লুইস ক্যারলের বিখ্যাত বই ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এ কোনো কিছুই স্বাভাবিক নিয়ম মতো হয় না। শুঁয়োপোকা হুক্কা খায়, নুড়ি পাথর কেক হয়ে যায়, আর ছোট্ট শিশু হয়ে যায় শূকরছানা। আজব দেশের রাণী বিচারের সময় চেঁচিয়ে ওঠে, ‘শাস্তি আগে, রায় পরে’! অদ্ভুতুড়ে এক জগৎ!
আধুনিকতার রাজপথে হাঁটতে গিয়ে বিশ্ব যেন পথ ভুলে অ্যালিসের ওয়ান্ডারল্যান্ডের মতো কোনো এক জগতে ঢুকে পড়েছে। যেখানে পুরুষ বিয়ে করে অন্য পুরুষকে, নারী বিয়ে করে নারীকে। ছয় বাচ্চার বাপ বর্ষসেরা নারীর খেতাব পায়, নিজেকে নারী দাবি করে মহিলা কারাগারে ঢুকে পড়ে পুরুষ কয়েদী, স্কুলের বাচ্চাদের শেখানো হয় ‘যাহা নারী তাহাই পুরুষ’ আর আইন, আদালত, সমাজ দিব্যি সেটা মেনেও নেয়।
প্রতিদিন যেন একটু একটু করে মৃত সাগরপাড়ের শহরগুলোর মতো হয়ে উঠে আমাদের পৃথিবী। অ্যালিসের জগতটা ছিল মজার। কিন্তু আমাদের এ জগৎ ভয়ঙ্কর বিভীষিকার।
কেন সবার একযোগে এই অবিশ্বাস্য রকমের পাগলামি? কীভাবে স্বাভাবিক হয়ে উঠলো এতোসব বিকৃতি?
অ্যালিসের যাত্রা শুরু হয়েছিল এক সাদা খরগোশের পিছু নিতে গিয়ে। খুঁজতে খুঁজতে তার গর্তে ঢুকে পড়েছিল অ্যালিস। সেই গর্ত তাকে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল আজব এক দুনিয়াতে। প্রশ্নগুলোর জবাব পেতে হলে আমাদেরও নামতে হবে খরগোশের গর্তে। দেখতে হবে এ গর্ত আসলে কতোটা গভীর!
Copyright © 2025 Seanpublication.com
Reviews
There are no reviews yet.