ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম ইসলামি শাসন দেখা যায় মুহাম্মাদ বিন কাসিম রহিমাহুল্লাহর সিন্ধু বিজয়ের সময়ে। তিনি বিজিত অঞ্চলগুলোতে ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী শাসন কায়েম করেন। এই সময়ের আলোচনা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সেটি ছিল সালফে সালেহিনদের (Early righteous Muslims) যুগ। সাহাবিদের যুগ ছিল ১১০ হিজরি পর্যন্ত। মুসলিমরা সিন্ধু বিজয় করে ৭১২ খ্রিস্টাব্দে বা ৯৩ হিজরিতে। অর্থাৎ সেই সময়টি ছিল সাহাবিদের যুগের অন্তর্ভুক্ত : দ্বিন ইসলাম তখন নববি আদর্শ অনুযায়ী বিশুদ্ধভাবে পালিত হচ্ছিল। মুহাম্মাদ বিন কাসিম রহিমাহুল্লাহ যখন সিন্ধু বিজয় করেন, তখন তিনি বিজিত অংশে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের থেকে জিজিয়া গ্রহণ করেন ও তাদেরকে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করেন। তাদেরকে ইসলাম গ্রহণ করতে জোর করা হয়নি বা শোষণও করা হয়নি। মুসলিমরা তাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করে। জাত-বর্ণহীন ইসলামের মহান আদর্শে মুগ্ধ হয়ে বরং স্থানীয় অধিবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলাম গ্রহণ করছিল।
.
আমাদের দেশ এবং গোটা ভারতবর্ষ সর্বশেষ ইসলামি শাসন দেখেছিল মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব রহিমাহুল্লাহ {আলমগীর}-এর সময়ে। সম্রাট আওরঙ্গজেব রহিমাহুল্লাহ ভারতবর্ষে ইসলামি শরিয়া কায়েম করেন। জিজিয়া আরোপের জন্য তাঁকে পশ্চিমা ঐতিহাসিকরা সমালোচনার বাণে বিদ্ধ করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সম্রাট আওরঙ্গজেব রহিমাহুল্লাহর গৃহীত ব্যবস্থার ফল কীরূপ ছিল? তার বৃত্তান্ত প্রস্ফুটিত হয়েছে এ বইতে।
.
নবীজি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাবার নাম ‘আব্দুল্লাহ’—এই ব্যাপারটাকে সামনে এনে নাস্তিক-মুক্তমনারা মুসলমানদের দিকে তীর্যক প্রশ্ন ছোঁড়ে। তারা বলে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বাবার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, যার মানে হচ্ছে আল্লাহর দাস। নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বাবা ছিলেন মুশরিক, আল্লাহকে সে যুগের মুশরিকরাও উপাসনা করত। এখন মুসলিমরা আল্লাহর উপাসনা করে। মুশরিকদের এই নাম হতো, এখন মুসলিমদেরও এই নাম হয়। মুসলিমরা কি তাহলে সেই পৌত্তলিক সংস্কৃতির উত্তরাধিকার নয়?
অন্ধকার থেকে আলোতে-২ বইতে এই প্রশ্নের জবাব তিন আব্রাহামীয় ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে এমন সুন্দরভাবে দেওয়া হয়েছে, ‘আব্দুল্লাহ’ নাম নিয়ে অভিযোগ যারা তোলে, সেই খ্রিস্টান মিশনারিরা আগামী থেকে এমন প্রশ্ন করতে অন্তত একবার আগ-পিছ ভেবে নেবে।
.
এমন নানান জটিল অথচ সহজ বিষয়ের সন্নিবেশন অন্ধকার থেকে আলোতে-২ বইটি।
Reviews
There are no reviews yet.