আপনি তাকে যেভাবে প্রতিপালন করবেন, সেভাবেই সে বেড়ে উঠবে। জন্মের পর থেকে নিয়ে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তই শিশুদের দীক্ষা গ্রহণের সময়কাল। বিশেষত জীবনের প্রথম ১২টি বছর। এই সময়কালের ভেতর প্রতিটি শিশুর ব্যক্তিত্ব পরিস্ফুটিত হয় এবং তার বোধ তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে। এই সময়কালে সে যে দীক্ষা প্রাপ্ত হয় এবং যে জীবনপদ্ধতির অনুশীলন করে, জীবনের বাকিটা সময় এই পরম্পরাই তার চলন ও চরিত্রে পরিস্ফুটিত থাকে। তাই প্রত্যেক মা-বাবারই উচিত পরিকল্পিত পন্থায় সন্তানকে প্রতিপালন করা।
আপনার সন্তানকে কীভাবে প্রতিপালন করবেন—বিশেষত তার জীবনের প্রথম ১২টি বছর—এ বইয়ে ইসলামী শরীয়াহ ও জীবনলব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে তা তুলে ধরা হয়েছে অতি সাবলীল বর্ণনায়। ১১০ টিপসের কোনগুলো কোন বয়সের জন্য উপযোগী তাও ভাগ ভাগ করে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ফলে, পরিকল্পিত সন্তান-প্রতিপালনে প্রত্যেক মা-বাবার জন্য অবশ্যপাঠ্য এক গাইডলাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে এ বই…
nayeem_sharder –
শিশুরা ঝুঁকির মুখে আছে৷ শিশুদের বেড়ে ওঠার সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়ায় তারা শুরুতেই নানা মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে৷ তাই কখনো কখনো তারা অবসাদ ও হতাশা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনেও প্রবেশ করে৷ প্রশ্ন হলো – কেন কিছু তরুণ আত্মহত্যা করছে, সৃষ্টির আনন্দে শামিল না হয়ে কেন নেশায় মেতেছে? কীভাবে সন্তানদের রক্ষা করা যায়? আজ কথিত এই সভ্য সমাজে এর উত্তর হাহাকার।
তরল লোহাকে যেভাবে গড়ে তোলা হয়, তা একসময় দুর্বোধ্য হয়ে উঠে। শিশুরাও তেমনই। কৈশোরে তাদের হৃদয় থাকে কোমল, এ হৃদয় গড়ে তোলার দায়িত্ব অবিভাবকের। এমন অনেক কোমল হৃদয় পরিচর্যার অভাবে হয়ে উঠে দুর্বোধ্য, হতাশাগ্রস্থ, হিংস্র, মাতাল, উগ্র, চরিত্রহীন ইত্যাদি ইত্যাদি।
“সন্তান গড়ার ১১০ টিপস” বইটি বর্তমান সময়ে খুবই যুগোপযোগী। অবিভাবকদের জন্য রয়েছে বেশকিছু উপদেশ। বইটির চমৎকার একটা বিশেষত্ব হলো, কোন বয়সের সন্তানের জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তার বর্ণনা আছে। যেন ডাক্তারের ডেস্কের সামনে বয়স ভিত্তিক পরামর্শ।
স্নেহ মমতার পাশাপাশি সন্তানদের বয়স ও মেজাজের উপর নির্ভর করে তাকে শাসন করতে হবে। অতি মমতায় সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। তাই বয়সের কথা মাথায় রেখেই লেখক পাঁচ ভাগে এক বছর বয়স থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পর্যন্ত দারুণ কিছু পরামর্শ লিখেছেন। সর্বশেষ ১১০ টি টিপস এক নজরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন বইটি এক বসায় শেষ করার জন্য নয় বরং তা বারবার চর্চা করা প্রয়োজন।