Copyright © 2025 Seanpublication.com
ধূলিমলিন উপহার রামাদান
- লেখক : শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল
- পাবলিকেশন : সীরাত পাবলিকেশন
- বিষয় : একুশে বইমেলা ২০২২, রমাদান, রামাযান তারাবিহ ও ঈদ, সকল প্রকাশক
- কভার : পেপারব্যাক
Author : শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল
Publisher : সীরাত পাবলিকেশন
Category : রামাযান তারাবিহ ও ঈদ
৳300 ৳210
You Save TK. 90 (30%)
ধূলিমলিন উপহার রামাদান
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (2)
2 reviews for ধূলিমলিন উপহার রামাদান
Add a review Cancel reply
Meher Afroz –
বইঃ ধূলিমলিন উপহার রামাদান- শাইখ আহমদ মূসা জিবরীল।
রামাদান মাস সামনে এলেই বর্তমানের মুসলমান সমাজ ইফতার আর সাহারি আইটেম কী করা হবে তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন। অথচ, সাহাবিরা রামাদানের চার মাস মাগে থেকে প্রস্তুতি নিতেন কী কী আমল বাড়ানো যায় নিয়ে। কিভাবে রামাদানের প্রতিটি মুহূর্ত থেকে নেকী লাভ করা যায়। রামাদানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতেন আ’মল বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
যদিও আমরা নফসের তাড়নায় খাবার-দাবার সহ আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরি তবুও আমাদেরও প্রয়োজন নেকীর পাল্লা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আ’মল বাড়ানোর এবং এ জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া। নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া, রামাদানে কী কী ভালো আমল করবো আর কী করব না তার পরিকল্পনা তৈরি করা। শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীলের “Gems Of Ramadan” সেই প্রস্তুতির এক অসাধারণ ম্যানুয়াল। সেই বিখ্যাত লেকচার সিরিজের অনুবাদ ‘ধূলিমলিন উপহার: রামাদান’।
বই থেকে কিছু অংশঃ—
“রা’আন হলো একটি কালো দাগ। প্রতিবার গুনাহ করার পরে গুনাহকারীর অন্তরে একটি করে কালো দাগ পড়ে যায়। যারা তাওবা করে তাদের অন্তর থেকে এ কালো দাগ মুছে যায়। আর যারা তাওবা করে না— এই কালো দাগগুলো তাদের অন্তরকে কালো কয়লার মতো করে দেয়। রামাদান হচ্ছে অন্তর থেকে এ রা’আন তথা কালো দাগগুলো মুছে ফেলার উৎকৃষ্ট সময়।”
আলি[ রাঃ ]বলেন,
‘ মানুষ ঘুমাচ্ছে,যখন তাদের মৃত্যু হবে
তখন তারা জেগে উঠবে।’
পাঠ্যানুভূতিঃ—
আমাদের ঘরের বোনকে দেখা যায় ইফতারে আগ মূহুর্তের বিভিন্ন রেসিপি তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন।অথচ, তখন সিয়ামকারীর দুআ কবুলের সময়। আবার সাহারীর সময় অনেকে আছেন আজান হওয়ার আগ পর্যন্ত দ্রুত খেতে থাকেন।কিন্তু নবী স. সাহারী ধীর গতিতে আর ইফতার দ্রুত গতিতে গ্রহণ করতে বলেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ। বইটি রামাদানের ফজিলত এবং বিভিন্ন আমলগণ বিধি নিষেধ দিয়ে সাজানো। আল্লাহ চাহেন তো পাঠক বইটি পড়ে এবং রামাদানে আমালের গতি অনেক বৃদ্ধি করে অনেক নেকী লুফে নিতে সহায়ক হবেন।
বইয়ের প্রচ্ছদ, সম্পাদনা, ভাষান্তর সবই পারফেক্ট। আমার পড়া, রামাদান বিষয়ক বইগুলোর ভেতর বেস্ট বই এটি একটি।মা শাআল্লাহ।
রিভিউদাতাঃ Meher Afroz
Farzana Ashrafi –
রুটি-রুজির তাগিদে সদা ব্যস্ত, দৌড়ের ওপর থাকা একঘেয়ে জীবন আমাদের। একঘেয়েমির হাত ধরে আসে অস্থিরতা, বিষন্নতা। তারওপর আছে স্বেচ্ছায় বা অজানায় করতে থাকা নানা পাপাচার।
সেই অস্থির, বিষন্ন আর পাপাক্রান্ত হৃদয়ে শান্তির সুশীতল বাতাস বইয়ে দিতে আসে রামাদান, মুমিনের জন্য আল্লাহর এক অনন্য উপহার। আফসোস! সেই অনন্য উপহারের ওপর ধূলা জমেছে কারণ আমরা তার মূল্যই জানিনা। সেই অনন্য উপহারের মূল্য আমাদের কে জানাতেই সীরাত পাবলিকেশন প্রখ্যাত শাইখ আহমাদ মূসা আল জিবরীলের বহুল প্রচারিত লেকচার সিরিজ ‘The Gems of Ramadan’ কে ছাপানো অক্ষরে প্রকাশ করেছে।
রাসূল সা. রামাদানকে তুলনা করেছেন মৃদু শীতল বাতাসের সাথে। যে বাতাস নিমিষেই আমাদের মনকে ভালো করে দেয়, হৃদয়ের সমস্ত দু:খ-কষ্ট দূর করে দেয়। তবে এটা এমন এক বাতাস যার স্থায়ীত্ব খুব অল্প সময়। এবং খুব অল্প কিছু সৌভাগ্যবান বান্দায় কেবল এই বাতাসে রোমাঞ্চিত হওয়ার সুযোগ পায়। এই বইটি সেই সৌভাগ্যবানদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার এক অসাধারণ ম্যানুয়াল।
প্রত্যেক বছর নির্দিষ্ট সময়েই রামাদান আসে। আমরাও ইফতারি, সেহেরি, শপিং, খাওয়া, ঘুম ইত্যাদি গতানুগতিক কাজ করেই রামাদানের সময় গুলো পার করি। এই ‘অটো পাইলট’ মোডে আমল-ইবাদত করাতে না অন্তর প্রশান্ত হয়, না রামাদান আমাদের অভ্যাস বা স্বভাবকে পরিবর্তন করতে পারে। রামাদান চলে যায় কিন্তু আমরা আগের মতই থেকে যায়। আমাদের অন্তরও আরো বেশি কঠিন হতে থাকে।
রামাদান যেন এরকম গতানুগতিক না হয়ে অনন্য হয়। আমাকে, আপনাকে পরিণত করে নতুন মানুষে সেই সফরের বর্ননা ই করা হয়েছে এই বইয়ে। তাওবাহ, যিকির, ক্কিয়াম, কুরআন, সুন্নাহ দিয়ে কিভাবে অন্তরকে জাগরিত করব, আল্লাহর ক্ষমা, সন্তুষ্টি অর্জন করে নিয়ে নতুন মানুষ হব তারই উপাখ্যান ‘ধূলিমলিন উপহার:রামাদান ‘।
বইটি আমাকে নতুন করে রামাদানের মূল্য বুঝতে সাহায্য করেছে। অন্য বছর গুলোর তুলনায় এ বছর আমার রামাদান অনেক আলাদা সন্দেহ নেই।
নারীদের জন্য পূর্ণ একটি আলাদা অধ্যায় রাখা হয়েছে। এটা খুবই ভালো লেগেছে। বইটি একসাথে আমি, আমার মা এবং বোন পড়েছি। তারাও বইটি পড়ে মুগ্ধ। আম্মাতো বারবারই বলছেন, আমাদের সময় তো এত সুন্দর বই ছিল না! কত কিছু জানতাম না! জানলে আরো কত ভালো করে ইবাদত করতে পারতাম। সেদিক দিয়ে আমি সৌভাগ্যবান, আলহামদুলিল্লাহ। আমার সামর্থ্য থাকলে অনেকগুলো বই কিনে প্রিয়জনদের উপহার দিতাম, ইনশাআল্লাহ।
বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে কাশ্মীরে জানোয়ার দের নির্যাতনে শহীদ হওয়া ছোট্ট আসিফাকে। যার নিষ্পাপ মুখ মনে পড়লেই চোখ আর্দ্র হয়।
বেশ কিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে।তবে ২য় সংস্করনে সংশোধন করা হয়েছে বলে জেনেছি।
সবশেষে, মুখের কথাকে ছাপার অক্ষরে রুপ দেয়ার দুরুহ কাজটি করা জন্য সাজিদ ইসলাম এবং সীরাত টিমকে ধন্যবাদ। বোন আনিকা তুবা সব সময়ের মত চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন।আল্লাহ তাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করে নিন।