Copyright © 2025 Seanpublication.com
আস সারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসূল
- লেখক : ইমাম ইবনু তাইমিয়া
- পাবলিকেশন : মাকতাবাতুস সুন্নাহ (বাংলাবাজার)
- বিষয় : বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল, বিবিধ বই
Author : ইমাম ইবনু তাইমিয়া
Translator : মাহমুদুল হাসান, মুনিরুল ইসলাম
Category : ইসলামি বিধি-বিধান
৳224 ৳156
You Save TK. 68 (30%)
Out of stock
আস সারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসূল
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for আস সারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসূল
Add a review Cancel reply
Muhammad Rafsan nasir –
প্রাককথন _
সৃষ্টির শুরু থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যত জন মানুষ এই দুনিয়ায় আসবেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হলেন “মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।” সমস্ত নবিদেরও ইমাম তিঁনি। কিন্তু, আফসোসের বিষয় হলো _ সাইয়িদুল বাশার মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লাখ লাখ উম্মাহ জীবিত থাকা সত্ত্বেও আজ তাঁর ইজ্জতের ওপর হামলা করছে কুফফার ও তাদের সহযোগিরা। তথাকথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র নামে আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করে যাচ্ছে শয়তানের দলেরা। আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া এবং আখিরাত উভয় জগতে লাঞ্ছিত করুন।
(আমিন)।
প্রেক্ষাপট _
ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) এর সময়ে আসসাফ নামের এক খ্রিস্টান নরাধম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নিয়ে কটূক্তি করেছিল। ফলে আসসাফের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছিল নবীপ্রেমিক জনতা। পরিস্থিতি নাজুক দেখে তৎকালীন আমীর ইবনে আহমাদ আল-হিজাজির কাছে আশ্রয় নিল ‘শাতিমে রাসুল’ আসসাফ। এ পরিস্থিতিতে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা এবং শাইখ যায়নুদ্দীন (রাহিমাহুমাল্লাহ) আল-ফারকি নায়েবে আমির ইজ্জুদ্দীন আবিক আল-হামাবি’র কাছে আসসাফের উপযূক্ত বিচার চাইলেন। নায়েবে আমীর ইজ্জুদ্দীন ডেকে পাঠালেন রাসুলকে গালিদানকারী নরাধম আসসাফকে। সমাবেত জনতা তাকে দেখে উপহাস করতে লাগলো। এক আরব বেদুঈন ছিল আসসাফের সাথে। সেই বেদুঈন তার পক্ষ নিয়ে সমবেত মুসলিমদের সাথে তর্ক জুড়ে দিল। ক্রুদ্ধ জনতা দুজনকেই গণধোলাই দিল। নায়েবে আমীর ইজ্জুদ্দীন এ ঘটনার সম্পূর্ণ দায় চাপালেন ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা এবং শাইখ যায়নুদ্দীন (রাহিমাহুমাল্লাহ) এর ওপর। তারাই নাকি জনগণকে ফুসলিয়েছ। তাই ইজ্জুদ্দীনের নির্দেশের বেত্রাঘাত করা হলো দুজনকে। কিন্তু আসসাফের অপরাধ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও কোন শান্তি না দিয়ে ওকে ছেড়ে দেওয়া হলো। এ ঘটনার পর আল্লাহর রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গালিদাতার বিধান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইবনে তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) কালজয়ী গ্রন্থ “আস-সারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসূল ” রচনা করেন।
বিষয়বস্তু_
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে বেয়াদবির একমাত্র শান্তি যে মৃত্যুদণ্ড এই বইটিতে সেই বিষয়টিই দালিলিকভাবে প্রমাণ করে দেখানো হয়েছে।
বই আলাপন _
বইটিকে চারটি মাস’আলায় বিভিন্ন শিরোনামে বিভক্ত করা হয়েছে।
★প্রথম মাসআলাঃ রাসুলের কটূক্তিকারির বিধান, শাতিমকে হত্যা করা ওয়াজিব, সুন্নাহ থেকে দলিল, ইজমা থেকে প্রমাণ, কিয়াস থেকে প্রমাণ ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।
★দ্বিতীয় মাসআলাঃ কটূক্তিকারিকে যদি জিম্মি হয় তাহলে কি বিধান হবে, সে বিষয়ে আলোচনা এসেছে।
★তৃতীয় মাসআলাঃ যদি তাওবা করে নেয় তা হলে হুকুম কি হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
★চতুর্থ মাসআলাঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তি ও অন্যান্য কুফরির মাঝে পার্থক্য, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে পরোক্ষভাবে কটূক্তিকারীর বিধান, অন্যান্য নবী, উম্মুল মুমিনীন ও সাহাবিদের কটূক্তিকারীর বিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বইটি কেন পড়বেন _
বর্তমান সময়ে বইটির গুরুত্ব বলাই বাহুল্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তিকারীর বিধান সম্পর্কিত যাবতীয় মাস’আলা সম্পর্কে মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলেরই পরিষ্কারভাবে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন । তাই বলবো, বইটি অবশ্যই সংগ্রহে রাখা উচিত।
শেষ কথা _
আল্লাহর রাসূলের শানে বেয়াদবী একটি কুকুর পর্যন্ত সহ্য করতে পারেনি, কামড় দিয়ে গলার শ্বাসনালী আলাদা করে ফেলেছিল এক খ্রিস্টান পাদ্রীর।” [বিস্তারিত জানতে দেখুন ; ইবনে তাইমিয়্যা, আদ-দুরারুল কামিনাহ,৩/২০২]।
সুবহানাল্লাহ! একটা কুকুরও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে! আর আমরা? আমাদের সে অনুভূতি কোথায়? কোথায় আমাদের ভালোবাসা? আল্লাহর কসম!, এমন জাতির ওপর কখনোই আল্লাহর সাহায্য নাযিল হয় না, যে জাতি আল্লাহর রাসূলের সম্মান রক্ষা করতে জানে না।
মা’আযাল্লাহ! (আল্লাহর আশ্রয় চাই)।