হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ (হার্ডকভার)

📚 বই নিয়ে আলোচনা 📚

নাম- হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ
প্রকাশনী – মাকতাবাতুল আযহার

আমার স্মৃতিবিভ্রাট না হলে সাবেক চিত্রনায়িকা হ্যাপী প্রথম খবরের শিরোনাম হন একজন ক্রিকেটারের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে। ২০১৪ এর শেষ বা ২০১৫ এর শুরুর দিকটায়। যদিও এর সত্যতা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। পরবর্তীতে সেই ক্রিকেটার উতরে গেলেও একটা কালো দাগ পরে যায় হ্যাপীর ক্যারিয়ারে। এরপরেও মাঝে মাঝে মিরপুরের গ্যালারিতে দেখা যেত তাকে। সিনেমার রঙিন ক্যারিয়ারেও বসন্তের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছিল।

আবার শিরোনাম হন হ্যাপী তবে এবারের শিরোনামটা ছিল ভিন্ন। এবারের ফিরে আসাটা ছিল ভিন্ন। এবার জড়িয়ে ছিলেন নিজের মালিকের সাথে। চোখ থেকে দুনিয়ার রঙিন চশমা খুলে, রবের মায়ায় জড়িয়ে ফিরেছেন ‘হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ’ হয়ে।

২০১৭ সালে তার একটি সাক্ষাৎকার ছাপে স্বনামধন্য প্রকাশনী “মাকতাবাতুল আযহার”। বছরখানেক রকমারির বেস্টসেলার বইয়ের স্থান দখল করে ছিল বইটি।

বইয়ের সাক্ষাৎকারটি মূলত ৩ ভাগে বিভক্ত।
প্রথমভাগে তার দ্বীনে ফিরে আসার নিয়ে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। পরেরভাগে তার ব্যক্তিজীবন এবং সর্বশেষ অংশে দ্বীন নিয়ে তার ভাবনা।

কিছু জায়গা হৃদয়ে স্পর্শ করেছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে কেউ দ্বীনের ফেরার পর পরিবার থেকে যে বিভিন্ন আঘাত আসতে থাকে। আমাতুল্লাহর ক্ষেত্রেও এসেছে, এমনকি ছাড়তে হয়েছে ঘর। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে গেছেন কষ্টের দিনগুলো। আলহামদুলিল্লাহ, তার রব তাকে হতাশ করেননি। আর ২ বছর পর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি একজন আলেমা হবেন, ইনশাআল্লাহ।

ফেসবুক নিয়েও তাঁর বক্তব্য বেশ ভালো লেগেছে যে এর ফিতনার ব্যাপারে তিনি সচেতন। সময়ের অন্যতম বড় ফিতনা এই ফেসবুক ও ডিজিটাল ডিভাইস।

এক বসায় পড়ার মতো বই। যারা দ্বীনদারিতায় মরচে ধরেছে ভাবছেন, ইস্তেগফারের পাশাপাশি বইটা পড়ে দেখতে পারেন।

কিছু অংশে পুনরাবৃত্তি মনে হয়েছে। এগুলো ছাটাই করলে বইটা আরও মেদহীন হতো। শেষের দিকে সাংঘাতিক কিছু বানানভুল ছিল। আযহার থেকে বানানে এমন উদাসীনতা হতাশাজনক। জাযাকুমুল্লাহ খাইর।

গুডরিডস রেটিং – ৩.৯১/৫
ব্যক্তিগত রেটিং – ৪/৫