শেষ পর্যন্তও

Original price was: ৳170.00.Current price is: ৳127.50.

আপনি সাশ্রয় করছেন 42.5 টাকা। (25%)

মিতুর খুব ঘুম পাচ্ছে, কিন্তু ঘুমানো যাবে না—নতুন বউ ঘুমিয়ে পড়লে কেমন দেখায়! ঘরভর্তি ফুলের গন্ধ, কিন্তু দোলনচাঁপার মিষ্টি ঘ্রাণ হারিয়ে গেছে গাঁদা আর রজনীগন্ধার তীব্রতায়। মিতুর ইচ্ছা, সবকিছু সরিয়ে শুধু নিজের পছন্দটাই থাকুক। কিন্তু সব ইচ্ছা কি পূরণ হয়? মিতুর বিয়ের স্বপ্ন ছিল ছোট, সাধারণ আয়োজনে শান্ত জীবন শুরু করার। কিন্তু বাস্তবতা তার বিপরীত। মিতুর মনে বিশ্বাস, সাধারণ বিয়েতেই লুকিয়ে থাকে অসাধারণ সুখের সূত্র—যা সে নিজেও ঠিক বুঝে না।এই উপন্যাস আমাদের চেনা জীবনের ছোট ছোট অনুভূতি, না-পাওয়া, ইচ্ছা আর বাস্তবতার টানাপোড়েনকে তুলে ধরেছে নিখুঁতভাবে।বইটি কেবল একটি গল্প নয়—এ আমাদের মতো অসংখ্য মিতুর জীবন, যাদের স্বপ্ন-বাস্তবতার মধ্যকার দূরত্বের গল্প। পাঠক নিজেকে এ গল্পে খুঁজে পাবেন, অনুভব করবেন—জীবনের গভীরতা কতটা নিঃশব্দ আর স্পর্শকাতর হতে পারে।

 

এই বইটি কমিউনিটিতে গিফট দিন

বইটি কিনে কমিউনিটিতে শেয়ার করুন—যাতে অন্যরাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এর জ্ঞান ও আনন্দ উপভোগ করতে পারে!

আপনার ছোট্ট এই উপহার অনেকের জন্য খুলে দিতে পারে নতুন শেখার দরজা।

রিভিউ এবং রেটিং

Reviews (2)

2 reviews for শেষ পর্যন্তও

  1. MD. Ahammed Hossain Prince

    বইটা অনেক সুন্দর ছিল, আমি ৩দিনে শেষ করেছি। লাষ্টের পেজটা পড়ার আগপর্যন্তও বুঝতে পারিনি যে একটা মেসেজে সব ঠিক হয়ে যাবে,আমিতো ভেবেছিলাম যে অভিমান শুরু করেছে, আরও একটা খন্ড পড়া লাগবে তারপর উপসংহার এ যাবে। এত সুন্দর একটি স্টোরি লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

  2. Fahmida Afrin

    ◼️প্রারম্ভিক কথন:

    পরিবার হলো সবচেয়ে আদিম ও ক্ষুদ্রতম সামাজিক প্রতিষ্ঠান। একটা পরিবার গড়ে ওঠে দুজন নারী-পুরুষের বিবাহ নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। এ বন্ধনের মাধ্যমে দুটি ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দু’জন মানুষ এক হয়, দুটি ভিন্ন মানুষের জীবন বাঁধা পড়ে এক সুতোয়। বিয়ে মানেই শুধু প্রেম নয়, বোঝাপড়াও বটে। এখানে সুখ নির্ভর করে একে অপরের বোঝাপড়া কতটা ভালো সেটার ওপর। কিছু মানুষের জীবন এমনও হয় যে, বছরের পর বছর এক ছাদের নিচে থেকেও উভয়ে অচেনাই রয়ে যায়; আবার কিছু মানুষ কিছু সময়ের ব্যবধানে একে অপরকে খুব সুন্দরভাবে চিনে নেয়, বুঝে নেয়। একটা সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্কের জন্য এমন চমৎকার বোঝাপড়া একটা আশীর্বাদ বলা চলে।

    লেখিকা সানজিদা সিদ্দিকী কথা রচিত এই উপন্যাসটি সমকালীন কিংবা চিরন্তন দাম্পত্য জীবনের বোঝাপড়ার দিকটা তুলে ধরেছেন। তিনি তুলে ধরেছেন জড়তা কাটিয়ে উঠলে পথটা কতটা মসৃণ হয়ে ওঠে।

    .
    ◼️ চরিত্রসমূহ:
    মিতু: মিতু এ উপন্যাসের মূল নায়িকা।
    বেলায়েত সাহেব: মিতুর বাবা। তিনি একটি
    সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার
    রেবেকা:মিতুর মা। উনি একজন গৃহিনী।
    রাসেল: রাসেল এ উপন্যাসের মূল নায়ক।
    রাজন: রাসেলের ছোট ভাই।
    রন্টু আক্তার: রাসেল-রাজনের মা।
    নাদিয়া: রাসেলের স্ত্রী।
    রিনি,টুনটুনি – রাসেল-মিতুর মেয়ে।
    এগুলো মূল চরিত্র এছাড়াও আরো অনেক চরিত্র আছে উপন্যাসটিতে।
    .

    ◼️মূল্যায়ন:

    “কেউ তোমাকে খুব ভালোবেসে বিয়ে করবে, সেও মাস কয়েক পরে একটা নির্লিপ্ত মানুষ হবে। তুমি হয়তো তার জন্য খুব শখ করে চোখে কাজল দিয়েছ, একটা নতুন শাড়ি পরেছ, সে অফিস থেকে ফিরে হয় ফিরেও দেখবে না কিংবা কপালে একটা ভাঁজ বেশি ফেলবে। হয়তো প্রিয় কোনো দিনে তুমি তাকে একটা পাঞ্জাবি দিলে সে বলল বাড়তি খরচ না করলেই আমি গিফটের চেয়ে বেশি খুশি হই। আবার ধরো কেউ ভালো না বেসে মন্দবেসে কিংবা ভালো না বেসেই বিয়ে করল। সেও তো একই। লাভ কী হবে, তোমার আশা থাকবে না। তাই নিরাশাও হবে না। ঘটনাটা মজার না? এরপর হঠাৎ একদিন ভালো কিছু হলে তোমার মনে হবে এই কি বেশি নয়? আমি দু’আ করি নাদিয়া, সব একদিন ঝলমলে রোদেলা দিনের মতো সুন্দর হবে।”

    .
    সানজিদা সিদ্দিকী কথার লেখা আমি পড়া শুরু করি “শেষ পর্যন্তও” বইটা দিয়ে। এবং প্রথমবারেই আমি ওনার লেখার ভক্ত হয়ে যাই। উপন্যাসের কাহিনি তিনি কতটা স্মুথলি এগিয়ে নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ঝরঝরে, সহজবোধ্য ও আরামদায়ক লেখা। ওনার লেখায় হুমায়ুন আহমেদের লেখার ছাপ অনেকখানি পেয়েছি।

    পড়তে শুরু করার পর হাত থেকে আর বইটি নামিয়ে রাখতে ইচ্ছে করছিল না। দ্রুত শেষ করেছি তাই। পড়ে মনে হলো এটা আসলে প্রতিটি সংসারের কাহিনি।

    আসলে, একটা সম্পর্ক ঠিক ততটাই মজবুত হয় যতটা গভীর হয় মানুষেগুলোর পারস্পরিক বোঝাপড়া। আজকের দিনে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন উপন্যাস, নাটক কিংবা সিনেমা দেখে এমন বদ্ধমূল ধারনা পোষণ করে যে, বিয়ে মানেই একটা রোমান্টিক উপন্যাস বা সিনেমা, যেখানে আছে কেবল রোমান্স ও সুখ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একটি সংসারে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না সবকিছুই মিশে থাকে। এটা মেনে নিতে পারলেই জীবন সহজ হয়ে উঠবে। আর যারা মানতে পারেনা তারা বিষণ্নতার আঁধারে ডুবে যায়।

    এই কাহিনিতে রাসেল-মিতুর মানসিক দ্বন্দ্বটা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। রাসেল অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষ, আর মিতু ঠিক তার উল্টো। রাসেল মিতুকে একদিন কলেজ রোডে দেখেই তার প্রেমে পড়ে যায়। সে তখনই মিতুর পিছু পিছু গিয়ে বাড়ি চিনে এসে হঠাৎ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। এরপর বিয়ে, সংসার, সন্তান সবই হয়। তবে সময়ের ব্যবধানে যেন তাদের সম্পর্কে মরচে ধরতে শুরু করে।
    অন্যদিকে, রাসেলের ছোট ভাই রাজনের নাদিয়ার সাথে নাটকীয়ভাবে বিয়ে হয়ে যায়। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেও বেশ হুলস্থুল কান্ড ঘটে মিতুদের বাড়িতে।

    মিতু শুধু মন খারাপ করে ভাবে রাসেল আর আগের মতো নেই। অন্যদিকে, রাসেল দুনিয়াদারীর চাপে পিষ্ট হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। তার পুরনো সত্তাটা কোথাও হারিয়ে যায়নি; সময়ের পরিক্রমায় সে নিজের মনের কথাগুলো কিভাবে প্রকাশ করতে হয় তা ভুলে গেছে। হয়তো কখনো মুখ ফুটে কিছু বলতে চায়, তবে শেষমেশ আর বলা হয়ে ওঠে না। কেমন জড়তা কাজ করে। এভাবে চলতে চলতে পথটা আঁধার হয়ে আসে। এরপর? এরপর ঘটে নানান ঘটনা।

    দুজনেই নানান ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে এগিয়ে চলে।
    হয়তো মনে হতে পারে এটা নিতান্তই সাধারণ আটপৌরে বাঙালী রমণীর গল্প, কিন্তু একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবে, আপনি নিজেও গল্পটার সাথে রিলেট করতে পারছেন। স্লাইস অব লাইফ টাইপ একটা কাহিনি। যারা এ ধরনের কাহিনিগুলো পছন্দ করেন তাদের কাছে বেশ লাগবে। ভালো লাগার মতো একটি বই।

    ◼️পছন্দের কিছু লাইন:

    ◾“দুনিয়া ইচ্ছা পূরণের জায়গা না।”

    ◾“কঠিন ধরনের মানুষেরা চোখের পানি অন্যের সামনে দেখানোকে অপরাধের পর্যায়ে দেখেন।”

    ◾“রাসেল মুচকি হাসছে। ওর সত্যিই মনে হচ্ছিল এই আধ পাগলা টাইপ মেয়েটা ওর জীবনকে আর যাইহোক, কখনো একঘেয়ে হতে দেবে না।”

    ◾“রাসেলের বিশ্বাস, প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া ন্যাকাদের কাজ; পুরুষরা কোনো মেয়েকে পছন্দ করলে সরাসরি অভিভাবকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেবে।”

    ◾“কিন্তু জগৎসংসারের আশ্চর্য কারবার হলো, খুব সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে হয় অসুন্দর দেখতে ছেলেগুলোর সাথে আর শ্যামলা মেয়েদের হয় ফর্সা টকটকে ছেলেগুলোর সাথে। হকির পাশে ফুটবলের মতো বিশাল লম্বা ছেলের বউ হয় বাটু।”

    ◾“জানো মিতু, আমার মনটা ভালো না। খুব ভার হয়ে আছে। আজকে আমার রাতুল নামের রোমান সম্রাটের মতো দেখতে একটা ছেলের সাথে দেখা হয়েছে। তুমি কি ওর গল্পটা শুনবে?”

    ◼️এক নজরে বইটি:
    বই: শেষ পর্যন্তও
    লেখক: সানজিদা সিদ্দিকী কথা
    প্রকাশনায়: সিয়ান
    রেটিং: ⭐⭐⭐⭐⭐

    ©️ Review by Fahmida Afrin

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড বই