Copyright © 2025 Seanpublication.com
সময়ের সঠিক ব্যবহার কীভাবে করবেন? (পেপারব্যাক)
- লেখক : আব্দুল্লাহ ইউসুফ, ড. খালিদ আবু শাদি
- পাবলিকেশন : রুহামা পাবলিকেশন
- বিষয় : অনুপ্রেরণা মোটিভেশন আত্ম-উন্নয়ন আত্মশুদ্ধি, সকল প্রকাশক
Author : ড. খালিদ আবু শাদি
Translator : আব্দুল্লাহ ইউসুফ
Publisher : রুহামা পাবলিকেশন
Category : আত্ম-উন্নয়ন
৳100 ৳65
You Save TK. 35 (35%)
সময়ের সঠিক ব্যবহার কীভাবে করবেন? (পেপারব্যাক)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for সময়ের সঠিক ব্যবহার কীভাবে করবেন? (পেপারব্যাক)
Add a review Cancel reply
mahmud03 –
এইমাত্র যা অনুভবও করতে পারলাম না কিন্তু অতীত হয়ে গেল, সেটাই সময়। এখন যে মুহূর্ত অতিক্রম করছি, তাও সময়। কিছুক্ষণ পর যা অতিক্রম করবো সেটিও কিন্তু সময়ই।
সময় হলো মুমিনের পুঁজি। মুমিনকে তার মুনাফা অর্জন করতে হবে এ সময়ের বিনিয়োগ করেই। অর্জন করতে হবে নেক আমল, গোছাতে হবে আখিরাতকে। কিন্তু অলসতা ও আরামপ্রিয়তার এই যুগে ভাটা পড়েছে মানুষের উদ্যমে। যে প্রযুক্তির সৃষ্টি হয়েছিল সময়কে বাঁচাতে, সে প্রযুক্তিগুলোই আজ সময় অপচয়ের মাধ্যম। নাজুক এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দিশা লাভের মহান মানসে রচিত মিশরের প্রখ্যাত লেখক ও দাঈ ড. খালেদ আবু শাদি হাফিজাহুল্লাহর ‘غرامة تاخير’ গ্রন্থেরই সরল অনুবাদ ‘সময়ের সঠিক ব্যবহার কীভাবে করবেন’ বইটি।
লেখকের স্বতন্ত্র রচনাশৈলীর উপস্থাপনা এবং হৃদয়-নিংড়ানো আহ্বান অসংখ্য পথহারা তরুণকে দ্বীনের পথে উঠে আসার প্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর ‘জিলহজ্জের উপহার’ এবং ‘অলসতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বইদ্বয়ও বাংলার পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
.
বইয়ের প্রথমাংশে সময়ের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে সারগর্ভ আলোচনা সন্নিবেশিত হয়েছে। সময় অপচয়ের সাথে আমাদের ধ্বংসের চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। আমল, দক্ষতা অর্জন, সামাজিকতা, চিত্তবিনোদন— জীবনের অতি মূল্যবান চারটি দিককে ব্যালেন্স করার মাধ্যমে কীভাবে সময়ের সদ্ব্যবহার সুনিশ্চিত করা যায় তার বিশদ পর্যালোচনা রয়েছে। পাতায় পাতায় মেলে ধরেছেন নিয়মানুবর্তিতার গুরুত্ব এবং সময় হিফাজতের কলাকৌশল। একক মুহূর্তে কীভাবে সময়ের ডাবল ফায়দা লুটা যায়— আছে সে উপদেশমালা। সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে জগদ্বিখ্যাত মনীষীদের জীবনচরিতের বেশ কিছু ঘটনা ও উদ্ধৃতি উপস্থাপিত হয়েছে। শেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তাদের থেকে যারা সময়কে কাজে লাগিয়ে আনুগত্যের চাষ করতেন জীবনের ময়দানে, আর ইবাদতের ফুল-ফসলে ভরে তুলতেন আখিরাতের গুদাম। সবশেষে ‘মানসচিত্র’ নামক জিনিসটার সাথে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দিয়ে লেখক পুরো বইয়ের বিশদ আলোচনাকে ডায়াগ্রামের মতো করে সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন।
.
‖পাঠ্যনুভূতি‖
এক কথায় বইটি পড়ে নিজেকে সময়ের দেউলিয়া মনে হয়েছে। মুমিনের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত—সময়কে আমরা কীভাবে অবমূল্যায়ন করছি তার অন্তঃসারশূন্যতা উপলব্ধি করে নিজেই নিজের আত্মসমালোচনার দ্বারা তা শুধরানোর জন্য উদ্দীপিত হয়েছি। সুখপাঠ্য গদ্য, অভিনব উপস্থাপনা, শব্দচয়ন, ভাবনাঋদ্ধ উপমার ব্যবহার, চাহিদানির্ভর টপিক—প্রাণবন্ত বইটিকে মাস্টরিড বইগুলোর তালিকাভুক্ত করেছে। সময়ের ব্যাপারে উদাসীন হলেই বইটির একটুকুন পাঠ গাফেল অন্তরকে নতুন করে কর্মোদ্যমে ভরিয়ে তোলে। বইয়ের প্রচ্ছদও নজরকাড়া। লেখকের অনুপম বর্ণনাশৈলী এবং পয়েন্টভিত্তিক আলোচনা এবং ছোট কলেবরের হওয়ায় বইটি পাঠকালে পাঠকের একঘেয়েমি লাগবে না। এছাড়া অনুবাদ বেশ প্রাঞ্জল, তবে কিছু ক্ষেত্রে শাব্দিক অনুবাদ না হলে হয়ত আরো সুখপাঠ্য হতো।
.
সর্বোপরি, উদাসী মনে অনুপ্রেরণার বীজ বুনে বিরান হয়ে যাওয়া আনুগত্যের খাতাকে আমলে পরিপূর্ণ করতে বইটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে, ইন শা আল্লাহ।