আল্লাহ’র কালামের ব্যাখ্যাগ্রন্থের গুণগত মান ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যেন অক্ষত হেদায়াতের বাণী কালো হরফে সুরক্ষিত থাকে এই নিয়তে। এই তাফসির গ্রন্থটির চারটি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছি এখানে।
এক.
আল্লাহকে প্রাথমিকভাবে চেনা, ভালোবাসা ও সুন্দররূপে ইবাদাহ করার জন্য যেটির সাথে সর্বপ্রথম পরিচয় দরকার সেটি হল সূরা আল-ফাতিহা (রব, আর-রাহমান, আর-রাহীম ও প্রতিদান দিবসের মালিক)। অথচ আমরা বেশিরভাগ সময়েই অন্যের কাছে আল্লাহর ভিন্ন পরিচয় উপস্থাপন করি, ভিন্ন তথ্য দিয়ে। পুরো বইটি আমাদের শুধু সূরা ফাতিহার সাথে অনন্য অসাধারণভাবে পরিচিত করাবে ইন-শা-আল্লাহ।
দুই.
বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যা, দর্শনসমস্যার বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাখ্যা এবং আধুনিক ভোগবাদিতার মুখোস উন্মোচন করে এমনভাবে চাক্ষুস উদাহরণ দেয়া হয়েছে এখানে যা থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে না। ফলে আধুনিক মননের চিকিৎসায় এই তাফসির কাজ করবে নিরাময়ক হিসেবে।
তিন.
আল-কুরআন পড়তে ভালো না লাগার অন্যতম একটি কারণ হলো আল-কুরআনকে খাপছাড়া ও বিশৃংখল মনে হয়, এলোমেলো মনে হয় আয়াত ও সুরাগুলোকে। অথচ এটি ভুল ধারণা। আল-কুরআনে রয়েছে আয়াত ও সূরাসমূহের মাঝে ধারাবাহিক সুশৃংখলা, রয়েছে ধারাবাহিক অর্থপূর্ণতা। ফলে এই তাফসির পড়তে গিয়ে আপনার কাছে আল-কুরআনকে পড়তে-বুঝতে আর নিরসভাব-বিশৃংখল-এলেমেলো-খাপছাড়া মনে হবে না ইন-শা-আল্লাহ।
চার.
আর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এর জীবনঘনিষ্ঠতা। আল-কুরআন যদি আমার জীবনের সমস্যা নিয়ে না কথা বলে, আমার কথা না বলে, আমার প্রয়োজনের সমস্যার সমাধান না দেয়, কেবল তাত্ত্বিক কথা বলে, তবে আমি কেন পড়বো এটি? এখানেই এই তাফসিরের অন্যতম সফলতা ‒ যুগোপযোগীতা ও জীবনঘনিষ্ঠতা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।
Reviews
There are no reviews yet.