অনন্ত অসীম পরকালের যাত্রায় দুনিয়া হলো এক অন্ধকার, পিচ্ছিল ও বন্ধুর পথ। এই পথ নিরাপদে অতিক্রম করতে প্রয়োজন উপযুক্ত বাহন ও আলোর মশাল। ‘ফিকহুস সিরাহ’ মূলত আখিরাতের যাত্রাপথে আমাদের সেই বাহন ও আলোর মশালের মতোই।
আমাদেরকে সহজ ও সরল পথ দেখানোর জন্য এখানে বর্ণিত হয়েছে নবীজির আলোকিত জীবন, নবীজীবন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ও নির্দেশনা। যা একজন মুসলিমকে শুধু আখিরাতের পথ-নির্দেশই নয়, দুনিয়ার জীবনের যাবতীয় সফলতা কীভাবে স্পর্শ করবে, তারও পথ বাতলে দেয়।
এই বই আমাকে, আপনাকে এবং আমাদের সকলকে আলোকিত করবে, উজ্জীবিত করবে এবং আখিরাতের অনন্তর যাত্রায় আমাদের মুখে হাসি ফোটাবে, এমনই প্রত্যাশা।
সিরাজাম বিনতে কামাল –
◾অবতরণিকা:
__________________
পৃথিবীর এক দৈন্য দশা, সত্যকে স্থানচ্যুত করেছে মিথ্যা। শান্তিকে হত্যা করেছে অশান্তি, পুণ্যের স্থান দখল করেছে পাপ। আলোকে গ্রাস করেছে অন্ধকার, বিচারকে সমাহিত করেছে অবিচার।
পৃথিবীর যখন এই দুরবস্থা আলোর আবাবিল হয়ে এলেন হযরত মুহাম্মদ ইবনু আবদিল্লাহ (সা.)।
তিনি এলেন, অন্ধকারে আলো হয়ে। তিমির বিদীর্ণ করে সুবহে সাদিকের আলো হয়ে। অত্যাচার সহ্য করে পরাজিত করলেন অত্যাচারীকে। পরম ভালোবেসে বশ করলেন শত্রুকে। প্রেম দিয়ে জয় করলেন মানুষের হৃদয়
ইয়াতীম, দুস্থদের কাছে টানেন মমতায়। রক্তস্নাত মরুর ধূলায় মানবতা দাঁড়ায় তুলে মাথা। দখল করলো প্রেম-প্রীতি ভালোবাসা। হটিয়ে বিদ্বেষ আর হিংসা। সত্য ফিরে পেল আপন আসন
তিনি দেখালেন আলো অনির্বাণ। পথহারা খুঁজে পেল পথের দিশা, নির্ভয়ে সকলে সম্মুখে চলে এগিয়ে। বুকে নিয়ে অসম সাহস, সহস্র আশা।
ছুটে চলে সামনের দিকে কল্যাণের দিকে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর এতটাই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন যে তিনি আল্লাহর প্রিয় হাবীব হয়ে যান। নবী (সা:) এর মাধ্যমে দ্বীন ইসলামে পূর্ণতা আসে। স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির কাজে মুগ্ধ হয়ে যান। আর সেই সৃষ্টি অর্থাৎ প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বানিয়ে দেন উম্মাহর আর্দশ। শুধু আর্দশই নয়। নবীকে (সা:) ভালোবাসা ঈমানের দাবি। যে ব্যক্তি যতক্ষণ নবীকে (সা:) তার জীবন, পরিবারবর্গ থেকে বেশি ভালো না বাসবে ততক্ষণ সে প্রকৃত মুমিন হবে না।
আর আল্লাহর প্রিয় হাবীবকে (সা:) জানতে হলে, তাঁর সুন্নাহ মেনে চলতে চাইলে, তাঁর আর্দশ ধরে রাখতে চাইলে, তাঁকে ভালোবাসতে চাইলে আমাদের সিরাহ পাঠ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। সিরাহ নবী (সা:) জীবনের ক্যানভাস। যেখানে আমরা নবীর (সা:) জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি সব দেখতে পাই।
আজকের আলোচিত বইটিও সিরাহ। প্রকাশনায় তাজকিয়া প্রকাশনী। লিখেছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রখ্যাত আলিম ও ফকিহ শাইখ ড. মুহাম্মাদ সায়িদ রামাদান বুতি।
নিঃসন্দেহে অন্যান্য সিরাহগ্রন্থের চেয়ে এই গ্রন্থটি অনেকখানি ব্যতিক্রম। কোথায় এবং কেন ব্যতিক্রম তা প্রকাশক, সম্পাদক এবং লেখকের কথা থেকেই আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি। তাছাড়া বইয়ের সূচিপত্রে তাকালে যে কেউ বইটি আকন্ঠ পান করার জন্য মুখিয়ে থাকবে। ইন শা আল্লাহ!
.
◾বই কথন:
____________
“ফিকহুস সিরাহ” হলো সেই বই- যেখানে নবীজির জীবনী জানার পাশাপাশি আমরা জানব তাঁর জীবন থেকে আমাদের মতো সাধারণ উম্মতের শেখার কী আছে। নবীজীর নির্ভরযোগ্য জীবনীর অসাধারণ বিন্যাসের অসামান্য সঙ্কলন। এখানে বর্ণিত হয়েছে নবীজির জীবন ঠিক কেন এমন ছিল, কেন এইভাবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর লাললপালন করেছেন, কেন তাঁর জীবন উম্মাহর সকলের জন্য আদর্শ! আমরা দেখতে পাবো নবীজির জীবনে আমাদের জন্য কী কী আদর্শ রয়েছে এবং কী কী শিক্ষা আমরা তাঁর জীবন থেকে গ্রহণ করব।
▪️প্রথম খন্ড: অনুবাদ করেছেন মুসা আমান, উবায়দুল্লাহ তাসনিম। মোট পাঁচটি অধ্যায়ে সজ্জিত হয়েছে প্রথম খন্ড। প্রথম অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে ইসলাম বুঝতে সিরাহের গুরুত্ব, সিরাহ লেখার ইতিহাস, সিরাহ অধ্যয়নের ক্রমবিকাশ, আরবকে ইসলাম উদ্ভবের উৎসভূমি বানানোর রহস্য, নবীজির দাওয়াতের সাথে পূর্ববর্তীগণের দাওয়াতের মিল ও অমিল এবং জাহিলি সমাজের অবস্থা।
পরের চার অধ্যায়ে ক্রমান্বয়ে নবীজির জন্ম থেকে শুরু করে বনু নজিরের দেশান্তর পর্যন্ত আদ্যোপান্ত মলাটবন্দী করা হয়েছে। এবং সেই সাথে প্রত্যেক টপিকের পরেই আমাদের জন্য শিক্ষা ও উপদেশ শিরোনামে আলাদা টপিক যুক্ত করা হয়েছে।
▪️দ্বিতীয় খন্ড: দ্বিতীয় খন্ডের অনুবাদ করেছেন ইবনু আফির। প্রথম খন্ডের পঞ্চম অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে দ্বিতীয় খন্ডে। দ্বিতীয় খন্ড শুরু হয়েছে গাজওয়া জাতির রিকা হতে। ষষ্ঠ অধ্যায়- হুদাইবিয়ার সন্ধি থেকে ক্রমান্বয়ে নবীজির অসুস্থতা: অনন্তের পথে যাত্রা। এবং খিলাফাতে রাশিদার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- চার খলিফার খিলাফতকাল দিয়ে দ্বিতীয় খন্ডের সমাপ্তি টানা হয়েছে। প্রথম খন্ডের মতো দ্বিতীয় খন্ডেও রয়েছে আমাদের জন্য শিক্ষা ও উপদেশ।
.
◾পিডিএফ পাঠ্যানুভূতি:
_______________________
প্রথমেই বলব বইয়ের অর্পণ নিয়ে। বইটি অর্পণ করা হয়েছে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইজ্জত ও সম্মানের তরে। এই প্রথম কোন বইয়ে এমন দেখলাম। বিষয়টা ব্যক্তিগতভাবে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আলহামদুলিল্লাহ!
বইয়ের প্রকাশক, সম্পাদক এবং লেখকের কথা বইটি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে দেয়। সিরাহ সম্পর্কে ধারণা দেয়। এবং বইয়ের বিশেষত্ব
সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়। লেখক বইটিতে একাডেমিক ধারায় আলোচনা করেছেন এবং বইটিতে কোন মাসাইল আহকাম সবিস্তারে বর্ণনা করেননি। আর তাই বইটি একদমই সহজ ও নিত্যসঙ্গী হওয়ার মতো একটি বই।
সাধারণত সিরাহপাগল পাঠকরা এমনিতেও সিরাহ গ্রন্থে মজে যান। আর যদি হয় গ্রন্থটি সহজ, সাবলীল, হৃদয়গ্রাহী ভাষায় এবং প্রত্যেক ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা ও উপদেশ জানা যায়। তাহলে তো কথাই নেই। এছাড়াও বইটিতে বিভিন্ন টীকা সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে যা থেকে পাঠকরা সহজেই নতুন অজানা শব্দ, কোন জায়গার ভৌগোলিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে।
.
◾লেখক পরিচিতি:
___________________
ড. শাইখ মুহাম্মাদ সায়িদ রামাদান আল-বুতি। আরববিশ্বের প্রখ্যাত আলিম ও ফকিহ। জন্ম তুরস্কে। দ্বীন শিক্ষা ও দাওয়াতের স্বার্থে আমৃত্যু বসবাস করেছেন সিরিয়ার দিমাশক শহরে।
তিনি মসজিদে বনু উমাইয়ার সম্মানিত খতিব এবং দিমাশক বিশ্ববিদ্যালয়ের কুল্লিয়ায়ে শরিয়ার ডিন ছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ সংখ্যা ৬০টি। “ফিকহুস সিরাহ” রচনার মাধ্যমে তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় সমাসীন করেন। এটি আরববিশ্বে সর্বাধিক পঠিত, আলোচিত, সমাদৃত সিরাতের কিতাব।
.
◾যবনিকা:
______________
বইটি কলেবরে বিশাল এবং এর বিশেষত্ব-ও বিশাল। সম্পাদকের মতো আমিও বলব- নবীজির জীবনী জানা এবং তাঁর সুরভিত জীবন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার এতো বড় ও সুন্দর আয়োজন আমরা আগে পাই নি।
সিরাতে রাসূল অধ্যয়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে- একজন মুসলিম সিরাতে রাসূলের মাধ্যমে এর মূলনীতি, বিধিবিধান মাথায় রেখে, এর আমলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাকীকতে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণ, যার সর্বোৎকৃষ্ট উপমা হচ্ছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বহু আলিম ও ইতিহাসবিদদের প্রশংসা কুড়ানো সিরাহ গ্রন্থটি ইউরোপীয় দাঈ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে ইসলাম ভাবা লোকদের চিন্তা কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম উম্মাহের চিন্তাচেতনার পরিবর্তন করবে এবং মুসলিম উম্মাহের জাগরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে৷ ইন শা আল্লাহ!
Farzana Ashrafi –
রাসূল সা. ছিলেন ‘রাহমাতুলিল্ল ‘আলামীন’। বিশ্ববাসীকে সত্য, ন্যায় এবং কল্যাণের পথে পরিচালিত করতেই তাঁর আগমন ঘটেছিল। আর একারণেই রাসূলের (সা.) জীবনী নিছক কতগুলো ঐতিহাসিক ঘটনার সমষ্টি বা জীবন-যাপন পদ্ধতির ধারাবর্ণনা নয়। তাঁর জীবনীর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মহোত্তম আদর্শের নমুনা, যার অনুসরণেই রয়েছে মানবতার মুক্তি এবং সর্বোচ্চ সফলতা। এর ফলশ্রুতিতে তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহনের অভিপ্রায়ে রচিত হয়েছে শত, শত গ্রন্থ। ‘সীরাতুন্নবী’ নামে জীবনীশাস্ত্রে ভিন্ন একটি শাখায় সৃষ্টি হয়েছে যেখানে শুধু রাসূল সা. – এর জীবনের নানা দিক নিয়েই আলোচনা করা হয়।
বাংলা ভাষায়ও রয়েছে সমৃদ্ধ সীরাত গ্রন্থের সরব উপস্থিতি। এর মধ্যে নবতম সংযোজন তাজকিয়া পাবলিকশেনের ‘ফিকহুস সিরাহ’।
মধ্যপ্রাচ্যর প্রসিদ্ধ আলীম ও ফকীহ শাইখ ড. মুহাম্মাদ সায়িদ রামাদান আল বুতি রচিত আরবের সব থেকে আলোচিত, পঠিত এবং সমাদৃত সীরাত গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ এটি।
*
দুই খন্ডে সমাপ্য ‘ফিকহুস সিরাহ’-র আলোচনার বিস্তৃতি রাসূলের (সা.) জন্মপূর্ব আরবের অবস্থা থেকে খুলাফায়ে রাশেদার সময়কাল পর্যন্ত।
ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়কে লিপিবদ্ধ করলেও বইটা শুধুমাত্র কতগুলো ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবিবরণী নয়। লেখক রাসূল সা. এবং খুলাফায়ে রাশেদার সময়কালে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনাকে ফিকহী দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে তার থেকে আমরা সাধারণ মুসলিমরা কী শিক্ষা নিতে পারি এবং কীভাবে বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ ঘটাতে পারি সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কিতাবটি রচনা করেছেন।
তাঁর আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল, গত শতকের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় জাগরণ ও বিজ্ঞানবাদ দ্বারা প্রভাবিত নবী জীবনীকার দের ভুল ভেঙ্গে দেয়া, যারা ইউরোপের চোখে রাসূলকে দেখতে গিয়ে তাঁর নবী স্বত্তা থেকে মানুষ সত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। লেখক রাসূল সা.-এর জীবনী থেকে তাঁর নববী পরিচয়কে জানার প্রয়াস করেছেন।
পাঠক কে জানাতে চেয়েছেন, নবীজীর (সা.) জীবন ঠিক কেন এমন ছিল, কেন এভাবে আল্লাহ তাঁকে প্রতিপালন করলেন? কেনই বা তিনি সকলের জন্য আদর্শ?
*
নবী জীবনী শুধু পড়ার জন্য নয়, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবনকে সে পথে পরিচালিত করাই সিরাতের শিক্ষা। আর এ কারণেই বাজারে বহু সিরাত গ্রন্থ থাকলেও ‘ফিকহুস সিরাহ’ থেকে আমাদের প্রাপ্তি যা হতে পারে:
> ‘ফিকহুস সিরাহ’ যেমন নবী জীবনের গল্প ভাষ্য নয়, তেমনি পূর্ণাঙ্গ ফিকহের কিতাবও নয়। বরং লেখক এমনভাবে বইটি সাজিয়েছেন যাতে আমরা নবীজীবনী জানার পাশাপাশি রাসূল সা.- এর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারি।
> রাসূল সা. ছিলেন পূর্ণাঙ্গ এবং সমৃদ্ধ একজন মানব। তাঁর জীবনের উত্তম নমুনা আমরা যেন অনুসরণ করতে পারি লেখক নবী জীবনকে সেইভাবে উপস্থাপন করেছেন।
> বইটার আরো একটা উপযোগীতা, রাসূলের জীবনের সংঘটিত ঘটাবলী থেকে কোরআনকে বোঝা যাবে।
> রাসূলের জীবন ইসলামের সকল মূলনীতি ও বিধি-বিধানের প্রতিবিম্ব। ‘ফিকহুস সিরাহ’ থেকে আমরা সেগুলোই জানব।
*
রাসূল সা.- এর জীবন কুরআনেরই বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কুরআনের হুকুম-আহকাম তাঁর জীবনাচরণের মধ্যে দিয়েই বাস্তবায়িত এবং ব্যাখ্যাত হয়েছে। তাই কুরআনের আলোকে নিজেদেরকে গড়তে রাসূলের জীবনী পাঠের বিকল্প নেই।
‘ফিকহুস সিরাহ’ আমাদের মনন-মস্তিষ্ককে কুরআনের রঙে রাঙিয়ে দেবে, সেই প্রত্যাশা করি।