দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ মানুষটাও দিনের একটা সময়ে এসে চিন্তা করে “সব ছেড়ে দেয়া উচিত”..
পার্টিতে গা ভাসিয়ে দেয়া মেয়েটাও মাঝে মাঝে বান্ধবীকে বলে “আর কত? ভাল হওয়া দরকার রে”..
আড্ডাবাজি কিংবা গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে বেড়ানো ছেলেটার মন কখনো কখনো বলে উঠে “এসবে শান্তি নেই”..
.
এই উপলব্ধির জন্য প্রয়োজন দুনিয়ার তুচ্ছতা জানা, হারামকে মন থেকে ঘৃণা করা, পাপ থেকে তাওবাহ করা। তাই ফিরে আসুন শান্তির স্রস্টার পথে, গ্রহণ করুন তাঁর ভালোবাসা। তাওবার গুরুত্ব, তাওবার পদ্ধতি, তাওবা নিয়ে পূর্ববর্তী নেককারদের নসিহত, ইত্যাদি নিয়ে এই বইটি রচিত।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
Umme Suraiya –
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
বই:আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু
লেখক :শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
প্রকাশনী:আর -রিহাব পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্য :১২০ টাকা
★প্রারম্ভিকা:
——————–
তাওবা, যার অর্থ হলো “প্রত্যাবর্তন করা”।আর প্রত্যাবর্তন করাই তো আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ভাল কাজ।আল্লাহ বলেন, ” আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে অনেক ভালবাসেন(২:২২২)”
কেই না আল্লাহর ভালবাসার কাঙাল?
★পাঠ পর্যালোচনা এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সমূহ :
—————————————————————-
বইটিতে মোট ১৮টি অংশ রয়েছে। যার প্রতিটি পাতায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এবং বিস্তারিত আলোচনা।এছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর। নিচে সংক্ষেপে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হলো-
১)তাওবা কি
২)তাওবার শর্ত
৩)তাওবাকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া
৪)তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত
★প্রিয় কথন:
———————
১.আবু উমাম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- নিশ্চয় বামপাশের ফেরেশতা কলম উঠিয়ে রাখে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত ভুলকারী মুসলিম বান্দা থেকে। অন্য বর্ণনায় আবু আব্দুল্লাহ বলেন, সাত ঘণ্টা পর্যন্ত ভুলকারী মুসলিম বান্দা থেকে। বান্দা যদি অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায় তাহলে তা মাফ করে দেয়া হয়, নতুবা একটি গুণাহ লিখা হয়। [বায়হাকী: ৬৬৫০; ইমাম আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন।]
২.ক্রমাগত পাপ করলে তা আর সগীরা থাকে না এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে কবীরাও থাকে না । অর্থাৎ ক্রমাগতভাবে সগীরা গুণাহ করতে থাকলে তা কবীরা গুণাহে পরিণত হয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকলে কবীরা গুণাহও আর থাকে না, তা মাফ হয়ে যায়।
৩. হযরত আবু বকর রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোন মানুষ পাপ করার পর যদি পবিত্রতা অর্জন করে, অতঃপর নামায পড়ে এরপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। [আসহাবুস সুনান, সহীহ আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ১/২৮৪]
আমার মতামত :
———————-
গুনাহের উপায় সীমিত, কিন্তু ক্ষমা পাওয়ার উপায় অসীম। সব মিলিয়ে বইটি অনেক ভালো ছিল এবং বাস্তব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি।
সর্বোপরি বইটি এক কথায় অসাধারণ।
শেষের কথা:
————————
বইটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দোয়া সকলের জন্য যারা এই বইটি আমাদের হাত পর্যন্ত সাহায্য করেছেন।
রিভিউ দাতা :
Umme Suraiya