বিশ্বজুড়ে অশান্তি! শান্তি নেই কোথাও! চারিদিকে হানাহানি , হিংসা-বিদ্বেষ,অন্যায়-জুলুম! অভাব-অনটন। হাহাকার সর্বত্র! অশান্তির দাবানল। জ্বলছে দাউদাউ, প্রতিনিয়ত, প্রতিক্ষণ। মানুষের মনে একরাশ হতাশা। ব্যর্থতার গ্লানি। যেন উন্মাদপ্রায় পরাজয়ে। ভাসছে দুঃস্বপ্নের অথৈ জলে। কাঁপছে অজানা শঙ্কায়। কী দিন! কী রজনী! দেহে রাজ্যের অবসাদ। ক্লান্তি। সীমাহীন। ঘুম নেই দু’চোখে। কাটে নির্ঘুম; বিনিদ্র রজনী। চলে শুধুই এপাশ-ওপাশ। মুখটি বিষণ্ণতায় মলিন। পথ চলে গন্তব্যহীন। ভবিষ্যতের ভাবনায় বিদিশা; কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দোলে নিরাশার দোলাচলে। এ যেন ঝড়ে প্রবল আক্রান্ত কোনো জাহাজ। মাঝ দরিয়ায়। নাবিকহীন। ভাঙা মাস্তূল। কে জানে কখন কোথায় আছড়ে পড়ে! তলিয়ে যাবে কোন অজানায় পাঠক! আর নয় হতাশা ও বিষণ্ণতা। আর নয় নির্ঘুর রাত; বিনিদ্র রজনী। পাগলপ্রায়ও হতে হবে না। ওই শুনুন দুর্জয় নাবিকের আহবান! বিজয়ের পদধ্বনি! ওই দেখুন আলোর মিনার। জ্বলছে কেমন মিটিমিটি! হাসছে কত পদ্মরাগ! আপনি একজন মুমিন। আল্লাহতে দৃঢ় বিশ্বাসী। ঈমানের বলে বলীয়ান। আপনার আছে কুরআন-হাদিছ। আছে ইসলামের সুশীতল ছায়া।
আর এ ইসলামেই রয়েছে সকল সমস্যার অপূর্ব ও কার্যকরী সমাধান। সে ইসলাম আজ কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে। সুতরাং ভয় নাই! ওরে কোনো ভয়! জয় হবে আপনারই। নিশ্চয় ইসলাম মুক্তির ধর্ম। এর পথ-নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করলে সমাধান হয়ে যাবে আপনার সকল সমস্যার। সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর শত্রুও কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা আপনার। শুনুন! ইমাম ইবনু জাওজি রহ.- এর ভাষায়-
‘সাবধান! মোর দুর্বলতার সুযোগে করলে সঞ্চয় শক্তি নিজের প্রতি সতর্ক প্রহরীকে কর নি ভয় এক রত্তি।’ লুকিয়ে রেখেছি আমি রাত জেগে তার জন্য তীর বহু, সে তীর ডেকে আনবে বিপদ তার,বইবে রক্ত-লহু।”
বলা বাহুল্য, এ তীর হল বান্দার দুয়া-মুনাজাত। যেগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিশ্বপ্রতিপালক মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয়বন্ধু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে কিংবা তার অনুসারীগণ প্রেমসাগরে নিমজ্জিত হয়ে বা বিপদাপদের ঘনকালো অমানিশায় পড়ে রচনা করেছেন। আপনিও তাঁর অনুসরণ করুন, ধ্যানতন্ময় হয়ে, কায়মনোবাক্যে। আল্লাহ সহায় হবেন।
.
-ড.আয়েয আল-কারনী
এরকম প্রায় শতাধিক অনুপ্রেরণামূলক অধ্যায়ে সাজানো বইটি, যা পড়ে হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তি পাবে আশার আলো, ভেঙ্গে পড়া ব্যক্তি পাবে জেগে ওঠার শক্তি, অন্ধকারে তলীয়ে যাওয়া ব্যক্তি পাবে আলোর দিশারী।
Reviews
There are no reviews yet.