Copyright © 2025 Seanpublication.com
মুহাম্মদ আল ফাতিহ (হার্ডকভার)
- লেখক : ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি, মাহদি হাসান
- বিষয় : মুসলিম মনীষী : জীবন ও কর্ম, সকল প্রকাশক
Author : ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
Translator : মাহদি হাসান
Category : ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব
কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের মহানায়ক উসমানি সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহর জীবন-উপাখ্যান
৳480 ৳336
You Save TK. 144 (30%)
মুহাম্মদ আল ফাতিহ (হার্ডকভার)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for মুহাম্মদ আল ফাতিহ (হার্ডকভার)
Add a review Cancel reply
আব্দুর রহমান –
আমরা অন্য সব ইসলামি বই পড়লেও ইতিহাস বিষয়ে পাঠকদের কেমন জানি অনীহা কাজ করে। অথচ মুসলমানদের রয়েছে কত শত গৌরবোজ্জল ইতিহাস। মুসলিম শাসকদের বীরত্বপূর্ণ কাহিনী। কিন্তু আজ আমরা ভূলে গেছি সেই গৌরবময় অতীত। বলা হয়ে থাকে মুসলমানদের অধঃপতনের সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে আত্মপরিচয় ভুলে যাওয়া। ব্যাপারটা মনে হয় আসলেই তাই। তা না হলে আমরা দিন দিন আজ কেন এত অধপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছি? মুসলমানরা কেন সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে? আমরা কি শিক্ষা নিতে পারিনা আমাদের হারানো সেই গৌরবময় ইতিহাস থেকে ।
অটোম্যান সম্রাজ্য সেই ইতিহাসেরই এক স্বরনীয় নাম। আর অটোম্যান সম্রাজ্যের একজন অন্যতম শাসক হলেন সুলতান “মুহাম্মদ আল ফাতিহ” । যার উপর ভিত্তি করেই মুহাম্মদ পাবলিকেশন প্রকাশ করেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশন প্রকাশ করেছে “মুহাম্মদ আল ফাতিহ” বইটি। বইটির মূল লেখক ড: আলী মুহাম্মদ সাল্লাবি। যিনি জন্মগ্রহন করেন লিবিয়ার রাজধানী বেনগাজিতে। তিনি একাধারে লেখক, গবেষক, ইসলামি ইতিহাসবিদ ও প্রখ্যাত ফকীহ আলেম। প্রণয়ন করেছে বহু ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা তিরিশেরও অধিক। সবগুলো কিতাব মুসলিম বিশ্বে খুব জনপ্রিয়। বইটি অনুবাদ করেছেন মাহদি হাসান।
এক্ষনে আমি বইটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা দিতে চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ
.
**মূল আলোচনাঃ-**
বইটিতে দুটি অধ্যায় ও তেরটি পরিচ্ছেদ এর সাহায্যে আলোচনা সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অধ্যায়ে পরিচ্ছেদ রয়েছে ছয়টি এবং দ্বিতীয় অধ্যায়ে পরিচ্ছেদ আছে সাতটি।
,
***প্রথম অধ্যায়ঃ-***
এই অধ্যায়ে উসমানি খিলাফতের প্রথমদিকের সুলতানদের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে । ছয়টি পরিচ্ছেদে প্রথম ছয়জন সুলতান সম্পর্কেই সংক্ষিপ্ত আকারের আলোচনা করা হয়েছে ।
.
*প্রথম পরিচ্ছেদ: সুলতান উসমানঃ-*
এই অধ্যায়ে উসমানী সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান উসমান এর শাসনকাল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তার জন্ম 1258 খ্রিস্টাব্দে। তিনি ছিলেন বীরত্ব, ধৈর্য, ও ন্যায়পরায়ণতার মূর্তপ্রতীক। সুলতান উসমান তার পিতার মৃত্যুর পর রোমের সীমান্ত্বর্তী এলাকার শাসনের জন্য নির্বাচিত হন। তার অসাধারণ নেতৃত্বে রাজ্যের সীমানা অনেক বিস্তৃত হয়। মুসলিম উম্মাহ তখন মঙ্গোলীয়দের দ্বারা হত্যা, গুম, খুন সহ বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার। উসমান তার নেতৃত্বের দ্বারা মঙ্গোলীয়দের পরাজিতকরণের সূচনা করেন।
.
*দ্বিতীয় পরিচ্ছেস: সুলতান উরখানঃ-*
সুলতান উসমান এর তিরোধনের পর সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহন করেন তার পুত্র সুলতান উরখান। সুলতান উরখান ছিলেন তার পিতার মতই দূরদর্শী । নিজ কতৃত্বগুনে সম্রাজ্য রক্ষা করতে তিনি ছিলেন সর্বদা সিদ্ধহস্ত। সম্রাজ্য রক্ষার্থে তিনি একটি নতুন সেনাবাহিনী গঠন করেন। সুলতান উরখান এর দ্বারা শিক্ষা, রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থায় তিনি অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়। সুলতান উরখানের নিজস্ব স্বরাষ্ট্র পররাষ্ট্র নীতি ছিলো। যার কারনে তিনি একজন ইতিহাসের একজন যোগ্য নেতা হিসেবে পরিগনিত হয়েছিলেন।
.
*তৃতীয় পরিচ্ছেদ: সুলতান মুরাদঃ-*
সুলতান উরখান এর পর ক্ষমতায় আসেন সুলতান মুরাদ। যিনি অটোম্যান সম্রাটদের মধ্যে অন্যতম সুলতান ছিলেন। তার সময়েও উসমানী সম্রাজ্যের সীমানা অনেক বিস্তৃত হয়। নতুন নতুন এলাকা বিজিত হয়। তার সময়েই উসমানী সম্রাজ্য ও খ্রীষ্টানদের মাঝে প্রথম সন্ধিচুক্তি অনুশঠিত হয়। সুলতান মুরাদ ৩০ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি কসোভো যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি কিছু অন্তিম উপদেশ দিয়েছেন। যা সত্যিই হৃদয় ছুয়ে যায় ।
.
*চতুর্থ পরিচ্ছেদ: সুলতান বায়েজিদঃ-*
সুলতান মুরাদের পর ক্ষমতা গ্রহন করেন তদ্বীয় পুত্র সুলতান বায়োজিদ। যিনি ন্যায়পরায়ণ শাসকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তার অসাধারণ নৈপুণ্য ও নেতৃত্ব গুনের ফলে ক্রুসেডারদের যুদ্ধে পরাজিত করতে পেরেছিলেন। তার শাসনামলে সার্বিয়ার সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নত হয়। উসমানী সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বাইজান্টাইন শাসকরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ফলে তাদের এসব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া অপরিহার্য হয়ে পড়ে। পথিমধ্যেই বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসক তৈমূর লং এর সাথে বায়েজিদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে তৈমূর লং এর উপস্থিত বুদ্ধি, বিচক্ষনতা, ও কৌশলের কাছে বায়েজিদ পেরে ওঠেনি। ফলে বায়েজিদ এই যুদ্ধে পরাজিত হয়।
.
*পঞ্চম পরিচ্ছেদ: সুলতান প্রথম মুহাম্মদ:-*
সুলতান বায়েজিদের মৃত্যুর পর সুলতান হিসেবে অধিষ্ঠিত হন সুলতান প্রথম মুহাম্মদ। তাকে সুলতান মুহাম্মদ জালবিও বলা হ্য। এই সুলতানী ক্ষমতা ও কতৃত্ব পেতে তাকে অনেক বিপত্তি পোহাতে হয়। কেননা সুলতান মুহাম্মদ ও তার ভাইদের মাঝে তখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।। কিন্তু সুলতান মুহাম্মদ তার বিচক্ষনতা ও কৌশলী পদক্ষেপের মাধ্যমে তার বিদ্রোহী ভাইদের পরাজিত করেন। পরবর্তীকালে উসমানী সম্রাজ্য পুনর্গঠন করতে সক্ষম হন ।
.
*ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ: সুলতান দ্বিতীয় মুরাদঃ-*
সুলতান প্রথম মুহাম্মদের পর ক্ষমতায় আরোহন করেন সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ। যিনি সম্পর্কে মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর পিতা। যিনি শাসক ও নেতা হিসেবে অত্যন্ত বিচক্ষন ছিলেন। তার শাসনামলেই কসোভোর ক্রুসেডারদের পতন হয়। অভ্যন্তরীণ যে সব অঞ্চলের জনগোষ্ঠী বিদ্রোহী হয়ে উঠহেছিলো তিনি তাদেরকেও বিচক্ষণতার সাথে দমন করেন। অধ্যায় শেষে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের কিছু অসীয়তনামা বর্ণিত হয়েছে।
.
***দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ-***
এ অধ্যায় পুরোটাই আবর্তিত হয়েছে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ কে ঘিরে। যিনি ছিলেন সপ্তম উসমানীয় সুলতান।
তার শাসনামলেই কনস্টান্টিনোপল বিজিত হয়। এ সম্পর্কে রাসূল (স:) এই বলে ভবিষ্যতবানী করেছিলেন যে – ‘অবশ্যই কনস্টান্টিনোপল বিজিত হবে। সেই বিজয়ী শাসক কতইনা উত্তম এবং সেই বিজয়ী বাহিনী কতই না উত্তম।’ -মুসনাদে আহমদ
রাসূল (স:) এর এই ভবিষ্যতবানী বাস্তবে পূর্ণতা দানের লক্ষ্যে অনেক শাসক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রায় শাসক বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে কে ওড়াবে কনস্টান্টিনোপলের বুকে বিজয় কেতন? এই অঞ্চল মুসলিমদের অধীনে আসতে আর কত দেরী।
অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের আবির্ভুত হলেন মহানায়ক সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর। যিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে ক্ষমতা লাভ করেন। একাধারে তিনি ছিলেন সাহসী, ধার্মিক, বিচক্ষণ ও ন্যায়পরায়ণ একজন শাসক ।
কনস্টান্টিনোপল বিজয় মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর জন্য মোটেই সহজ ছিলো না। এর জন্য তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু সংকটময় পরিস্থিতি। কেননা কনস্টান্টিনোপল এর তিনদিকেই ছিলো সমুদ্র। বাকী এক দিকও অভেদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী দ্বারা সুরক্ষিত ছিলো।
কিন্তু সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ কন্সটান্টিনোপল বিজয়ের জন্য সর্বদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। সে উপলক্ষ্যে মুহাম্মদ আল ফাতিহ ১৪৫১ সালে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকে শক্তিশালী রুপে পুনর্গঠন করেন এবং কনস্টান্টিনোপল আক্রমণের প্রস্তুতি নেন। এতে বড় অনুপ্ররেণা হিসেবে কাজ করে শায়খ আক শামসুদ্দিন।
অবশেষে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ ১৪৫৩ সালে পূর্ণ শক্তি নিয়ে কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন। এ সময় তার বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিলো ৮০০০০– ২০০০০০। জাহাজ ছিলো ৩২০ টি। মুসলিম যোদ্ধাদের জান বাজি রাখা আক্রমণ, ঘাত-প্রতিঘাত ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে মুসলমানরা ২৯ মে কনস্টান্টিনোপল বিজয় লাভ করতে সক্ষম হয়। পূর্ণতা পায় কনস্টান্টিনোপল সম্পর্কে রাসূল (স:) এর ভবিষ্যতবানী। বিজয়ের পর মুহাম্মদ আল ফাতিহ রাজধানী এর্দিন শহর থেকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপলে নিয়ে আসেন।
কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর পুরো মুসলিম সমাজে আনন্দের ফল্গুধারা প্রবাহিত হতে থাকে। সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেন। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের খবর সম্বলিত সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর স্বাক্ষরিত চিঠি সমস্ত মুসলিম রাজ্যে প্রেরিত হয়। এসব চিঠি পড়ে উসমানী শাসকদের প্রতি তাদের ভক্তি ও শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যায়।
সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহের শাসক ও ব্যক্তি হিসেবে বিভিন্ন গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন । তার গুণগুলোর মধ্যে মেধা, সহনশীলতা, বীরত্ব, বিচক্ষণতা, ন্যায়পরায়ণতা, সাহসী যোদ্ধা, দৃঢ় মনোবল ইত্যাদি ছিল অন্যতম।
কনস্টান্টিনোপল বিজ্যের পর সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বেশকিছু কার্যক্রম গ্রহন করেন। যেমন – শিক্ষাসংস্কার, সেনাবাহিনী শক্তিশালীকরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মান, ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার প্রসার, আলিম ও কবি-সাহিত্যিকদের সন্মান প্রদর্শন ইত্যাদি।
মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর সময়ে উসমানি সাম্রাজ্যের মুসলমানগন যে শান্তিসুখে ছিল, অন্য কারও সময়ে তা হয়নি।
শেষে পুত্রের উদ্দেশ্যে লেখা সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর শেষ উপদেশ ও তার মৃত্যুতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে কি প্রভাব পড়েছিলো তা আলোচিত হয়েছে।
.
**বইটি কেন পড়বেন? **
(১) আপনি যদি কোন নির্ভরঘোগ্য উৎস থেকে ইসলামের ইতিহাস জানতে চান তবে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
(২) আপনি যদি উসমানী সুলতানদের ক্ষমতা, বীরত্ব, রণকৌশল ও নেতৃত্বগুন সম্পর্কে জানতে চান তবে বইটি আপনার জন্যই।
(৩) আপনি যদি ইসলামের একজন বীর মুজাহিদের জীবনী পড়তে চান তাহলে বইটি আপনার জন্য।
.
**ব্যক্তিগত অনুভূতি:-**
বইটির কভার, প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, ও ভিতরের পাতা মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। ব্যক্তিগত অনূভুতি যদি বলতে হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। লেখক ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি মুহাম্মদ আল ফাতিহ বইটিকে নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব ও তথ্যের আলোকে সুনিপুনভাবে সাজিয়েছেন। অনুবাদ ও সম্পাদনাও খুবই চমৎকার হয়েছে। লেখা পড়তে গিয়ে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে অনুবাদ পড়ছি। বরং যথেষ্ট সহজ ও সাবলীল, ও বোধগম্য ভাষায় রচিত রচিত বলে মনে হয়েছে। । মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর সংগ্রাম মুখর জীবন, ইতিহাস, ও কর্মপন্থার কথাই বর্ণিত হয়েছে বই জুড়ে। যেসব পাঠকের মুসলিম সমাজের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই তাদের জানার ক্ষেত্রে বইটি খুবই ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করি।
এমন খুব কম বই আছে যে প্রতিটি বাক্য ভালোলাগার, প্রতিটি পাতায় মিশে থাকে জ্ঞানের ছোয়া ও শিক্ষণীয় উপাদান। “মুহাম্মদ আল ফাতিহ” তার মধ্যে অন্যতম। কারন এটা শুধু ইতিহাসের বই না এর সাথে মিশে আছে মুসলমানদের সোনালী অতীত । সব মিলিয়ে বইটি খুবই ভালো এবং উপকারী।
তাই এ জাতীয় গ্রন্থ ইসলামী মনোভাবাপন্ন সকলের জন্য একবার হলেও পড়া উচিৎ।