এই বইটি সেই সকল মুসলিমদের জন্য, যারা প্রকৃতপক্ষে নিজের কল্যাণ ও উন্নতি কামনা করেন এবং মুসলিম উম্মাহর একজন প্রোডাক্টিভ নাগরিক হতে চান।
আপনি হয়তো কুরআনের সূরা আর-রাদ-এর ১১ নম্বর আয়াতটি জানেন। যেখানে আল্লাহ বলেছেন-‘তাঁর জন্য সবই সমান। প্রত্যেক ব্যক্তির সামনে ও পেছনে তার নিযুক্ত পাহারাদার লেগে রয়েছে, যারা আল্লাহর হুকুমে তার দেখাশোনা করছে। আসলে আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো জাতির অবস্থা বদলান না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের গুণাবলি বদলে ফেলে। আর আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে দুর্ভাগ্য কবলিত করার ফয়সালা করে ফেলেন, তখন কারও রদ করায় তা রদ হতে পারে না এবং আল্লাহর মোকাবিলায় এমন জাতির কোনো সহায় ও সাহায্যকারী হতে পারে না।’
যদি আপনি মনে করেন, জীবনে কিছুই অর্জন করতে পারছেন না এবং এতে যদি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন এবং অসহায় বোধ করেন-তা হলে এই বইটি আপনার জন্য।
যদি মনে করেন, আপনার মধ্যে কিছু করে দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার ফলে কিছুই করতে পারছেন না, তা হলে এই বইটি আপনার জন্য।
যদি মনে করেন, আপনার কাজ, পড়াশোনা, পরিবার-পরিজন, সামাজিক জীবন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে সময় মেলাতে পারছেন না, তা হলে এই বইটি আপনার জন্যই।
আপনি যখন এই বইটি পড়া শুরু করবেন, তখন প্রোডাক্টিভিটি ও দ্বীনকে এতদিন যেভাবে ভাবতেন, সেই ভাবনা সম্পূর্ণ পালটে যাবে। ইনশা আল্লাহ।
Shahriar Mohammad Aqib –
মুসলিম মানেই প্রোডাক্টিভ। অথচ বাস্তব চিত্র যেনো এর পুরোই ব্যতিক্রম। আমরা অনেকে “প্রোডাক্টিভিটি” বিষয়টাও জানি না।”প্রোডাক্টিভ মুসলিম”বইটি মূলত মুসলিমের জীবনকে কর্মময় ও সমৃদ্ধ করে ইহজগৎ ও পরকালীন জগতের সফলতা লাভের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ইসলামের বিধানগুলো এমন অসাধারণ ও চমকপ্রদ যে তা প্রতিটি মানুষকে শারিরীক, মানসিক সকল দিক থেকে প্রোডাক্টিভ করে। এমনকি মৃত্যুর পরেও মুসলিমের প্রোডাক্টিভিটি জারি থাকা সম্ভব। ভাবছেন তা আবার কী করে সম্ভব? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।আধুনিক বিভিন্ন গবেষণার আলোকে মুসলিম জীবনকে প্রোডাক্টিভ করে তুলতে অনেক পরামর্শ ও প্রয়োগিক উদাহরণ পাবেন এই বইতে। কীভাবে নিজের দায়িত্বগুলো সুন্দরভাবে ও শান্তিতে পালন করতে হয়,প্রোডাক্টিভ অভ্যাস গঠনের বিভিন্ন উপায় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে চমৎকার ও বোধগম্য ভাষায়। এককথায় বইটি আমাদের জীবনে চলার সকল ক্ষেত্রে প্রোডাক্টিভ হতে ব্যাপক সাহায্যকারী।