Copyright © 2024 Seanpublication.com
কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম (পেপারব্যাক)
- লেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
- পাবলিকেশন : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
- বিষয় : তাবলিগ ও দাওয়াহ, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, বিশ্বাস ও ধর্মতত্ত্ব, মিশনারি ও এনজিও তৎপরতা, সকল প্রকাশক
Author : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
Category : তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব
৳40 ৳30
You Save TK. 10 (25%)
কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম (পেপারব্যাক)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (2)
2 reviews for কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম (পেপারব্যাক)
Add a review Cancel reply
Mahbubul Islam Borshon –
১৯৭৮ খৃস্টাব্দে আমেরিকার কলরাডোর (Colorado) কলরাডো স্প্রীংস (Colorado springs) শহরে (north American conference on muslim evangelization): ‘মুসলিমদের খৃস্টান বানানো বিষয়ে উত্তর আমেরিকান সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে মিশনারিগণ পরবর্তী অর্ধশতকের মধ্যে বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার কয়েকটি মুসলিম দেশকে খৃস্টান-প্রধান দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নেন। তারা প্রচার-পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। নিজেদেরকে মুসলিম, ঈসায়ী তরীকার মুসলিম বলে পরিচয় দেওয়া, ধর্মান্তরিতদের নামায-রোযা, ঈদ-মীলাদ বহাল রাখতে বলা.. ইত্যাদি। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সহস্রাধিক প্রচারক একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন। আর এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যা! মিথ্যার মাধ্যমেই তারা সরলপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্ত করে চলেছে। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে আমরা দেখি, ৫০ বৎসর আগেও বাংলাদেশে কয়েক হাজার খৃস্টান ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলিম খৃস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা এ থেকেই স্পষ্টভাবে অনুমান করা যায়। কিছুদিন আগের ওমর ফারুক ত্রিপুরার (রাহিমাহুল্লাহ) ঘটনা থেকেও পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তার একটা ধারণা হয়তো অনেকেই পেয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে খৃস্টান মিশনারিদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে না হলেও একটা পরিষ্কার স্পষ্ট ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের আলোচ্য বইটি সেই উদ্দেশ্যেই লিখা। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদীস বিভাগের অধ্যাপক প্রয়াত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. ছোট এই বইটির মধ্যে সংক্ষেপে খৃস্টান মিশনারিদের মিথ্যাচারের একটা পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
সময়ের অভাবে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানার সুযোগ হয়তো আমাদের অনেকেরই হয়ে উঠে না।তবে ছোট এই বইটির মাধ্যমে যে আমরা খুব সহজেই এই বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবো সেটা বলাই যায়। বইটি সকলের পড়া উচিত।
Rehmatullah Sojol –
১৯৭৮ সালে আমেরিকার কলরাডো রাষ্ট্রের কলরাডো স্প্রীংস শহরে North American conference on Muslim evangelization অর্থাৎ, ‘মুসলিমদের খৃষ্টান বানানো বিষয়ে উত্তর আমেরিকার সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে মিশনারিগণ পরবর্তী অর্ধশতকের মধ্যে বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার কয়েকটি মুসলিম দেশকে খৃষ্টান-প্রধান বানানোর পরিকল্পনা করেন। এ উদ্দেশ্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সহস্রাধিক প্রচারক তাদের কাজ করে চলেছেন।
সেই সম্মেলনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে খৃষ্টান মিশনারিদের প্রচার পদ্ধতি গতানুগতিক প্রচার পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন। এরা দেখেছে এদেশের বেশিরভাগ মুসলিমই নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই, এরা নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলমান দাবি করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে এবং খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে। এরা নিজেদের বাইবেলকেও দিয়েছে ইসলামি নাম—’কিতাবুল মোকাদ্দস’। এই বইটিকে তারা তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের শিক্ষার সম্মিলিত রুপ দাবি করে ইসলামের ওপর কালিমা লেপন করছে এবং মুসলিমদের করছে বিভ্রান্ত।
ইসলামের ওপর এই কালিমা লেপনের জবাব দিতে এবং মুসলিমদেরকে তথাকথিত ‘ঈসায়ী মুসলমান’দের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ কলম ধরেন। লিখে ফেলেন – ‘কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম’ নামের বইটি। বইটি প্রকাশিত হয়েছে আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন থেকে।
• বইটির বিষয়বস্তু:
বইটিতে সংক্ষিপ্ত আকারে মোট উনিশটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ প্রথমেই স্যার রাহিমাহুল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা লিখেছেন। এরপর প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন, ঈসা মাসিহের ধর্মে মিথ্যার অনুপ্রবেশ নিয়ে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসেছে প্রচলিত ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’ এর সাথে তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের তূলনামূলক আলোচনা। এরপর ধাপে ধাপে স্যার রাহিমাহুল্লাহ এনেছেন ইঞ্জিলের বিকৃত হওয়ার ইতিহাস, সাধু পলের আবির্ভাব, সাধু পলের প্রচারিত ধর্মের সাথে ঈসা আ. এর ধর্মের বৈপরীত্য, খৃষ্টানদের ধর্মগ্রন্থগুলোরমধ্যে পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা ইত্যাদি বিষয়গুলোসহ আরো নানান গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা৷ প্রত্যেক অধ্যায়ে স্যার রাহিমাহুল্লাহ দেখিয়েছেন খৃষ্টান ধর্মের ভিত কতটা নড়বড়ে। ইসলাম নিয়ে তাদের আপত্তিগুলো যে কতটা দুর্বল ও অযৌক্তিক সেটা বোঝা যাবে বইটি পড়লেই। সর্বেশষ অধ্যায়ে স্যার রাহি. মুসলিমদের প্রতি একটি নিবেদন রেখেছেন। সেখানে তিনি মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থামিয়ে মিশনারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আবেদন করেছেন।
• বইটির ভালো দিক-খারাপ দিক:
বইটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো, বইটিতে স্যার রাহিমাহুল্লাহ অনেক ছোট কলেবরে, মাত্র ৮০ পৃষ্ঠায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নিয়ে এসেছেন। সাথে সাথে বইয়ের মূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ২০ টাকা। যাতে এটা সবার জন্য সংগ্রহ করা ও পড়া সহজ হয়। বইটি পড়ার পর, খৃষ্টান ধর্ম সম্পর্কে মোটামুটি কম্প্রিহেন্সিভ একটা ধারণা পেয়েছি। ইসলাম নিয়ে তাদের অপপ্রচারের জবাবগুলো পেয়েছি। আর খারাপ দিক বলতে গেলে শুধুমাত্র কিছু বানান ভুল আর টাইপিং মিস্টেক ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি।
পরিশেষে, সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা স্যারের এই বইটা অবশ্য অবশ্যই স্যারের এই বইটি পড়বেন। এই বইয়ের কন্টেন্টগুলো নিয়ে পরিবার এবং সমাজে আলোচনা করবেন। যাতে, জনসাধারণের মাঝে সতর্কতা সৃষ্টি হয়। কেউ তাদেরকে ‘ঈসায়ী মুসলমান’ সেজে ধোঁকা দিতে এলে তারা যেনো তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে বরং মুখের ওপর জবাব দিতে পারে।
আল্লাহর কাছে মিনতি, তিনি যেনো আমাদেরকে তাঁর দ্বীনের ওপর অটল রাখেন এবং আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কুফফারদের সাথে লড়ার তৌফিক দেন।
__________________________
বই: কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম
লেখক: ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৮০
প্রচ্ছদ মূল্য: ৪০
প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন