যখনি এই উম্মাহ অভ্যন্তরীণ বা বহিরাগত কোনো হুমকির সম্মুখীন হত, আল্লাহ তা’আলা তাদের মধ্য থেকে বের করে আনতেন শায়খ, নেতা, এবং এমনসব জামাত, যারা ইতিহাসের থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়তো মিথ্যাকে প্রতিহত করতে এবং অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা সত্যকে তুলতো জাগিয়ে।
.
আজ, এই সম্মানিত উম্মাহ্ সব দিক থেকে কোণঠাসা হয়ে আছে, অভিশপ্তদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে, পিষ্ট হচ্ছে এদের শিশুদের দেহগুলো, জুলুমের শিকার নারীদের আত্ম-চিৎকার যেন আজ কেউ শুনতে পায় না। একটি দেহের মত গড়ে উঠা জাতি এখন নিজ নিজ জাতীয়তাবাদের জয়গান গাচ্ছে, দায়িত্ব থেকে হাত পা গুটিয়ে বসা যুবকগুলো এখন মিডিয়ার প্রদর্শিত খেলা নিয়ে মেতে আছে, মাদরাসা নামক দুর্গগুলো দয়া পাবন্দির স্থানে পরিণত হয়েছে, মিনারগুলো কোনো এক অজানা কারণে গেছে নীরবতায় ছেয়ে, এমন দৃশ্যপট সজাগ হৃদয় মাত্র যে কাউকে ব্যথিত করবে।
.
কিন্তু ইসলামী ইতিহাসের একজন পর্যবেক্ষকের কাছে এই পরিস্থিতি নতুন বা হতাশার কিছু নয়। আসলে, এই পরীক্ষাগুলো উম্মাহকে পুনর্জাগণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এসব মূলত আল্লাহর পরিকল্পনার অংশ। তিনি এর দ্বারা তাঁর আমাদেরকে ফিল্টার করছেন। তাঁর পদ্ধতিতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবেই। আর সেই নিগৃহীত ইতিহাসের শিক্ষাই পারে আমাদের সম্মানের ফিরিয়ে দিতে।
উমর রদ্বী বলেন, ‘আমরা ছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে লাঞ্ছিত জাতি। সেই আমাদেরকেই আল্লাহ তা’আলা ইসলাম দ্বারা সম্মানিত করেছেন। যদি আমরা একে ছেড়ে অন্য কিছুতে সম্মান খুঁজি, তিনি আমাদেরকে আবার লাঞ্ছনার জীবনে ফিরিয়ে দিবেন।”
এই উমর ইবনুল খাত্তাব ইসলামের ইতিহাসে এক স্বর্ণ-খোদিত নাম। তাঁর খেলাফত কালেই এই উম্মাহ পেয়েছিল পৃথিবীর অর্ধ-শাসনভার। কীভাবে অন্ধকারের অতল গহ্বরে ডুবে থাকা মানুষটা দীপ্তিময় আকাশের চূড়ায় পৌঁছে গেলেন? কেমন ছিল তাঁর শাসন-ব্যবস্থা, রণকৌশল, যার আদলে তিনি ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
.
জানতে হলে পড়ুন, আরবের স্বনামধন্য শায়খ ড. মুহাম্মাদ আলি সাল্লাবি এর রচিত জীবন ও কর্ম উমর ইবনুল খাত্তাব। দুই খণ্ডে সমাপ্ত
Copyright © 2025 Seanpublication.com
Reviews
There are no reviews yet.