মুসলিম উম্মাহর শুরু থেকে এই উম্মাহ কিছু ব্যক্তির নিকট বরাবরই ঋণী। এই উম্মাহর ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে আমরা এসকল মনীষীর পদচিহ্ন খুঁজে পাই। তাঁরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলেন মুসলিমদের কল্যাণে। ইতিহাসখ্যাত এসকল মনীষীর তালিকা বড় দীর্ঘ। কাউকে আমরা চিনি,জানি,নিদেনপক্ষে নাম শুনেছি; কাউকে আবার চিনিও না,জানিও না, নাম শোনা তো দূর কি বাত। .
.
এসকল মহামনীষীদের চেনানোর জন্য,জানানোর জন্য,তাদের অবদান সম্পর্কে আমাদের ওয়াকিবহাল করার জন্য এমন এক গ্রন্থের প্রয়োজন ছিল যা আমাদের জানাবে তাঁরা কেমন ছিলেন,কেমন ছিল তাঁদের সমকালীন পরিবেশ,কি নিদারুণ কষ্ট ও সংগ্রামের মাধ্যমে তাঁরা স্বমহিমায় ভাস্মর হতে পেরেছিলেন। এই উম্মাহ কিভাবে তাঁদের কাছে ঋণী হল, তাঁদের জীবনের সাদামাটা ইতিহাসই কেবল নয়,সে ইতিহাসের আলোকে সেময়কার মানুষ,সমাজ ও সভ্যতা কিভাবে আলোকিত হয়েছিল,কিভাবে আজও আমরা জীবন গড়ার,ভাবনা-চিন্তার খোরাক তা থেকে পেতে পারি তাও সে গ্রন্থ আমাদের জানাতে পারবে।.
.
এমনই এক চমৎকার গ্রন্থ হচ্ছে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নাদভী(রাহ) লিখিত, “সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস”। বাঙলায় এই গ্রন্থটি ৭ খণ্ডে অনূদিত হয়েছে।.
.
এই গ্রন্থের রচনায় আলী মিয়াঁ (রাহ) যে রুচির পরিচয় দিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। মুসলিম উম্মাহর হাজারো রত্ন থেকে গুটিকয় রত্নকে খুঁজে নেয়া কোনো সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু এই কঠিককাজটি তিনি যেভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন তা নিতান্তই আল্লাহর মেহেরবানী অতঃপর আলী মিয়াঁর(রাহ) সফলতা।
Copyright © 2025 Seanpublication.com
Reviews
There are no reviews yet.