Copyright © 2025 Seanpublication.com
ইসলামিক ম্যানারস : জীবনঘনিষ্ঠ আদব ও শিষ্টাচার (হার্ডকাভার)
- লেখক : আলী আহমাদ মাবরুর, শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ.
- পাবলিকেশন : প্রচ্ছদ প্রকাশন
- বিষয় : আদব-আখলাক; সুন্নাত ও শিষ্টাচার, সকল প্রকাশক
Author : শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ
Translator : আলী আহমাদ মাবরুর
Publisher : প্রচ্ছদ প্রকাশন
Category : আদব-আখলাক; সুন্নাত ও শিষ্টাচার
৳200 ৳148
You Save TK. 52 (26%)
ইসলামিক ম্যানারস : জীবনঘনিষ্ঠ আদব ও শিষ্টাচার (হার্ডকাভার)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for ইসলামিক ম্যানারস : জীবনঘনিষ্ঠ আদব ও শিষ্টাচার (হার্ডকাভার)
Add a review Cancel reply
মুহাম্মদ রুবেল মিয়া –
বইয়ের নাম : ইসলামিক ম্যানারস (জীবনঘনিষ্ঠ আদব ও শিষ্টাচার)
লেখক : আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ
অনুবাদক : আলী আহমাদ মাবরুর
প্রকাশক : প্রচ্ছদ প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১২৮
মুদ্রিত মূল্য : ২০০ টাকা
প্রাক-কথন :
ম্যানারস বা শিষ্টাচার হলো মানুষের সৌন্দর্য, মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক এবং মানুষের প্রশংসিত হওয়ার মাপকাঠি। একজন মানুষের শিষ্টাচারই নির্ণয় করে দেয় সে প্রশংসা পাওয়ার উপযুক্ত নাকি না। শিষ্টাচার বাইরের পরিবেশে একজন মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেয়। লোকটা ভালো নাকি মন্দ তার পরিচায়ক এই ম্যানারস বা শিষ্টাচার।
বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ আছে “ব্যবহারে বংশের পরিচয়”। প্রবাদটা যদিও প্রবাদ কিন্তু এর মূল অর্থ কিন্তু বাস্তবসম্মত। কারণ, মানুষের ম্যানারস বা শিষ্টাচার শিক্ষা করার প্রথম এবং প্রধান দুটি প্রতিষ্ঠান হলো তাঁর পরিবার এবং সমাজ। পরিবার এবং চারপাশের মানুষের আচার-আচরণ দেখেই একটা শিশু শিষ্টাচারের শিক্ষা লাভ করে। যদি তাঁর পরিবার এবং সমাজ ভদ্র ও অভিজাত হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই শিশুটি সেভাবে গড়ে উঠবে। আর যদি তা না হয়, বরং পরিবার ও সমাজ অসভ্য আর বর্বর প্রকৃতির হয়, তাহলে শিশুটি সেভাবেই গড়ে উঠবে।
এজন্যই আমাদের সবার উচিত সঠিক ম্যানারস অর্থাৎ শিষ্টাচার শিক্ষা করা, তা মেনে চলা এবং পরিবার ও সমাজের শিশুদের তা শিক্ষা দেওয়া। আর সেজন্যই প্রয়োজন এমন একটি বইয়ের যা থেকে আমরা সঠিক ইসলামি ম্যানারস শিক্ষা করতে পারবো। ” ইসলামিল ম্যানারস : জীবনঘনিষ্ঠ আদব ও শিষ্টাচার” তেমনি একটি বই।
বই আলোচনা :
“ইসলামিক ম্যানারস” বইটি শাইখ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ. এর সংকলিত একটি গ্রন্থ। এতে তিনি এমন কিছু বিষয়ের সঠিক ইসলামি ম্যানারস তুলে ধরেন, যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খুব দরকারী। এ বিষয়গুলোকে আমরা খুবই খাটো নজরে দেখে থাকি। মনে করি লোকেরা এ দিকগুলোতে নজর দেয় না। অথচ লোকেরা নজর দিক আর না দিক, নিজের আভিজাত্য ও সৌন্দর্য প্রকাশের জন্যও এই ম্যানারস গুলো আমাদের মেনে চলা উচিত। যেমন :
*পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শালীনতা
*সফরে যাওয়ার আদব
*সফর থেকে ঘরে ফেরার আদব
*পরিবার ও বন্ধুদের সামনেও ভালো পোশাক পরিধান করা
*ঘরে প্রবেশ এবং ঘর থেকে বাহির হওয়া
*সাক্ষাতের আদব
*কথোপকথনের আদব
*সামাজিকতার আদব
*খাওয়ার আদব
*মসজিদের আদব
*বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আদব
*অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
*শোক প্রকাশ করা
*ঘুমানোর আদব
ইত্যাদি সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে। বইটির লেখক আদবসমূহ লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি ওই বিষয়ে কুরআনের আয়াত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম এবং সালফে সালেহিনের আমলও তুলে ধরেছেন, যেনো পাঠকদের মনে আলোচ্য বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা বসে যায়। বইটি ইসলামিক ম্যানারস অর্থাৎ শিষ্টাচার প্রচারে যেমন কাজ করে যাবে, তেমনি লোকদেরকে শিষ্টাচারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কেও অবহিত করবে।
পাঠপ্রতিক্রিয়া :
“ইসলামিক ম্যানারস” বইটি আমার প্রাত্যহিক জীবনে অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। বইটি পড়ে আমি এমন অনেক বিষয়ে এবং এমন অনেক আদব সম্পর্কে জানতে পেরেছি, যা পূর্বে আমার জানা ছিলো না। এখন জানতে পারায় উক্ত আদবগুলো মেনে চলতে আমি উৎসাহী হয়েছি। আমার এমন অনেক স্বভাব ছিলো যা আমার সমাজের সাথে মানানসই নয়, অথচ আমি তা হেলায় হেলায় ঝেড়ে ফেলতাম। বইটি পাঠ করার ফলে এখন আমি ওইসব বিষয়ের সঠিক ইসলামিক আদব মেনে চলার চেষ্টা করি। আমার মতো আরো অনেক ব্যক্তির মধ্যেই বইটি পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি পরবর্তী সময়ে যারা বইটি পাঠ করবেন, বইটি তাদের মধ্যেও পরিবর্তন নিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।
বইটি পড়ার প্রয়োজনীয়তা :
আমরা সভ্য পৃথিবীর অভিবাসী। নিজেদেরকে সভ্য এবং অভিজাত প্রমাণ করার জন্য আমরা কি না করি। অথচ আমার আচার-আচরণ, আমার চলাফেরা-কথাবার্তাও যে আমার আভিজাত্য বহন করে তা আমাদের অনেকেরই ধারণার বাইরে।
আমরা মুসলিম। আমাদের নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, দর্শন এবং সমাজ রয়েছে। রয়েছে সামাজিক রীতিনীতি, শিষ্টাচার এবং আদব-আখলাকও। সেসব মেনে চলাই আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে বেশি দরকারী। এসব মেনে চলার উপরই রয়েছে আমাদের সফলতা ও আভিজাত্য। তাই আমাদের উচিত দৈনন্দিন প্রত্যেক কাজের ইসলামি ম্যানারস জেনে সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করা। এরই পাশাপাশি আমাদের পরিবার, আমাদের সমাজের সকল শিশুদেরও ইসলামিক ম্যানারস শিক্ষা দেওয়া, যেনো বড়ো হয়ে তাঁরা তাদের বংশীয় সুনাম ধরে রাখতে পারে এবং অন্য সমাজে নিজেকে এবং নিজের বংশকে ছোট হিসেবে উপস্থাপন না করে।
আর সেজন্যই “ইসলামিক ম্যানারস : জীবনঘনিষ্ঠ আদব ও শিষ্টাচার” বইটি নিজে বেশি বেশি পড়া, অন্যদের পড়তে অনুপ্রাণিত করা এবং বইটির শিক্ষা শিশুদের মাঝেও ছড়িয়ে দেওয়া।