কুরআন কারিমের সৌভাগ্যবান পাঠকমাত্রই অবগত আছেন, কোনো দর্শন এবং চিন্তা-চেতনা মানুষের দোরগোড়ায় এবং তাদের হৃদয়ের গভীরে পৌঁছানোর সবচেয়ে সফল ও প্রজ্ঞাপূর্ণ মাধ্যম হলো গল্প। আর সেসব গল্প যখন বিবৃত হয় কুরআন-হাদিসের মিশেলে, তখন সেগুলো হয়ে ওঠে আরও অনুসরণীয়, শিক্ষণীয় এবং মহিমান্বিত।
শেষ বিকেলের রোদ্দুর রৌদ্রময়ীদের এমনই একটি জীবনঘনিষ্ঠ গল্পভাষ্য, যেখানে কুরআন-হাদিসের মিশেলে আমাদের জীবনের বাস্তব গল্পগুলোই ঝিলমিলিয়ে উঠেছে।
গল্পগুলোর বুনন এতটা সুঠাম ও বস্তুনিষ্ঠ, গল্পের চরিত্র ও জীবনপরিক্রমা যেন আপনি নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ করছেন। গল্পগুলোর আরেকটি সৌন্দর্য হলো, সেগুলো বিবৃত হয়েছে নানা আঙ্গিকে, বিভিন্ন নামে ও শিরোনামে।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
আব্দুর রহমান –
শেষ বিকেলের রোদ্দুর। বইটি লিখেছেন রোদ্রময়ী নামক ফেসবুক পেইজের একঝাক লেখিকা। এটি তাদের লেখা তৃতীয় বই। এর আগে তাদের লিখিত রৌদ্রময়ী ও মেঘ রোদ্দুর বৃষ্টি বই দুটিও বেশ পাঠকনন্দিত হয়েছিল।
কারা এই রৌদ্রময়ী ?
রৌদ্রময়ী হচ্ছেন রৌদ্রময়ী’ নামক ফেসবুক পেইজের কিছু দ্বীনি বোন। যারা তাদের লিখিত প্রথম বইতে নিজেরদের পরিচয় দিয়েছেন ঠিক এভাবে “রৌদ্রময়ী হচ্ছেন সেই নারীরা যারা তাদের লেখার মাধ্যমে ইতিবাচক মানসিকতার আলো ছড়িয়ে দেন। যেখানে থাকে না স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারী জীবনের দিকে আহ্বান। বরং তাদের লেখায় আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সামগ্রিক জীবনযাত্রা ও সামাজিক সম্পর্কগুলোর প্রতি দায়িত্বশীলতা প্রকাশ পায়” ।
কি আছে শেষ বিকেলের রোদ্দুর বইতেঃ-
বইটি সাজানো হয়েছে রৌদ্রময়ীদের লিখে আলাদা শিরোনামে ৩৭ টি গল্পের মাধ্যমে। যার প্রতিটি গল্পের প্লট, চরিত্র আলাদা। প্রত্যেক লেখিকা তাদের দাম্পত্য খুঁটিনাটি, পরিবার নিয়ে অমূল্য ভাবনা গুলো তুলে জীবন থেকে নেয়া উপলদ্ধি থেকে। গল্পের আচড়ে তুলে এনেছেন জীবন ও সমাজের নানা অসঙ্গতির কথা।
বইটি কারা পড়বেন?
যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন। গল্পের মাধ্যমে ইসলামি জ্ঞান আহোরণ করতে চান। ভাবনার পরিধি বিস্স্তৃত করতে চান। তারা বইটি অবশ্যই পড়ুন। কেননা বইটি আপনাকে গল্পের মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দিবে। ইসলামের প্রতি আরো গভীরভাবে আনুগত্য করতে অনুপ্রেরণা যোগাবেক
.
আমার অনূভুতিঃ-
বইয়ের সবগুলো গল্পই ছিল শিক্ষামূলক। প্রতিটি গল্পেই কুরআন হাদীসের মিশেল ও জীবনের উপলদ্ধিতে যুক্ত হয়েছে অনুসরণীয়, শিক্ষণীয় উপাদান। বইটি পড়ার পর যেকোন পাঠকের আবার নতুন করে পড়তে ইচ্ছা করবে বলে আমার বিশ্বাস।