আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; জীবনের শুদ্ধতার মাপকাঠি নবিজির আদর্শ। তাই তাঁর জীবনী বা সিরাত অধ্যয়ন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অতি জরুরি। রাসুলের জীবনী অধ্যয়ন করলে একজন মুসলমান তাঁর জীবনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় তথা জন্ম থেকে মৃত্যু—শৈশবকাল, যৌবনকাল, দাওয়াত, রাজনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনা, জিহাদসহ জীবনের সব বিষয়ের বিস্তারিত পথনির্দেশনা পাবে।
বিশ্বখ্যাত ইতিহাস ও সিরাত গবেষক ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি বিশুদ্ধ বর্ণনার আলোকে নবিজির বিস্তারিত জীবনী রচনা করেছেন। বইটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে এতটুকু আমরা আপনাদের জানাচ্ছি যে, অতীতের শত সিরাতের সারনির্যাস ও বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার সমাধান এতে আলোচনা করা হয়েছে। এমন বিশ্লেষণধর্মী-শিক্ষামূলক আরেকটি সিরাতগ্রন্থ আমাদের নজরে পড়েনি।
মূল গ্রন্থটি আরবি ভাষায় রচিত। বাংলা ভাষায় বিশ্লেষণধর্মী বিশুদ্ধ সিরাতের শূন্যতা পূরণে ‘কালান্তর প্রকাশনী’ গ্রন্থটির অনুবাদ প্রকাশ করে তিন খণ্ডে আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছে।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
আব্দুর রহমান –
রাসূল (ﷺ) হলেন এমন একজন মহামানব যার জীবনী নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সীরাত গ্রন্থ রচিত হচ্ছে। প্রত্যেকের জীবনীকারের লেখাতেই রয়েছে আলাদা মাধুর্য । তারই ধারাবাহিকতায় রাসূল (ﷺ) এর জীবনী নিয়ে একটি অন্যতম সীরাত গ্রন্থ ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি রচিত এবং কালান্তর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তিন খণ্ডের “সিরাতুন নবি (ﷺ)। সীরাতটি বেশকিছু অভিজ্ঞ অনুবাদক ও সম্পাদক দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে। তারা হলেন- মহিউদ্দিন কাসেমী, আব্দুর রশীদ তারাপাশী, আহসান ইলিয়াস, সালমান মুহাম্মদ, আবুল কালাম আজাদ ও নুরুযযামান নাহিদ।
.
➤ সার-সংক্ষেপঃ-
তিন খণ্ডব্যাপী বিস্তৃত সীরাতগ্রন্থটিকে লেখক ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি ১৭টি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে-
প্রথম খন্ডে অধ্যায় রয়েছে সর্বমোট ৬টি। এখানে আলোচিত হয়েছে রাসূল (ﷺ) এর নবুওয়াতপূর্ব বিশ্বসভ্যতা ও ধর্ম, আরবদের রাজনৈতিক ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক অবস্থা, হাতিবাহিনীর ঘটনা।
রাসূল (ﷺ) এর জন্ম, হালিমার গৃহে দুধপান, হিলফুল ফুযুল গঠন, খাদিজার সাথে বিয়ে, ওহি অবতরণ, প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত, মিরাজের ঘটনা এবং সাহাবাদের নিয়ে মদিনায় হিজরত পর্যন্ত।
দ্বিতীয় খণ্ড শুরু হয়েছে সবশেষে আবু বকর (রা:) ও মুহাম্মদ (ﷺ) এর মদিনায় হিজরতের বর্ণনা দেয়ার মাধ্যমে। এরপর মদিনার সনদ প্রণয়ন, বদর যুদ্ধের ঘটনা ও মুসলমানদের বিজয়, ওহুদ যুদ্ধ ও খন্দক যুদ্ধ, বনু নজিরের ইয়াহুদিদের নির্বাসন।
সর্বশেষ বনু মুস্তালিক যুদ্ধের বর্ণনা দেয়ার মাধ্যমে এই খণ্ড শে হয়েছে।
তৃতীয় খণ্ডে আলোচনা করা হয়েছে আহযাব যুদ্ধের পটভূমি ও যুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন আলোচনা, হুদাইবিয়ার সন্ধি, মক্কা বিজয়, হুনাইন, তায়েফ ও তাবুক যুদ্ধ, বিদায় হজ্জ্ব।
এ খণ্ডের শেষ অংশে মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মদ (ﷺ) এর অসুস্থতা ও ইনতিকালের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
.
➤ এই সীরাত কেন পড়বেনঃ-
১। এটা ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবির লেখা এমন একটি সীরাত যেখানে নবীজি (ﷺ) এর জন্মপূর্ব অবস্থা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সকল বর্ণনা বিস্তারিত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
২। প্রতিটি ঘটনা নির্ভরযোগ্য তথ্য ও রেফারেন্স দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
৩। রাসূল (ﷺ) এর জীবনের ক্রমধারার প্রতিটি ঘটনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তার থেকে বর্তমান সমাজের মানুষদের কি কি শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
.
➤ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
বইটি খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। যাতে করে পাঠক সহজেই বিষয়বস্তু অনুধাবন করতে পারবে। দক্ষ অনুবাদক ও সম্পাদকগণের সমন্বয়ে সীরাতটিও বেশ প্রাঞ্জল ও সাবলীল হয়েছে। যার ফলে বইটি পড়তে গিয়ে পাঠক কোথাও বিরক্তবোধ করবেন না। নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাবেন সীরাতের অজানা ভুবনে। মনে হবে, নতুন করে জানছেন প্রিয় নবি মুহাম্মদ (ﷺ) কে। বইটি পড়ার পর পাঠক আরো বুঝতে পারবেন রাসূলের দুনিয়ার জীবন কেমন ছিল। জানতে পারবেন রাসূল (ﷺ) এর আচার আচরণ ও কর্মপন্থা সম্পর্কে। যা আমাদের জন্য অনুসরণীয়।
সব মিলিয়ে বইটি খুবই ভালো এবং উপকারী। তাই সকল পাঠকের প্রতি অনুরোধ বইটি একবার হলেও পড়ুন আর জীবনকে রাঙিয়ে তুলুন রাসূল (ﷺ) এর জীবন ও আদর্শের আলোকে।
Din Muhammad Sheikh –
মূলত মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনীর ওপর রচিত গ্রন্থকেই পারিভাষিক অর্থে সীরাহ বলা হয়। আমাদের জীবনে রাসূলুল্লাহর সীরাহ পাঠের গুরুত্ব, বেঁচে থাকতে অক্সিজেনের গুরুত্বের সমতূল্য বলা যেতেই পারে। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে গেলে অবশ্যই তাঁর জীবনাচার আমাদের জানতে হবে। আর তাই পড়তে হবে সীরাহ।
চলুন, আজ আমরা অন্যতম জনপ্রিয় একটি সীরাহ গ্রন্থের সাথে পরিচিত হই : কালান্তর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ড. আলি সাল্লাবির ‘সিরাতুন নবি’। গ্রন্থটি ৩টি খণ্ডে ভাগ করে প্রকাশ করেছে কালান্তর। প্রতিটি খণ্ডের আদ্যোপান্ত নেড়েচেড়ে দেখি, চলুন।
.
✿ একনজরে বইপরিচিতি✿
◉ বই : সিরাতুন নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
◉ লেখক : ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
◉ অনুবাদক : আব্দুর রশীদ তারাপাশী, মহিউদ্দিন কাসেমী, নুরুযযামান নাহিদ
◉ প্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী
◉ পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৫৪৪+৫২০+৫৩৩= ১৫৯৩
◉ প্রচ্ছদমূল্য : প্রতি খণ্ড ৬০০/- করে ৩ খণ্ড ১৮০০/-
◉ প্রকাশকাল : মার্চ, ২০২০
◉ কাভার : হার্ডকাভার
.
▪️ যেভাবে সাজানো হয়েছে প্রতিটি খণ্ড :
বইটি ৩ খণ্ডে বিভক্ত। ৩ খণ্ড মিলে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
• ১ম খণ্ড :
এ খণ্ডটি অনুবাদ করেছেন আব্দুর রশীদ তারাপাশী, মহিউদ্দিন কাসেমী এবং নুরুযযামান নাহিদ।
প্রকাশকের কথা, সম্পাদকীয় বাণী, অনুবাদকত্রয়ের ভাষ্য উল্লেখের পর ৩ খণ্ডের সংক্ষিপ্ত সূচি যুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারটা বেশ চমকপ্রদ ও পাঠকসহায়ক। পাঠক কেবল এটুকুতে চোখ বুলিয়েই বুঝে নিতে পারবে যে, কোন খণ্ডে কী আছে। এরপর যুক্ত হয়েছে ১ম খণ্ডের বিস্তারিত সূচিপত্র। তারপর যুক্ত হয়েছে ‘লেখকের কথা’, যেখানে লেখক রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণের গুরুত্ব এবং সে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সীরাহ পাঠের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন। তিনি কীভাবে নিজ গ্রন্থকে সাজিয়েছেন, তাও উল্লেখ করেছেন এখানে।
১ম খণ্ড শুরু হয়েছে নবুওয়াতপূর্ব পৃথিবীর শীর্ষ সভ্যতা ও ধর্ম নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে। এরপর আছে আরব জাতিসত্তার পরিচিতি, তাদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও চারিত্রিক অবস্থার বর্ণনা, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মপূর্ব বিশেষ ঘটনাবলির বর্ণনা, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম, বংশপরিচয়, শৈশবকাল, হারবুল ফুজ্জারে তাঁর অংশগ্রহণ এবং হিলফুল ফুজুলে যুক্ত হওয়া নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা, খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহার সাথে তাঁর বিবাহ, ওহীর অবতরণ, গোপনে দাওয়াতি কাজে গৃহীত পন্থা, মাক্কীজীবনে ইসলাম, প্রকাশ্যে দাওয়াত এবং সেই দাওয়াতের প্রেক্ষিতে মুশরিকদের আচরণ সংক্রান্ত আলোচনা। হাবশায় হিজরত, তায়েফে গমন, মিরাজের ঘটনা, আকাবার শপথ নিয়ে আলোচনা করার পর লেখক ১ম খণ্ডটি শেষ করেছেন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের বর্ণনা দিয়ে।
• ২য় খণ্ড :
২য় খণ্ডের অনুবাদ করেছেন আব্দুর রশীদ তারাপাশী এবং মহিউদ্দিন কাসেমী।
মুহাজিরদের পুরস্কার এবং হিজরত থেকে পেছনে অবস্থানকারীদের পরিণতি বর্ণনার মধ্য দিয়ে এ খণ্ডটি শুরু হয়েছে। এরপর আলোচনায় এসেছে মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ, যেখানে আমরা পাবো মসজিদে নববি নির্মাণ, আনসার ও মুহাজিরদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন, মদিনা সনদ প্রণয়ন ও তৎসংশ্লিষ্ট আলোচনা। তারপরই চিত্রিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুদ্ধজীবন। বদর, উহুদের মতো বড় দু’টি যুদ্ধের বর্ণনার পাশাপাশি খন্দকের যুদ্ধের আগ পর্যন্ত ছোটছোট আরও বেশকিছু অভিযান নিয়েও আলোচনা আছে এ খণ্ডে। অতঃপর এ খণ্ডটি শেষ হয়েছে বনু মুসতালিকের যুদ্ধের বর্ণনার মাধ্যমে।
• শেষ খণ্ড :
এ খণ্ডটি এককভাবে অনুবাদ করেছেন মহিউদ্দিন কাসেমী।
আহযাব বা খন্দকের যুদ্ধের বর্ণনার মধ্য দিয়ে এ খণ্ড শুরু হয়েছে। এরপর আছে হুদায়বিয়ার সন্ধির বিস্তারিত বর্ণনা। হুদায়বিয়া ও মক্কাবিজয়ের মধ্যবর্তী ঘটনাবলি বর্ণনার পর এসেছে মক্কাবিজয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। হুনাইন, তাবুক যুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি এতদুভয়ের মধ্যবর্তী ঘটনাবলিও বর্ণিত হয়েছে। তাবুক যুদ্ধে অংশ নিতে না-পারা ৩ সাহাবির ঘটনা ও তা থেকে উপদেশ-শিক্ষা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এরপর এসেছে বিদায় হজের আলোচনা। অতঃপর অত্র খণ্ডটি শেষ হয়েছে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসুস্থতা এবং তাঁর ইন্তেকালের বর্ণনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে।
.
▪️ গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য :
সীরাহ হিসেবে ‘সিরাতুন নবি’ বইটির বেশ কিছু অসাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন :
• লেখক মাত্র ৩ খণ্ডেই (মোট পৃ: ১৫৯৩) বিশ্বনবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিস্তারিত জীবনী তুলে এনেছেন।
• বিভিন্ন সীরাহ থেকে লেখক নিজের বর্ণনার রেফারেন্স দিয়েছেন। সে হিসেবে বহু প্রসিদ্ধ-অপ্রসিদ্ধ সীরাহর সংকলন বলা চলে বইটিকে। বইটি পড়ে অনেক সীরাহর সাথেই পরিচিত হওয়া সম্ভব।
• বইটি মূলত বিভিন্ন সীরাহ পাঠান্তে লেখকের গবেষণাধর্মী একটি সৃষ্টি।
• বর্ণনার সঠিকতা এবং ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে বেশ দারুণভাবে।
• ১ম খণ্ডের শুরুতেই প্রতি খণ্ডের সংক্ষিপ্ত সূচিপত্র যুক্ত করা হয়েছে। এটি বেশ উপকারী। সহজেই প্রতিটি খণ্ড নিয়ে ধারণা পাওয়া যায়।
• সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, প্রায় প্রতিটি ঘটনা শেষে লেখক আমাদের জন্য ‘শিক্ষা’ তুলে এনেছেন। এতে পাঠক নিজের জীবনের সাথে সীরাহর শিক্ষা মিলিয়ে নিতে পারবে খুব সহজেই।
• বইটিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে নবিজীবনকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে খুব প্রাসঙ্গিকভাবে।
.
▪️ ভালোলাগা-মন্দলাগা
মন্দলাগার মতো তেমন কিছু না পেলেও, ভালোলাগার মতো আছে অনেক কিছুই। সর্বাগ্রে বলতে পারি, ‘সিরাতুন নবি’ এর প্রতিটি খণ্ডের বাইন্ডিং আমাকে বেশ অবাক করেছে। অত্যন্ত পোক্ত বাইন্ডিং। কালান্তর এ জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ পেতেই পারে। পৃষ্ঠামানও বেশ ভালো। অনুবাদের সাবলীলতা আপনাকে বুঝতেই দেবে না যে, এটি অনুবাদগ্রন্থ। ব্যক্তিগতভাবে প্রচ্ছদও আমার কাছে ভালো লেগেছে। এক প্রকার আভিজাত্যের ছাপ বিদ্যমান প্রচ্ছদে।
.
▪️ লেখকপরিচিতি :
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। বিশ্ব নন্দিত ইতিহাসবিদ। ইসলামি ইতিহাসের ওপর রচনা করেন তাত্ত্বিক ও তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ। মুসলিম মনীষীদের জীবনী তুলে আনেন নিজ শক্তিশালী কলমের আঁচড়ে। এতে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে।
এ প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ জন্মেছেন লিবিয়ায় ১৯৬৩ সালে। যৌবনে প্রায় ৮ বছর কাটিয়েছেন জেলে। প্রাথমিক পড়াশোনা লিবিয়ায়ই। পরবর্তীতে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সও করেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০টিরও ওপরে গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের অধিকাংশই ইতিহাসনির্ভর।