Copyright © 2024 Seanpublication.com
রাসূলের চোখে দুনিয়া (হার্ডকভার)
- লেখক : ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, জিয়াউর রহমান মুন্সী
- পাবলিকেশন : মাকতাবাতুল বায়ান
- বিষয় : সকল প্রকাশক, সিরাহ ও সুন্নাহ
Author : ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল
Translator : জিয়াউর রহমান মুন্সী
Publisher : মাকতাবাতুল বায়ান
Category : সিরাহ ও সুন্নাহ
৳275 ৳200
You Save TK. 75 (27%)
রাসূলের চোখে দুনিয়া (হার্ডকভার)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (2)
2 reviews for রাসূলের চোখে দুনিয়া (হার্ডকভার)
Add a review Cancel reply
Md Amdadullah Tafhim –
♣ একনজরে…
বইঃ রাসুলের চোখে দুনিয়া
লেখকঃ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল র.
অনুবাদঃ জিয়াউর রহমান মুন্সী
প্রকাশনিঃ মাকতাবাতুল বায়ান
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৭৫ টাকা।
কভারঃ হার্ড কভার।
দুনিয়া এক রহস্য-ঘেরা জায়গা।এখানে মানুষ আসে।শৈশব,কৈশোর ও তারুণ্যের সিঁড়ি বেয়ে বার্ধক্যে উপনীত হয়।তারপর হঠাৎ একদিন চলে যায়।কোত্থেকে এলো, কেন এলো,কোথায় গেলো-এসব প্রশ্ন প্রত্যেক মানুষের মনে বারবার উঁকি দিয়ে বেড়ায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুনিয়ার মোহ ,সুখ আর ভোগের নেশা এসব চিন্তাকে স্তিমিত করে দেয়। এই নেশার কঠিন আচ্ছাদন ভেদ করে যারা চিন্তার জগতে বিচরণ করে বেড়ায় তারা কখনো কখনো খোঁজে পেয়ে যায় অনন্ত অসীম গন্তব্যের পথ, সিরাতুল মুস্তাকীম।
রাসুল সা. এর জীবন ছিল দ্বীনের জন্য কোরবান।অধিক ঐশ্বর্যশালী হওয়ার অন্ধ প্রতিযোগীতায় তিনি নিজের জীবনের মুল্যবান সময় নষ্ট করেন নি।এই এক ঘৃন্য প্রতিযোগীতা আমাদের বিপথে ফেলে দিচ্ছে।অধিক সম্পদ, ভাল কাপড়ের নেশা আর বাহারি খাবারে উদরপূর্তি আমাদের জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে হারিয়ে বসেছি অনন্ত অসীম জিন্দেগীর পরম পাথেয় উপার্জনের নিঃশেষ শক্তিটুকুন।
দুনিয়ার মোহাবিষ্টতা,অঘাত প্রাচুর্য কি রাসুলগন কে কাবু করতে পেরেছিল? -পারেনি। কারন তাদের আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের নমুনা এরুপ ছিল যে, এক খন্ড পাথর, একটা সোনার টুকরা আর এক টুকরা মাটির মুল্যে কোন তারতম্য নেই। অর্থাৎ, দুনিয়ার প্রাচুর্য তাদের কাছে কোন মুল্যই রাখতো না।
দুনিয়ার সাথে রাসুল সা. এর সম্পর্ক কেমন ছিল তা একটি হাদিস থেকে সহজেই অনুমেয়। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্নিত রাসুল সা. বলেছেনঃ-“এ দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক? এ দুনিয়ার সাথে আমার দৃষ্টান্ত হলো এমন এক অশ্বারোহীর ন্যায় যে প্রচন্ড গরমের একদিন একটি গাছের ছায়ায় ঈষৎ নিদ্রা গেলো, তারপর কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো। ”
ভাগাড়ে পড়ে থাকা একটি মৃত ভেড়াকে দেখিয়ে রাসুল সা. বলেছেন- “ফেলে দেওয়া মালিকের নিকট এ ভেড়াটি যত তুচ্ছ মনে হয়েছে, আল্লাহ তা’য়ালার নিকট দুনিয়া তার চেয়েও অধিক তুচ্ছ।” [প্রাগুক্ত-১১৯]
○ বই সম্পর্কে-
বইটির সবচেয়ে চমকপ্রদ অংশটি হলো সম্পুর্ন বইটিই হাদিসের এক অনন্য সংকলন। প্রথমে লেখক এনেছেন রাসুল সা. এর চোখে দুনিয়ার গুরুত্ব ও মর্যাদা কতটুকু ছিল। যে রাসুলের শানে মক্কার কুরাইশগন অঢেল সম্পদ,আরবের আধিপত্য অর্পণ করেছিল, সে রাসুল স. দুনিয়াকে কতটুকু তুচ্ছ ভেবে নিয়ে খন্দকের যুদ্ধে পেটে পাথর বেঁধেছিলেন।
বইটিতে শেষ নবী সা. ছাড়াও অন্যান্য রাসুলের চোখে দুনিয়ার চাকচিক্য কত নগন্য সেটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এক কথায়, হাদিস প্রেমীদের জন্য এক অনবদ্য সংস্করণ।
○ বইটি কাদের জন্য ?
বইটি প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর জন্য। যারা তাগুতের মোকাবিলায় নিজের ঈমান ও আমলকে হেফাযত করতে চান তাদের প্রত্যেকের জন্যই বইটি একান্ত প্রয়োজন। সত্যিকারের আশেকে রাসুল যারা তাদের জন্য বইটি হাইলি রিকমেন্ডেড।
○ বইটি কেন পড়বেন?
বইটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ সাঃ সহ আরো কয়েকজন প্রখ্যাত রাসুলদের অমূল্য বানী ও জীবনবৃত্তান্ত ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে রাসুলুল্লাহ্ সঃ এর ব্যক্তিজীবন ও পারিবারিক জীবন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন সহ দুনিয়া বিরাগী অসংখ্য হাদিসের আলোকে বিভিন্ন ঘটনা ফুটে উঠেছে। যা থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হলো,রাসুলের চোখে তুচ্ছ দুনিয়ার মত নিজের বা নিজেদের তুলনা করে তাদের মত জীবনযাপন করে আখেরাতের পুঁজি অর্জন করা। লোভ-লালসা আমিত্তহীন জীবনযাপন করে একমাত্র মহান আল্লাহকে রাজি খুশি করাই যে জীবনের মুখ্য উদ্দ্যেশ্য হবে।
○ লেখক সম্পর্কে-
বইটির মূল লেখক ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ। মুসলিম উম্মাহর পূণ্যবান মুজতাহিদ প্রসিদ্ধ চার ইমামের একজন তিনি। ইমাম আবু হানিফা র. এর প্রধান ছাত্র হিসেবে তার পাঠচক্রেও হাজির ছিলেন তিনি।
হাদিস চর্চার পাশাপাশি অজস্র আইনগত প্রশ্নেরও জবাব তিনি দিয়েছে,যা তার ছাত্রবৃন্দ সুবিন্যস্ত করে প্রকাশ করেছেন। আর এর ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে “হাম্বলি মাযহাব” নামে ইসলামি আইনশাস্ত্রের গ্রহনযোগ্য আরেকটি মাযহাব।
○ অনুবাদ সম্পর্কে-
বইটির সম্পুর্ন অনুবাদটি বইটিকে আরো পাঠকপ্রিয় করে তুলেছে। যথাসাধ্য নির্ভুল বানানে বইটি পাঠক সমাজে খুব সহজেই গৃহীত হবে।তাই বলা যায়, গ্রন্থটি একটি সুখপাঠ্য গ্রন্থ।
○ আমার অনুভূতিঃ
কাগজের পাতায় কলমের আচড় কেটে এ অনুভূতি ব্যক্ত করা অসম্ভব। বইটির প্রথম দিকে রাসুলুল্লাহ সঃ এর জীবনে কিছু ঘটনা অন্তরকে নাড়া দেওয়ার মত। বইটি পড়ে কোন মুসলিমের চোখ অশ্রুসজল হবে না, তা কল্পনায় আনাও দুষ্কর। কাঠিন্যতায় পর্যবসিত প্রায় নিষ্প্রাণ অন্তরেও অশ্রুর প্লাবন উর্বরতা সৃষ্টি করবে।
○ পছন্দের কিছু উক্তিঃ
০১.সুলাইমান আঃ তার ছেলেকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেন,”সিংহ ও কালো সাপের পিছু নিও,তবুও নারীর পিছু নিও না।”
০২. “দুনিয়ার রুপ হল মনোহর সবুজ উদ্যানের ন্যায়,যা মানুষকে সহজে আকৃষ্ট করে। অতএব, দুনিয়াকে ভয় করো।”
পরিশেষে, ‘রাসুলের চোখে দুনিয়া’ বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ যেন বইটি থেকে সবাইকে উত্তম জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের মূল পুঁজি সঞ্চয়ের তাওফিক দেন। আমিন।
Mahbuba Islam Disha –
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার,সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক রহমাতুল্লিল আলামিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর প্রতি।
দুনিয়া এক আশ্চর্যের জায়গা! আমরা এক রহস্যের জগতে বাস করি। দুনিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক কি? কি চাই আমরা দুনিয়ার থেকে? এখানে আমাদের করনীয় কী? অনেক প্রশ্ন।
এই দুনিয়া সম্পর্কে নবি-রাসূল, সাহাবি ও তাবেয়িদের দৃষ্টিভংগি কী তা নিয়ে হিজরি দ্বিতীয় শতকের খ্যাতিমান হাদীসবিশারদ ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহিমাহুল্লাহ) একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। নাম “কিতাবুয যুহদ”। ‘যুহদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘দুনিয়া বিরাগ’। বইটি বর্তমানে তিনটা খন্ডে প্রাকিশিত হয়েছে। প্রথম “রাসূলের চোখে দুনিয়া”, দ্বিতীয় ” সাহাবিদের চোখে দুনিয়া” এবং তৃতীয় “তাবেয়ীদের চোখে দুনিয়া”।
আমরা যারা দুনিয়ায় মোহের মাঝে বেচেঁ থেকে নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছি, তাদের জন্য এই বইটা একটা রিমাইন্ডার।
কেমন ছিলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের জিবন,কেমন ছিলো সাহাবা রাদিআল্লাহু আনহুদের জিবন আর কেমন আমাদের জিবন?
কি বিস্তর পার্থক্য!
নবিদের (আলাইহিস সালাম) দের জিবনের, সাহাবিদের জিবনের পরতে পরতে কিভাবে তারা দুনিয়ার ভোগ বিলাসিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন তা এই বইটা না পড়লে এতো সুক্ষ ভাবে কখনোই বুঝতাম না।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা লেখককে এবং
এই বইটা প্রাকাশনার জন্য যারা যারা কাজ করেছেন তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এই দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্পর্ক? এই দুনিয়ার সাথে আমার দৃষ্টান্ত হলো এমন এক অশ্বারোহীর ন্যায় যে গ্রীস্মের একদিন এক বৃক্ষ-ছায়ায় ঈষৎ নিদ্রা গেল,তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।”
এই হলো সেই দুনিয়া। ভাগাড়ে পড়ে থাকা মৃত ভেড়ার চেয়েও অধিক তুচ্ছ। যার জন্য আমরা এত কিছু করি। বাড়ি,গাড়ী, সোনা-গহনা কত কি! সম্পদের পাহাড় না থাকা মানে আপনি হেরে গেলেন। কি বিকৃত মানষিকতা।
উসমান ইবনু আফফান (রদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“মাথার উপর একটা ছাদ, মেরুদণ্ড সোজা রাখার জন্য যতটুকু খাদ্য আর সতর ঢাকার জন্য যতটা কাপড় প্রয়োজন তাছাড়া অন্য সব কিছুতে আদম সন্তানের কোনো অধিকার নেই।”
এই হাদিসটা পড়ার পরে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছিলাম। আমরা কি কেবলমাত্র মেরুদণ্ড সোজা রাখার জন্য খাবার খাই? অবশ্যই না, আমাদের ভাব এমন যে খাওয়ার জন্যই বাঁচি আর আলমারির দিকে যখন তাকাই, ভাবি এত কাপড়ের হিসেব দেবো কি করে। ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের হিসাবকে সহজ করে দিন।
এই বইটা আমার পড়া বই গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই বইটা পড়ার পরে আমি নিজের মাঝে যতটা পরিবর্তন খেয়াল করেছি অন্য কোনো বই পড়ে এমনটা অনুভব করিনি। আলহামদুলিল্লাহ।
আশাকরি আপনারা ও বইটা পড়বেন। ডেইলি রিমাইন্ডার হিসাবে কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।