যার কাছ থেকে কোনো প্রশ্রয়, সুবিধা কিংবা দয়া-করুণা লাভ করা হয়, তার প্রতিই একটা যে দায়িত্ব থেকে যায়, তা যেকোনো বুঝদার লোকই মেনে নিতে বাধ্য। আল্লাহ তায়ালার পর মা-বাবা ছাড়া আর কেউ এমন অত্যধিক দয়া-মায়ায় আমাদেরকে আগলে রাখেন না কখনোই। সীমাহীন কঠোর যাতনার ভেতর দিয়ে মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে থাকেন; অতঃপর তারচেয়েও তীব্র ব্যথা-বেদনা সয়ে জন্ম দেন আদরের সন্তানকে। অজস্র নির্ঘুম রাত কাটিয়ে, নিজের শত-সহস্র চাওয়া-পাওয়াকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেই সন্তানকে প্রতিপালন করেন সাধ্যের সর্বোচ্চটুকুন উজাড় করে দিয়ে। প্রতিটি সময়ে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের চেয়ে সন্তানের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটু একটু করে গড়ে তোলেন বুকের মানিককে।
আর বাবা? তিনিই তো আসলে সন্তানের অস্তিত্বের কারণ। আদর-ভালোবাসা আর কঠোর পরিশ্রম ব্যয়ে সন্তানের জন্য সুখ কিনে আনেন রক্তে আর ঘামে। তাই বিবেকবান মাত্রই এমন দয়া-করুণাময় লালনপালনের প্রতিদান যে তার অবশ্য কর্তব্য, তা তিনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এমন মহৎ দানের স্বীকৃতি না দেয়া যে কত ঘৃণ্য অপরাধ, তা বলাই বাহুল্য; বিশেষত সন্তান যদি এরপরও মা-বাবার প্রাপ্য অধিকার প্রদান এবং সদাচরণে বিমুখ থাকে, তাহলে নিছক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবেই তা গণ্য হবে।
মা-বাবার প্রতি দায়িত্ববান আর সদাচারী সন্তানের একটা কথা কান খুলে শুনে রাখা দরকার। সেটা হলো, যত রকমের উপায়েই সে সচেষ্ট হোক না কেন, কোনো কিছুতেই সে মা-বাবার এই ঋণ শোধ করতে সক্ষম হবে না।
Reviews
There are no reviews yet.