বই থেকে যে ১০টি বিষয় শিখবেন:
১. বরকতময় জীবনযাপনের সহজ কৌশল
২. ইসলাম ভিত্তিক জীবনের উদ্দেশ্য নির্ধারণ
৩. সুখী পরিবার ও ক্যারিয়ারের সন্ধান
৪. দুনিয়া ও আখেরাতে মহাকল্যনময় সাফল্য : আত্মসন্তুষ্টি, কনফিডেন্ট, মানসিক শান্তি ও সচেতনতা বৃদ্ধি
৫. মেডিটেশন এবং প্রজ্ঞা
৬. মানসিক চাপ, ভয় ও উদ্বেগ দূর করার উপায়
৭. মানসিক চাপমুক্ত জীবন যা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা দূর করতে পারে
৮. আনন্দ, প্রশান্তি ও পরিপূর্ণতা অর্জন
৯. মানসিক স্বচ্ছতা, আবেগের ভারসাম্য এবং প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি
১০. নিজের সাথে এবং অন্যের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন
Copyright © 2024 Seanpublication.com
Aliza anu –
প্রতিটা মানুষ চায় জীবনে সফল হতে,জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে।
জীবনটাকে অর্থময় করে তুলতে মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়।
সুখ এমন একটা জিনিস যার জন্য মানুষ অনেক পরিশ্রম করে। অনেক শ্রম এবং অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু একটা কথা প্রচলিত আছে না যে,
“টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না”
প্রকৃত সুখ কী তা আমরা আসলে অনেকেই জানি না।
যাকে আমরা সুখ ভাবি সেটা প্রকৃতপক্ষে সুখ হয় না।আর যাকে আমরা সুখ বলে স্বীকৃতি দিই না, দিন শেষে দেখা যায় সেখানেই আমাদের সুখ পড়ে আছে।
আল্লাহ্ কোরআনে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা সব কোরআনে উল্লেখ আছে। কিন্তু আমরা তা অনেকে জানি না। এ বিষয়ক অনেক গ্রন্থ আজ পর্যন্ত রচিত হয়েছে।
কিন্তু আমার কাছে মনে “প্রডাক্টিভ হ্যাপিনেস উইথ ইসলাম” এ বিষয়ে লেখা অনেক সুন্দর একটা বই যা আমাদের সকলের অবশ্যই পড়া উচিত।
বইটির লেখক জোবায়ের রুবেল । উনি একজন মোটিভেশিনাল স্পিকার।
এ যাবত অনেকেই মোটিভেশিনাল বই লিখেছে ।কিন্তু আমার কাছে এই বইটা একটু অন্য রকম লেগেছে।
এই বইটার ভাষা কেমন জানি হৃদয়ের মধ্যে গেঁথে যাওয়ার মত ছিল।
মনে হচ্ছিল লেখক আমাকে আপন করে নিতে চায়।
যেন তিনি আমাকে বলতে চান এসো তোমাকে শান্তির পথ দেখায়।
বইটা পড়ে আমি নিজের ভেতরে হালকা একটা ভাব টের পেয়েছিলাম। খুব শান্তি অনুভব হচ্ছিল। যেন অনেক বড় একটা বোঝা মাথা থেকে নেমে গেল। যেই শান্তি খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম,সেই শান্তির দিশা পেয়ে যেন গেলাম।
আসলে মানুষের যাবতীয় সুখ-সমৃদ্ধি সাফল্য ইসলাম এর মধ্যেই আছে। এটা কোন সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস করতে হবে।আমাদের যুগ যতই উন্নত হোক,যতই বিজ্ঞান উপরে উঠতে থাকুক মানুষের সুখ চৌদ্দশ বছর আগে বলে যাওয়া পথ নির্দেশনার মধ্যেই নিহিত আছে।এই কথাটাই লেখক বুঝাতে চেয়েছেন।
আমাদের প্রত্যেকের বাসায় কোন গ্রন্থ থাকুক বা না থাকুক কোরআনে কারিম সবার মাঝেই রয়েছে। আমরা দৈনন্দিন এই কোরআন পাঠ করি কিন্তু আমরা কোরানকে শুধুমাত্র জান্নাত প্রাপ্তির পথ অথবা উপদেশ গ্রন্থ হিসেবে দেখি। কিন্তু এর মধ্যে যে মানুষের লাইফস্টাইল উল্লেখ আছে তা আমরা কোনদিন খতিয়ে দেখিনি। কিন্তু আমাদের লেখক কোরআনকে দেখেছেন অন্যভাবে।তিনি এটাকে শুধুমাত্র উপদেশ গ্রন্থ হিসেবে দেখেন নি, বরং এটাকে সফলতার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে দেখেছেন। তিনি তার এই অভিজ্ঞতার কথাই এই বইয়ের মধ্যে উল্লেখ করেছেন।
তিনি এই গ্রন্থের মধ্যে দেখিয়েছেন কিভাবে মানুষ হ্যাপি হতে পারবে।কিভাবে সে তার জীবনকে সমৃদ্ধির উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারবে।মানুষ তার দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান কিভাবে করবে তাও তিনি উল্লেখ করেছেন। আর এসব কিছুই তিনি বর্ণনা করেছেন কোরআন হাদিসের আলোকে।
উনি বুঝাতে চেয়েছেন যাবতীয় সুখ ইসলামের মধ্যেই আছে। এটা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে নেই। এই পদ্ধতি ছাড়া কেউ যদি অন্য কোনো লাইফ-স্টাইল বাছাই করে নেয় তাহলে সে নিজেকে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবে। কারণ ইসলাম তো আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা একটা ধর্ম যিনি মহাশক্তিশালী এবং সব বিষয়ের উপরে যার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা। আর এই দ্বীনের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করেছেন যিনা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব।
এই সবকিছুই তিনি এই বইয়ের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন।
তো আর দেরি না করে এক কাপ কফি নিয়ে বইটা পড়া শুরু করা যাক।