Copyright © 2024 Seanpublication.com
এরদোয়ান : দ্যা চেঞ্জ মেকার (পেপারব্যাক)
- লেখক : হাফিজুর রহমান
- পাবলিকেশন : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
- বিষয় : মুসলিম মনীষী : জীবন ও কর্ম, সকল প্রকাশক
Author : হাফিজুর রহমান
Category : রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৳350 ৳245
You Save TK. 105 (30%)
এরদোয়ান : দ্যা চেঞ্জ মেকার (পেপারব্যাক)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (2)
2 reviews for এরদোয়ান : দ্যা চেঞ্জ মেকার (পেপারব্যাক)
Add a review Cancel reply
Muhammad Tamimul Ihsan –
||বুক রিভিউ||
▪︎ রিসের তাইয়্যেপ এরদোয়ান।একটি নাম,একটি আন্দোলন,একটি মহা সংগ্রামের গল্প।যদি এরদোয়ানের মতো মানুষকে খুব কম শব্দে মূল্যায়ন করতে হয় তবে বলতেই হবে,তার মতো ক্যারিশম্যাটিক রাজনীতিবিদ এবং তার মতো সমাজসেবী বা গণমানুষের প্রিয় একজন দুনিয়ায় কমই আছে। মুসলিম বিশ্বের এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও আমরা অনেকে স্বপ্ন দেখি এই নেতাকে নিয়ে। আশার আলো দিন দিন ফিকে হয়ে গেলেও হঠাৎ করেই কেউ যেন একে মুক্তির পদচিহ্ন। তুর্কী জনগণ যেভাবে সব হারিয়ে যাওয়ার দুনিয়ায় নতুন এক তুরস্ক দেখে মনে আশার বীজ বুনে,তেমনি আমরাও আমাদের থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের একটি দেশ নিয়ে আমাদের আশার বীজ বুনে থাকি। কামাল আতাতুর্কের আদর্শে গড়ে ওঠা তুরস্কের পুরো চিত্র যিনি আমূলে বদলে দিয়েছেন সেই মহান মানুষটির জীবন সংগ্রামের গল্পগুলো নিয়েই হাফিজুর রহমান কর্তৃক রচিত “এরদোয়ান : দ্য চেঞ্জ মেকার” বইটি। প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রকাশনী গার্ডিয়ান পাবলিকেশন।
▪︎ লেখক হাফিজুর রহমান ভাই গবেষণা করছেন তুরষ্কের গাজী ইউনিভার্সিটিতে। বইটি লিখতে গিয়ে তিনি যে কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন,কত জায়গা থেকে যে রেফারেন্স কালেক্ট করা হয়েছে তা বইটির প্রথমদিকেই উল্লেখ করা আছে। একজন মানুষকে নিয়ে লেখা যিনি ইতিমধ্যেই জনমানুষের প্রাণের নেতা হয়েছেন তাকে নিয়ে লেখাটা মোটেও সহজ কোনো কাজ না।
▪︎ বইটিকে মোট ১২ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে মূলত উঠে এসেছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রাথমিক জীবন,আধুনিক তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাস, এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু এবং ইস্তাম্বুল প্রদেশের সভাপতির জীবন, ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়গুলো, কারাগার ও অনিশ্চিত জীবনের সময়গুলো,একে পার্টি প্রতিষ্ঠা,সংগঠন কায়েম এবং সরকার গঠন থেকে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়কালে তুরষ্কের নানা দিক আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও বইটিতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কীভাবে তুরস্ককে ইউরোপের রুগ্ন দেশ থেকে পরিবর্তন করে বিশ্বের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন দেশে পরিণত করেছেন,কোন কোন সেক্টরে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে,একে পার্টি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তার দল ও সরকার পরিচালনায় যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেছে, সে সম্বন্ধে বইটিতে অল্পবিস্তর ভালো আলোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ১৫ জুলাইয়ের ক্যু এর বিশদ বর্ণনাও বইটিতে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।বিশ্ব রাজনীতিতে এরদোয়ান ও তার সরকারের পদক্ষেপ এবং এরদোয়ানের ডায়নামিক নেতৃত্ব নিয়েও বইটিতে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে।
তবে পুরো বইটিতে লেখক শুধু একলাই যে কথা বলেছেন তা নয়।এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের অনেক সহকর্মীর থেকে সাক্ষাৎকার পর্যন্ত নিয়েছেন এরদোয়ানের ব্যাপারে।সর্বোপরি এরদোয়ানের লাইফস্টাইল,সংগ্রামের কমপ্লিট প্যাকেজ বইটি।
▪︎ বইটি কারা পড়বেন এবং কেন পড়বেন…..??? প্রথমত যারা এরদোয়ানকে নিয়ে সমালোচনা করতে খুব ভালোবেসে থাকেন তারা বইটও পড়ে দেখতে পারেন।বইটি পড়লে হয়তো তার সম্পর্কে আপনাদের অনেকের অনেক ভূল বিশ্বাস ভেঙ্গে যেতে পারে।এরদোয়ানের সংগ্রাম এবং একটি দেশকে একটু একটু করে উপরে তোলার ক্ষেত্রে এরদোয়ানের মতো রাজনীতিবিদদের কতটা প্রয়োজন বইটিতে তার সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।আবেগে না ভেসে বিবেক দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এরদোয়ানের কার্যক্রম যে কতটা কার্যকর তা হয়তো বইটি না পড়লে বুঝা সম্ভব হবে না।
▪︎ ব্যক্তিগত অনুভূতি : এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ক্যু এর পর থেকেই তার প্রতি আকর্ষণ লাগা শুরু। একজন রাজনীতিবিদের জন্য জনগণ জীবন বিলিয়ে দিতে পারে কখনো এই বাংলাদেশে বসে কল্পনাও করতে পারিনি। সেনাবাহিনীকে সাধারণ জনগনের ঠেকানো কতটা নেতা প্রিয় হলে পারা যায়..?? অনলাইন শপ,বাংলাবাজার নিউমার্কেট অনেক খুঁজেছি এই নেতার জীবনীগ্রন্থ সম্পর্কে বাট কোনো বই তার সম্পর্কে লেখা হয়নি। অনলাইনে কিছু আর্টিকেল পেয়েছিলাম তার সম্পর্কে ওতটুকুই ভরসা ছিলো।তারপর গার্ডিয়ান পাবলিকেশন বাজারে এনে ছাড়লো বইটি।দেরি করিনি কিনে ফেলতে,প্রতিটা পাতায় পাতায় খুঁজে পেয়েছি এক সংগ্রামী নেতাকে। এক কথায় বইটি অসাধারণ…….
তাই এরদোয়ানের জীবন সম্পর্কে জানতে বইটি অসাধারণভাবে কাজ করবে বলেই আমি ধারণা করে থাকি।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৫/৫
মাআসসালাম………!!
nayeem_sharder –
বই- এরদোয়ান : দ্যা চেঞ্জ মেকার
নাম শুনে যতটুকু অনুমান করা যায় তার চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ ইতিহাস নিয়ে গঠিত এই বইটি।। ভাষাগত নৈপুণ্যতার জন্যই এতো কম পৃষ্ঠায় শত শত বছরে ইতিহাস আবদ্ধ করা সম্ভব।। বইটি পড়ার আগে মনে হবে এখানে শুধু এরদোয়ানের জীবনি কিন্তু না, এখানে সেই ১২৯৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত তুরস্কের নানা উত্থান পতন নিয়ে আলোচিত হয়েছে। সত্যের পথে অবিচল থাকলে বিজয় যে নিশ্চিত, বইটি তারই এক দলিল। নিম্নে বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কয়েকটি পার্টে সাজানো হলো…….
পার্ট-১. প্রাথমিক জিবন:-
—————–
গুনেইসুর ছোট এক মহল্লার নাম মেরকেজ মহল্লা, সেখানেই বসবাস ছিলো এরদোয়ান বংশের।। কিন্তু সেখানের জিবন যাত্রা ভালো না হওয়াতে আহমদ এরদোয়ান ইস্তামবুল চলে আসে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ১৯৫৪ সালের ২৬ফেব্রুয়ারি তে যে সন্তানটি জন্মায় তার নাম “রেজেপ তায়্যিব এরদোয়ান”। শিক্ষা জিবনের শুরুতেই প্রমান দিয়েছে সে যেন নেতা হয়েই জন্মেছে। ক্লাসের ক্যাপ্টেন, সাহিত্য সংসদের সভাপতি, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে দায়িত্বশিল, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা যেন তার জন্য প্রথম পুরস্কার বরাদ্দ। এমন কি পুরো তুরস্কে আবৃত্তিতে প্রথম হন।
কএকটা সময় তিনি নাম করা ফুটবলার হিসাবে পরিনত হন, অতপর বাবার সিদ্ধান্তে তা বাদ দিতে বাধ্য হয়।। বলা বাহুল্য, একসময় পারিবারিক অসচ্ছলতার কারনে তিনি বাজারে রুটি, পানি, লেবু বিক্রি করে স্কুলের বেতন ও পরিবারে সহযোগীতা করেছেন। রাজনীতির শুরুতেই ইসলামিক ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তিতে বেইয়্যুলু যুব শাখার সভাপতি এবং ১৯৮০ সালের সাকরিক অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের সভাপতি ও ব্যাপক দাওয়াতি কাজ বৃদ্ধি করে।। তিনি ১৯৮২ সালে সাব-লেফটেনেন্ট হিসাবে সামরিক প্রশিক্ষন সম্পন্ন করেন।
পার্ট-২. আধুনিক তুরস্কের রাজনীতি :-
———————–
১২৯৯ সালে উসমানি খেলাফতের গোড়াপত্তন হয়েছিলো, এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা মহাদেশ জুরে তার বিস্তৃতি ঘটে। শিক্ষা, গবেষনা, অর্থনীতি ও সামরিক শক্তির মত সুপার পাওয়ারে অধিকারি ছিলো।। একটি সময়ে এসে পশ্চিমাদের উদারবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা উসমানি খিলাফতে হানা দেয়।। এতে করে শিক্ষা ব্যবস্থা ও রাজনীতিতে ব্যপক পরিবর্তন ঘটতে থাকে।। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এমন পর্যায় দাড়ায় যে, ১৯০৮ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ২২ টি সরকার গঠিত হয় যার কোনটি গড়ে ৫মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি।। আফ্রিকা, ইউরোপ মহাদেশের রাজত্ব হারায় এবং ইটালির সাথে যুদ্ধে পরাজয়।। একটি সময় বর্তমান তুরস্কের সিমানাটুকু নিতে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, গ্রিস, ও রাশিয়া ইত্যাদিরা সরাসরি ও পরোক্ষ ভাবে যুদ্ধ করে।। সেই যুদ্ধে জয়লাপ করলেও দেশিও বামদের হাতে ক্ষমতা যায় এবং ১৯২২ সালে উসমানি খেলাফাতের বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়।।
জেহেপে দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক আধুনিক তুরস্ক করার নামে ধিরেধিরে ধর্মনিরোপেক্ষতাবাদ, উসমানি খেলাফাতের মাদ্রাসা বন্ধ, ইসলামি পোশাক বাদ, ইসলামি কৃষ্টি কালচার বাদ দিয়ে পশ্চিমা নোংরা কালচার আমদানি, চুরান্তভাবে সংবিধানে ইসলামি আইন বিলুপ্ত, উসমানি খিলাফাতের ইতিহাস মুছার জন্য ভাষার পরিবর্তন করে আরবি হরফ থেকে ল্যাটিন হরফ করা হয়, জামায়াতে নামাজ পড়া বন্ধ, আরবিতে আজান দেওয়া বন্ধ করে তুর্কি ভাষায় আজান প্রচলন শুরু করে এবং নারীদের পর্দার ব্যপারে অনেক বড় বাধা হয়ে দাড়ায়। এমন একটা সময় এসে দাড়ায় যেখানে নারীরা ঘরে হিজাব পরে থাকলেও বাহিরে ওড়না ছাড়া যেতে হতো এবং কুরআন পড়া অনেকেই ভুলতে বসেছে ও জানাজা নামাজ পড়ানোর জন্য আলেম খুজে বের করতে অনেক সমস্যায় পরতে হতো।।
এতোটাই করুন পরিনতিতে মুসলমানরা পরে গিয়েছিলো।। যখন কোন দল তাদের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারছিলো না তখন ডেমোক্রেটিক পার্টি জনগনের আশা যোগাতে থাকে কিন্তু জেহেপের ক্ষমতার কাছে তারা একসময় সেনা ক্যু এর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং তাদের নেতারা গনহারে কারাবন্দী ও মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়……..
পার্ট-৩. মূলরাজনীতিতে এরদোয়ান,
ইস্তাম্বুলের মেয়র ও কারাবরণ:-
————————–
১৯৮০ সালের ক্যু রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলেও এরদোয়ান তার কাজ বন্ধ রাখেনি। গোপনে তার কাজ চালিয়ে যায়।১৯৮৪ সালে রেফা পার্টির বেইয়্যুলু জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়।। এই এলাকায় রেফা পার্টি তেমন কোন বা জনপ্রিয়তা ছিল না। কিন্তু এরদোয়ান বেইয়্যুলু পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনি কৌশল ও দাওয়াতিকাজের মাধ্যমে শূন্য থেকে রেফা পার্টিকে শক্ত অবস্থানে দাড় করায়। পরবর্তিতে ইস্তাম্বুলের মত জেহেপে শক্তিশালি জায়গায় মেয়র পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দলে প্রধানরা এটা অসম্ভ বলে দাবি করে তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য বলে।।
এরদোয়ান অনেক জোরজবরদস্তি করে সেখানকার মেয়র নির্বাচনের প্রার্থী হন।। ১৯৮৯ সালে জেহেপের নুরুদ্দিন নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হলেও কাজের বেলা কিছু করেনি। যার ফলে ১৯৯০ সালে সপ্তাহের পর সপ্তাহ পানি শূন্যতা, রাস্তা ঘাটে ময়লার স্তুব হতে লাগলো। ইস্তাবুলের জনগনের নানা রোগে আক্রান্ত হতে লাগলো।। ১৯৯৩ সালে গ্যাসের বিরাট সমস্যা শুরু হলো। যার কারনে জনগন টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।। ঠিক সেই সময়ে এদোয়ানের মেয়র প্রার্থী হিসাবে আগমন।। ইস্তাম্বুল নিয়ে পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগনের সামনে হাজির।।
অতপর তিনি নির্বাচনে ১লক্ষের অধিক ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়।। আর ক্ষমতার ১০০ দিনের মধ্যে ইস্তাম্বুল কে এতোটাই পরিবর্তন করে যে, এর আগে যারা ইস্তাম্বুলে এসেছিলো তারা পরবর্তিতে এসে চিনতে কষ্ট হয়ে গেছিলো। পরিষ্কার রাস্তাঘাট, পার্ক- বাগান, পানি শূন্যতা রোধ ও গ্যাসের সমস্যা সমাধান ইত্যাদিতে অল্পদিনে এতোটাই ঝাকঝমক হয় যার কারনে পুরো তুরস্কে তার নাম ছড়িয়ে পরে। এরপর ১৯৯৭ সালে সমাবেশে কবিতা আবৃতিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রদোহী মামলা দায় করা হয় তার বিরুদ্ধে।। অতপর ১২০ দিন পরে জেল থেকে মুক্তি পেলেও রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো।
পার্ট-৪. একে পার্টি গঠন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী
ও প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন:-
—————————-
যখন তুরস্কের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন ফাজিলত পার্টির অর্ধেক, আনাভাতান পার্টি, জেহেপেসহ আর দুইএকটি দলের এমপি মিলে ৫৫ জন এমপি একে পার্টিতে যোগ দিলো।। এরদোয়ান প্রতিটি জেলায় জেলায় সফর করে ও জনসভা করে। তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। কিন্তু সমস্যা হলো তিনি তখনও রাজনীতি থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ।। কোন ভাবেই আদালত তার পক্ষে রায় দিচ্ছে না বরং তাকে ছয় মাসের মধ্যে পার্টি থেকে বের করে দেয়ার জন্য আদালত চিঠি পাঠায়।। তিনি আদালতে কোন নোটিশ তোয়াক্কা না করে তার কাজ চালিয়ে যায় পুরোদমে এবং বলতেন আমি জয়ি হবোই।। একদিকে যেমন মিডিয়ার প্রচার চলছে এরদোয়ানের রাজনীতি নিষিদ্ধ অন্যদিকে তার কাজের স্প্রিট বাড়াতে লাগলো।। যখন কোন ভাবেই নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারছেন না এদিকে আবার নির্বাচনও চলে আসলো।। অতপর আল্লাহর রহমতে ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রী.!! শুরু হলো ভিশন ২০২৩ বাস্তবয়নে নিরন্তর ছুটে চলা।
রাজনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, গবেষণা, ধর্মিও কার্যক্রমের প্রসার প্রচার এবং নারী সমাজের বহু আকাঙ্ক্ষিত এক স্বাধীনতা হিজাব পরতে পারলো।। হিজাব বাস্তবায়নে এরদোয়ানের এতো বেশি পরিশ্রম ও জামেলা পোহাতে হয় তা লিখে শেষ করা যাবে না।। ধর্মিও কাজ বাস্তবায়নের কারনে পার্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।। কিন্তু জনগনের মাধ্যমে রক্ষা পায়।। জনগনের কাছে সফলতার ধারাবাহিকতার মধ্যে দিয়ে আব্দুল্লাহ গুলের পর তিনি সরাসরি জনগনের ভোটের মাধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।। এরদোয়ান তুরস্কের সকল প্রকার অরাজকতা, সহিনসতা মুক্তির এক বাহুতে পরিনত হয়।।
পার্ট-৫. ১৫জুলাইয়ের ক্যু, বিশ্ব রাজনীতি
ও নেতৃত্বের গুনাবলী:—
—————————
রাত ১০.৩০ মিনিটে গোলাগুলির শব্দ, রাস্তায় সেনাবাহিনীর গাড়ি। কেউ কিছু বুজে উঠতে পারলো না। রাত ১২টার পরে টিভি থেকে ঘোষনা এলো সেনাবাহিনীর একটি অংশ ক্যু করেছে। আর তখন এরদোয়ান সফরে ছিলো। ১২.৩০ মিনিটে এরদোয়ান স্কাইপিতে ৪/৫ মিনিটে জনগন কে সেনাবাহিনীর ক্যু ব্যর্থ করতে ডাক দিলো। ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে ঝাকেঝাকে মানুষ বেড়িয়ে পরলো। এরদোয়ান তার জিবনের ঝুকি নিয়ে সত্যিকারের নেতার মত তাৎক্ষনিক হেলিকেপ্টরে চলে আসে।।
বইটিতে সুন্দর ভাবে বর্ননা করা হয়েছে কিভাবে জনগন ট্যাঙ্কের সামনে খালি হাতে প্রতিবাদ করে ছিলো।। অবশেষে এক ঐতিহাসিক গতন্ত্রের জয় হয়।। বিশ্ব রাজনীতিতে একে পার্টির পরিচয় হয়। আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, এবং মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে।। এতো কিছু অর্জন শুধু মাত্র একটা গুনেই সম্ভব তাহলো নেতৃত্বের অসাধারন গুনাবলি।। তার গুনের মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা-বিশ্বাস, প্রচুর অধ্যায়ন, পরামর্শভিত্তিক কাজ, কাজের তত্ত্বাবধায়ন, পরিশ্রম, সহজ সরল জিবন ও যুবকদের প্রাধান্য।। বইটিতে এরদোয়ানের কিছু অসাধারন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে যেমন:- আমরা শিয়া কিংবা সুন্নি নামে কোন ধর্ম জানি না। আমাদের একটি মাত্র ধর্ম, আর তা হলো ইসলাম। আমরা ইসলামের সেই ঐক্যের ছায়াতলে একত্রিত হব………