
ড. বিলাল ফিলিপস-এর সকল বই
- লেখক : ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস
- অনুবাদক : জিয়াউর রহমান মুন্সী, আব্দ আল আহাদ,
- প্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন
- বিষয় : ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য, প্যাকেজ
- কভার : পেপারব্যাক
৳3,135.00 Original price was: ৳3,135.00.৳2,025.00Current price is: ৳2,025.00.
আপনি সাশ্রয় করছেন 1110 টাকা। (35%)
প্যাকেজে যা যা থাকছে –
কুরআন বোঝার মূলনীতি
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন নিয়ে অনুমানভিত্তিক তর্ককে কুফরি বলেছেন এবং না জেনে ব্যাখ্যা করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। কুরআন ইসলামের মূল ভিত্তি, তাই তা ব্যাখ্যা করার জন্য নির্ভরযোগ্য ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি—যেমন: কুরআন দ্বারা কুরআনের ব্যাখ্যা, সুন্নাহ, সাহাবিদের বক্তব্য ও ভাষাগত বিশ্লেষণ।সাধারণ ভাষায় কুরআন বুঝার সঠিক পদ্ধতি, আমাদের অজান্ত ও ভুল ব্যাখ্যার বিপদ থেকে সতর্ক করা , দ্বিনের পথে চলতে সত্যিকারের জ্ঞান অর্জন , তা হাতে-কলমে বোঝার জন্য এই বই অত্যন্ত জরুরী ।
হাদিস বোঝার মূলনীতি
ভুল জ্ঞান মানুষকে জাহিলিয়াতের দিকে ঠেলে দেয়। হাদিসের মতো গভীর বিষয়ের সঠিক বোঝাপড়া ছাড়া শুধু অনুবাদ পড়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়, তর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে যায়। হাদিস বোঝার জন্য আগে কিছু মূলনীতি জানা জরুরি, না হলে জ্ঞান বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে।এই জন্যই এই বইটি দরকার, কারণ এটি সহজভাবে হাদিস বোঝার মূলনীতি শেখায় এবং ভুল ব্যাখ্যার ফাঁদ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে ইনশা আল্লাহ।
এক (পেপার ব্যাক)
বিভিন্ন ধর্মে কুসংস্কার ও অতিমাত্রায় ভক্তির যে প্রবণতা আছে, এই বইতে তার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।আমেরিকায় ১৩ সংখ্যাকে অশুভ মনে করে শুক্রবার ১৩ তারিখে অনেকেই কাজ করতে ভয় পায়। এমনকি মহাকাশ অভিযানে ব্যর্থতার ক্ষেত্রেও এটিকে দায়ী করা হয়। অথচ এই ধরনের বিশ্বাস আল্লাহর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে অন্য কিছুকে ভাগ বসানো, যা ইসলামে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।একইভাবে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মে অনেক সাধু বা গুরুদের অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন মনে করে তাদের উপাসনা পর্যন্ত করা হয়। অথচ ইসলাম মানুষকে অতিরিক্ত ভক্তি ও মধ্যস্থতাবাদ থেকে দূরে থাকতে বলে। মহানবী (সা.) নিজেই বলেছেন, “আমাকে আল্লাহর বান্দা ও রাসূল বলেই ডাকো।”সব ধর্মেই একটি সর্বশক্তিমান সত্তার ধারণা আছে। কিন্তু সেই সত্তা কে, কেমন, আর তাঁকে কীভাবে চিনব—এই প্রশ্নগুলো থেকেই সৃষ্টি হয় নানা বিভ্রান্তি। এমনকি মুসলিমদের মধ্যেও গড়ে ওঠে মতপার্থক্য। অথচ সত্য একটাই, সেটিকেই জানতে ও মানতে হবে।
এই বইয়ে ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস যুক্তি, তথ্য ও ধর্মীয় প্রমাণের ভিত্তিতে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিয়েছেন।
স্রষ্টা ধর্ম জীবন
অনেক নৃতত্ত্ববিদ মনে করেন, ধর্মের শুরু হয়েছিল বহু-ঈশ্বরবাদ দিয়ে। তখন মানুষ প্রকৃতির শক্তিকে দেবতা ভাবত। পরে মঙ্গল ও অমঙ্গলের দুইটি প্রধান দেবতার ধারণা আসে এবং শেষে একেশ্বরবাদের দিকে মানুষ এগোয়। তাদের মতে, ধর্ম কোনো আসমানি উৎস নয়, বরং মানুষের অজ্ঞানতা ও কুসংস্কার থেকে তৈরি। তারা বিশ্বাস করেন, বিজ্ঞান একদিন ধর্মকে অপ্রয়োজনীয় করে তুলবে।কিন্তু বাস্তবতা হলো—মানুষ জন্মগতভাবে এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। বহু আদিম গোষ্ঠীর মাঝেও একজন চূড়ান্ত সত্তায় বিশ্বাসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রমাণ করে ধর্মের মূল স্বর্গীয় উৎসেই।তাই এই বইটি দরকার, কারণ এটি ধর্ম নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার জবাব দেয় এবং যুক্তি ও প্রমাণের আলোকে দেখায়—ধর্ম কোনো কল্পনা নয়, বরং মানুষের ফিতরতের (জন্মগত স্বভাব) সাথেই মিলে যায়। যারা সত্য অনুসন্ধানে আগ্রহী, তাদের জন্য বইটি হবে এক মূল্যবান সঙ্গী।
মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
উমাইয়া শাসনামলে খিলাফত ধীরে ধীরে রাজতন্ত্রে রূপ নেয়, ফলে শরিয়তের ব্যাপারে আলিমদের ভূমিকা সীমিত হতে থাকে। অনেক সাহাবি ও তাদের ছাত্ররা কেন্দ্র ছেড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন, যার ফলে ইজতিহাদ বাড়ে এবং ইজমা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এরপর ফিকহশাস্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয় এবং আব্বাসীয় শাসনামলে বিভিন্ন মাযহাব গড়ে ওঠে। চারটি মাযহাব ছাড়া তখন আরও অনেক মাযহাব ছিল। সেসময় মতবিরোধ থাকলেও পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা ছিল স্পষ্ট।আজ মাযহাব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক খুব বেশি, কিন্তু সঠিক জ্ঞান না থাকায় তা চরমপন্থা বা বিভেদে রূপ নেয়। বইটি ইতিহাস ও প্রেক্ষাপটসহ মাযহাবের সঠিক অবস্থান বুঝতে সাহায্য করবে, যাতে আমরা ভ্রান্তি এড়িয়ে উম্মাহর ঐক্য রক্ষা করতে পারি।
মুসলিম ঐতিহ্যে রুকইয়া সংস্কৃতি
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপসের রচিত এই বইটির মূল অংশ প্রথমে পিএইচডি থিসিস হিসেবে ১৯৯৪ সালে ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থাপিত হয়। বইটিতে পুথিগত জ্ঞানের সাথে একেবারে সরাসরি মাঠপর্যায়ের গবেষণার যথাযথ সমন্বয় ঘটেছে; মুসলিম সমাজে তত্ত্বগতভাবে রুকইয়ার অবস্থান এবং প্রয়োগিক অনুশীলনকে মেথডলজিক্যালি মূল্যায়ন করা হয়েছে।
রুকইয়া চর্চার ক্ষেত্রে মুসলিম জাতির বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম চর্চা পাওয়া যায়। এ কারণে এর একটি বাস্তব চিত্র তুলে আনার জন্য একটি শ্রমসাধ্য অসাধারণ কাজ করেছেন বইটির লেখক ড. বিলাল। তিনি মাঠপর্যায়ের গবেষণার জন্য সাতটি ভিন্ন ভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক এক্সরসিস্টের (রাকি) সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন। এসব সাক্ষাৎকারের ফলাফল বইয়ের মূল অংশেই বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
একইসাথে সাক্ষাৎকারগুলো বইয়ের একটি বড় পরিশিষ্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমা সেক্যুলার একাডেমিয়াতে স্রষ্টা, তাঁর অদৃশ্য সৃষ্টি জিন এবং সকল অতিপ্রাকৃতিক শক্তির কার্যকারিতা যেখানে একদম অস্বীকার করা হয়, সেখানে ড. বিলালের এই কাজটি একটি ভিন্ন মাত্রার প্রভাব সৃষ্টি করেছে। তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিকভাবে রুকইয়া বিষয়টিকে বোঝার জন্য এই বই একটি অনন্য অবদান—যা জ্ঞানপিপাসু সাধারণ মানুষ ও জ্ঞানীগুণীদের লাইব্রেরিতে একটি অমূল্য সংযোজন হয়ে থাকবে। ইনশা আল্লাহ।
স্বপ্নের ব্যাখ্যা
স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়া যে ইসলামে একটি অনুমোদিত কাজ, তা কেউই অস্বীকার করতে পারে না। কেননা, স্বয়ং নবি (সা.) তাঁর নিজের এবং সাহাবিদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। উপরন্তু আমরা জানি, অতীতের অনেক নির্ভরযোগ্য মুসলিম আলিম স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলে দিতেন। তবে, জ্ঞানের অন্যান্য সকল শাখার মতো এটার মূলনীতিগুলোও হতে হবে নবি (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী। কারও ব্যক্তিগত খেয়াল-খুশির অনুবর্তী হতে পারবে না। সেই কারণে আমি হাদিসের প্রধান প্রধান গ্রন্থসমূহ যেমন: সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানু আবি দাউদ, সুনানু তিরমিজি, সুনানু দারিমি, সুনানু ইবন মাজাহ এবং মুসনাদু আহমাদ থেকে স্বপ্নের ওপর নির্ভরযোগ্য বর্ণনাসমূহকে একত্রিত করার প্রয়াস চালিয়েছি। স্বপ্নের ওপর প্রায় পাঁচশ হাদিস থেকে আমি জ্ঞানের এই শাখার ইসলামি মূলনীতিগুলোকে বের করে আনার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি সহজে খুজে পাওয়ার জন্য এ গুলোকে বিষয়বস্তু অনুযায়ী সাজিয়েছি।
আমি আশা করি, এই বইয়ের বিষয়বস্তু স্বপ্ন ও স্বপ্নের ব্যাখ্যা বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখবে এবং মুসলিমদের মধ্যে এ বিষয়ে জাল ও অনির্ভরযোগ্য বইয়ের যে ব্যাপক ছড়াছড়ি, সেগুলোর একটি বিকল্প স্বীকৃত উৎসে পরিণত হবে।
সভ্যতার সংকট
মৌখিকভাবে সকল মুসলিম যদিও স্বীকার করে যে, ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি হলো কুরআন-সুন্নাহ; কিন্তু তাদেরকে সঠিক অর্থে কুরআন-সুন্নাহর দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হলে তারা নানান অজুহাত দিতে আরম্ভ করে। সবচেয়ে বেশি যে কথা বলা হয় তা হলো, “আমাদের অঞ্চলে এ ধরনের নিয়মের প্রচলন নেই”। এ ধরনের অসার যুক্তিতেই এসব মুসলিমদের মগজধোলাই হয়ে আছে।
ছেলেমেয়েরা একটু বড় হলে যদি তারা কোনো আচার-প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাহলে মুরব্বিরা এই বলে তাদেরকে তিরস্কার করে যে, “তোমাদের পূর্বপুরুষরা যেহেতু কাজটিকে ভালো মনে করেছেন, সেহেতু তোমাদেরও এটা করা উচিত”, অথবা, “তুমি কী মনে করো তোমাদের বাপদাদারা সবাই ভুল ছিল?” মাক্কার মুশরিকদেরকে যখন ইসলামের দিকে আহ্বান করা হতো, তারাও একই রকম কথা বলত!
আল্লাহ কুরআনে বলছেন,
“যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে ও রসূলের দিকে আসো’, তারা বলে, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যার ওপর পেয়েছি, তা-ই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ তাদের পিতৃপুরুষরা কিছুই জানত না এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না তবুও?” [আল-মা’ইদাহ, ০৫ : ১০৪]
মুসলিমরা যদি তাদের সভ্যতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের জীবনব্যবস্থাকে পশ্চিমা সভ্যতার বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করতে চায়, তাহলে সংস্কৃতি কিংবা আচার-প্রথা নামক এ জাহেলি জঞ্জালকে অবশ্যই বর্জন করতে হবে। কারণ পশ্চিমা সভ্যতার সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা কেবল বিশুদ্ধ ও নির্ভেজাল ইসলামেরই আছে।
ভালোবাসার চাদর
ভালোবাসা স্থির নয়, এটা পরিবর্তনশীল এবং ঈমানের মতো বাড়ে-কমে। তাই ভালোবাসার যত্ন নিন, ভালোভাবে পরিচর্যা করুন। ঠিকমতো যত্ন করলে বয়স বাড়লেও ভালোবাসা সবুজ ও সতেজ থাকবে। ভালোবাসার যত্নের জন্য গাইডলাইন হলো ‘ভালোবাসার চাদর’।
দুই তিন চার এক (ইসলামে বহুবিবাহ)
১.
অনেক ভাই মনে করেন আমাদের বোনেরা বহুবিবাহ নিয়ে যে কষ্ট পান, এটা তাদের দ্বিনদারির দুর্বলতার কারণে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একজন নারী যত দ্বিনদারই হোন না কেন, বহুবিবাহ তাদের জন্য কষ্টকর। এটা তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা পরীক্ষা। তারা যত ভালো গ্রেডে এ পরীক্ষায় পাশ করবেন, দুনিয়া ও আখিরাতে এটা তাদেরই কল্যাণে আসবে।
একজন নারীর জন্য তার স্বামী হলেন তার সকল আশা-ভরসা-ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। সে তার স্বামীকে যত ভালোবাসবে, স্বামীর পাশে অন্য কোনো নারী এলে তার প্রতি সে ততই জেলাস হবে। এমনকি জেলাসির মাত্রা এমনও হতে পারে যে, স্বামী ‘রুপা’ ব্র্যান্ডের গেঞ্জি গায়ে দিলেও তার খারাপ লাগতে পারে, যেহেতু এই গেঞ্জিতে ‘রুপা’ নামটা ঠিক বুকের উপর লেখা থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় তেমন কোনো তফাৎ সৃষ্টি করে না। আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) স্ত্রীও অন্যদের প্রতি জেলাস ছিলেন।
আমাদের অনেক ভাইয়েরা মনে করেন, স্ত্রী যদি দ্বিনদার হন তাহলে তিনি নিজে তার স্বামীকে বিয়ে করিয়ে দেবেন, বাসর সাজিয়ে দেবেন, নব বধুকে ঘরে দিয়ে আসবেন। অন্ততপক্ষে স্বামীর বিয়ের খবর শুনে কোনো কষ্ট পাবেন না। এটা মোটেই বাস্তবতা নয়। হ্যাঁ, যদি কেউ এই লেভেলে উঠতে পারেন, সেটা প্রশংসনীয়, তবে খুবই ব্যতিক্রম।
তবে হ্যাঁ, একজন দ্বিনদার নারী কখনো কেবল তাঁর নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগার জন্য আল্লাহর সীমালঙ্ঘন করবেন না, অন্যের অধীকার খর্ব করবেন না; আল্লাহর দ্বিনের কোনো বিষয়ের প্রতি অন্তরে ঘৃণা পোষণ করবেন না।
২.
স্বামী যদি কোনো বৈধ কারণ ছাড়া স্ত্রীর ভরণপোষণ বা তাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে অসম্মতি জানায়, তবে স্ত্রীর উচিত প্রথমে স্বামীর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিজের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করা। কিন্তু স্বামী যদি তার সিদ্ধান্ত পরিত্যাগ না করে, তবে সালিশের দ্বারা বিষয়টা মীমাংসার ব্যবস্থা করা উচিত। যদি তাতেও কোনো কাজ না হয়, তবে স্ত্রী তা নিষ্পত্তির জন্য কোর্টে উত্থাপন করতে পারে অথবা তালাকের দাবি করতে পারে। তবে কোনো কারণে স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণে অক্ষম হয়, যেমন স্বামী যদি কারারুদ্ধ থাকে, শারীরিকভাবে অক্ষম বা দরিদ্র হয়, তবে সেক্ষেত্রে স্ত্রী চাইলে হাসিমুখে এই কষ্ট সহ্য করতে পারে অথবা স্বামীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যেতে পারে। আর যে মহিলা নিজেই ধনী, সে চাইলে সেচ্ছায় স্বামীকে ভরণপোষণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। সে তখন তার পছন্দমতো খাবার, বেশভূষা ও বাড়িতে থাকতে পারে। স্ত্রী চাইলে বিবাহের শুরু থেকেই, অথবা যেকোনো পর্যায়ে এসে নিজের অধিকার ছেড়ে দিতে পারে। তবে এটা চিরস্থায়ী নয়। কখনো স্ত্রী যদি নিজের ভরণপোষণ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে বা এমনটি করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তবে স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীর দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতে হবে, যা আল্লাহ তাআলা তার ওপর অর্পণ করেছেন।




প্যাকেজ বিবরণ
ক্রমিক | প্রোডাক্ট | নাম | মূল্য | ছাড় | বর্তমান মূল্য |
---|---|---|---|---|---|
01 |
![]() |
কুরআন বোঝার মূলনীতি |
|
15% | ৳289.00 |
02 |
![]() |
হাদিস বোঝার মূলনীতি |
|
40% | ৳237.00 |
03 |
![]() |
এক |
|
40% | ৳237.00 |
04 |
![]() |
স্রষ্টা ধর্ম জীবন |
|
15% | ৳93.50 |
05 |
![]() |
মাযহাব |
|
40% | ৳270.00 |
06 |
![]() |
মুসলিম ঐতিহ্যে রুকইয়া সংস্কৃতি |
|
40% | ৳228.00 |
07 |
![]() |
স্বপ্নের ব্যাখ্যা |
|
40% | ৳174.00 |
08 |
![]() |
ভালোবাসার চাদর |
|
40% | ৳177.00 |
09 |
![]() |
দুই তিন চার এক(ইসলামে বহুবিবাহ) |
|
15% | ৳110.50 |
10 |
![]() |
সভ্যতার সংকট |
|
40% | ৳210.00 |
মোট: ৳2,025.00 আপনি ৳1,110.00 টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন
রিভিউ এবং রেটিং
রিলেটেড বই
বিশ্বাসের আলো: চিন্তা, সংশয় ও সত্যের সন্ধানে প্যাকেজ
আপনি সাশ্রয় করছেন 302 টাকা। (30%)
মৌলিক ইসলামিক স্টাডিজ প্যাকেজ
আপনি সাশ্রয় করছেন 615 টাকা। (32%)
আলি ইবনু আবি-তালিব : জীবন ও শাসন (২ খণ্ড একত্রে)
আপনি সাশ্রয় করছেন 624 টাকা। (40%)
মাতৃত্ব ও প্যারেন্টিং প্যাকেজ
আপনি সাশ্রয় করছেন 554 টাকা। (40%)
সেলফ ডেভেলপমেন্ট ও স্কিল বিল্ডিং প্যাকেজ ( বাংলা )
আপনি সাশ্রয় করছেন 356 টাকা। (35%)
রউফুর রহীম ( ২য় ও ৩য় খণ্ড )
আপনি সাশ্রয় করছেন 620 টাকা। (40%)
উসমান ইবনু আফফান
আপনি সাশ্রয় করছেন 312 টাকা। (40%)
উমার ইবন আল-খাত্তাব (দুই খণ্ড)
আপনি সাশ্রয় করছেন 532 টাকা। (40%)
Reviews
There are no reviews yet.