ড. রাগিব সারজানি। একজন দরদি দাঈ, একজন কুশলী ইতিহাসবিদ। আলোচনার ময়দানে ও বইয়ের পাতায় তিনি তুলে ধরেন মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও অবদান, করণীয় ও প্রয়োজন। তিনি সমৃদ্ধ অতীতের গল্প শোনান, সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। তিনি ঘুমন্ত রাহবারকে জাগরণের আহ্বান জানান, দিগ্ভ্রান্ত পথিককে রাহবারের পথ দেখান। নন্দিত ও বরণীয় লেখক ড. রাগিব সারজানির এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ ‘মা-যা কাদ্দামাল মুসলিমুনা লিল-আলাম’। গ্রন্থটিতে তিনি তুলে ধরেছেন পৃথিবী ও মানবজাতির কল্যাণে মুসলিমজাতির উদ্ভাবন ও আবিষ্কার এবং কীর্তি ও অবদানের বয়ান। তথ্য ও যুক্তির মিশেলে তিনি রচনা করেছেন শ্রেষ্ঠতম জাতির নিখুঁত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য অভিধান। গ্রন্থটিতে আছে ঘুমন্ত রাহবার ও দিকহারা কাফেলা—উভয় শ্রেণির প্রয়োজনীয় তথ্যের চমকপ্রদ বিবরণ। গ্রন্থটি তাই হতে পারে প্রতিটি মুসলমান ও প্রতিটি মানবসন্তানের অধ্যয়ন-তালিকায় অমূল্য সংযোজন।
গ্রন্থটি ২০০৯ সালে মিশরের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘মুবারক অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সে দেশের ভাষায় অনূদিত ‘শ্রেষ্ঠ বই’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। ড. রাগিব সারজানির এ গ্রন্থটি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার পাশাপাশি পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ইন্দোনেশীয়, মান্দারিন ও রুশ ভাষায় অনূদিত ও বেশ সমাদৃত হয়েছে।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
Ruponti Shahrin –
বইয়ের নাম: মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে (১ম-৪র্থ খণ্ড)
লেখক: ড. রাগিব সারজানি
অনুবাদক: আবদুস সাত্তার আইনী (১ম, ২য় ও ৪র্থ খণ্ড) ও
উমাইর লুৎফর রহমান (৩য় খণ্ড)
আমরা তো ছিলাম দুর্জেয় জাতি। দুর্দমনীয় ছিল আমাদের ঈমানি শক্তি। আমরা ছিলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। তাহলে কেন আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় জাতিতে পরিণত হলাম?
মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে?
মুসলমান হিসেবে আপনাকে আমাকে জানতে হচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে, এর থেকে লজ্জাস্কর বিষয় আর কী আছে? তবুও গৌরবজ্জ্বল অধ্যায়গুলো খন্ডে খন্ডে জেনে নিতে হবে আবারও বীর দর্পে গর্জে ওঠার তাগিদে। আমাদের ঈমানী শক্তি আজ দুর্বল। কারণ, আমরা নিজেদের ঐতিহ্য, যশ ও খ্যাতি ভুলেছি। আমরা ভুলেছি কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে আমাদের তৎপরতার বীরত্বগাঁথা। আমরা নিজেদের গৌরবকে অহংকারে পর্যবসিত করেছি, বলেই আমাদের হাতে ব্যস্ততা রয়েছে কিন্তু মেধা, শৈল্পিক অভিরুচি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নেশা কেড়ে নেয়া হয়েছে।
জানতে ইচ্ছে করে না, কেন?
তাহলে জানুন বইগুলোর এক একটি খন্ডে এমন কী রয়েছে, যাতে করে আপনি জানতে পারবেন মুসলিমজাতির অধপতনে বিশ্ব কী হারালো। আর এই জাতির গৌরবজ্জ্বল দিনগুলো আপনাকে কী স্মরণ করিয়ে দিতে যাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ব আজকেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অবিরাম ছুটে চলেছে।
১ম খন্ডঃ
প্রাচীনসভ্যতাগুলোর সঙ্গে ইসলামের আবির্ভাবের পরবর্তী সময়ের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষণীয়। সেখানে ইসলামের বিকাশলগ্নে বিশ্বসভ্যতার দরবারে হঠাৎ করেই যেন বড় কোনো ধাক্কা খেল। গ্রিক, ভারতীয়, পারস্য, রোমানদের শাসন-দাপটের মানচিত্র যেন বদলে গেল নিমিষেই। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে গঠিত উদারপন্থী উন্নত জাতিগোষ্ঠী ইসলামি সভ্যতার মুলনীতি ও ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বজনীনতা, একত্ববাদ, ভারসাম্য ও মধ্যপন্থা, নৈতিকতা, মানবাধিকার, নারীর অধিকার, মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলল। মানবজাতির জন্য এ ছিল স্বাধীনতার উন্মুক্ত সোপান। পরিবার, সমাজ, রাস্ট্র, মুসলিম ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কন্নয়নের পর জ্ঞানের নতুন দর্শন ও দীক্ষার, বিজ্ঞান চর্চায় পরীক্ষা ও প্রায়োগিক দিক বিবেচনা জ্ঞানের আমানতকে ইসলাম যেন বহুগুণে উৎকর্ষ সাধন করেছে।
২য় খন্ডঃ
মক্তব, মসজিদ, মাদরাসা ও বিদ্যালয়। গ্রন্থাগার, জ্ঞান চর্চার আসর, জ্ঞানের পাঠশালা, জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞানী সমাজের বিকাশের জন্য ইসলামি সভ্যতার অবদান বলে শেষ করা যায় না। তবুও আমরা এই যুগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছি। কারণ আমরা আমাদের জাতির ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নই। আমরা সেই চূড়ান্ত রুপরেখা ধরে রাখতেও পারিনি। যেখানে জীবনঘনিষ্ঠ বিজ্ঞানে মুসলমানদের কর্মপদ্ধতিগুলোই আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যবহৃত হচ্ছে। নতুন বিজ্ঞানের উদ্ভাবন কম্রাগত চলমান প্রক্রিয়া ছিল, যেখানে প্রচলিত শাখাগুলোর বিকাশসহ আকিদা, চিন্তা-সাহিত্যের ক্ষেত্রে দর্শন, ইতিহাস, সমাজ ও শরীয়াহ সংশ্লিষ্ট জ্ঞানকে উচ্চমর্যাদায় প্রাধান্য দেয়া হত।এরপর উদাহরণস্বরুপ বহু বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও গ্রন্থের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।
৩য় খন্ডঃ
এখন শুধু আমরা আরবী লিপিকলা ও অলংকরণ সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানি। কালের বিবর্তনে হয়ত অল্প কিছু নিদর্শন চোখেও পড়ে। বিস্তারিত ইসলামি স্থাপত্যকলার ইতিহাস, শিল্প-সামগ্রীর সৃজনশীলতা, পরিবেশের সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার মোহনীয় বাহার যে কুরআন ও সুন্নাহর অবদান তা বইটি পড়লে চিত্রসহ খুঁটিনাটি জানতে সাহায্য করবে। মানুষের সুন্দর রুচিবোধ, পোশাক, ঘরবাড়ি, পদমর্যাদা, বৈচিত্রমন্ডিত শহর, নগরায়ন, শিল্পায়ন, নীতি-নৈতিকতা সবকিছু ‘চেইন অব কমান্ড’ ও শাখা-প্রশাখার পরিমার্জন সমাজে নিয়ে এসেছে আলোড়ন।
৪র্থ খন্ডঃ
ইসলামি সভ্যতার মূল্যায়নে পশ্চিমা সুবিবেচকদের স্বীকৃতি ও মতামত আগের খন্ডেই উঠে এসেছে। যেখানে দুর্গ, খিলান, বিভিন্ন স্ট্র্যাকচারে ফুলেল-জ্যামিতিক নকশার চিত্রিত বিবরণ আপনাকে সভ্যতার সেতুবন্ধন এঁকে দেবে। সভ্যতার প্রভাবে বিশ্বের কোথায় ইসলামের হাওয়া লাগেনি আপনি খুঁজেই পাবেন না।
এরপর রাজনৈতিক অঙ্গনে খিলাফতের গুরুত্ব, মন্ত্রনালয়, বিভাগ-কার্যালয়, বিচারব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা ও সরাইখানার প্রসার মানবিকবন্ধন সুদৃঢ় করার পাশাপাশি অপরাধ দমন, জনগণের সাথে শাসকের সম্পর্কের বিরলচিত্র উপস্থাপন, এ যেন মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানের অনস্বীকার্য বাস্তবায়ন।
এমন কোনো সেক্টর বা শাখা অবশিষ্ট নেই যেন মুসলিমজাতির অবদানের আলোর বর্ণিলছটা পৌঁছায়নি। তবে মুসলিম হয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্বের ভুক্তভোগী না হয়ে, এখনি পড়ুন। এ লড়াই জাতির গৌরবের লড়াই। আমাদের জ্ঞানের দরবারে জ্বলে ওঠার নয়া দাস্তান।
পাঠ উপলব্ধি ও পাঠ পর্যালোচনাঃ
মুসলমান হিসেবে জাতির ঐতিহ্য ও অবদানকে যেমন আমরা ভুলতে বসেছি, তেমন ভুলতে বসেছি অতীত সম্পর্কে আমাদের কী জানা প্রয়োজন ছিল। মুসলমান জাতির এই চরম সংকটাপন্ন মুহূর্তের জন্য আমাদের এই হীনমন্যতা দায়ী। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে অতীত পরিচয় জেনে নিতে হবে। ঠিক কোথা থেকে শুরু করলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা আমাদের অতীত গৌরব ফিরে পাবো, তা আলোচিত হয়েছে প্রতিটি খন্ডে। বিজ্ঞানের সুপ্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মুসলিম বিজ্ঞানীরা যে অভাবনীয় সাফল্য রেখে গেছেন, তাঁর সারনির্যাস গ্রহণ করে অমুসলিমরাও এখন ক্ষমতাশীন।
সময়ের আগে চলবার ক্ষমতা হয়ত মানুষের নেই। কিন্তু মুসলিম জাতির জ্ঞান ও গরীমা তাঁদের পরিশ্রম, মেধা, অধ্যয়ন, চর্চা ও অনুশীলনের গভীর আত্মপ্রত্যয় যা কিছু এনেছিল, তা এখন ইতিহাস। কীভাবে তা বাস্তবে রুপ দিতে হবে তা এখন সময়ের দাবী। ড. রাগিব সারজানি তাঁর ‘মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে’ বইটিতে প্রত্যেকটি অধ্যায় সুনিপুণভাবে সাজিয়েছেন। ঐতিহাসিক নিদর্শনের প্রমাণসহ, মুসলিমদের কাজের এক একটি সুক্ষ্ণ পর্যালোচনা প্রত্যেকটি খন্ডকে মেধা বিকাশের মাধ্যম করেছে, করেছে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত। যা নিজের চিন্তাভাবনাকে শান দেবে।
প্রাচ্য ও পশ্চিমাদের দখলদারেরা পৃথিবীর চোখে নিজেদের নাফরমানি সফেদ চাদরে ঢেকে মুসলিমদের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। সবই প্রপাগান্ডা। ফলে, বর্তমান প্রজন্ম মুসলমানদের ইতিহাসকে জানে দুর্বল, পরাজিত ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে। এ দায় কার?
আমাদের অন্ধ মানসিকতা আর পশ্চিমাদের তৈরি জালের মরীচিকার মাঝে ডুবে থাকা মাথাটিকে একটু তুলে ধরলে দেখতে পাবো উন্নতির সোপান। যেখানে জানা ও মানার জন্য এক ভিন্নধর্মী প্রশ্ন জন্ম দেবে- ‘মুসলিম জাতি বিশ্বকে কী দেয়নি?’
চিত্রসহ আলোচনা আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে। তার চেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে এর সুচীপত্র। কন্টেন্ট সাজানোর ধরণ ও এর সমৃদ্ধ আলোচনা। এ কোথা অনস্বীকার্য যে ইতিহাসের বই হিসেবে চার খন্ডও অতি সংক্ষেপ। আর ইসলামের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। ইসলামের ইতিহাস ও মুসলিম জাতির অবদানের ইতিহাসে কিঞ্চিত পার্থক্য রয়েছে। এক হলো ধর্মের, আরেকটি হলো ধর্মাবলম্বীদের ইতিহাস।
এমন কী হলো, যার কারণে বর্বর ও অসভ্য জাতি হিসেবে খ্যাত আরব জনগোষ্ঠী বিশ্বের সবচেয়ে সভ্য ও উন্নত জাতি হিসেবে পরিণত হলো? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে পুরো সিরিজটি শেষ না করে ওঠা যায় না।
এ ধরনের প্যাকেজের তুলনা শুধু সেই সমগ্রতেই। আপনি মুসলিম জাতির অবদানের খুঁটিনাটি জানতে চান, একাগ্র চিত্তে বইগুলো পড়তে হবে। সাধারণ ভুলত্রুটি খোঁজার জন্য বইগুলো পড়তে বসিনি। আমার কাছে ভালো লেগেছে ডাটা কালেকশনের জন্য লেখকের পরিশ্রমকে। আর অনুবাদকের সাবলীলতাকে। সবমিলিয়ে এক সুখপাঠ্য সমগ্র।
Aliza anu –
কোন বই পড়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করি।বইটা কেন পড়ব? বইটা পড়ে কী লাভ হবে?
এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলে
বইটা সুন্দর করে শেষ করা যায়।এই বই এর ক্ষেত্রেও আমি একই কাজ করেছি।
“মুসলিম জাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে” বইটা কেন পড়ব?
———‐————————————
আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম যারা ভাবে পৃথিবীর সকল উন্নতি পাশ্চাত্য সভ্যতার অবদান।
কিন্তু একদিন ক্লাসে স্যার মুসলিমদের কিছু অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বিষয়টা আমার কাছে আশ্চর্য লেগেছিল।
এ কি সম্ভব?
সেদিন থেকে এই বিষয়ে বই খোজা শুরু করি।অবশেষে “মুসলিম জাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে” বইটা পেয়ে যায়।
এই বইটিতে লেখক উন্নতির প্রতিটা ক্ষেত্রেই মুসলমানদের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রথমে লেখক ইসলামের আগমনের পূর্বে বিশ্বের কী অবস্থা ছিল সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।তারাও জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করেছিল।কিন্তু তাদের চারিত্রিক অধঃপতন এর কারণে বেশী দূর আগাতে পারেনি।
এই বই এর মধ্যে দেখানো হয়েছে যে,শুধুমাত্র জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করলে হবে না।বরং চরিত্রের দিক দিয়েও উন্নত হতে হবে।
তাছাড়া ইসলামি সভ্যতার ভিত্তি কী,ইসলামি সভ্যতার বৈশিষ্ট্য কী,চরিত্র ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে ইসলামি সভ্যতার অবদান এই সব বিষয়েও তিনি আলোচনা করেছেন।
এ ছাড়াও জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা
যেমন:চিকিৎসা বিজ্ঞান,পদার্থবিজ্ঞান, আলোকবিজ্ঞান, জ্যামিতি,ভূগোলবিদ্যা,জ্যোতির্বিজ্ঞান ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিছু তাক লাগার মতো বিষয় হলো,এমন অনেক কিছু আছে যেগুলো আমরা মনে করি পাশ্চাত্য সভ্যতার অবদান । অথচ এটা যে সর্বপ্রথম মুসলিমরা আবিষ্কার করেছে তা আমাদের কারো জানা নেই।
যেমন:Robot আবিষ্কার।
যন্ত্র প্রকৌশলী ,বিজ্ঞানী বদিউজ্জামান আবুল ইযয ইসমাইল ইবনে রাযায জাযারির হাতে যন্ত্রমানবের প্রযুক্তি সূচিত হয়েছিল। তিনি হিজরী ষষ্ঠ শতকে তার জীবন কাটিয়েছেন। তিনি প্রথম Robot উদ্ভাবন করেছিলেন যা ঘরের মধ্যে সেবাদানের সক্রিয় ছিল
কী লাভ এই বই পড়ে
———————
আজ আমাদের নিজেদের অবস্থা দেখে আমরা হতাশ। এর একটা কারণ তো আমরা কোরআন সুন্নাহ ছেড়ে দিয়েছি,কিন্তু আরেকটা কারণ নিজেদের ইতিহাস ভুলে গিয়েছি।আজ আমরা হীনমন্যতায় ভুগি।হতাশা ছাড়া কিছুই দেখি না। আর দেখি পাশ্চাত্য সভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছে। তাই আমরা শুধুমাত্র তাদেরকে অনুসরণ করি এবং নিজেদের গৌরবদীপ্ত ইতিহাস ভুলে যায়। এই বইটা পড়ার দ্বারা আমরা নিজেদের ইতিহাস জানতে পারবো।কেননা ইতিহাস মানবজীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে।ইতিহাস পাঠ করার দ্বারা মানুষ অনেক পাথেয় লাভ করতে পারে।