Copyright © 2024 Seanpublication.com
মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ (পেপারব্যাক)
নির্ধারিত মূল্যের বই কিনুন ১০% বিশেষ ডিসকাউন্টে। অফারটি সীমিত সময়ের জন্য।
Author : শাইখ মুদ্দাসসির আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ আরশাদ লুধি রহ.
Translator : আলী হাসান উসামা
Publisher : রুহামা পাবলিকেশন
Category : অনুপ্রেরণা
৳90 ৳81
You Save TK. 9 (10%)
Out of stock
মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ (পেপারব্যাক)
Share This Book:
ক্যাশ অন ডেলিভারী
৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন
ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু
Author
Reviews (1)
1 review for মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ (পেপারব্যাক)
Add a review Cancel reply
Din Muhammad Sheikh –
“রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দ্বীনের দুশমনদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার জন্য প্রেরণ করা হয়নি; বরং তাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে মানুষের মধ্যে ‘পার্থক্যকারী’ রূপে।”
“তোষামোদি এবং নীরবতা অবলম্বনের দ্বারা কখনো দ্বীন কায়েম হয় না; বরং দ্বীন কায়েমের পন্থা হলো, প্রকাশ্যে সত্যের ঘোষণা দেওয়া এবং বিপদাপদ ও কষ্টের ওপর ধৈর্যধারণ করা।”
“অথচ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রকাশ্য মানহাজকে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করে, মানুষদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেও ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়েছেন।”
“দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় একমাত্র প্রকাশ্য ঘোষণা এবং সুস্পষ্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে।”
▪ সংকলন তথ্য :
উপর্যুক্ত মণিমুক্তোগুলো সংগৃহীত হয়েছে “দিফায়ে মিল্লাতে ইবরাহিম” গ্রন্থের অনূদিত রূপ “মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ” থেকে। মূল গ্রন্থের রচয়িতা “শাইখ মুদ্দাসসির আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ আরশাদ লুধি (রহি:)” এবং এর অনুবাদক তারুণ্যের বাতিঘর “শাইখ আলী হাসান উসামা (হাফি:)”। পাঠক, বইটি কেমন হতে পারে, তা এতক্ষণে নিশ্চয়ই আন্দাজ করে ফেলেছেন। তাই না? তবুও চলুন বইটি একটু নেড়েচেড়ে দেখি।
▪ একনজরে বই পরিচিতি :
◾ মূল নাম : দিফায়ে মিল্লাতে ইবরাহিম
◾ অনূদিত নাম : মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ
◾ লেখক : শাইখ মুদ্দাসসির আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ আরশাদ লুধি (রহি:)
◾ অনুবাদক : শাইখ আলী হাসান উসামা (হাফি:)
◾ প্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন
◾ প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
◾ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৯
◾ নির্ধারিত মূল্য : ৯০/-
▪ বইয়ের আলোচ্য বিষয় :
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বই। আলোচিত হয়েছে বেশ কিছু বিষয়। যেমন : মিল্লাতে ইবরাহিমের পরিচয় এবং বৈশিষ্ট্য, তা অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা, মুক্তিপ্রাপ্ত দলের বৈশিষ্ট্য, হক প্রতিষ্ঠা করার পদ্ধতি ইত্যাদি।
▪ বইয়ের আদ্যোপান্ত :
বইটি শুরু হয়েছে ” সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা” দিয়ে। কাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা? কেনোই বা সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা? পাঠক তা জানতে পারবেন বইয়ের এ অংশে।
এরপর অনুবাদকের ভূমিকা যোগ করা হয়েছে, যা আপনাকে বইটি বুঝতে বেশ সহায়তা করবে। বলতে পারেন, ভূমিকাটি মূল বইয়ের সারসংক্ষেপ। ভূমিকাতেই আপনি পেয়ে যাবেন, দ্বীন, মিল্লাত ও শরীয়াতের মধ্যকার পার্থক্য; মিল্লাতে ইবরাহিম কী, কেন এবং তার বৈশিষ্ট্য।
“কিতাব এবং সুন্নাহর মানহাজ” শিরোনামে মূল বইয়ের শুরু। এটি লেখকের ভূমিকা বলতে পারেন। এখানে লেখক তাঁর নিজ মানহাজ বর্ণনা করেছেন এবং বইয়ের পরবর্তী অংশে সেই মানহাজ নিয়ে কী কী আলোচনা উপস্থাপন করা হবে, তার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এরপর লেখক মিল্লাতে ইবরাহিমের বিবরণ দিয়েছেন, তার ভিত্তি সম্পর্কে বলেছেন এবং কীভাবে তা মানুষের মধ্যে পার্থক্য করে দেয়, তা দেখিয়েছেন। আপনি মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসরণ করবেন, অথচ বাতিল থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না, মুশরিকদের প্রতি প্রীতি রাখবেন, এটা অসম্ভব। লেখক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,
“মিল্লাতে ইবরাহিম হলো শিরক এবং মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, তাদের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া এবং তাদেরকে বয়কট করার নাম।”
সব দলই তো মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসারী ব’লে দাবি করে, মিল্লাতে ইবরাহিমকে প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা পেশ করে। আদতে কি তারা মিল্লাতে ইবরাহিমের সঠিক অনুসারী? মিল্লাতে ইবরাহিম প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অনুসৃত কর্মপন্থা কি যথার্থ? না, যথার্থ নয়। বরং এগুলো আংশিক, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইবরাহিমের মিল্লাতই নয়। তাহলে মিল্লাতে ইবরাহিম প্রতিষ্ঠার সঠিক পন্থা কী? উত্তর পাবেন বইটিতে।
বাতিলের তোষামোদি করে দ্বীন কায়েম হয় না। দ্বীন কায়েম হয় ইলাহি মানহাজে, নববী আদর্শে। তা কীভাবে? এ সম্পর্কেও খুব সুন্দর দালিলিক আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে বইটিতে।
বইয়ের এক অংশে লেখক ‘মুক্তিপ্রাপ্ত দল’এর কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে লেখক বলেন, “নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুক্তিপ্রাপ্ত দলের যেসব গুণাবলি বর্ণনা করেছেন , তার মধ্যে একটি হলো – হকের ওপর প্রকাশিত, লুকায়িত বা গোপন নয়।”
অনেকেই দ্বীন কায়েমের ইলাহি মানহাজকে স্বীকার করে। তবে নিজেরা তাতে অংশগ্রহণ করে না৷ নানান অজুহাত দাঁড় করায়। তাদের এসব অজুহাত কি গ্রহণযোগ্য? না, গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু কেনো? পাঠক এ প্রশ্নের উত্তরও পাবেন দলিলসহকারে।
আমরা কীভাবে দ্বীনের সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি, তা বইটিতে দালিলিকভাবে আলোচনা করেছেন লেখক। দ্বীনের সাহায্য ৩টি জিনসের ওপর নির্ভর করে ব’লে তিনি দাবি করেছেন। সে ৩টি জিনিস কী? লেখক এ সম্পর্কেও চমৎকার আলোচনা উপস্থাপন করেছেন।
সত্য সর্বদাই বিজয়ী থাকে। সত্যের ওপর আমরা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারি? সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার পন্থা, হক প্রতিষ্ঠা করার পদ্ধতিও আলোচিত হয়েছে এ বইয়ে। এছাড়াও সত্য প্রতিষ্ঠার পথে অবশ্যপালনীয় কিছু নির্দেশনাও উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে। এ প্রসঙ্গে লেখক বলেন, “দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় একমাত্র প্রকাশ্য ঘোষণা এবং সুস্পষ্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে। আর দ্বীনকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরলে এবং প্রকাশ্যে শত্রুতার ঘোষণা দিলে নসিবে অপরিহার্যভাবেই পীড়ন এবং বহিষ্কারের দণ্ড নেমে আসে।”
হক প্রতিষ্ঠার ইলাহি মানহাজ ছেড়ে দিয়ে নিজ মর্জিমাফিক যারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে এবং বর্তমান সময়ের জন্য ইলাহি মানহাজকে ‘অসামর্থ্য’ প্রমাণে যেসব যুক্তির মাধ্যমে সংশয় সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, তা যে কতটা অযৌক্তিক, তা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে বইটিতে। পাশাপাশি ইলাহি মানহাজের যৌক্তিকতাও তুলে ধরেছেন লেখক।
বইটিতে লেখক আরো তুলে ধরেছেন সত্যের পথে জীবনোৎসর্গকারী দলের পরিচিতি, সত্য পথ থেকে বিতাড়নকারী কারণসমূহ এবং এক মরদে মুমিনের সত্য প্রকাশের আপোষহীন মনোভাবের দৃষ্টান্ত।
▪ পাঠানুভূতি :
বইটির শেষে যুক্ত করা হয়েছে “পাঠকের পাতা”। সে পাতায় বইটি পড়া শেষে যা লিখেছিলাম, সেখান থেকে একটু তুলে ধরছি –
“কিছু কিছু বই আছে, যা পড়া হয়ে গেলে মন বলে ওঠে, ‘ইশ! বইটি শেষ হয়ে গেলো!’ – এটি এমনই একটি বই।”
▪ ভালো লাগা-মন্দ লাগা :
রুহামার বই মানেই অসাধারণ প্রচ্ছদ, পোক্ত বাইন্ডিং, মানসম্মত পৃষ্ঠা, লেখার যথোপযুক্ত ফন্টের ব্যবহার। এ বইতেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
বইটির সংক্ষিপ্ত অথচ মর্মস্পর্শী আলোচনা যে কারো অন্তর ছুঁয়ে যাবে, জাগিয়ে দিবে মিল্লাতে ইবরাহিমের প্রতি গভীর ভালোবাসা, জুগিয়ে দিবে সে পথে চলার অসীম প্রেরণা, জ্বালিয়ে দিবে ধমনিতে তা প্রতিষ্ঠা করার তীব্র অনল।
মন্দ লাগার মতো তেমন কিছু খুঁজে পাইনি। তবে বইটিতে অনুবাদকের পরিচিতি থাকলেও, লেখক পরিচিতি নেই। যদিও অনুবাদক তাঁর ভূমিকায় বলেছেন, “শাইখ সম্পর্কে তেমন তথ্যাদি জানা যায় না।…”
‘তেমন’ তথ্যাদি জানা যায় না। তবে যতটুকু জানা যায়, ততটুকুই পাঠককে জানানো যেতো। পরবর্তী সংস্করণে রুহামা এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবে আশা করি।
এছাড়াও আরেকটা বিষয় – বইয়ের শুরুতেই “সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা” শিরোনামে এক ঘোষণাপত্র যোগ করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্রটি কার, তা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারিনি। লেখকের, অনুবাদকের নাকি প্রকাশকের? অনুবাদকের হবে মনে হয়।
▪ শেষকথন :
শেষ করছি সবাইকে একটি আহবান জানিয়ে, বইটি পড়ুন, অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন। বইটি বুঝুন, অন্যকে বুঝতে সাহায্য করুন। ছড়িয়ে দিন মিল্লাতে ইবরাহমের বাণী, জাগিয়ে দিন প্রেরণা, আন্দোলিত করুন সবার সুপ্ত বিবেকগুলোকে।