Copyright © 2025 Seanpublication.com
ড্রাইভিং সিটে দু’জন
- লেখক : ইসমাইল রফিক
- পাবলিকেশন : মাকতাবাতুল হাসান
- বিষয় : গল্প-উপন্যাস, শিশু কিশোরদের বই, সকল প্রকাশক
Author : ইসমাইল রফিক
Publisher : মাকতাবাতুল হাসান
Category : শিশু-কিশোরদের বই/গল্পের বই
৳180 ৳135
You Save TK. 45 (25%)
ড্রাইভিং সিটে দু’জন
Share This Book:
Ruponti Shahrin –
বইঃ ড্রাইভিং সিটে দু’জন
লেখকঃ ইসমাইল রফিক
প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল হাসান
রোজ রোজ একই কান্ড। দুই দুষ্ট নাতিকে গল্প শোনাতে হবে দাদুর। সাথে যোগ হয় আদুরে নাতনিও। রাজা বাদশার গল্প ছাপিয়েও আরোও গল্প জমে রোজ। কিন্তু প্রিয় তোতা পাখির গল্প শুনতে বড্ড ইচ্ছে হয় তাদের। এদিকে মুবিনের আবদার রাখতেই গল্প ধরে দাদু। তখনই মুবিনের খাঁচায় রাখা তোতার ডাকে গল্পে যেন ছেদ পড়ে।
গল্পে দৈত্যের প্রাণ ভ্রোমরা ছিল তোতার ভেতর। বাস্তবে হাসনাইন সাহেবের ছেলের প্রাণ পাখি ওই খাঁচার তোতা। ম্যাগাজিনে একটা দরদী মালিকের উদারতার আখ্যান তিনি বহুবার পড়েছেন। কিন্তু জীবন গল্পে ছেলের প্রাণ পাখি ফিরিয়ে আনতে তিনি কি ততটুকু উদার হতে পারবেন? জানতে হলে “তোতা” গল্পটি পড়তে হবে।
অত্যন্ত স্নেহে আহ্লাদে মানুষ হয়েছে রাহাত। ঘরময় প্রচুর বই তার। পড়েও প্রচুর। আস্ত একটা আলমারি তার বইয়ে ঠাসা। কত জাতের বই। কত ভাষার বই সেখানে। কিন্তু একদিন কাজের বুয়ার ছেলেটাকে একটা বই নিয়ে পড়তে দেখতেই যা নয় তা তো বলেই দিল। আরোও ভালোমন্দ বলে গেলো রাহাত। হথাত নতুন একখানা বই হাতে নিতেই কখন যে ঝিমুনি এসে তাকে কাবু করে ফেললো! ঘুমের ভেতরেই সে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলো। যা তার জীবনের পরিবর্তন আনতে যথেষ্ট ছিল। কী ছিল সেই স্বপ্নে? বাকি কথা বলা আছে “একটি দুঃস্বপ্নের পরে” গল্পে।
দশ-এগার বছরের একটি মেয়ে নাবিলা। প্রায় তাকে পাহাড়ে যেতে হয়। ঘুরতে নয়, লাকড়ি কুড়াতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে। সীমান্ত এলাকা। বিএসএফ ও বিজিবি দুই দেশের বাহিনীর টহলে সীমান্ত রক্ষা পেলেও জানের অনিশ্চয়তা প্রতিদিনকার বিপর্যয়। নাবিলারও সুযোগ আসে একদিন প্রতিশোধের। কীভাবে ছোট্ট মেয়েটি তার খেলার সাথী হারানোর প্রতিশোধ
নেবে?
দারিদ্র্য যখন চরমে। তখন কি আর বসে থাকা চলে? বেকারত্বের বোঝা যে বহন করা যায় না। একটা কিছু যে এখনই করতে হয়। কিন্তু কিভাবে? ভাবনায় ডুবে যায় মুনতাসির। থুতনি তার পড়ে থাকে জানালার চৌকাঠে। দখিনা বাতাস হু হু করে প্রবাহিত হয়। এলোমেলো করে দেয় তার গোছানো চুল। আচ্ছা এখন কোন ঋতু চলছে? বলতে পারে না সে। আজকাল সে খবরটাও রাখা হয় না। বরং বলতে গেলে অত সৌখিনতাও বা তার কোথায়! ঋতুরা বদলায় দু’মাস অন্তর অন্তর, কিন্তু তার জীবনপঞ্জিকা কি সাত বছরেও বদলেছে? সে “উদ্দেশ্যহীন অজানার পথে” চমতকার গল্পে আছে জীবনবোধের নয়া অভিধান।
এমনই কিছু গল্প যেমন “ভাগ্যবিড়ম্বনা”, “ড্রাইভিং সিটে দু’জন”, “ন্যায়ের ঘন্টা”, “বন্ধুত্ব”, “গুলবাবার মিশন” সহ মোট চৌদ্দটি গল্প এ বইয়ে আছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
মাত্র আশি পৃষ্ঠার বইটিতে ছোট ছোট করে জীবন জাগানোর গল্প আছে মোট চৌদ্দটি। প্রত্যেকটি গল্পই আমাদের চেনা পরিবেশের। আমাদের নিজেদেরই পরিচিত। কিন্তু ইসলামিক আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হলেও অনেক কিছুই আমরা জীবনে বাস্তবায়ন করি না। অনেকেই আমরা খেয়ালই করি না কি কাজ আমরা করছি প্রতিনিয়ত। মুসলিম হিসেবে আমাদের কী করনীয়, বা বলা উচিত, অনেক ক্ষেত্রেই তা স্মরণেও থাকে না। আমরা যা অতি স্বাধারণ মামুলি বিষয় হিসেবে উড়িয়ে দিচ্ছি, তাও হয়তো কারোর অপমানের কারণ। সেসকল দিককে মাথায় রেখে লেখক অতি চমতকার সব গল্প উপস্থাপন করেছেন।
ড্রাইভিং সিটে দু’জন আলাদা ব্যক্তির জীবনবোধের একটি গল্প থেকে বইটির নামকরণ করা হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে আরোও যুক্তিযুক্ত নামকরণ করা উচিত ছিল।
কিছু গল্প যেমন প্রতিশোধ, এ কেমন যাত্রী, এম্বুলেন্স, আমার কাছে অত্যাধিক ভালো লেগেছে। বাকিগুলো ছিল মানের দিক থেকে মোটামুটি। কিন্তু সকল ধরনের পাঠকের কথা বিবেচনায় নিলে সরল ভাষা ঠিকই ছিল।
ভুল বানানের ব্যবহার খুব হতাশাজনক। সেক্ষেত্রে সম্পাদনার মান বাড়ানো জরুরি। আর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এমন কিছু জীবন জাগানোর গল্পের সিরিজ প্রকাশের জন্য মাকতাবাতুল হাসানকে ধন্যবাদ।