Copyright © 2025 Seanpublication.com
শিকলবন্দী ক্ষমা (পেপারব্যাক)
- লেখক : আব্দুল্লাহ মজুমদার, আলী আহমদ বা-কাসীর
- পাবলিকেশন : আয়ান প্রকাশন
- বিষয় : সকল প্রকাশক, সমাজ সংস্কার
Author : আলী আহমদ বা-কাসীর
Translator : আব্দুল্লাহ মজুমদার
Publisher : আযান প্রকাশনী
Category : সমাজ সংস্কার
৳190 ৳141
You Save TK. 49 (26%)
শিকলবন্দী ক্ষমা (পেপারব্যাক)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for শিকলবন্দী ক্ষমা (পেপারব্যাক)
Add a review Cancel reply
Najmul Hasan Sajib –
#অনুভূতির_প্রকাশক
“বহিপীর” ও “সিরাজদ্দৌলা”
-পাঠ্যবইয়ের এই দুটি নাটকের বাইরে নাটক সাধারণত পড়া হয়ে ওঠেনি।হয়তোবা নিজেরই ব্যর্থতা; কিন্তু সাহিত্যের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এই শাখাটার আলোচনা তেমন একটা নেই বললেই চলে।
“শিকলবন্দী ক্ষমা” নাটকটি শেষ করেছিলাম কিছুদিন আগে।তাই এটা নিয়ে কিছু লিখছি।
১৯৪৯ সালে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি মিশরীয় নাটক হচ্ছে “শিকলবন্দী ক্ষমা৷”
চরিত্র পরিচয়
১.আব্দুত তাওয়াব -কেন্দ্রীয় চরিত্র
২.সালেহা- দাসী
৩.আবদুল জাওয়াদ – আব্দুত তাওয়াবের সহোদর
৪.আসিয়া – আব্দুল তাওয়াবের বোন ৫.মাস্তুরের মা
৬.কাউসার- আব্দুত তাওয়াবের স্ত্রী
মাইমূনা,ইসমাঈল, কাসেম’সহ আরো কিছু চরিত্র..
নাটকটি তিনটি পরিচ্ছদ বা অঙ্কে এবং সাতটি দৃশ্যে বিভক্ত।
কাহিনীকথা -(অগোছালো হয়ে গেছে ক্ষমাপ্রার্থী)
আব্দুত তাওয়াব একজন ব্যবসাহী লোক।পরোপকারী, ধৈর্যশীল সবই তার মাঝে বিদ্যমান। তার বড়ভাই আব্দুল জাওয়াদ পেশায় সরকারি চাকরিজীবী কিন্তু অহরহ আব্দুত তাওয়াব থেকে মিথ্যা বলে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়। পরিবারে একসাথে তার বোন আসিয়া থাকেন সাথে দাসী সালেহা। ভাগ্নিদের ভালো জায়গায় বিয়েও দিয়েছেন কিন্তু সময়স্রোতে নিজে বিয়ে করেছেন চল্লিশের পর “কাউসার” এর সহিত। কিন্তু কিশোরী কাউসারের সাথে তার বনিবনা তেমন একটা না হওয়ায় বাণিজ্য করতে বিদেশযাত্রা করে বছরকয়েকের জন্য। ফেরার পরই কাওয়ারের অপ্রত্যাশিত মন্দ কাজটা সম্পর্কে জানতে পারে;গর্ভবতী হয়ে যায়।। এই কাজ আব্দুত তাওয়াব একসময় লিপ্ত হয় একেই বলে পাপের ধারা।
যদিও কাওসারের পরিবার এই কাজটা তাওয়াব থেকে লুকাতে চেয়েছিল কিন্তু একসময় সত্যটা তাওয়াব পরিবার জানতে পারে। কাওসারের অপকর্মকে ক্ষমা করে দিয়ে তার বাড়িতে গমন করে।কাওসারের সন্তানকে মানুষ করতে থাকে। আস্তে আস্তে এই ঘটনা সময়স্রোতে ঢাকা পরে। তাওয়াব মেয়ের পিতা হোন একসময়।
কিন্তু বন্ধু কাসেমের বোনেও(মাস্তুরের স্ত্রী)এই কাজে লিপ্ত হওয়ায় মাস্তুর তাকে খুন করে জেলে যায়। মাস্তুরের মা তাওয়াবকে নানাভাবে ঝামেলায় ফেললে তাকে দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে নেয়।
একটা সময় মৃত্যুর খুব কাছে চলে যায় সে।তাওয়াবের জীবনে করা যিনার কথা সে বন্ধু কাসেম বলে। ক্ষমা চাই তার কাছে এবং সে ক্ষমা করে। সবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে একসময় কালিমা শাহাদাত পাঠের মাধ্যমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে।
মেসেজ –
একজন মানুষ কতটুকু ধৈর্যশীল এবং কতটুকু ক্ষমাশীল হতে পারে তা ”শিকলবন্দী ক্ষমা” বইটি পরে তা অনুধাবন করতে পারলাম।সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে পাপ কাজের প্রায়শ্চিত্ত তাকে দুনিয়াতে উপভোগ করতেই হবে,এটা লেখক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছে এই নাটকের মধ্যে।কিভাবে পারিবারিক বন্ধন মেইনটেইন করে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে হয় সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।
বই– “শিকলবন্দী ক্ষমা”
মূল – আলী আহমদ বা-কাসীর
অনুবাদ – আবদুল্লাহ মজুমদার
প্রকাশনী – আযান প্রকাশনী
প্রচ্ছদ মূল্য -১৯০৳
পৃষ্ঠা -১২৬
ব্যক্তিগত রেটিং -৮.৫/১০
পড়ে দেখতে পারেন বাকীটা স্বয়ং বিচার করুন।