fbpx
ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই (হার্ডকভার)
ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই (হার্ডকভার)

ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই (হার্ডকভার)

Author : ড. রাগিব সারজানি
Translator : মানসূর আহমাদ
Publisher : মুহাম্মদ পাবলিকেশন
Category : ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য

126

You Save TK. 54 (30%)

ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই (হার্ডকভার)

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

ফিলিস্তিন। একটি আহত, ক্ষতবিক্ষত দেহ। লাখো শ্বাপদের দল তাদের হিংস্র নখর দিয়ে খুবলে নিয়েছে যে শরীর।

জেরুসালেম। এককালের সুন্দর সুশোভিত একটি নগরী। প্রাচীন এই শহর উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামলে মুসলিমরা জয় করেন। ক্রমেই বিজিত হয় পুরো ফিলিস্তিন। বহুকাল পরে ক্রুসেডারদের দ্বারা আক্রান্ত হয় এই ফিলিস্তিন। হিংস্র হায়েনার দল বুক-সমান রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে প্রবেশ করে পবিত্র শহর জেরুসালেমে। সে যাত্রা সালাহুদ্দিন আইয়ুবি রাহিমাহুল্লাহ শহরটাকে মুক্ত করেন।

অনেকদিন পর শহরটা আবারও ক্রুসেডারদের দখলে চলে যায়। সেবার তা মুক্ত করেন নাজমুদ্দিন আইয়ুব রাহিমাহুল্লাহ। আবার প্রায় পুরো ফিলিস্তিন চলে যায় কুখ্যাত রক্তখেকোর দল মঙ্গোল বাহিনীর দখলে। তাদের কালো থাবা থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করেন সাইফুদ্দিন কুতুজ ও রুকনুদ্দিন বাইবার্স রাহিমাহুমাল্লাহ।

ফিলিস্তিন আজও ক্রুসেডার খ্রিস্টানদের হাত ধরে জায়নবাদী ইহুদি কুকুরদের দখলে। ফিলিস্তিন আজও একজন সালাহুদ্দিনের জন্য ডুকরে কাঁদে। ফিলিস্তিন আজও একজন বাইবার্সের অপেক্ষায় দিন কাটায়। ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য আমাদের অনেক কিছুই করার আছে। সেই করণীয়গুলো জানার জন্যই ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই

Author

Author

ড. রাগিব সারজানি

মানসূর আহমাদ

Reviews (3)

3 reviews for ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই (হার্ডকভার)

  1. Arafat Shaheen

    ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই

    ফিলিস্তিন—শব্দটা শুনলেই আমরা বুকের গহীনে এক অন্যরকম আলোড়ন অনুভব করি। এটি এমন একটি জায়গা, যা মিশে আছে আমাদের সমগ্র অস্তিত্বে। এই ফিলিস্তিনের বুকে রয়েছে মুসলিমদের সর্বপ্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস। ফলে সমগ্র মুসলিম জাতির সঙ্গে এর রয়েছে এক আত্মিক যোগাযোগ।

    ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের (রা.) সময় বায়তুল মুকাদ্দাস ও সমগ্র ফিলিস্তিন বিজিত হয়। এরপর বহু বছর ফিলিস্তিন মুসলিমদের অধিকারে থাকার পর একসময় ক্রুসেড শক্তি ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ূবী (রহ.) ফিলিস্তিনের বুকে আবার ইসলামি পতাকা উড্ডয়ন করেন। এভাবে নানান সময়ে নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছে ফিলিস্তিন নামক এই ভূখণ্ডটি। মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদি- এই তিন সম্প্রদায়ের আবেগঘন জায়গার নাম ফিলিস্তিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের বুকে ইসরায়েল নামক ইহুদি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে পশ্চিমাদের সক্রিয় সহযোগিতায়। সেই থেকেই আগুন জ্বলছে ফিলিস্তিনের বুকে।

    বই সম্পর্কে:
    প্রকাশনীর পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত একটি পিডিএফ আমাদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। সেটা ভালোমতো দেখে বেশকিছু নতুন বিষয়ের সন্ধান পেয়েছি বইয়ে। ভূমিকাতে লেখক প্রথমেই ফিলিস্তিনের কথা বলতে গিয়ে আনদালুসের (বর্তমান স্পেন, পর্তুগাল) কথা বলেছেন। এবং তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থা যদি অপরিবর্তিত থাকে তাহলে তাদের অবস্থাও আনদালুসের মতোই হবে।
    লেখক আমাদের অর্থাৎ সর্বসাধারণের জন্য ফিলিস্তিন ইস্যুতে ছয়টি কর্তব্য পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    ১ম কর্তব্য:
    ফিলিস্তিন ইস্যুটাকে সঠিকভাবে বোঝা এবং এ ব্যাপারে মানুষের মাঝে দ্রুত চেতনা ও জাগরণ সৃষ্টি করা।
    ২য় কর্তব্য:
    মানসিক পরাজয়ের অবসান ঘটানো এবং মুসলিম উম্মাহর জাগরণ ফিরিয়ে আনতে আশার সঞ্চার করা।
    ৩য় কর্তব্য:
    সাধ্য অনুযায়ী (ফিলিস্তিনের জন্য) অর্থ-কড়ি ব্যয় করা এবং এ ব্যাপারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।
    ৪র্থ কর্তব্য: সকল ইহুদি, আমেরিকান, ইংরেজ এবং যেকোনো রাষ্ট্র ও কোম্পানি- যারা ইহুদিদের সমর্থন করছে, সবগুলোকে বয়কট করা।
    ৫ম কর্তব্য: মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে একাগ্রচিত্তে দোয়া করতে থাকা।
    ৬ষ্ঠ কর্তব্য: ব্যক্তি ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করা।

    মূল গ্রন্থে পয়েন্ট ধরে ধরে বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জনমত তৈরি করা, আশার সঞ্চার করা, ধনসম্পত্তির মাধ্যমে সহযোগিতা করা, বয়কট করা, দোয়া, ব্যক্তি ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করা, উলামায়ে কেরাম ও দাঈগণের কর্তব্য, তরুণ ও যুবকদের কর্তব্য, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের কর্তব্য, শিক্ষকগণের কর্তব্য, নারীদের কর্তব্য, ফিলিস্তিনের জিহাদ সংক্রান্ত কিছু ফাতওয়া।

    বইটির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য:
    ফিলিস্তিনের ওপর বেশকিছু বই রয়েছে বাংলাভাষায়। সে-সব বইয়ের কিছু পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তবে সাধারণত দেখা যায়, ফিলিস্তিন বিষয়ক বইকে একাডেমিক হিসেবে লেখা হয়েছে এবং সেখানে ফিলিস্তিনের ইতিহাস, ইহুদি জাতি, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, ইহুদি-মুসলিম সংঘাত, মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া, গেরিলা যুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসব বিষয়ের সবগুলোই ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু বিশ্বের অপরাপর মুসলিম ফিলিস্তিন ইস্যুতে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে সে-সব নিয়ে কোনো কথা বলা থাকে না। এক্ষেত্রে এই বইটি ব্যতিক্রম। বইটির বিষয়বস্তু লক্ষ করলেই এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    কেন পড়বেন, ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই?
    ড. রাগিব সারজানি মিশরে জন্ম নেওয়া একজন দরদী ইতিহাসবিদ। তিনি আমাদের ইতিহাসকে বড় দরদ নিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আমি আগেই তার লেখার সঙ্গে পরিচিত। তাছাড়া বইটির বিষয়বস্তু আকৃষ্ট করার মতোই। ফিলিস্তিন বিষয়ের নানা প্রশ্নের জবাব পাওয়ার পাশাপাশি আমাদের করণীয় সম্পর্কেও জানতে পারবো।
    অনুবাদের মান খুবই ভালো মনে হয়েছে। আর মুহাম্মদ পাবলিকেশনের কাজের মান নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সুতরাং চোখ বুঁজে বইটি সংগ্রহ করা যেতে পারে।

  2. Md Amdadullah Tafhim

    বইঃ ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই
    লেখকঃ ড. রাগীব সারজানি
    _______________________________
    ♣ প্রারম্ভিকাঃ
    পৃথিবীর সকল মুসলিম একটি দেহের মত। দেহের কোথাও কোন আঘাত যেমন গোটা শরীরেই স্পন্দন সৃষ্টি করে, ঠিক তেমনি কোন মুসলিমের উপর আঘাত গোটা মুসলিম উম্মাহকেই জর্জরিত করে।ইতিহাস সাক্ষী,শীশাঢালা এ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ মুসলিমদের নগন্য শক্তিই পৃথিবীর বিশাল বিশাল তুফানের গতি ঘুরিয়ে দিয়েছে বারংবার। পৃথিবীর কোন বাঁধাই এসব ক্ষুদ্র কাফেলার অগ্রগতি রুদ্ধ করতে পারেনি। ইতিহাসের পাতায় মুসলিমদের সেই উজ্জ্বল সোনালী অতীতের দেখা মিলে আনদালুসের জমিনে,কালের পরিক্রমায় যার বর্তমান রুপ স্পেন ও পর্তুগাল।

    ফিলিস্তিন। মুসলিম উম্মাহর দেহের অবিচ্ছেদ্য ক্ষতবিক্ষত অংশ। বিজয়ী বীর সালাহউদ্দিন আইয়ুবি আর রুকনদ্দিন বাইবার্সের সেই ফিলিস্তিন বহুকাল পরে কুখ্যাত রক্তখেকোর দল মঙ্গোল বাহিনী ক্রুসেডার খ্রিষ্টানদের হাতধরে ইহুদিকরণের প্রহর গুণতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিন ইস্যু মুসলিম উম্মাহর প্রকট সমস্যা। অবৈধ দখলদারিত্বের মধ্য দিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকরণের হিংস্র থাবা এমন এক জাতির জন্ম দিবে যারা মুসলিমদের হত্যা করবে, মুসলিম ভু-খন্ড ছিনিয়ে নিবে, মুসলিম নারীদের লাঞ্চিত আর অপমানিত করে গোটা ইসলামকে নস্যাত করার ঘৃন্য চক্রান্তে নামবে। ঠিক এহেন সংকটময় মুহুর্তে আনদালুসের পরিণতি ফিলিস্তিনের ভাগ্যে না জুটাতে, হিংস্র হায়েনার থাবা থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে নিজ অবস্থান থেকে আমরা কি করতে পারি তার সবিস্তর কর্মকৌশলে সজ্জিত “মুহাম্মদ পাবলিকেশন” থেকে প্রকাশিত ড. রাগীব সারজানি লিখিত “ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই” বইটি।

    ♤বিষয়বস্তুর নিরিখেঃ
    গতানুগতিক ভাবধারায় লিখিত অন্যান্য বইয়ের মত নিছক কিছু ঐতিহাসিক বর্ণনা, বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখপূর্বক কুফফার শক্তির অন্যায়-অপকর্মের ফিরিস্তি, মুজাহিদদের সফলতার মর্মবাণীতে ভরপুর নয়। বরং এতে মূল উপজীব্য হিসেবে স্থান পেয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর করণীয় কি, সুদূর বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমার করণীয় সম্পর্কে বাস্তবিক ও জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা।

    ফিলিস্তিন মুক্তের করণীয় আলোচনায় লেখক নিয়ে এসেছেন উল্লেখযোগ্য কিছু কর্মকৌশল। গোটা মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শিক্ষানবিশ চাক্ষুষ দৃষ্টি, ইন্তিফাদা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে জনমত সৃষ্টি; যাবতীয় হতাশা ঘুচিয়ে বাস্তবতার নিরিখে আশার সঞ্চারণ; ফিলিস্তিনের সংকট অনুধাবনের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা; বয়কটের মাধ্যমে ইহুদি জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করণ, বিপদাপদ ও কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে কিছু বিশেষ ফরিয়াদ ; ব্যক্তি ও সামাজিকভাবে পরিশুদ্ধ জাতি গঠনের প্রয়াশ ও প্রত্যয় ; বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যেমন- উলামায়ে কেরাম, দা’ঈ ইলাল্লাহ, তরুন ও যুবকদল, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, নারী ও সচেতন জনোগোষ্ঠীর দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা স্থান পেয়েছে। বইটির শেষাংশে ফিলিস্তিনে জি/হা/দ সংক্রান্ত কিছু ফতোয়ারও উল্লেখ করা হয়েছে।

    ♣ কেন পড়বেন?
    সম্পুর্ন বইটি পড়ার মাধ্যমে পাঠক অমূল্য এক শিক্ষা লাভ করবে। অন্ধ অহমিকা আর দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন বালির বাঁধের মত ধ্বসে পড়া আমাদের ঐক্য চেতনায় বংশ কৌলিন্যের অহমিকা ভেংগে আবার গড়ে উঠবে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের বুনিয়াদ। সুদৃঢ় প্রাচীরসম ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছেড়ে বংশ আর ভৌগলিক জাতীয়তার কাছে অবনত মস্তক আবার সমুন্নত করার দীক্ষা পাবে। অন্যায় ও অত্যাচারকে স্তব্ধ করে দেওয়ার পরিবর্তে আমাদের ঈমানী তলোয়ার যে জড়িয়ে পড়েছিল আত্নহননের কাজে,খেই হারিয়েছিল হিংসা আর অহংকারের মরিচিকায়, তা আবার গর্জে উঠবে। মুসলিমদের জিন্দেগী কেবল রাত্রি দিনের বিরতিহীন আবর্তন না হয়ে আবার ফিলিস্তিনকে হায়েনাদের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত করার স্বপ্নে ঈমানী তলোয়ার যথেষ্ট শাণিত করার শিক্ষায় ব্রত হবে প্রতিটি মানুষ,প্রতিটি মুসলিম।

    ♣ প্রচ্ছদ সম্পর্কে কিছু কথা।
    আধুনিক যুগে প্রচ্ছদ সকল অর্থেই একটি উচ্চমার্গীয় শিল্পের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। “ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই” বইয়ের শিল্পীর শিল্পকর্ম যথেষ্ট মূল্যবান, তাতে খুঁজে পাওয়া যায় শিল্পের ছায়া ও ছোঁয়া। রয়েছে সুন্দর তুলি,সুন্দর কালি আর তাতে আছে দক্ষ হাতের মুন্সিয়ানার ছাপ। প্রচ্ছদ শিল্পীকে আমি দেখিনি, তবে দূর থেকেই তার প্রতি আমার অজস্র শ্রদ্ধা ও সালাম। একটি বই যথাযোগ্য হয়ে পাঠকহৃদয়কে আলোড়িত করতে দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ ও পৃষ্ঠাসজ্জা অনন্য ভুমিকা পালন করে। আর সেই দৃষ্টির নান্দনিকতা বইটির প্রচ্ছদে পরিস্ফুটিত হয়েছে সুনিপুণ ভাবে।

    ♤ বইটির সম্পুর্ন দ্বৈত অনুবাদ কর্মটি “মানসুর আহমাদ ও মাহিন মাহমুদ” এর মেদ চর্বিহীন এক অতুলনীয় সংস্কার। বানানরীতি ও প্রতিটি বর্ণায়নের সাথে ব্যাকরণসিদ্ধতা, প্রয়োগযোগ্যতা ও প্রয়োগ বাহুল্য এসব গুনের অধিকারী ছিলেন গ্রন্থটির অনুবাদকদ্বয়। যথেষ্ট দক্ষতা ও সতর্ক দৃষ্টির সাথে অনুবাদ টি আঞ্জাম দিয়েছেন।

    পরিশেষে, মুলভাব অক্ষুণ্ণ রেখে চমৎকার উপস্থাপনা, বক্তব্যের মর্মপ্রবাহ ও সরল শব্দপ্রয়োগে ভাবের উন্মোচন,বিষয়বস্তুর নির্মোহ বিশ্লেষণ এবং দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদসহ আনুষাঙ্গিক সকল বিষয়াবলীর সর্বসাকুল্য বিবেচনায় বইটি একটি সুখপাঠ্য গ্রন্থ হিসেবে পাঠক মহলে সাড়া পাবে বলেই আশা রাখছি।
    ________________________________
    বইঃ ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই (পরিমার্জিত বর্ধিত সংস্করণ)
    লেখকঃ ড. রাগীব সারজানি
    অনুবাদকঃ মানসুর আহমাদ ও মাহিন মাহমুদ
    প্রকাশনাঃ মুহাম্মদ পাবলিকেশন
    পৃষ্ঠাঃ ২৪০
    মুদ্রিত মুল্যঃ ৩২০/-

  3. নাফিসা ইয়াসমিন

    প্রাক কথন
    —————
    মুসলিম উম্মাহর সবটুকু ভালোবাসা, হৃদয় উদ্বেলিত আবেগ ফিলিস্তিন। কেন‌ই বা ভালোবাসবো না আমরা ফিলিস্তিনকে?
    আরশের মালিক মহান আল্লাহ স্রস্টার পক্ষ থেকে নির্ধারিত প্রথম কিবলা বায়তুল্লাহ মুকাদ্দস আজ বিচ্ছিন্ন মুসলিম উম্মাহর থেকে। প্রিয় নবী ﷺ -এর মেরাজের স্টেশন আল-আকসা। পবিত্র সেই ভূমি যা মক্কা ও মদীনার পরে তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ প্রাণকেন্দ্র থেকে আজ মুসলিম উম্মাহ বিতাড়িত।

    পাশ্চাত্যের পালিত পুত্র ঈসরাইলের হায়নার মত দখলদারি হামলে পড়েছে মুসলিম বিশ্বের আর এক হৃদয় ফিলিস্তিনের ওপর।
    উম্মাহর প্রাণকেন্দ্র ফিলিস্তিনের বাতাস প্রতিদিন ভারী হয়ে ওঠে অসহায় নারী-পুরুষ, নিষ্পাপ শিশুদের বুকফাঁটা আর্তনাদে।উড়ছে বিষাক্ত বারুদের গন্ধ ,কতশত কয়েক হাজার হাজার উম্মাহর রক্তে লাল সেই পবিত্র ভূমি।

    বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের আর্তনাদ নিয়ে অনেক ব‌ই রচিত হয়েছে। ফিলিস্তিনকে নিয়ে আমরা ব্যারা অনুভব করি সকলেই কিন্তু খুব কম ব‌ই আছে যেখানে আলোচিত হয়েছে অভিশপ্ত ঈজরায়েলের দখলদারি থেকে কিভাবে মুক্ত করবো আমরা ফিলিস্তিনকে? কিভাবে ফিরিয়ে আনবো সেই পবিত্র ভূমির জৌলুস?
    সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী?সমাধান কি?এমনসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সাবলীল উত্তর নিয়ে সাজানো হয়েছে আরব বিশ্বের প্রখ্যাত লেখক ও দাঈ ও গবেষক– ড. রাগিব সারজানি রচিত ‘ফিলিস্তিন লান তাদি’ গ্রন্থটি।
    এই উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ ‘ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই’ প্রকাশ হতে চলেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশনের পক্ষ থেকে। ভাষান্তর করেছেন প্রাজ্ঞ অনুবাদক মানসূর আহমাদ ও মাহদি হাসান।

    লেখক পরিচিতি
    ————————–
    ড. রাগিব সারজানি মিশরের প্রখ্যাত দাঈ, ইসলাম প্রচারক ও ইতিহাসবিদ। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। ইসলামি ইতিহাসের গভীর গবেষণার জন্য তিনি একজন প্রসিদ্ধ ইসলামিক গবেষক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিচিত। ইসলামীক ইতিহাস গবেষণা বিষয়ে এ পর্যন্ত তার ৫৬টি মূল্যবান কিতাব লিখেছেন।

    ব‌ই-আলাপন
    ——————
    নামকরণ থেকেই ধারণা করা যায় পাঠ্য ব‌‌ইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে। প্রতিটি দেশের, প্রত্যেকটি মুসলিম উম্মাহর ভালো বাসার দাবী ফিলিস্তিন যা একজন মুসলিম হিসাবে আমরা অস্বীকার করতে পারিনা।
    অন্যান্য ব‌ইয়ের মত এই ব‌ইটিতে গৎবাঁধা ধারায় শুধু ফিলিস্তিনের দুর্দশা আলোচনা করা হয়নি।
    বরং ফিলিস্তিনের সমস্যা ও সম্ভাবনার পাশাপাশি ইতিহাস সম্পর্কিত বহুল তথ্যের সমাহার দেওয়া হয়েছে।
    ফিলিস্তিন সম্পর্কিত সমস্যা, প্রতিকূলতা এবং এর সমাধান কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সাবলীলভাবে প্রাক্টিক্যালি যুক্তির নিরিখে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    বইটির প্রথমেই যে ভূমিকা রয়েছে আনদালুসের ইতিহাস নিয়ে সেই অংশটা ঈমানি দ্বীপ্তিকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। অবচেতন মনে তীব্র আলোড়ন বয়ে যায় এই ইতিহাস জানার পর। মুসলিম শাসকদের তৌহিদের তলোয়ার কতোটা জোরালো ছিল যা শাসন করেছিল একসময় স্পেন পর্তুগালকে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যায় ইসলামের মানচিত্র থেকে আনদালুস। আনদালুসকে নিয়ে সেই আবেগ আর মুসলিম উম্মাহকে আর তাড়া করেনা।
    স্মৃতি থেকে হারিয়ে গেছে আনদালুস।
    এইভিবেই কি ফিলিস্তিনও হারিয়ে যাবে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় থেকে?
    ব‌ইয়ের ভূমিকাতে অত্যন্ত সাবলিল পরিমার্জিত হৃদয়গ্রাহী আলোচনা রয়েছে
    কেন আমরা ফিলিস্তিনকে মুক্ত করবো?’ শিরোনামে।

    সর্বমোট ১৪ টি প্রধান শিরোনামের অধীনে ছোটো ছোটো অসংখ্য উপশিরোনামে ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার কর্মপন্থা এবং একজন মুসলিম হিসাবে আমাদের করণীয় কী হতে পারে অথবা বহির্বিশ্বের মুসলমানদের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য কী তা নিয়ে সম্মানিত লেখক প্রাক্টিক্যালি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যা সহজেই নিস্তেজ হৃদয়কে জাগ্রত করে।

    ✔️কীভাবে জনমত তৈরি করা।
    ✔️গুরুত্বপূর্ণ আর একটা বিষয় আশার সঞ্চার করা।
    ✔️ ধনসম্পত্তির মাধ্যমে সহযোগিতা করা।
    ✔️ইজরাইলকে বয়কট করার কারণ এবং বয়কটের ফলপ্রসূতা।
    ✔️দুআর গুরুত্ব ও তাৎপর্য।
    ✔️ব্যক্তি ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা।
    ✔️উলামায়ে কেরাম ও দাঈগণের কর্তব্য।
    ✔️তরুণ ও যুবকদের কর্তব্য।
    ✔️ সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের কর্তব্য,
    ✔️শিক্ষকদের কর্তব্য।
    ✔️নারীদের কর্তব্য।

    পাঠ্য-অনুভূতি
    ——————–
    “ফিলিস্তিন” নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মুসলিম উম্মাহর রক্তাক্ত লাশ, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ, স্বভূমি থেকে বিতাড়িত বিধ্বস্ত এক মুসলিম জনগোষ্ঠী যা মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে বয়ে নিয়ে আসে এক তীব্র হাহাকার।

    ধ্বংসস্তুপের তলায় নিষ্পাপ শিশুদের রক্তমাখা লাশ, ইহরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অসহায় মায়ের আর্তনাদ, ইজ্জত লুন্ঠিত বোনেদের অশ্রুসিক্ত হাহাকার একজন মুসলিমের অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করে প্রতিনিয়ত। আমরা নিশ্চুপ নিশ্চিন্তে দিনযাপন করতে পারিনা। ঈমানের দাবি রক্ষার জন্য‌ লড়াইয়ের মাঠে আহ্বান ফুটে উঠেছে ব‌ইয়ের ভাঁজে ভাঁজে।
    ফিলিস্তিনকে বাঁচানোর লড়াই’ হলো— আমাদের ঈমানী দায়িত্ব যা আমরা বিস্মৃত হতে পারিনা।
    আর সেই দায়িত্ব আমরা কীভাবে পালন করবো, সেই নির্দেশিকাই বর্ণিত হয়েছে আলোচ্য ব‌ইটিতে।

    এছাড়া সাবলীল অনুবাদ এবং ভাষার প্রাঞ্জলতা অন্তর ছুঁয়ে যায়। ব‌ইটি পড়ে মনে হয়নি কোন অনুবাদ পড়ছি।

    কেন পড়বেন?
    ———————-
    ফিলিস্তিন এক ক্ষতবিক্ষত মুসলিম উম্মাহর আত্মা। যার দেহ খুবলে নিয়েছে নরখাদকের দল ইজরায়েল।
    একসময় সুশোভিত ছিলো জেরুজালেম, যেখানে অবস্থান করে হাজার নবী রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত মসজিদুল আকসা, প্রথম কিবলা বায়তুল্লাহ মুখরিত হতো আজানের ধ্বনি। আজ ধূলিমলিন আকসা রক্তাক্ত। প্রিয় নবীজীর(সাঃ) কথা অনুযায়ী মুসলিম উম্মাহ তো এক‌ই দেহ, এক‌ই আত্মা যার কোন এক অ‌ংশ দগ্ধ হলে পুরো দেহ ব্যাথা পায়।

    একজন মুসলিম হিসেবে এই ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত ফিলিস্তিনের মাটিতে ইসলামের পতাকা উড্ডীয়মান হোক সেটা কি আমাদের চাওয়া হতে পারেনা।
    তাই, সমগ্র মুসলিম পাঠকের হৃদয়কে জাগাতে মুহাম্মদ পাবলিকেশনের পক্ষ থেকে মলাটবদ্ধ আকারে প্রকাশিত হয়েছে “ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই” নামক ব‌ইটি।

    ইতিমধ্যেই বইটি পাঠকমহলে ব্যপকভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের জন্য হয়েছে এক অসাধারণ স‌ওগাত ও আলোর দিশারী।

    বইয়ের নাম : ফিলিস্তিন : বেঁচে থাকার লড়াই
    লেখক : ড. রাগিব সারজানি
    অনুবাদক : মানসূর আহমাদ ও মাহদি হাসান
    সম্পাদনা : মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী
    পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০
    মুদ্রিত মূল্য : ৩২০ টাকা

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।