Copyright © 2024 Seanpublication.com
সালাফদের ক্ষুধা (পেপারব্যাক)
- লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া, মাসউদ আলিমী
- পাবলিকেশন : সীরাত পাবলিকেশন
- বিষয় : অনুপ্রেরণা মোটিভেশন আত্ম-উন্নয়ন আত্মশুদ্ধি, একুশে বইমেলা ২০২২, সকল প্রকাশক
Author : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া
Translator : মাসউদ আলিমী
Publisher : সীরাত পাবলিকেশন
Category : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
৳200 ৳150
You Save TK. 50 (25%)
সালাফদের ক্ষুধা (পেপারব্যাক)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for সালাফদের ক্ষুধা (পেপারব্যাক)
Add a review Cancel reply
Meher Afroz –
বইঃ সালাফদের ক্ষুধা
লেখকঃ ইমাম ইবনু আবিদ দুনিয়া ( রাহিঃ)
প্রকাশনঃ সীরাত পাবলিকেশন।
বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের জীবনকে কেবল খাওয়া আর ঘুমের ভেতর আবদ্ধ করে ফেলছি। যেন দুনিয়াতে খাওয়াটাই সবকিছু। দৈনিক দুধ-ডিম- কলা না খেলে ভালো রেজাল্ট করা যাবে না, জীবনে সাফল্য অর্জিত হবে না। অথচ, যারা আমাদের জীবনের আদর্শ , আমাদের পথ নির্দেশক, সফল ব্যাক্তিত্ব, তাদের খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিলো- কতটুকুইবা তাঁরা খেতেন তা কী জেনেছি? যিনি সমগ্র পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানব তিনিই তো কখনো পেট ভরে গমের রুটি টুকো খাননি কখনো। আমরা যখন খেতে বসি তখন কী তা স্মরণ রেখেছি? অথচ, আমাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। আমরা নবীজী (সাঃ) এর উম্মত হয়ে- আমাদের ভেতর অনেকে তিনবেলা নিয়ম করে খাওয়ার পরও, সারাক্ষণ কিছু না কিছু চাবাতেই থাকি। গলা পর্যন্ত ভরা পেট নিয়েও ভাবি, আজ কি কি স্পেশাল রান্না করা যায় বা খাওয়া যায়। আবার যারা মোটামোটি খাওয়া দাওয়া কম করে তাদেরও বলে বেড়াই নানান কথা! ”তুমি দেখি শুকিয়ে গেছো’ ..হেনতেন। অথচ, মুহাম্মদ বিন ওয়াসিম (রাঃ) কম খাবার গ্রহণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন,
“যে খাদ্য কম খায়, সে ভালো বোঝে এবং ভালো বোঝাতে পারে। তাঁর অন্তর স্বচ্ছ ও কোমল থাকে। কেননা অধিক আহার অধিকাংশ স্বপ্ন পূরণে প্রতিবন্ধক।( আল আউলিয়া: ২/৩৫১)
আমাদের ততটুকুই খেতে হবে যতটুকু খেলে মেরুদণ্ড সোজা থাকবে। অর্থাৎ, খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছাড়াছাড়ি কিংবা বাড়াবাড়ি করা যাবে না। খাবারের ক্ষেত্রে বিলাসিতা আর অহমিকা যেন আমাদের পেয়ে না বসে।
‘সালাফদের ক্ষুধা’ বইটি পাঠককে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সুন্নত তরিকায় গ্রহণ এবং মিতব্যয়ী হতে শেখা বলে।ইন শা আল্লাহ।
পাঠ্যানুভূতিঃ—
সালাদের ক্ষুধা বইটা পড়ছিলাম আর হঠাৎ হঠাৎ অবাক হচ্ছিলাম। আমাদের রাসুলে করিম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]- এবং তাঁর সাহাবীগণের খাবার গ্রহণের পরিমান কেমন ছিলো আর আমরা কত খাই!
তাঁরা এমন কম খেতেন খাবার নেই বলে নয়, বরং দুনিয়াবিমুখী ছিলেন বলেই পেট ভরে খাবার খেয়ে তৃপ্তি অনুভব করেননি।
বইটি পড়ার পর ভাবতেই অবাক লাগছে, আমরা খাবারের ক্ষেত্রে কত অপচয় করি! যাহহাক ইবনু সুফিয়ান আল কিলাবি[১৭১] (রাঃ) বলেছেন, রাসুল ( সাঃ) বলেন,
– হে যাহহাক! তুমি সাধারণত কী খাও?
– গোশত এবং দুধ।
– এরপর এগুলো কোথায় যায়?
– তা তো আপনি অবগত।
– আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা মানুষের মলমূত্রকে দুনিয়ার উপমা বানিয়েছেন। “( মুসনাদে আহমাদ:৩/৪৫২, তাবারানি:৮/৩৫৯)
এই মল-মূত্রের সাদৃশ দুনিয়াতে এসে অভুক্তকে ক্ষুধার্ত রেখে নিজের পূর্ণ পেটেই অহেতুক খাবার ঢেলে, আমরা নিজেদেই’র ধোঁকা দিচ্ছি না তো? ( আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।)
আরেকটি কথা, আমি মনে করি ‘সালাদের ক্ষুধা’ বইটির তথ্যগুলো প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মগজে থাকা দরকার। তাই অনুগ্রহ করে নিজ উদ্যোগে বইটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
রিভিউ দাতাঃ Meher Afroz