রমজান মাস আমাদের দোর-গোড়ায় উপস্থিত। করোনা আল্লাহয় অবিশ্বাসী কিংবা সন্দেহবাদী মানুষকে মহান মালিক আল্লাহ তা’আলার অস্তিত্ব, অপার ক্ষমতা, সৃষ্টিজগতে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি এবং তাঁর অপ্রতিহত ক্ষমতাকে উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে রমজান মাস উপস্থিত। কুরআন নাজিলের মাস রমজান। সংযম ও আত্মসংশোধনের মাস রমজান। এ মাস তাকওয়া অর্জন করে কুরআন থেকে হিদায়াত লাভের মাস। ভোগ-বিলাস ও আরাম-আয়েশ পরিহার করে কুরবানীর অভ্যাস তৈরির মাস।
রসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের সিয়াম পালন করল ঈমান ও ইহতিসাব সহকারে, তার অতীতের সব গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন (বুখারী)। একই সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে রমজানে ও লাইলাতুল কদরে কিয়ামুল লাইল তথা তারাবীর সলাত সম্পর্কে। হাদীস থেকে বুঝা যায়, এ সুসংবাদ তার জন্য যে দুটি শর্ত পূরণ করবে- সিয়াম পালন করবে ঈমান ও ইহতিসাব সহকারে।
ঈমান: ইসলামের ভিত্তি ঈমান। শিরক, মুনাফেকী ও ফাসেকী মুক্ত ঈমানই আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তা’আলা গ্রহণ করেন।
ইহতিসাব: ইহতিসাব শব্দের অর্থ হিসাব, বিবেচনা, মূল্যায়ন, পরিতৃপ্তি, সংযম ইত্যাদি। ইহতিসাব সহকারে সিয়াম পালনের তাৎপর্য হলো- আত্মজিজ্ঞাসা, আত্মযাচাই বা আত্মসমালোচনাসহ সিয়াম পালন করা।
রসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও সে মাফিক কাজ ছাড়তে পারল না তার খানা-পিনা ছেড়ে দেয়াতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই (বুখারী)। অপর বর্ণনায় এসেছে, এ ধরনের রোজাদার উপবাসের কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পায় না। রমজান প্রত্যেক সিয়াম পালনকারীর কাছে দাবি করে যে, রোজার উদ্দেশ্য কতটুকু পূরণ হলো তা সে যাচাই করে দেখবে। এমতাবস্থায় আমাদের আত্মসমালোচনা করে দেখা দরকার।
Reviews
There are no reviews yet.