হিজাব শুধু একটা জামা না। এটা একটা জীবন-পদ্ধতি। যে নারী এটা পরবে, সে তার আদর্শিক পরিচয় মানুষের সামনে তুলে ধরবে। প্রত্যেক মুসলিম মেয়েকে চেনা যায় তার সমুজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব দিয়ে। লজ্জাশীলতা ও উত্তম চরিত্র দিয়ে। আর এসবের বহিঃপ্রকাশ ঘটে হিজাবের মাধ্যমে। পর্দানশীন মেয়েরা এই বার্তা দিয়ে যায় যে, তারা অন্যান্যদের থেকে আলাদা। চিন্তা-চেতনা, চাল-চলন, রুচি ও মননে তারা অনেক উঁচু মাপের। সম্ভ্রান্ত। তাদের জীবনযাত্রা মানুষের জন্যে অনুসরণীয়, অনুকরণীয়।হিজাবকে পাঠানো হয়েছে আসমানের ওপর থেকে। সে তোমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। তোমার ঈমানি সত্তার পরিচয় বহনকারী। এটা একটা আদর্শিক পরিচয়। তুমি কোন জীবন-দর্শন অনুসারে চলো, তার পরিচয়বাহক। তুমি যে মুসলিম নারী, তার প্রকাশ ঘটে হিজাবের মাধ্যমে। হিজাব তোমার পরিচয়।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
ফাতিমা মৌ ফ্লাভিকা –
হিজাবের আত্মকথন নিয়ে লিখা অসাধারণ এই বইটি সব বোনদের পড়া উচিত। হিজাব আসলে কি?কেন প্রয়োজন? হিজাব নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছে সম্মানিত লেখক জাকারিয়া মাসুদের কলমের দ্বারা,হিজাব মূলত কল্যাণকামী সাথী,পরম বন্ধু, বড় বোনের মত উপমা দেওয়া হয়েছে ; সচরাচর আমরা যেটিকে হিজাব বলে ভুল করে থাকি সেটি মূলত স্কার্ফ। ইয়া লম্বা ত্যানা মাথায় পেঁচিয়ে উটের কুঁজের মত বানাতে পারলেই হিজাবের বিধান আদায় হয়েছে বলে মনে করা হয়।হিজাব সম্পর্কে সুন্দর আর সুধারনা পাওয়ার জন্য বইটি পড়া উচিত। নামাজ, রোজার মতো পর্দাও ফরজ তাই হিজাবের গুরুত্ব বুঝতে বইটি পড়া উচিত। সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার ( যেমন- মন ভাল থাকলে পর্দা লাগে না), ফ্রি মিক্সিং এর কুফল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
❀ ভালো লাগার কথাগুলোঃ
▪আমি হিজাব,আমি তোমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
▪আমি হিজাব বিস্তৃত দিগন্তে সগৌরবে উড়তে থাকা বিজয়-নিশান।
▪আমি হিজাব,নারীজাতির জন্যে আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে আসা অমূল্য নিয়ামতের একটি।
▪আমি হিজাব,মাথায় ঝুলতে থাকা কোনো ত্যানা নই।আমি সেই রাজমুকুট, যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমায় সৌন্দর্যমন্ডিত করেছেন!
❀ বই সম্পর্কে আমার অভিমতঃ
হৃদয়ের গভীর থেকে বলা কথাগুলোই কেবল হৃদয়ে আঘাত হানে,জাকারিয়া মাসুদ ভাইয়ের রচিত বইগুলোকে বই মনে হয় না, মনে হয় দরদী আহ্বান। উম্মাহর বোনদের নিয়ে চিন্তা করা মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা,তাদের মধ্যে উনি একজন।উনার কয়েকটা বই পড়েছি,আলহামদুলিল্লাহ। খুব আপনজনের মতো তিনি হৃদয়ের অব্যক্ত কথাগুলো লিখেন।হিজাব আমার পরিচয় অসাধারণ একটি বই।হিদায়াতের ছোঁয়া লাগা বোনদের জন্য একটি বার্তামূলক বই।সবমিলিয়ে দাওয়াহ্ ইনভাইটেশনের জন্য এই বইটি অসাধারণ। বোনরা বোনদেরকে হাদিয়া দিতে পারেন ইন শা আল্লাহ।
❀ বই বৃত্তান্তঃ
নামঃ হিজাব আমার পরিচয়
মূল: ড. খালিদ আবূ শাদী
লেখকঃ জাকারিয়া মাসুদ
মুদ্রিত মূল্যঃ ১৪২ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯২
বাইন্ডিংঃ পেপার ব্যাক
প্রকাশনাঃ সমর্পণ প্রকাশণ
সিরাজাম বিনতে কামাল –
আমাকে যদি কোন বোন জিজ্ঞেস করে, আপু অবশ্য পাঠ্য একটি বইয়ের নাম বলুন? আমি বলব: হিজাব আমার পরিচয়। আর আমার পছন্দের বইগুলোর মধ্যে একটি এ’বই। কেউ পড়তে না চাইলেও আমি বারবার তার হাতে এ’বইটি তুলে দিই, পড়ার কথা বলি। হ্যাঁ, বইটি আসলেই আমাদের বোনদের জন্য অবশ্য পাঠ্য একটি বই। অনেক বকবক হলো, এবার রিভিউ দেওয়ার পালা।
▪️প্রাককথন:
_____________
হাশরের ময়দান। চূড়ান্ত বিচারের দিন। কারো চেহারায় কালো মেঘের ঘনঘটা, নিজের ঘামে নিজেই হাবুডুবু খাচ্ছে। আর কেউ কেউ নির্মল, প্রাণবন্ত। চোখেমুখে বর্ণিল আলোকচ্ছটা। তাদের কোন ভয় নেই, তারা রব্বের দেওয়া বিধান পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। রব্বের রঙে নিজেকে রঙিন করার যুদ্ধ করেছে প্রতিনিয়ত। রব্ব তবুও খুশি, শয়তানকে পরাজিত করে নফসের সাথে যুদ্ধ তো করেছে রব্বের বিধান মানার জন্য।
আর কাউকে রব্ব জিজ্ঞেস করবেন, তোমার আশেপাশে এমন কোন সম্প্রদায়, এমন কেউ কি ছিলো না যে তোমাকে রব্বের বিধান হিজাব সম্পর্কে জানিয়েছে।
সে বলবে, না আমার পরিচিত কেউই ছিলো না। তখন আল্লাহ বলবেন, অমুক তো ছিলো মুসলিম।
সে বলবে, কিন্তু তার চালচলন পুরো আমাদের মতোই ছিল, সে মুসলিম বা হিজাবের বিধান তার জানা এইটা তাকে দেখে বুঝা যায় নি।
কোন কিছুই আল্লাহ তা’আলার অজানা নয়, তবুও তিনি তাঁর বান্দার মুখ থেকে জানতেই এগুলো জিজ্ঞেস করবেন।
▪️বই অভ্যন্তরে:
_________________
হিজাব একজন মুসলিমাহর পরিচয়পত্র। কোন জাতীয়তাবাদী আইডি কার্ড না। হিজাব অন্যের নিকট আমাদের চিন্তা-চেতনা, মতাদর্শ সম্পর্কে অবহিত করে। হিজাব অন্যের নিকট প্রকাশ করে আল্লাহ-ভীতির কথা, আল্লাহর আনুগত্যের কথা। হিজাব বাড়িয়ে দেয় আমাদের তাকওয়ার স্তর। পরিবর্তন নিয়ে আসে চালচলনে।
হিজাব মাথায় ঝুলতে থাকা কোন ত্যানা নয়। হিজাব রাজমুকুট, যার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের সৌন্দর্যমন্ডিত করেছেন। যার মাধ্যমে নিজের আদর্শিক পরিচয় প্রকাশিত হয়।
একখণ্ড কাপড় মাথায় জড়ালে হিজাবের নির্দেশ পালন হয়না। তা বড়জোর স্কার্ফ হয়, হিজাব নয়। হিজাব কোন পোশাকের আবরণ নয়। বরং সামিগ্রক একটি জীবনব্যবস্থা। একটি আদর্শের প্রতিফলন। শিষ্টাচারের পরিচায়ক। ইসলামি মূল্যবোধের আইডিকার্ড।
বইয়ে হিজাব নিজেই এভাবে তার পরিচয় তুলে ধরেছে আমাদের কাছে। আর আমাদেরকে হৃদয়গহীন থেকে আহবান করছে যেনো আমরা তাকে কলংকিত না করি। বরং আমরা যেনো সঠিক হিজাব পালনের মাধ্যমে তার মর্যাদা আরো বাড়িয়ে দিই এবং নিজেরাও রব্বের শাস্তি থেকে নিজেদের বাচিঁয়ে নিতে পারি।
▪️বইটি কেন পড়বেন:
____________________
হিজাব একটি ফরজ বিধান। মুসলিমরা অবশ্যই অবশ্যই ফরজ বিধান পালন করতে বাধ্য। তবে আজকাল সেক্যুলারিজম আর মাই লাইফ, মাই রুলসের ভূত চেপে বসাতে আমরা অনেক কিছুই ইচ্ছে হলে মানি, ইচ্ছে না হলে ইগ্নোর করি।
ইসলামে ব্যক্তি-স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। ইসলামে কেউই স্বাধীন নয়। অবলা গাছপালা, হিংস্র জানোয়ার সবাই একেক হুকুমের অধীনে পরিচালিত হয়। আমরা সবাই রাজাধিরাজ মহান আল্লাহর মালিকানাধীন।
আমরা আমাদের যে অঙ্গগুলোর প্রতি জুলুম করছি, গায়রে মাহরামদের সামনে প্রকাশ করছি, সবগুলো অঙ্গই আতর্নাদ করছে। এ-সব আর্তনাদ আমাদের কানে না পৌঁছুলেও, আহকামুল হাকিমীনের দরবার ঠিকই পৌঁছে যাচ্ছে।
‘তারা যেন সেদিনের কথা ভুলে না যায়, যেদিন তাদের নিজেদের কন্ঠ, হাত-পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ [সুরা নূর,২৪:২৪]
বইটিতে ১২টি অধ্যায়ে হিজাবের প্রকৃত পরিচয়, খুটিনাটি, হিজাব পরিধানে বাধা, হিজাব পরিধানের ফলে পুরস্কার, পরিধান না করার শাস্তি, একজন প্রকৃত হিজাবধারীর ব্যাপারে অন্যদের চিন্তাধারা কেমন হয় তা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
▪️বইটি কারা পড়বেন:
____________________
নারীপুরুষ উভয়ে বইটি পড়তে পারেন নির্দ্বিধায়। নারীরা পড়বেন নিজেকে একজন সুষমামণ্ডিত, তাকওয়াবান, আদর্শ মুসলিমাহয় গড়ে তোলতে। আর পুরুষরা পড়বেন আপনার মা, বোন, স্ত্রী, কন্যাকে সতর্ক করে দিয়ে দাইয়্যুসের খাতা থেকে নিজের নাম কাটাতে।
▪️পরিশেষে:
____________
মাথায় এক টুকরা কাপড় জড়িয়ে তার নাম হিজাব দিলে তা আল্লাহর বিধান হিজাবকে নিয়ে উপহাস করার শামিল।
দেহের পর্দা করে সারা শরীর ঢেকে গায়রে মাহরামের সাথে হেসেহেসে আড্ডা দিলেও হিজাবের কোন মূল্য থাকলো না। দেহের, মনের উভয়ের হিজাব বা পর্দা রয়েছে।
আমরা তো সেই নারী, তাকওয়া অবলম্বন করলে যারা জান্নাতী হুরদের থেকেও সুন্দরী হবো। একদিন যৌবন, সৌন্দর্য সব ফুরিয়ে যাবে, থাকবে শুধু আমলনামা। জ্যান্ত মানুষ হয়ে যাবো লাশ। পরিয়ে দেওয়া হবে কারুকাজহীন সাদা হিজাব। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে ওই অনিচ্ছাকৃত হিজাবের কোন মূল্য আছে?
নাফিসা ইয়াসমিন –
প্রাক কথন
——————
পৃথিবী পুনরায় অন্ধকার জাহেলিয়াতের কালো আঁধারে ছেয়ে গেছে যা কেড়ে নিয়েছে মানুষের মনুষ্যত্ব,নারীর ভূষণ।
নারীর লজ্জাকে কেড়ে নিয়ে নির্লজ্জতার বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে এই সভ্যতার অলিগলি।জাহেল কিছু অমানুষ নারীর লজ্জাহীনতাকে আখ্যায়িত করে আধুনিকতা নামে।
আধুনিকতার দোহাই দিয়ে বেপর্দা চলাফেরা, জাহেলী যুগের বর্বর নারীদের বৈশিষ্ট্য ছাড়া কিছু নয়।
অথচ ইসলাম দিয়েছে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা পর্দার বিধানের মাধ্যমে। পর্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত আদেশ।
কারণ ইসলামে একজন নারীর মর্যাদাকে তুলনা করা ঝিনুকের আবরণে মুক্তোর সাথে যা কোমল অথচ মূল্যবান।
পর্দা নারীর ভূষন। পর্দা একজন মুসলিম নারীর মর্যাদা।
লেখক পরিচিতি
———————–
পর্দা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সামনে রেখে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে শায়খ ড. খালিদ আবু শাদী রচিত “হিজাব আমার পরিচয়” বইটিতে। বইটি অনুবাদ করেছেন সুসাহিত্যিক এবং দায়ী জাকারিয়া মাসুদ ভাই। বইটি প্রকাশ করছে সমর্পণ প্রকাশন।
বইকথন
————–
লেখক হৃদয়স্পর্শী বিভিন্ন উপমা দিয়ে হিজাবকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা সত্যিই অন্তরের অন্তরস্থলকে অবধি জাগিয়ে দেয়।
হিজাব আমার পরিচয়” বইটিতে ১২ টি বিভিন্ন আকর্ষণীয় শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে পর্দার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য। আলোচনায় উঠে এসেছে ফিতনাময় দুনিয়াতে পর্দার তাৎপর্য এত বেশি কেন এবং পরকালে বেপর্দা বেপরয়া চলাফেরার পরিণাম।
নারী আজ বিপন্ন প্রতি পদে পদে। ফিতনার জালে বন্দি মনুষ্যত্ব প্রতিযোগিতা করে অশ্লীলতার, প্রসার ঘটায় লজ্জাহীনতার।মন থেকে মুছে গেছে আল্লাহ তাআলার ভয়, ফলস্বরূপ আধুনিকতার দোহাই দিয়ে বেপর্দা চলাফেরা, কুফরীর অনুসরণ অনুকরণ বর্তমান যুগের নারীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যা ছিল জাহেলী নারীদের বৈশিষ্ট্য।
সূচিপত্রে রয়েছে চমৎকার শিরোনামে কয়েকটি অধ্যায় যেমন- আত্মকথন, কল্যাণকামী চিরসাথী
হিজাব স্কার্ফ ,হিজাবের পাশে জান্নাত হাসে,বিদায়কথন, হিজাবের হিসাব বিভিন্ন অধ্যায়ের হৃদয়স্পর্শী শিরোনাম।
বইয়ে উঠে এসেছে কুরআন ও হাদিসের আলোকে পর্দার নির্দেশ, আল্লাহ তাআলার বিধান, পর্দার গুরুত্ব, পর্দা অবমাননা করার ভয়াবহতা, বর্তমান যুগে পর্দার নামে বেপর্দা চলাফেরা, কিভাবে আধুনিক পর্দায় আসল পর্দার মর্যাদা বিঘ্নিত হচ্ছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ।
বইটি থেকে হিজাব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এই যে, নারীদের অন্যের চোখের সামনে নিজেদের উপস্থাপন করা, নিজের দেহকে
পরপুরুষের সামনে উন্মুক্ত করে দেওয়া এগুলো আল্লাহর বিধানের পরিপন্থী।
নারীদের সৌন্দর্য শুধুদেহেই না। এ সৌন্দর্যের আছে বাহারি রঙ, রকমারি
ধারা। বাহারি পোশাক, আকর্ষণীয় অঙ্গভঙ্গি, মায়াময়ী হাসি, ডাগর চোখ—এ সবই পুরুষকে প্রলুব্ধ করে। নারীর সাথে কথা বলা, হাসি-ঠাট্টা করা, তাকানো,
নারীকণ্ঠ শোনা—এ সবই প্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। আর এগুলোর প্রতিবন্ধক হলো পর্দা।
বইটিতে নারীদের পর্দার গুরুত্ব, কুরআন ও হাদিসের আলোকে পর্দার হুকুম, পর্দা না করার ভয়াবহতা, বর্তমান সময়ের পর্দার নামে বেপর্দা চলাফেরা সহ অনৈসলামিকতা ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে।
প্রিয় কিছু লাইন
———————–
🟢”আমি হিজাব। আসমানের ওপর থেকে আমাকে তোমার কাছে পাঠানো
হয়েছে। আমি তোমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। তোমার পরিচয়পত্র। না, কোনো
জাতীয়তাবাদী আইডি কার্ড না। তোমার জীবন-দর্শনের পরিচয়পত্র।”
🟢”আমি
তোমার পরিচ্ছন্ন সত্তার পরিচয় বহনকারী। মানুষকে তোমার মতাদর্শ ও তোমার চিন্তা-চেতনা সম্পর্কে অবহিত করি আমি। যে ব্যক্তি তোমার সাথে
কথা বলতে চায়, তাকে শুধুতোমার চিন্তার দিকে তাকানোর নির্দেশ দিই।”
🟢”সৌন্দর্য ও সাজসজ্জা থেকে আড়াল করে রাখি তোমায়।তোমার দেহসুষমা
জানতে দিই না কাউকেই।”
🟢 “এক সুস্পষ্ট বার্তা। আমি বার্তা দিয়ে যাই ক্ষণে ক্ষণে। পলে পলে জানিয়ে যাই আল্লাহ-ভীতির কথা।তোমার অন্তরে লুকিয়ে আছে তাকওয়া, সদা জাগ্রত আছে আল্লাহর ভয়, আর তারই প্রকাশ ঘটবে আমাকে জড়ানোর মধ্য দিয়ে।
আমাকে আপন করে নিলে তুমি নিজের ঈমানি পরিচয়কেই ধারণ করবে।”
পাঠ্য অনুভূতি
——————–
বইটির সহজ সাবলীল উপস্থাপন এবং ভাষার প্রাঞ্জলতা হৃদয়কে স্পর্শ করে দারুণ ভাবে। পর্দার মর্যাদা ও গুরুত্ব অনুধাবন করতে এবং পর্দা অবমাননা করার ভয়াবহতা দুনিয়া ও আখেরাতে কিভাবে নারীকে তথা গোটা সমাজকে বিনষ্ট করে সেই সম্পর্কে অবগত হতে
প্রত্যেক নারী ও পুরুষের পড়া উচিত।
আশা রাখা যায়, বইটি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে পর্দাই নারীর আবরণ, নারীর ইজ্জতের রক্ষাকবচ,পর্দা নারীর বন্ধু।
পর্দা ছাড়া নারী বেআব্রু, নিঃসঙ্গ। সচেতন করবে মহান আল্লাহর অকাট্য বিধান সম্পর্কে যা সালাত সাওমের মতো অবশ্যপালনীয়।
বইটি পড়ার প্রয়োজনীয়তা
—————————————-
আমাদের মুসলিম নারীদের মধ্যে পরিপূর্ণ ইসলামি পর্দার বিধান মানার একটি জাগরণ সৃষ্টি হবে বইটি পাঠের মাধ্যমে।আল্লাহর বিধান উপলব্ধি করতে এবং জীবনে রবের নির্দেশমত চলতে গেলে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে পর্দার গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বইটি একটি মাইলফলক।হিজাবের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং আদর্শিক ইসলামিক পরিবার হিসাবে গড়ে তুলতে “হিজাব আমার পরিচয় বইটি” অতি আবশ্যক।
📚এক নজরে বই পরিচিতি
বইয়ের নাম : হিজাব আমার পরিচয়
লেখক : ড.খালিদ আবু শাদী
অনুবাদক : জাকারিয়া মাসুদ
প্রকাশনায় : সমর্পণ প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯২
মুদ্রিত মূল্য : ১৪২ টাকা