Copyright © 2025 Seanpublication.com
বিপদ যখন নিয়ামাত-২
- লেখক : আবদুল্লাহ আল মাসউদ, ড. ইয়াদ কুনাইবী
- পাবলিকেশন : সমর্পণ প্রকাশন
- বিষয় : ইবাদত—আমল ও আমলের সহায়িকা, একুশে বইমেলা ২০২২, সকল প্রকাশক
Author : ড. ইয়াদ কুনাইবী
Translator : আবদুল্লাহ আল মাসউদ
Publisher : সমর্পণ প্রকাশন
Category : আমল ও আমলের সহায়িকা
৳250 ৳175
You Save TK. 75 (30%)
বিপদ যখন নিয়ামাত-২
Share This Book:
Muhammad Tamimul Ihsan –
||বুক রিভিউ||
▪︎ আমরা অনেকেই মনে করে থাকি,বিপদ মানেই দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রনা।বিপদ মানেই আল্লাহর অসন্তুষ্টি।বিপদ শুধু কষ্টের ইতিবৃত্ত।অনেক সময় যখন আমাদের অন্তরগুলো কলুষিত হয়ে পড়ে তখন আল্লাহ তাআলা আমাদের বিপদ দিয়ে তাওবার কথা মনে করিয়ে দিয়ে থাকেন।কারণ,বিপদেই একজন মানুষের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়। বিপদে এলে মানুষ ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। বিপদের সময় ধৈর্য্য আর সবরের কথা যদিও আমরা জানি এবং শুনি;কিন্তু বিপদকালের বাস্তবতায় আমরা ভূলে যাই ধৈর্য্য আর সবরের কথা। ভূলে যাই বিপদ আমার রবের পক্ষ থেকেই এসেছে আবার তার পক্ষ থেকেই চলে যাবে।আর তাই ভূলে যাওয়া মানুষগুলোকে তার রবের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার নিমিত্তেই রচিত ”বিপদ যখন নিয়ামাত-২ গ্রন্থটি।
▪︎ বইটি মূলত বিপদ যখন নিয়ামাত সিরিজের দ্বিতীয় বই।আর এটির মূল লেখক ফিলিস্তিনি বংশদ্ভূত কুয়েতি লেখক ড.ইয়াদ কুনাইবী (হাফি.)।
যিনি একজন দাঈ এবং অনলাইন একটিভিস্ট। যার লেকচার ও দাওয়াতি কার্যক্রমের কারণে হাজারো তরুণ জীবনের মানে খুঁজে পেয়েছে। আর আল্লাহ তাকে মানুষের মনস্তত্ত্ব উপলব্ধি করার তাওফিক দিয়েছেন।তাই তিনি যে বিষয়ে কলম ধরেন,তাতে অভিনবত্ব সৃষ্টি করেন।আর তাই বইটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সহজপাঠ্য করার জন্য অনুবাদ করেছেন শাইখ আবদুল্লাহ আল মাসউদ।প্রকাশ করেছে সমর্পণ প্রকাশনী।
•বিপদে কেন ধৈর্য্য ধারণ করবো?
•কীভাবে পাহাড়সম মুসিবত মাথায় নিয়েও শান্ত-স্থির থাকতে পারবো?
•বিপদে পড়ে আমরা হতাশায় ভুগি এ থেকে আমরা কীভাবে বাঁচতে পারবো?
•সর্বোপরি এই বিপদকে রবের নিয়ামাত হিসেবে কীভাবে উপভোগ করবো কীভাবে?
এভাবে এইসব বিষয়সহ নানা বিষয়ের সমাধান দারুণভাবে আলোচনা করেছেন তিনি বইটিতে।প্রশ্ন এভাবে সরাসরি না ছুঁড়লেও বইটিতে এরকম প্রশ্নের সমাধান দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে
•কীভাবে আপনি পরীক্ষাকে পুরষ্কারে বদলে ফেলবেন?
•বিপদের নিয়ামাত থেকে উপকৃত হবপন কীভাবে?
•কঠিন পরিস্থিতিতেও কীভাবে হাসিমুখে জীবনযাপন করবেন?
•কীভাবে সর্বক্ষেত্রে জীবনে ইতিবাচক হবেন?
•রবের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক কীভাবে গড়ে তুলবেন?
•কীভাবে আপনি অটুট ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হবেন?
•তাকদীরের ফয়সালার ব্যাপারে অভিযোগ করা থেকে কীভাবে নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করবেন?
•কীভাবে আপনার রবের প্রতি এমন ভালোবাসা তৈরী করবেন যা সব অবস্থায় অটুট থাকবে?
এসকল সব প্রশ্নের উত্তর এবং নানা বিষয়ের সমাধান খুঁজে পাবেন বইটিতে। সমাধানগুলো লেখক ইয়াদ কুনাইবী করে দিয়েছেন অনেক সহজ করে। যাতে মানুষ সহজ করে বুঝতে পারে।
▪︎ বইটি কারা পড়বেন এবং কেন পড়বেন? বইটি তারাই পড়বেন যারা উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না।এছাড়াও উপরোক্ত প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলোর সম্পর্কে কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না।কারণ বইটিতে এধরণের সকল উত্তর খুঁজে পাবেন। রবের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কারণে হলেও বইটি সকলের পড়া দরকার।
▪︎ ব্যক্তিগত অনুভূতি : শায়েখের লেকচার আগেই শোনার কারণে তার প্রতি একটা দুর্বলতা কাজ করতো। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে আমি এমন একজন শাইখের আলোচনা শুনছি যিনি কখনো আত্মশুদ্ধির নসীহত করছেন তো আবার কখনো ঈমান জাগানিয়া হৃদয়গ্রাহী বয়ান করছেন। কখনো মোটিভেশনাল লেকচার দিচ্ছেন।আর এইসব আলোচনা যেন তিনি একসুতায় গেঁথে দিচ্ছেন। আর তা হচ্ছে রবের সাথে আমার আপনার বন্ধন। বইটি পড়ে এতই ভালো লেগেছে যে বলার বাহিরে। বইটা একটা মাস্টারপিস।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৫/৫
মাআসসালাম………….!!
Umme Suraiya –
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
বই : বিপদ যখন নিয়ামত ২
লেখক : ড.ইয়াদ কুনাইবী
প্রকাশনী:সমর্পণ
মুদ্রিত মূল্য :২৬৭ টাকা (মুদ্রিত)
★প্রাক কথন:
———————–
” বিপদ যখন নিয়ামত -২” একটি আত্মশুদ্ধিমূলক,অনুপ্রেরণামূলক, আত্ম-উন্নয়ন মূলক জ্ঞানগর্ভ ইত্যাদি একাধিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে রচিত বই।
•
জীবন চলার পথে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত নানা বিপদ -আপদের সম্মুখীন হতে হয়। আর বর্তমানে দ্বীন পালনের পথটা তো আরও বেশি বিপদসংকুল।বিপদের সময় সালাফাদের ঈমান বেড়ে যেত,অথচ আমাদের ঈমান তখন নিভু নিভু হয়ে যায়।কি অদ্ভুত টাইপের মানুষ আমরা, তাই না…?
•
গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সমূহ :
——————————-
বিপদের বাস্তবতা, বিপদের পরিচয় ও ফজিলত এবং পরীক্ষার সময় অবিচল থাকার উপায় সমূহ এই বইয়ের প্রধান আলোচ্য বিষয়।বিপদ এবং দুঃখ-দুর্দশার সময় কিভাবে একজন মুসলিম সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি,উত্তম আচরণ এবং দৃঢ় মানসিকতার দ্বারা সবচেয়ে উত্তম পুরুস্কার অর্জন করে নিতে পারে, তা কুরআন সুন্নাহের আলোকে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
•
আমাদের সম্পূর্ণ উম্মাহই আজ বিপদের ঘোর অমানিশায় দিন কাটাচ্ছেন। সাফল্যের সূর্যোদয় তখনই হবে, যখন আমরা সেই বিপদরূপী অন্ধকারের স্বরূপ অনুধাবন করতে পারব।
তাই আমরা যেন রাসূল (সা:)এর সেই হাদিসটি ভুলে না যায় —”….আর তোমাদের উপর যদি কোন বিপর্যয় আসে, তখন এমনটা বলবে না যে-ইশ,যদি এমন না করতাম, তাহলে তো আজ এমন পরিণামে ভুগতে হতো না।বরং বলবে, আল্লাহ তাকদীরে যা নির্ধারন করে রেখেছিলেন তা-ই হয়েছে। “যদি ” কথাটা শয়তানের দরজা খুলে দেয়।”
•
★প্রশান্তিকর কথন:
—————————–
“মুমিনের বিষয়টি বড়োই বিস্ময়করা তার সবকিছুই কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া অন্যকারও ক্ষেত্রে সেটি প্রযোজ্য নয়। তার জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি এলে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, ফলে তা হয় তার জন্য কল্যাণকর। আর দুঃখ-দুর্দশার মুখোমুখি হলে ধৈর্যধারণ করে, ফলে তাও হয় তার জন্য কল্যাণকর।” (মুসলিম : ৭২২৯)
★মতামত ও পাঠ প্রতিক্রিয়া:
——————————————
বইটি পড়ার পর বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে নিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব করলাম।তারপর অন্তর থেকে আল্লাহ প্রশংসা ছাড়া কিছুই বের হলো না।বইটি অসম্ভব ভাল লেগেছে।অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইল তাদের জন্য, যারা অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বইটি বের করেছন।
রিভিউ দাতা :
Umme Suraiya