বিশ্ব দরবারে ইসলামকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মহানবী সা. বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে ইসলামের দাওয়াত সংবলিত পত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তিনি ৭ম হিজরী সনের শুরুর দিকে রোম, পারস্য, মিসর, আবিসিনিয়া, বাহরায়ন, ওমান, ইয়ামান, সিরিয়া প্রভৃতি দেশের বাদশা, রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন অঞ্চলের গোত্রপ্রধানদের নিকট ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তাঁর দূত মারফত বহু পত্র প্রেরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ সা.-এর এ সব পত্রের ভাব, ভাষা, আলংকারিক দিক ও উপস্থাপনার অনন্যতা পাঠকের কাছে এতটাই হৃদয়গ্রাহী ও আকর্ষণীয় ছিল যে, সে সব পত্রের আহ্বানে অনেক রাজাবাদশা অভিভূত হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করেছেন। বস্তুত ইসলামের প্রচার ও প্রসারে রাসূলুল্লাহ সা.-এর ঐতিহাসিক এসব পত্রসমূহের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইতিহাসের প্রাচীন গ্রন্থসমূহে রাসূলুল্লাহ সা.-এর এসব পত্রাবলি সংরক্ষিত আছে।
সেই পত্রাবলীর সংকলন নিয়েই হাসানাহ‘র এবারের আয়োজন “রাসূল সা.এর পত্রাবলী”
প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২২ আগষ্ট
ᗰEᕼEᖇ ᗩᖴᖇOᘔ –
📘বুক রিভিউ📙
বইঃ রাসুলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর পত্রাবলী
লেখকঃড. খালেকুজ্জামান খান
রাসুলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ] ইসলামের দাওয়াত কেবল নিজের, পরিবার দেশ এবং মদিনাতেই দেননি; বরং দ্বীন-ইসলাম বিজয়ের পর বিভিন্ন দেশের রাজা- বাদশাহদের কাছে পৌছে দিয়েছেন শান্তির বাণী। আর এই বাণী পৌছাতে দূত হিসেনে সহায়তা করেছেন বহু- সাহাবিগণ।কোনো রাজা এই সত্য গ্রহণ করেছিলেন আবার কোনো রাজা প্রত্যাখান করে কুফরের সাথে হাত মিলিয়েছে।কেউ পত্রের বাহকদের আদরে সম্ভর্থনা দিয়ে তাদের হাতে বায়াত গ্রহণ করেছেন আবার কেউ ধিক্কার জানিয়েছে।মূলত, ক্ষতিগ্রস্ত ত তারা’ই যারা সত্য শুনলো অথচ মানলো না।
সেই ১৪শ বছর আগে আমাদের প্রাণের প্রিয় রাসুল [সল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ] বিভিন্ন রাজাদের সাথে কেমন ভঙ্গিতে পত্রবিনিময় করতেন ; অনেকেরই হয়ত জানতেন ইচ্ছে করে। বুঝতে ইচ্ছে করে – কেমন ছিলো তাঁর শব্দ চয়ণ। অনেকের হয়ত জানার আগ্রহ জাগে শ্রেষ্ট নবী মুহাম্মদ (সাঃ)- পৃথিবীর বুকে সকল রাজা-বাদশাদের মাঝে কতটা সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
এই জানার পরিধি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ‘হাসানাহ পাবলিকেশন প্রকাশ করেছেন– ‘রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পত্রাবলী’ বইটি।
বই থেকে কিছু অংশঃ—
‘ কিসরা রাসূল সা.- এর পত্রখানা পাঠ করে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে এবং রাগ, ক্ষোভ ও অপমানে পত্রখানা ছিঁড়ে ফেলে বলল, ‘ সে [মুহাম্মদ] আমার প্রতি পত্র লেখে।অথচ সে আমার গোলাম।’ রাসুলুল্লাহ সা. এ সংবাদ শুনে বললেন, তার রাজত্ব [ পত্র ছেঁড়ার মত] ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হবে।’
পৃষ্ঠা নং—২৪.
পাঠ্যানুভূতিঃ—
প্রথমেই বলবো- এই বইয়ের বিষয়বস্তু খুবই আনকমন ছিলো। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সকল চিরকুট একত্রে এর আগে কখনো এক বইয়ের মোড়কে আবদ্ধ করেছেন বলে আমার জানা নেই।তবে, নবীজি [সা.]-এর সীরাহ’তে ছিলো। আর সেখানে থাকলেও ঘটনার প্রেক্ষাপটে আসত।
তাছাড়া পত্রগুলো সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কারণে ইতিহাসের অনেক ঘটনাগুলো ধরতে সহজ হয়েছিলো।
বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন, বাইন্ডিং, কাগজ কোয়ালিটি তথা সব’ই মোটামুটি ভালো ছিলো।