ফিতনা, এই নামটি শুনেই চমকে উঠলেন, চমকে উঠার কিছুই নেই। এটা তো মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যৎবাণী। শেষ যুগটা হবে ফিতনার যুগ। এখন আমরা সেই যুগেই দিনাতিপাত করছি। ফিতনার এই কালো থাবায় মানুষ একেবারেই কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে পড়েছে। সবাইকে গোলক ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে। ফিতনার এই ভয়াবহতা দিন দিন এতোই বেড়ে চলেছে যে, বিশেষ থেকে সাধারণ কেউই এর থেকে নিরাপদ নয়।
এখন এই নাজুক পরিস্থিতিতে ফিতনা থেকে কিভাবে বাঁচবো, পরিত্রাণের উপায় কি? লেখক বেশ গোছালোভাবে এখানে উপস্থাপন করেছেন। লেখক এখানে ফিতনাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। ইলমী ফিতনা এবং আমলী ফিতনা। কোন্ ফিতনা কিভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
পাঠক! এ বইয়ের একেকটি লাইন যখন পড়বেন তখন মনে হবে এই ফিতনাগুলো প্রতিনিয়তই ঘটছে আমাদের সমাজে। যেমন-মনে করুন, দলের মধ্যে মতবিরোধ করা, অবাধে ফটো তোলা, বস্তুবাদীদের বস্তুবাদী ফিতনা, বিদ্বান ও কলামিস্টদের ফিতনা, নারী স্বাধীনতা ও বেপর্দার ফিতনা
ইত্যাদি। এ জাতীয় অনেক বিষয় এখানে উল্লেখ করছেন।
মোটকথা লেখক এ কিতাবে বর্তমান সমাজের যত অঙ্গনে ফিতনা ঢুকে পড়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করেছেন এবং এর থেকে উত্তরণের উপায় কি হতে পারে তাও বিশেষ ভঙ্গিমায় ব্যক্ত করেছেন।
Din Muhammad Sheikh –
শেষ জামানার এ পৃথিবী আজ ফিতনাময়। চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করছে ফিতনা। ফিতনার মূল টার্গেট মুসলিম জাতি। নানামুখী ফিতনায় আজ আমরা জর্জরিত। কিছু ফিতনা আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করছি, কিছু আমদানি করছি পাশ্চাত্য থেকে। ফিতনায় গা ভাসিয়ে আজ আমরা ছিটকে যাচ্ছি ঈমানের পথ থেকে বহুদূরে। জেনে, না-জেনে, বুঝে, না-বুঝে আমরা অনেকেই ডুবে যাচ্ছি ফিতনার অতলসমুদ্রে। এমতাবস্থায় এ ফিতনাগুলোকে চেনা, এদের স্বরূপ জানা, এদের আক্রমণের ধরন বোঝা এবং এ থেকে বেঁচে থাকার উপায় জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের এ জরুরত পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে আয়ান প্রকাশনের সদ্যপ্রকাশিত বই ‘ফিতনা থেকে বাঁচুন’।
▪️ বইপরিচিতি :
দারুণ এ বইটি লিখেছেন শাইখ ইউসুফ বিননূরী (রহি:)। অনুবাদ করেছেন মারগুব ইরফান। বইটির মূল নাম ‘দাওরে হাযের কে ফেতনে আওর উনকা য়িলাজ’। চমৎকার এ বইটিতে আলোচিত হয়েছে সমকালীন বিভিন্ন ফিতনা এবং তা থেকে উত্তরণের পথ৷
▪️ লেখকপরিচিতি :
দারুণ এ বইটি লিখেছেন শাইখ ইউসুফ বিননূরী (রহি:)। পাকিস্তানের পেশওয়ার জেলার একটি ইলমী খান্দানে ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন শাইখ ইউসুফ বিননূরী (রহি:)। দেওবন্দ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা এ আলেমে দ্বীন শিক্ষক হিসেবে পান মাওলানা শাব্বির আহমাদ উসমানী (রহি:) ও মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি (রহি:)-দের মতো মহান ব্যক্তিদের। তাঁর বিভিন্ন রচনার মধ্যে প্রসিদ্ধ হলো, তিরমিজি শরীফের আরবি ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘মাআরেফুস সুনান’। কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে এ আলেম ছিলেন অত্যন্ত বলিষ্ঠ। ১৯৭৭ সালে এ মহান আলেম ইন্তেকাল করেন।
▪️ যা থাকবে বইটিতে :
পাঠক যদি কেবল সূচিপত্রটুকুতেই চোখ বোলায়, তবুও সে বইটির সামগ্রিক বিষয়বস্তু বুঝতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
বইটির শুরুর দিকে থাকবে ফিতনার পরিচিতি ও প্রকারভেদ সংশ্লিষ্ট আলোচনা। এরপর উঠে আসবে বিভিন্ন প্রকার ফিতনার বর্ণনা। কীভাবে এসব ফিতনা আমাদেরকে গ্রাস করে নিচ্ছে, সে সম্পর্কে থাকবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। ছবি তোলা, দুনিয়াপ্রীতি, দলের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ, বেপর্দা, ফেমিনিজম, হাদিস অস্বীকারসহ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক (ইলমি) ও কর্মগত (আমলি) ফিতনা নিয়ে থাকবে জরুরি আলোচনা।
আরও থাকবে মুসলমানদের পতনের কারণ, প্রচলিত তাবলীগ জামাআতের কর্মপদ্ধতি বর্তমান-ফিতনা মোকাবেলায় সক্ষম কি না, ফিতনা মোকাবেলায় দাওয়াতি ও ইসলাহি মজলিসের গুরুত্ব এবং এসব মজলিস পরিচালনার পদ্ধতি সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা। ইনশাআল্লাহ।
▪️ বইটির প্রয়োজনীয়তা :
ফিতনার আগ্রাসনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে হকের পথে অটল থাকতে হলে প্রয়োজন দৃঢ় ঈমান ও তাকওয়া৷ আর ইলম ব্যতীত ঈমান ও তাকওয়া আসবে কোত্থেকে! সূরা ফাতিরের ২৮ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এ কথাই বলছেন, “একমাত্র তাঁরাই আল্লাহকে ভয় করে, যাদের অন্তরে ইলম আছে।” সুতরাং এসব আগ্রাসী ফিতনা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা আমাদের একান্ত জরুরি। ফিতনাগুলোকে চেনা, ফিতনার কারণ ও এ থেকে উত্তরণের পথ ও পদ্ধতি জানার প্রয়োজনীয়তা অবর্ণনীয়। আর তাই আয়ান প্রকাশনের সদ্যপ্রকাশিত বই ‘ফিতনা থেকে বাঁচুন’ আমাদের জন্য দরকারি একটি বই। সংক্ষিপ্ত হওয়াতে বিরক্তি ছাড়া দ্রুতই পড়ে শেষ করে ফেলা যাবে বইটি। বইটি পড়ে, ইনশাআল্লাহ, আমরা এসব আধুনিক ফিতনা সম্পর্কে জানতে পারবো, পেয়ে যাবো এসব থেকে আত্মরক্ষার উপায়।
▪️পাঠান্তে মন্তব্য :
বইটি অত্যন্ত দারুণ। প্রচ্ছদ বেশ প্রাসঙ্গিক। কাভার ও বাইন্ডিংও খুব দারুণ। পৃষ্ঠামানও ভালো। অনুবাদও খুব সাবলীল হয়েছে। এমন একটি দারুণ বইয়ের অনুবাদ সুন্দর না হলে বড্ড বেমানান হতো। কুরআন, হাদিস ও সালাফদের কিতাবদি থেকে চয়নকৃত দলিল বইয়ের আলোচনাকে করেছে শক্তিশালী। তাই বর্তমান জামানায় বইটির প্রয়োজনীয়তা অবর্ণনীয়।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন বইটি কবুল করে নিন।
▪️ একনজরে বইটি :
• বই : ফিতনা থেকে বাঁচুন
• লেখক : শাইখ ইউসুফ বিননূরী (রহি:)
• অনুবাদক : মারগুব ইরফান
• প্রকাশনী : আয়ান প্রকাশন
• মূদ্রিতমূল্য : ২৮০/-
• পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৮৪
• কভার : পেপারব্যাক
Shahriar Mohammad Aqib –
আল্লাহর পেয়ারা হাবীব (স) ইন্তিকালের কিছু বছর পর উসমান (রা) এর শাহাদাতের মধ্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে ফিতনা প্রবেশ করে। এরপর তা ব্যাপক ও প্রসারিতই হচ্ছে।জ্ঞানগত, কর্মগত নানান ধরণের ফিতনায় ছেয়ে গেছে বর্তমান যুগ।অথচ আমাদের নবিজি কিন্তু আমাদেরকে আগেই সতর্ক করে গিয়েছেন এসকল ফিতনার ব্যাপারে। তাই আমাদের কর্তব্য সেগুলো জানা ও ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।ফিতনা আগেও ছিলো এখনো আছে। কিন্তু ফেতনার মাঝে ডুবে গেলে আমরা হারাবো আমাদের দুনিইয়া ও আখিরাত। তাই ফিতনা কী, এর থেকে বাঁচার উপায় -এসকল বিষয় জানতে “ফিতনা থেকে বাঁচুন” একটি অসাধারণ বই। বর্তমান যুগে ফিতনার ব্যাপকতায় কোন কোন বিষয়গুলো ফিতনা তা বুঝতে পারাই অনেক মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এ সংক্রান্ত গ্রন্ত পাঠ অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
সিরাজাম বিনতে কামাল –
📝অবতরণিকা:
———————–
হযরত উসামা রা. থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার কোন এক পাথর নির্মিত গৃহের উপর আরোহণ করে বললেন, ❝আমি যা দেখছি তোমরা কি তা দেখতে পাচ্ছো? বৃষ্টি বিন্দু পতিত হওয়ার স্থান সমূহের মতো আমি তোমাদের গৃহের মাঝে ফিতনার স্থান সমূহ দেখতে পাচ্ছি।❞ [সহীহ বুখারী: হাদিস- ১৮৭৮]
নবী (সা:) চৌদ্দশত বছর পূর্বেই ভয়াবহ ফিতনা দেখতে পেয়েছিলেন। সব যুগেই ফিতনা কমবেশি ছিলো। কিন্তু নবীর (সা:) যুগ থেকে যে যুগের সময়ের ব্যবধান যত বেশি সে যুগ তত বেশি ফিতনার কবলে পড়বে। সে হিসেবে বর্তমান সময়টাকে ফিতনার সময় বলে আখ্যায়িত করা যায়। আর ফিতনার যুগে ঈমান ঠিক রেখে সুন্নাহভিত্তিক আমল করা হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখার সমতুল্য।
মহানবী (সা:) বলেছিলেন,❝শেষ যুগ হবে ফিতনার যুগ।❞ আর আমরা বাস করছি সেই যুগেই। কিন্তু আমরা ক’জন ফিতনা সম্পর্কে জানি। নিজের ঈমান ঝালাই করি। আমরা ক’জন ভাবি যা করছি তা ঠিক করছি তো, কোথাও ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো! ফিতনায় জড়িয়ে যাচ্ছি না তো!
‘ফিতনা’ বর্তমান সময়ে বহুল আলোচিত একটি শব্দ। হয়তো কারো কারো কাছে একদম নতুন। ফিতনা আসলে কী? ফিতনা আমাদের জন্য ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক! কী করে নিজেদের রক্ষা করব ফিতনা থেকে, নিজের অজান্তেই কীভাবে ফিতনায় জড়িয়ে পড়ছি আমরা! এসব নিয়ে আদ্যোপান্ত আলোচনা নিয়েই ‘শাইখ মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী রাহ.’ রচিত কিতাব “দাওরে হাযের কে ফেতনে আওর উনকা য়িলাজ”। কিতাবটি অনুবাদ করেছেন ‘মারগুব ইরফান’ “ফিতনা থেকে বাঁচুন” শিরোনামে।
📚বই অভ্যন্তরে:
————————
রাসুলুল্লাহ (সা:) এর স্পষ্ট ঘোষণা, ❝তোমরা পূর্ববর্তী উম্মত অর্থাৎ ইয়াহুদী, খ্রিস্টান, মুশফিকদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলবে। এবং তাদের অনুকরণ অনুসরণ এত বেশি হবে যে, যদি তাদের কেউ ওই সাপের গর্তে প্রবেশ করে তাহলে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে, অর্থাৎ অনর্থক কাজ-কর্মে পরিপূর্ণভাবে তাদের অনুসরণ করবে।❞
বর্তমান ইসলামি বিশ্বের খবর নিলে এবং আমরা মুসলিমদের শিক্ষা-সংস্কৃতির দিকে তাকালে খুব সহজেই নবী (সা:) এর হাদীসটির সত্যতা অনুধাবন করতে পারি।
বইয়ের সূচিপত্রে দৃষ্টিপাত করলে বইটি আমাদের শেষ যামানার উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই অনুমেয়। সূচিপত্র থেকে কিছু চৌম্বকাংশ:
★ ফিতনা ও উম্মাতে মুহাম্মাদী
★ ফিতনার প্রকারভেদ
★ ইলমী ও আমলী ফিতনার দরজা বন্ধ করে দেওয়া
★ ফিতনার মূল টার্গেট মুসলিম বিশ্ব
★ ফিতনা থেকে বাঁচার দুটি পদ্ধতি
★ মুসলিম বিশ্ব দুর্বল হওয়ার কারণ ও তার প্রতিকার
★ যাবতীয় ফেতনা হতে বাঁচার উপায়
★ দুনিয়াপ্রীতির ফিতনা
★ বস্তুবাদী ফিতনার কারণ ও প্রতিকার
★ পাশ্চাত্যের ফিতনা
★ সোহতবিহীন ইলম একটি ফিতনা
★ নারী স্বাধীনতা ও বেপর্দার ফিতনা
★ ইতিহাসে হাদীস অস্বীকার করা ও তার ফিতনা
★ ফিতনা বন্ধ করার জন্য দাওয়াতী ও ইসলাহী মজলিস প্রতিষ্ঠা করা
মোদ্দাকথা, বইয়ের প্রত্যেকটা টপিকই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
🎯বইটির প্রয়োজনীয়তা:
———————————–
পবিত্র কুরআন কারীমে আল্লাহ তা’আলা মানবজাতিকে ফিতনা থেকে বাঁচার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ❝তোমরা ভয় করো ফিতনাকে যা তোমাদের মধ্য থেকে বিশেষভাবে শুধু যালিমদের উপরই আপতিত হবে না। আর জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।❞ [সূরা আনফাল: ২৫]
উপরোক্ত আয়াতখানিই আমাদের বলে দিচ্ছে ফিতনা সম্পর্কে জানা এবং ফিতনা থেকে বাঁচা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মহানবী (সা:) অন্য এক হাদীসে বলেছেন, ❝এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ সকালে মুমিন থাকবে বিকালে কাফের হয়ে যাবে, রাতে মুমিন থাকবে সকালে ঘুম থেকে জাগবে কাফের হয়ে।❞ আল্লাহুম্মাগফিরলি! আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুক ভয়ংকর এই ফিতনা থেকে।
📝লেখক পরিচিত:
————————–
মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী রাহ. পাকিস্তানের পেশাওয়ারে একটি খান্দানী ইলমি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৮ সালে। তিনি কুরআন হিফজ ও ইসলামি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন তাঁর পিতা সৈয়দ মুহাম্মদ যাকারিয়া এর কাছে।
উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে। তাফসির, হাদীস ও ফিকহ শাস্ত্রে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রসিদ্ধ উস্তাদগণের সোহবতে দ্বীনি ইলম অর্জন করেন। সম্মানিত উস্তাদগণ হলেন– শেখ আব্দুল কাদের আফগানী, শেখ মুহাম্মদ সালেহ আফগানী, শাব্বির আহমাদ উসমানী রাহ., ইমামুল আসর মুহাদ্দিস মুহাম্মদ আনোয়ার শাহ কাশ্মেরী রাহ. প্রমুখ।
জীবনভর তিনি বাতিল ফিরকার সাথে লড়েছেন। আমাদের জন্য রেখে গিয়েছেন কিছু অমূল্য কিতাব। তিরমিজি শরীফের আরবী ব্যাখাগ্রন্থ মাআরেফুস সুনান, নাফহাতুল আম্বার ফি হাদয়িশশাইখিল আনওয়ার, ইয়াতিমাতুল বয়ান লি-মুশকিলাতিল কুরআন প্রভৃতি।
তিনি ১৯৭৭ সালের ১৭ই অক্টোবর ইন্তেকাল করেন।
📝যবনিকাপাত:
————————
❝যেই জিনিস মানবিক জ্ঞান ও সংকল্পের কারণ হয় এবং তাকে সরল সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়, পরিভাষায় তা’ই হলো ফিতনা।❞
আমাদের আপামর মুসলিমের জন্য খুবই উপকারী এবং অবশ্য পাঠ্য একটি বই।
যতটুকু দেখেছি বইয়ের ভাষা ব্যবহার সহজবোধ্য মনে হয়েছে। এবং ফিতনা সংক্রান্ত কুরআনের আয়াত, হাদীস এবং মনীষীগণের বাণীসমূহ আমাদের জন্য বেস্ট রিমাইন্ডার হবে, ইন শা আল্লাহ! তাছাড়া বইয়ের শুরুতে অনুবাদক ফিতনা থেকে হেফাজতে থাকার যে ছয়টি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তা খুবই মন:পুত হয়েছে।
আশা করি, বইটি সকল পাঠকের জন্যই উপকারী হবে। বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আল্লাহ কবুল করে নিন। আমাদের ফিতনা থেকে হেফাজতে থাকার তাওফিক দান করুন, আমিন।
📝এক নজরে বই পরিচিতি:
_____________________________
বই: ফিতনা থেকে বাঁচুন
লেখক: শাইখ ইউসুফ বিননূরী (রহ.)
ভাষান্তর: মারগুব ইরফান
প্রকাশনায়: আয়ান প্রকাশন
প্রচ্ছদ মূল্য: ২৮০৳