অনূদিত গ্রন্থের বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু কিছু অংশ আমি পড়ে দেখেছি। আমার কাছে অনুবাদকর্ম মূল গ্রন্থের সাথে মিল রেখে মানোত্তীর্ণ মনে হয়েছে।
গ্রন্থটিতে অনেক চেষ্টা-সাধনা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টীকা সংযোজন করা হয়েছে, যা শুধু সাধারণ জনগণের জন্য নয়, বরং তালিবে ইলমদের জন্যেও অনেক উপকারী প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ।
অনুবাদক অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায়, প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় অনুবাদকর্ম আঞ্জাম দিয়েছেন, এতে করে সাধারণ পাঠকও প্রতিটি মাসআলা খুব সহজে বুঝতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
-ফকিহুল আসর, শায়খুল হাদিস ওয়াত তাফসির আল্লামা মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন হাফি.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থের কিছু বৈশিষ্ট্য
১. যে সমস্ত প্রশ্ন-উত্তর একাধিক বার এসেছে, সেগুলোকে একাধিকবার না এনে একবারই উল্লেখ করা হয়েছে।
২. অল্প কয়েকটি প্রশ্ন-উত্তর এমন ছিলো, যেগুলো ইমামে রব্বানি রাশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রাহি. এর যুগের সাথেই খাস বা নির্দিষ্ট ছিলো। বর্তমান যুগে এগুলোর কোনো দরকার নেই—এ জাতীয় প্রশ্ন-উত্তর বাদ দেওয়া হয়েছে।
৩. “মালফুজাত” শিরোনামে মূল গ্রন্থে যে বিষয়গুলো ছিলো, সেই বিষয়গুলো কোনো প্রশ্ন-উত্তরের অধীনে এসে গেলে সেগুলোকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। আর যদি কোনো প্রশ্ন-উত্তরের অধীনে এসে না থাকে, তাহলে সেগুলোকে প্রশ্ন-উত্তর আকারে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. অনুবাদের ক্ষেত্রে পাঠক উপযোগিতার প্রতি সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা হয়েছে।
৫. যেহেতু “ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ” ইমামে রাব্বানি রাশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রাহি. এর লেখা কোনো ফাতওয়া গ্রন্থ নয়, বরং তার প্রদানকৃত ফতওয়ার সংকলন। এ জন্য সংকলকের ভুলে কোথাও কোথাও অন্যদের (আহলে হাদিসদের) দুই একটি ভুল ফাতওয়া স্থান পেয়েছে। এক্ষেত্রে টীকায় সে ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বিশুদ্ধ মাসআলাটি উল্লেখ করে হয়েছে।
৬. অল্প কয়েকটি মাসআলায় ইমামে রাব্বানি রাশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রাহি. এর “তাফাররুদাত” ছিলো। সেই “তাফাররুদাত” এর ক্ষেত্রেও হানাফি স্কুল অব থটের গ্রহণযোগ্য মত টীকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৭. “যুগের পরিবর্তনের কারণে ফাতওয়া পরিবর্তন হয়” —এই মূলনীতির আলোকে যে ফাতওয়াগুলো সেকালের জন্য সঠিক ছিলো। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের কারণে একালে এগুলো আমলযোগ্য থাকেনি। এ জাতীয় ফতওয়াগুলোর ক্ষেত্রে টীকায় সমকালীন উলামায়ে কেরামের মত উল্লেখ করে।
Reviews
There are no reviews yet.