চারপাশে চোখ মেলে তাকান। স্কুল-কলেজ ইউনিভার্সিটি কিংবা রাস্তাঘাট, সর্বত্রই অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। এক উন্মাদ তরুণ প্রজন্ম আমাদের চোখের সামনে ঘুরঘুর করে। যাদের না আছে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য, না আছে কোনো প্ল্যান-পরিকল্পনা। এদের উদ্দেশ্য কেবল মজ-মাস্তি-এনজয়।
এই যে একটা উন্মাদ প্রজন্ম দেখতে পাচ্ছেন, এর পেছনে কে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে? যিনা-ব্যভিচারের পথ কে তৈরি করে দেয়? ইসলাম থেকে কে দূরে সরায়?
—মিউজিক।এটা অন্তরে নিফাকের বীজ বপন করে, শিরকের বীজ বপন করে। মানুষ যখন গান-বাজনার প্রতি আগ্রহী হয়, আসক্ত হয়, তখন এটা অন্তরের মদে পরিণত হয়। ইবনু তাইমিয়্যা (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “বাদ্যযন্ত্র অন্তরের মদ। মদের মতো এটিও অন্তরে নেশা সৃষ্টি করে।” (মাজমূউল ফাতাওয়া, ১০/৪১৭)এই নেশার ঘোরের কারণে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। একজন মানুষের অন্তরে গান-বাজনার প্রতি যত বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়, সে দ্বীনদারি থেকে তত বেশি দূরে সরে যায়। ইসলামকে সে আর হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারে না। কুরআনের তিলাওয়াত শুনে মজা পায় না। নিফাকে জর্জরিত অন্তর থেকে একটা সময় আল্লাহর ভয় পুরোপুরি বিদায় নেয়। হারিয়ে যায় ঈমানের শেষ বিন্দুখানি।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
Muhammad Tamimul Ihsan –
|| বুক রিভিউ||
শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল নিঃসন্দেহে একজন বিশ্বখ্যাত মাজলুম আলেম।আমেরিকায় আছেন নজরবন্দি হিসেবে।যাইহোক,তার লেখা প্রায় প্রতিটি বইই পাঠকের হৃদয় কাড়ে নিতে বাধ্য।সেরকমই একটি বই হচ্ছে “মিউজিক শয়তানের সুর”বইটি।
মিউজিক অন্তরে নিফাকের বীজ বপন করে, শিরকের বীজ বপন করে। মানুষ যখন গান-বাজনার প্রতি আগ্রহী হয়, আসক্ত হয়,তখন এটা অন্তরের মদে পরিণত হয়। একজন মানুষের গান-বাজনার প্রতি যত বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়, সে কুরআন-সুন্নাহ থেকে তত বেশি দূরে সরে যায়।
মিউজিক এমন এক নেশা যার ঘোরের কারণে মানুষ তার স্বীয় রবকে ভূলে যায়।যে মানুষটার গান-বাজনার প্রতি যত আসক্তি,তার দ্বীনদারিতার প্রতি ঠিক ততটাই অনীহা।এই মিউজিকের নেশায় ইসলামকে এবং কুরআনের সেই সুমধুর তেলাওয়াত শুনে মজা পায় না
বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে মিউজিকের শরয়ী হুকুমাত হিসেবে।প্রথমেই আনা হয়েছে কুরআনের দালীলকে,এরপর দালীল দেওয়া হয়েছে সুন্নাহ থেকে আর ঠিক তার পরপরই আনা হয়েছে উম্মাহর বরেণ্য সন্তান চার মাজহাবের ইমামসহ অন্যান্য বরেণ্য ইমামদের অভিমত বা ফাতওয়া।শেষমেশ শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল উপসংহার টেনেছেন,যারা গান-বাজনাকে হালাল বলে মনে করে দালীল দেয় তাদের সেই দালীল খন্ডন করে
ব্যক্তিগতভাবে মতামত দিলে বলতেই হয় অনুবাদকের অনুবাদ অনেক সাবলীল আর মনোমুগ্ধকর।আমাদের তরুণদের সকলেরই বইটা উচিৎ একবার হলেও বইটা। ৩২ পৃষ্ঠার ছোট্ট বইটা যে কি পরিমাণ গুরুত্ব বহন করে থাকে তা পাঠক বইটি না পড়লে বুঝানো সম্ভব না।বইটা একটা মাস্টারপিস বই।
মাআসসালাম…….!!
বই: মিউজিক শয়তানের সুর
লেখক: শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ইউসুফ শাহ
প্রকাশনী: সমর্পণ প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩২ পৃষ্ঠা
প্রচ্ছদ মূল্য: ৪৭ টাকা
ব্যক্তিগত রেটিং :৪/৫
▪︎ রিভিউয়ার : মুহাম্মাদ তামীমুল ইহসান
Amit Hasan –
■ বই রিভিউ- মিউজিক : শয়তানের সুর
“অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে, যারা বাদ্যযন্ত্র ও গান-বাজনাকে হালাল মনে করবে।” [১]
বর্তমান সময়ে আজকের আধুনিক সমাজে এই হাদীসের বাস্তবতা যেন সূচারেরূপে প্রতীয়মান। পশ্চিমা শক্তির প্রভাবে গান-বাজনা আজ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। যা মোটেও সুখকর নয়। কারণ এই গান বাজনা আমাদের অন্তর থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা মুছে দিচ্ছে। যার ফলাফল আমরা ইসলাম থেকে আজ অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছি। উম্মাহর এই সংকটময় সময়ে আলোচ্য বইটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
বইটির শুরতেই কুরআন হতে তিনটি দলীল আলোকপাত করা হয়েছে। এরপর হাদিসের আলোকে তিনটি দলিল আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে গান-বাজনার ব্যাপারে মহান চার ইমামসহ ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা রহ. ও অন্যান্য আলিমগণের অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বইটিতে বাদ্যযন্ত্র ধ্বংসের ব্যাপারে, উৎপাদনের ব্যাপারে আলিমদের মতামত তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে অকাট্য সকল দলীলের মাধ্যমে বাদ্যযন্ত্র যে হারাম তা প্রমাণ করা হয়েছে। দফের বিষয়টি যে ব্যতিক্রম তা সুন্নাহর আলোকে আলোকপাত করা হয়েছে। সর্বশেষে যারা গান বাজনা হালাল মনে করে তাদের কিছু ভ্রান্ত ও অমূলক ধারণা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে যুক্তিখন্ডনের মাধ্যমে অপনোদন করা হয়েছে।
বইটির প্রতিটি আলোচনা ও দলিলসমূহ কুরআন, হাদিস ও সালাফদের উক্তিমালার আলোকে আলোচিত এবং যথাযথ রেফারেন্স সহিত উল্লেখিত। অনুবাদ যথেষ্ট সাবলীল লেগেছে। আশা করি বইটি পাঠের মাধ্যমে একজন পাঠক বা পাঠিকা মিউজিকের অপকারিতা উপলব্ধি করতে পারবে এবং তাদের চিন্তা চেতনায় মননশীল ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে ইনশাআল্লাহ..
■ ফুটনোট-
১। সহিহ বুখারি- ৫৫৯০
■ একনজরে বই-
নাম- মিউজিক শয়তানের সুর
মূল- শাইখ আহমাদ মূসা জিবরিল
অনুবাদক- মুহাম্মদ ইউসুফ শাহ
পৃষ্ঠা- ৩২
প্রচ্ছদ মূল্য- ৪৭ ৳
প্রকাশনী- সন্দীপন প্রকাশন
Meher Afroz –
📙বুক রিভিউ📘
বইঃ মিউজিক শয়তানের সুর
লেখকঃ শাইখ আহমাদ মূসা জিবরিল
প্রকাশনীঃ রুহামা পাবলিকেশন
➤কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান? ডিজে সং লাগবে!
➤ স্কুলের বা কলেজের নবীনবরণ? সাউন্ড বক্স লাগবে, বাদ্য যন্ত্র লাগবে!
➤সুন্নাতে খৎন্নার অনুষ্ঠান? হিন্দি গান না বাজালে হবেই না!
হায় রে মিউজিক! আজকাল যেন মিউজিক ছাড়া কিছু চলেই না।অথচ, ইবনু তাইমিয়্যা বলেছেন, ‘মিউজিক হলো অন্তরের মদ। মদের মতো এটিও অন্তরে নেশা সৃষ্টি করে।’ (মাজমূউল ফাতাওয়া, ১০/৪১৭)
মিউজিকের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে উম্মাহ’ কে বাঁচাতে লেখক রচনা করেছেন ছোট্ট একটি বই ‘মিউজিক শয়তানের সুর’।
পাঠানুভুতিঃ—
একটা সময় যখন গান শুনা হতো তখন, সে গান গুলো যেন আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রাখত, মুখে মুখে সুরটা চলতেই থাকত।আর এক সময় তা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ত আরেকজনের মুখে। মূলত এটা চলত অবচেতনে। আশ্চর্য! শয়তান কত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করেই না আমাদের ডুবিয়ে রাখে এসবে। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণে এখন এর ভয়াভয়তা জানার পর এসব থেকে মুক্তি পেয়েছি। বইটি গান শোনা থেকে বের হয়ে আসতে আল্লাহর ভয় জোগাবে।ইন শা আল্লাহ।
নামে মাত্র মূল্যের এই অতিমূল্যবান বইটি ক্রয় করে ছড়িয়ে দিন আপনার বন্ধু- বাবা/মা কিংবা প্রতিবেশীদের কাছে।যারা সয়তানের ফাঁদে পরে মিউজিকের নেশায় মত্ত হয়ে রয়েছেন।আল্লাহ সকলকে সহিহ বুঝ দান করুক।আমিন।
রিভিউদাতাঃ Meher Afroz
Meher Afroz –
📙বুক রিভিউ📘
বইঃ মিউজিক শয়তানের সুর
লেখকঃ শাইখ আহমাদ মূসা জিবরিল
প্রকাশনীঃ সন্দীপন পাবলিকেশন
➤কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান? ডিজে সং লাগবে!
➤ স্কুলের বা কলেজের নবীনবরণ? সাউন্ড বক্স লাগবে, বাদ্য যন্ত্র লাগবে!
➤সুন্নাতে খৎন্নার অনুষ্ঠান? হিন্দি গান না বাজালে হবেই না!
হায় রে মিউজিক! আজকাল যেন মিউজিক ছাড়া কিছু চলেই না।অথচ, ইবনু তাইমিয়্যা বলেছেন, ‘মিউজিক হলো অন্তরের মদ। মদের মতো এটিও অন্তরে নেশা সৃষ্টি করে।’ (মাজমূউল ফাতাওয়া, ১০/৪১৭)
মিউজিকের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে উম্মাহ’ কে বাঁচাতে লেখক রচনা করেছেন ছোট্ট একটি বই ‘মিউজিক শয়তানের সুর’।
পাঠানুভুতিঃ—
একটা সময় যখন গান শুনা হতো তখন, সে গান গুলো যেন আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রাখত, মুখে মুখে সুরটা চলতেই থাকত।আর এক সময় তা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ত আরেকজনের মুখে। মূলত এটা চলত অবচেতনে। আশ্চর্য! শয়তান কত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করেই না আমাদের ডুবিয়ে রাখে এসবে। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণে এখন এর ভয়াভয়তা জানার পর এসব থেকে মুক্তি পেয়েছি। বইটি গান শোনা থেকে বের হয়ে আসতে আল্লাহর ভয় জোগাবে।ইন শা আল্লাহ।
নামে মাত্র মূল্যের এই অতিমূল্যবান বইটি ক্রয় করে ছড়িয়ে দিন আপনার বন্ধু- বাবা/মা কিংবা প্রতিবেশীদের কাছে।যারা সয়তানের ফাঁদে পরে মিউজিকের নেশায় মত্ত হয়ে রয়েছেন।আল্লাহ সকলকে সহিহ বুঝ দান করুক।আমিন।
রিভিউদাতাঃ Meher Afroz