1 review for ক্রুসেড : খ্রিষ্টানদের হিংস্র যুদ্ধের ইতিহাস (হার্ডকভার)
আব্দুর রহমান –
Rated 5 out of 5
বইয়ের নাম “ক্রুসেড: খ্রিস্টানদের হিংস্রযুদ্ধের ইতিহাস”। এই ক্রুসেড যুদ্ধের শুরুটা হয়েছিল মুসলিমদের পৃথিবী থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র নিয়ে। তবে তৎকালীন কিছু মুসলিম বীরদের দূঃসাহসিক নেতৃত্বের ফলে তাদের এই ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে নস্যাৎ হয়ে যায়। তখন মুসলিম বীর মুজাহিদগণ তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষে করেছিলেন। মোকাবেলা করলেও ক্রুসেডারদের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। অতীতে ঘটে যাওয়া সেই ক্রুসেড সমূহ নিয়ে ড. রাগিব সারজানি বইটি লিখেছেন “ক্রুসেড: খ্রিস্টানদের হিংস্রযুদ্ধের ইতিহাস” বইটি। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন আবদুন নূর সিরাজী।
সার-সংক্ষেপঃ-
মুসলিম ও ক্রুসেডারদের মাঝে চলমান ক্রুসেড সমূহ প্রায় ২০০ বছর যাবৎ স্থায়ী ছিল। যার ব্যাপ্তি ছিল ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই বইতে লেখক তুলে এনেছেন ক্রুসেড যুদ্ধের সূচনা থেকে ইমামুদ্দীন জিনকীর সময়কাল পর্যন্ত ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস। অসংখ্য অধ্যায় ও অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বইটি সাজানো হয়েছে।
বইয়ের শুরুতে লেখক খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামের মাঝে সংঘাত, ক্রুসেড যুদ্ধের পূর্বেকার মুসলিম বিশ্ব এবং ক্রুসেড যুদ্ধপূর্ব বিশ্বপরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। এরপর লেখক একে একে তুলে এনেছেন প্রথম ক্রুসেড যুদ্ধের সামরিক প্রস্তুতি, রোমান ও সেলজুকদের সাথে সংঘর্ষ, এন্টিয়ক অবরোধ, হিরাক্লিয়াসের দুটি যুদ্ধ সহ বেশকিছু যুদ্ধ ও সংঘর্ষের বিস্তারিত আলোচনা।
মুসলমানদের ক্রুসেড জয়ের অন্যতম বীর ছিলেন ইমামুদ্দিন জিনকি। তার বেড়ে ওঠা, এডিসা বিজয়, দামেস্ক অবরোধ থেকে তার জীবনাবসান পর্যন্ত আলোচনা উঠে এসেছে।
এছাড়াও বইয়ের শেষে লেখক ক্রুসেড যুদ্ধ থেকে মুসলিমদের জন্য ৯ টি শিক্ষা ও উপদেশ তুলে ধরেছেন। যা বইটিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
বইটি কেন পড়বেনঃ-
ড. রাগিব সারজানির লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বাস্তবধর্মী বিশ্লেষণ ও নানামুখী কারণ অনুসন্ধান।
সুতরাং ক্রুসেড সম্পর্কে বাস্তবধর্মী লেখা পড়তে এবং মুসলিম বীরদের ক্রুসেডারদের বিরূদ্ধে সাহসীকতার কাহিনী জানতে হলে বইটি সকলের পড়া উচিত।
ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
এর আগে ক্রুসেড সম্পর্কে তেমন কোন বই পড়া হয়নি। তাই এই বইতে ক্রুসেড যুদ্ধগুলো সম্পর্কে জেনে বেশ পুলকিত অনূভব করছি। বইয়ের প্রতিটি পাতায় লেখক মিশিয়ে রেখেছেন তার কঠোর পরিশ্রমের ছোয়া। সঠিক শব্দচয়ন, উপযুক্ত রেফারেন্স ও পাকাপোক্ত শব্দের গাঁথুনি বইটিকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। বইয়ের অনুবাদও বেশ চমৎকার হয়েছে।
বইটি পড়ে পাঠক নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাবেন ক্রুসেড যুদ্ধের অজানা অধ্যায়ে। কল্পনায় ভেসে উঠবে সেই সময়ের মুসলিম বীরদের ঈমানদীপ্ত মূহুর্তগুলো। সব মিলিয়ে বইটিকে এ বিষয়ে অসাধারন গ্রন্থ বলা যেতে পারে এবং সকলের জন্য বইটি পড়া উচিত।
আব্দুর রহমান –
বইয়ের নাম “ক্রুসেড: খ্রিস্টানদের হিংস্রযুদ্ধের ইতিহাস”। এই ক্রুসেড যুদ্ধের শুরুটা হয়েছিল মুসলিমদের পৃথিবী থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র নিয়ে। তবে তৎকালীন কিছু মুসলিম বীরদের দূঃসাহসিক নেতৃত্বের ফলে তাদের এই ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে নস্যাৎ হয়ে যায়। তখন মুসলিম বীর মুজাহিদগণ তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষে করেছিলেন। মোকাবেলা করলেও ক্রুসেডারদের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। অতীতে ঘটে যাওয়া সেই ক্রুসেড সমূহ নিয়ে ড. রাগিব সারজানি বইটি লিখেছেন “ক্রুসেড: খ্রিস্টানদের হিংস্রযুদ্ধের ইতিহাস” বইটি। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন আবদুন নূর সিরাজী।
সার-সংক্ষেপঃ-
মুসলিম ও ক্রুসেডারদের মাঝে চলমান ক্রুসেড সমূহ প্রায় ২০০ বছর যাবৎ স্থায়ী ছিল। যার ব্যাপ্তি ছিল ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই বইতে লেখক তুলে এনেছেন ক্রুসেড যুদ্ধের সূচনা থেকে ইমামুদ্দীন জিনকীর সময়কাল পর্যন্ত ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস। অসংখ্য অধ্যায় ও অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বইটি সাজানো হয়েছে।
বইয়ের শুরুতে লেখক খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামের মাঝে সংঘাত, ক্রুসেড যুদ্ধের পূর্বেকার মুসলিম বিশ্ব এবং ক্রুসেড যুদ্ধপূর্ব বিশ্বপরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। এরপর লেখক একে একে তুলে এনেছেন প্রথম ক্রুসেড যুদ্ধের সামরিক প্রস্তুতি, রোমান ও সেলজুকদের সাথে সংঘর্ষ, এন্টিয়ক অবরোধ, হিরাক্লিয়াসের দুটি যুদ্ধ সহ বেশকিছু যুদ্ধ ও সংঘর্ষের বিস্তারিত আলোচনা।
মুসলমানদের ক্রুসেড জয়ের অন্যতম বীর ছিলেন ইমামুদ্দিন জিনকি। তার বেড়ে ওঠা, এডিসা বিজয়, দামেস্ক অবরোধ থেকে তার জীবনাবসান পর্যন্ত আলোচনা উঠে এসেছে।
এছাড়াও বইয়ের শেষে লেখক ক্রুসেড যুদ্ধ থেকে মুসলিমদের জন্য ৯ টি শিক্ষা ও উপদেশ তুলে ধরেছেন। যা বইটিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
বইটি কেন পড়বেনঃ-
ড. রাগিব সারজানির লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বাস্তবধর্মী বিশ্লেষণ ও নানামুখী কারণ অনুসন্ধান।
সুতরাং ক্রুসেড সম্পর্কে বাস্তবধর্মী লেখা পড়তে এবং মুসলিম বীরদের ক্রুসেডারদের বিরূদ্ধে সাহসীকতার কাহিনী জানতে হলে বইটি সকলের পড়া উচিত।
ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
এর আগে ক্রুসেড সম্পর্কে তেমন কোন বই পড়া হয়নি। তাই এই বইতে ক্রুসেড যুদ্ধগুলো সম্পর্কে জেনে বেশ পুলকিত অনূভব করছি। বইয়ের প্রতিটি পাতায় লেখক মিশিয়ে রেখেছেন তার কঠোর পরিশ্রমের ছোয়া। সঠিক শব্দচয়ন, উপযুক্ত রেফারেন্স ও পাকাপোক্ত শব্দের গাঁথুনি বইটিকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। বইয়ের অনুবাদও বেশ চমৎকার হয়েছে।
বইটি পড়ে পাঠক নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাবেন ক্রুসেড যুদ্ধের অজানা অধ্যায়ে। কল্পনায় ভেসে উঠবে সেই সময়ের মুসলিম বীরদের ঈমানদীপ্ত মূহুর্তগুলো। সব মিলিয়ে বইটিকে এ বিষয়ে অসাধারন গ্রন্থ বলা যেতে পারে এবং সকলের জন্য বইটি পড়া উচিত।